Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সেই প্রশ্নগুলির জবাব মিলছে না কেন?
মোশারফ হোসেন 

দেশজুড়ে রাজনীতির ময়দানে এই মুহূর্তে গনগনে আঁচ। রাজনীতির মাটি গরম। রাজনীতির বাতাস গরম। কারণ দেশে ভোট যে শুরু হয়ে গিয়েছে! ভোটগ্রহণ সব মিলিয়ে সম্পন্ন হবে সাত দফায়। প্রথম দফাটি হয়ে গেল গত ১১ তারিখে। ওইদিন সব মিলিয়ে ২০ টি রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৯১ টি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে। ভোটদাতাদের ‘বিবেচনা’ কয়েক লাখ ইভিএমে বন্দি হয়ে কড়া পাহারায় স্ট্রং রুমে বিশ্রাম নিচ্ছে। সেগুলি ফের বাইরের আলো দেখতে আরও প্রায় সওয়া এক মাস বাকি।
ওই ৯১টি কেন্দ্রে রাজনৈতিক উথালপাথাল আপাতত স্থগিত থাকলেও বাকি ভারতে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্যরকম। সেই ভারতে রয়েছে আরও প্রায় সাড়ে চারশো আসন। আগামী ছ’দফায় সেগুলিতে প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয় নাগরিকদের বিবেচনার প্রতিফলন ঘটার কথা। সেই কোটি কোটি নাগরিক তথা ভোটারদের বিবেচনা নিজেদের পক্ষে আনতে রাজনৈতিক দলগুলির ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। প্রতিটি দলেরই ছোট বড় মাঝারি নেতা নেত্রীরা ছুটে বেড়াচ্ছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার নির্বাচনী প্রচার সভায় এলাকার পর এলাকা সরগরম। যত বড় দল, তত বেশি আসনে প্রার্থী। নেতানেত্রীর সংখ্যাও সেই অনুসারে। হরেক রকম আঞ্চলিক দল। দু-চারটে সর্বভারতীয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে নবীন পট্টনায়ক, চন্দ্রবাবু নাইডু থেকে অখিলেশ যাদব, মায়াবতী থেকে নীতীশ কুমার। ছুটে বেড়াচ্ছেন সবাই। চষে বেড়াচ্ছেন যাঁর পক্ষে যতটা সম্ভব। তবে এদের সবাইকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন প্রধান দুই সর্বভারতীয় দলের দুই নেতা নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধী। এবারের ভোটে নরেন্দ্র মোদির সামনে বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। মমতাকে ঘায়েল করার তীব্র বাসনা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি বার বার হানা দিচ্ছেন মমতার গড় বাংলায়। সর্বভারতীয় কংগ্রেস দলের সভাপতি রাহুল গান্ধীও গত কয়েক বছরের মধ্যে নিজেকে অভাবনীয় এক উচ্চতায় তুলে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি গোটা ভারত জুড়ে লাগাতার সক্রিয়তায় মোদিজির স্বস্তি অনেকটাই কেড়ে নিয়েছেন। একদিকে মমতা অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর সুতীব্র আক্রমণ ঠেকাতে তূণের সমস্তরকমের তিরই প্রয়োগ করে চলেছেন নরেন্দ্র।
গত পাঁচ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে জনগণের দেওয়া করের টাকায় প্রায় একশোবার বিদেশ ভ্রমণ করা মোদি পরের পাঁচবছরের জন্য নিজের গদিটি অটুট রাখতে এখন দেশের কোণে কোণে ছুটছেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম—দেশের প্রতিটি প্রান্তে মোদির এই ছুটে বেড়ানো দেখে বহু ভারতবাসীরই গত ২০১৪ সালের এই সময়টির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। দৃপ্ত চেহারা, আসাধারণ বাচনভঙ্গিমা, তুলনাহীন শরীরী ব্যঞ্জনা সেসময় ভারতবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। কোটি কোটি মানুষকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করেছিল গুজরাতনন্দনের একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো প্রতিশ্রুতি। ক্ষমতায় এলে তিনি বিদেশে পাচার হওয়া লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দেশে ফিরিয়ে আনবেন। না, টাকা ফেরালেও তিনি তার একটি কপর্দকও নিজে নেবেন না। নেওয়ার কোনও বাসনাই তাঁর নেই। কারণ, তিনি তো দেশবাসীর সেবায় আত্মোৎসর্গীকৃত এক সন্ন্যাসীসম। তাঁর নিজের জন্য কোনও পয়সাকড়ির প্রয়োজন নেই। তাহলে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা তিনি কী করবেন? নিজের প্রশ্নের জবাব নিজেই দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, প্রতিটি ভারতবাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা সমানভাবে ভরে দেবেন। তাতে কত করে পাবেন প্রতিটি ভারতবাসী? মাথাপিছু পনেরো লক্ষ টাকা। শুনে চোখ ছানাবড়া হয়ে উঠেছিল দিন আনা দিন খাওয়া বিপুল সংখ্যক ভারতবাসীর। এত টাকা! এও কি সম্ভব? আবার মানুষটি যেভাবে বলছেন তাতে তাঁকে অবিশ্বাস করতেও মন সায় দেয় না। বরং বিশ্বাসের দিকেই পাল্লা ভারী হয়।
আর কী বললেন মোদি? তিনি ক্ষমতায় এলে বছরে দু’কোটি ছেলেমেয়ে চাকরি পাবে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি ঘটবে কোটি কোটি শিক্ষিত অথচ একটি চাকরি জোগাড় করতে না পারার ব্যর্থতায় মরমে মরে থাকা অসংখ্য তরুণ প্রাণের। একবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অর্থ সাধারণ হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য সিংহাসন। অর্থাৎ মোট অন্তত দশ কোটি বেকারের চাকরি। লোকটা নাকি গুজরাতে গত বারো-তেরো বছরে এমন অবিশ্বাস্য উন্নয়ন ঘটিয়েছেন যে বেকার নামক শব্দটিই ওই রাজ্যের অভিধান থেকে ধাঁ হয়ে গিয়েছে। সেখানে ঘরে ঘরে সুখ। সুখের জোয়ার। সুখের বান। সুখ-স্বস্তির জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে রাজ্যটা। একসময়ে ছিলেন দরিদ্র চা-ওয়ালা। তিনি এমন অসাধ্যসাধনই করেছেন। তাঁর সাফল্য তো আসলে বিপুল সংখ্যক গরিব ভারতবাসীরই সাফল্যের নামান্তর। সে ওই স্যুটবুট পরা বড়লোকদের নয়, আসলে আমজনতারই প্রকৃত প্রতিনিধি।
এত কথা বাকি ভারত জানল কী করে? ওমা তাও জানো না? টিভির পর্দায়, খবরের কাগজের পাতায় পাতায়, হোর্ডিংয়ে-পোস্টারে, নেতাদের বক্তৃতায়, ঘরোয়া জমায়েতে ও কথাই তো বলা হচ্ছে। সবাই যখন একই কথা বলছে, ব্যাপারটা নিশ্চয়ই সত্যি। মনমোহন সিং নামের মানুষটির গত দশ বছরের শাসনে প্রায় মরতে বসা দেশটায় নতুন করে প্রাণসঞ্চারের জাদু-জল তো মোদিজির হাতের কমণ্ডলুতেই রাখা রয়েছে। তা ব্যবহারের সুযোগ চাই। তাহলে ভারতবাসীর পবিত্র কর্তব্য কী? মোদি নামক নয়া দেবদূতকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে যা করণীয় তা করতেই হবে। হলও তাই। হ্যামলিনের সেই বাঁশিওয়ালার ডাকের মতো লাখো লাখো ভোটার ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। তাঁকে সিংহাসনের দিকে এগিয়ে দিলেন। দেশসেবার জন্য ‘সর্বস্বত্যাগী’ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তামাম ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তারপর? সম্ভবত মাথাপিছু পনেরো লাখ টাকার আশাতেই ব্যাঙ্কের দরজায় দরজায় লম্বা লম্বা লাইন পড়ল। সবাই ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট খুলতে চায়। জনধন অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্ট তো খোলা হল। কিন্তু টাকা ঢুকল কই? বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা কালো টাকা আসার কথা ছিল। তার দেখা তো মিললই না, উল্টে নীরব মোদি, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়াদের জাদুর জোরে হাজার হাজার কোটি সাদা টাকা দেশের বাইরে চলে গেল। দেশের টাকা মেরে ভাগনেওয়ালাদের কেউ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দাওয়ায় বসে তাঁর স্বকণ্ঠে ‘ভাই’ বলে আপ্যায়িত হয়েছেন, কেউবা বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানমঞ্চ আলো করে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। আবার, এক ভাগনেওয়ালা নাকি প্রধানমন্ত্রীর এক বিশ্বস্ত সেনাপতিকে আগাম জানিয়েই দেশ থেকে ধাঁ হয়েছেন বলে নিজেই দাবি করেছেন। কেন এমন হল?
দেখতে দেখতে পাঁচবছর কেটে গেল। সেই বছরে দু’কোটি চাকরির ব্যাপারটা কী হল? শুধু চাকরি! মেক ইন্ডিয়ার মাধ্যমে আরও বহু কোটি কর্মসংস্থানের স্বপ্ন? পাঁচ বছরে মোট দশ কোটি চাকরি! সব মিলিয়ে পাঁচ লাখ হয়েছে তো? আর মেক ইন ইন্ডিয়া? ভারতবাসী সকাল থেকে রাত অবধি যে যে পণ্য ব্যবহার করে তার শতকরা আশিটিতেই তো মেড ইন চায়না ছাপ! এর জন্য কার ব্যর্থতা দায়ী?
তারপরও রয়ে যাচ্ছে আচমকা নোট বাতিল ও অপরিণত জিএসটি চালুর বিষয়দুটি। গত ২০১৬ সালের নভেম্বরের এক সন্ধ্যায় আচমকাই পাঁচশো ও এক হাজার টাকার চালু সমস্ত নোটকে বাতিল ঘোষণা করেছিলেন মোদিজি। তখন কী বলেছিলেন? বলেছিলেন, নোট বাতিলের ফলে কালো টাকার কবর হবে, আর কোমর ভেঙে যাবে জঙ্গিদের। এর সুবাদে নিত্যপণ্যের দাম কমবে, কোটি কোটি কর্মসংস্থান হবে। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সুখের দিশা মিলবে। দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ লেজ গুটিয়ে বিদায় নিতে বাধ্য হবে। দেশবাসী নিশ্চিন্তে দিন কাটাতে পারবেন।
ওই নোট-বাতিল পর্বের পর আড়াই বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কী ফল পেলেন ভারতবাসী? বাতিল হওয়া তথাকথিত বিপুল পরিমাণ কালো টাকার প্রায় সবটাই ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে। অর্থাৎ কালো টাকার দানবীয় যে উপস্থিতির গল্প ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তা নেহাতই রটনা ছিল। অথবা, মোদিজির ওই পদক্ষেপের সুযোগে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা কোনও অদৃশ্য জাদুর ছোঁয়ায় সাদা হয়ে গিয়েছে। এতে লাভবান হল কারা? অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ কী পেলেন? পেলেন বেশ কিছুদিনের জন্য সীমাহীন উদ্বেগ। নিজের কষ্টার্জিত টাকা ঠিকঠাক রাখতে দুর্ভোগের একশেষ হতে হল। এটিএমের সামনে লাইন দিতে গিয়ে কিছু মানুষের অকালমৃত্যু হল। শুধু তাই নয়, নোট বাতিলের জেরে লক্ষ লক্ষ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ রাতারাতি কাজ খোয়ালেন। তাঁদের উপার্জন গেল, জীবিকা গেল। অনেকেই নড়বড়ে শিরদাঁড়া চুরমার হয়ে গেল। দিনের স্বস্তি, রাতের ঘুম উড়ে যাওয়া অনেক মানুষ চিরকালের মতো মুখ খুবড়ে পড়লেন। এর দায় কার?
আর জিএসটি? নেহরুকে পাল্লা দিয়ে নয়া ইতিহাস রচনার তীব্র বাসনায় মেদিজি মধ্যরাতে সংসদের অধিবেশন ডেকে যে অপরিণত জিএসটি চালু করলেন তার ফল কী হল জানেন তো? আপনি না জানলেও কোটি কোটি সাধারণ ভারতবাসী তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। এখনও পাচ্ছেন। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কোমর ভেঙে গিয়েছে। বহু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য হয়েছে। যারা কোনও রকমে টিঁকে গিয়েছে তাদের হালও যথেষ্টই খারাপ। এর জেরে লক্ষ লক্ষ সাধারণ কর্মচারীকে মালিকরা দরজা দেখিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। বহু সকার ব্যক্তি নতুন করে বেকার হয়েছেন। তাঁদের পরিবার পরিজন অথৈ জলে পড়েছেন। পরিবারের ভরণপোষণ, সন্তানের শিক্ষা, ভবিষ্যৎ—সব কিছুই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন পরিণতির জন্যই কি ২০১৪ সালে বিপুল সমর্থন দিয়ে মোদিজিকে ক্ষমতায় আনার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ওই লক্ষ লক্ষ মানুষ? এটাই কি তাদের প্রত্যাশা ছিল? মোদিজির বহু প্রতিশ্রুত ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশের’ই বা কী হল? কোথায় গেল ‘আচ্ছে দিন’?
ফের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি। নিজের পক্ষে ভোট জোগাড়ে আপাতত তাঁর পরিশ্রমের শেষ নেই। ফের হরেক রকম গল্প শোনাচ্ছেন। হরেক আবেগে সুড়সড়ি দিচ্ছেন। কিন্তু তার আগে আগের প্রশ্নগুলির জবাব দিন। নতুন ক্লাসে ভর্তি হতে চাইলে আগের ক্লাসের রিপোর্ট কার্ড দেখানোই দস্তুর। সেখানে পাশ করতে হয়। মোদিজির গত পাঁচ বছরের রিপোর্ট কার্ড কী বলে?  
16th  April, 2019
মধ্যবিত্তের ভোটচর্চা 

সমৃদ্ধ দত্ত: ভোট নিয়ে সবথেকে বেশি গল্প কারা করে? মধ্যবিত্ত। ভোট নিয়ে সারাদিন বন্ধুবান্ধব আর পরিচিতদের সঙ্গে ঝগড়া কারা করে? মধ্যবিত্ত। যে নেতানেত্রীরা তাঁদের চেনেনই না, তাঁদের হয়ে জানপ্রাণ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছোটবেলার বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজন অথবা পরিচিত ফ্যামিলি ফ্রেণ্ডকে আক্রমণ করে কারা? মধ্যবিত্ত।  বিশদ

কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কিছু সহজ প্রশ্ন
শুভময় মৈত্র

সপ্তদশ লোকসভা গঠনের লক্ষ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেল ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। সাত দফায় চলবে এই ভোট, ১৯ মে পর্যন্ত। তারপর ২৩ তারিখ ভোটফল। মোদি সরকার আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে কিনা সেটাই এবারের মূল প্রশ্ন। আপাতত বিভিন্ন সমীক্ষা যা খবর দিয়েছে তাতে সেই আশা একেবারে অলীক নয়।
বিশদ

18th  April, 2019
দুটি ইস্তাহারের গল্প
পি চিদম্বরম

গত ৮ এপ্রিল বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হল কোনও প্রকার তূর্যনিনাদ ছাড়াই। বিজেপির পক্ষে এই যে নম্রতা একেবারে অস্বাভাবিক! বিজেপির নরম হওয়ার অনেক কারণ ছিল। 
বিশদ

15th  April, 2019
লোকসভা ২০১৯: বাংলার ভোটে
মমতাভক্তি ঠেকানো যাবে?
শুভা দত্ত

যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। ভোটযুদ্ধ ২০১৯। আগামী লোকসভার দখল কে নেবেন, আগামী পাঁচ বছর কার হাতে থাকবে দেশ-শাসনের ভার তার ফয়সালা হবে এই যুদ্ধের ময়দানে। গত বৃহস্পতিবার এ রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশে শুরু হয়ে গেল সেই যুদ্ধ।
বিশদ

14th  April, 2019
দলগুলির ইস্তাহারে রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা
ভবিষ্যতে সংকট ডেকে আনবে না তো?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। আমাদের রাজ্যে তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপি এবং কংগ্রেস চতুর্মুখী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে চার শিবিরের প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারগুলির তূলনামূলক পর্যালোচনা থেকে বেরিয়ে আসছে যে, প্রতিটি শিবিরই নাগরিকদের আরও বেশি করে রাষ্ট্রমুখী করতে চাইছে।
বিশদ

14th  April, 2019
জাতীয়তাবাদ আজ যে কানাগলিতে
নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী

 জ্যাক বারজুঁ (Jacque Barzun) ১৯৭২ সালে একুশ শতকে সন্ধান করার সময় যে, কথাটা বলেছিলেন, সেটা আজ এই সাতচল্লিশ বছর পর এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রযত্নে যে এমন সত্য হয়ে উঠবে, এটা কে জানত? জ্যাক বারজুঁ এক অ্যামেরিকান ঐতিহাসিক, যিনি বাহাত্তর সালে বলেছিলেন যে, অতীতের রাজনৈতিক ‘বাদ’ (ism) যা যা বোঝাত, সেইরকম কোনও ‘বাদ’ টিকে না থাকলেও একমাত্র জাতীয়তাবাদ অতি অদ্ভুতভাবে টিকে আছে।
বিশদ

13th  April, 2019
ছুটির ফাঁদে
অতনু বিশ্বাস

 ছুটির ফাঁদে পড়েছে সূর্যোদয়ের দেশটা। জাপান। হঠাৎ করে পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মত দশদিনের অতিরিক্ত ছুটি জুটেছে জাপানিদের। আর সেই ছুটি নিয়ে করবেটা কী, তা বুঝতেই পারছে না হোক্কাইডো থেকে হাটেরুমা পর্যন্ত সকল জাপানবাসী।
বিশদ

13th  April, 2019
ভোটে জিততে হাতিয়ার যখন বিজ্ঞাপন
মৃণালকান্তি দাস

‘পেটিএম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর এবার পরশ বিন্দিতেও।’ ট্যুইটারে এমনই কটাক্ষ করেছিলেন রায়গঞ্জের বামপ্রার্থী মহম্মদ সেলিম। গাঁয়ে-গঞ্জে মহিলাদের টিপের পাতাতেও মোদির ছবি ছাপিয়ে বিজেপির এমন অভিনব নির্বাচনী প্রচার এর আগে কোনওদিন দেখেনি এই বাংলার মানুষ। শুধু কী তাই! নমো ব্র্যান্ডের টিশার্ট, কাপ, নোটবুক সবেতেই মোদি।
বিশদ

12th  April, 2019
নির্বাচনে কৃষক-শ্রমিকের রায় কার পক্ষে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪২টি আসনই গ্রামীণ ভারতের অন্তর্গত। এই ৩৪২টি আসনে প্রায় ৬০ কোটির কাছাকাছি ভোটারের ৭০ ভাগই কৃষিজীবী মানুষ। অন্যদিকে, দেশের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৫৭টি আসন পুরোপুরি শহরকেন্দ্রিক। বাকি ১৪৪টি আসন আধা-শহর, আধা-গ্রাম বিশিষ্ট।  
বিশদ

11th  April, 2019
রাজনীতির উল্টো ফুটে এক আশ্চর্য বালক
হারাধন চৌধুরী 

এক হাতে একটি মৃত মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে দশ টাকার একটি নোট। একজন কাঁদো কাঁদো মুখ করে ছুটে যাচ্ছে। হাত দুটি, পা দুটি খুব ছোট তার। কারণ, মানুষটিও ছোট খুব। মাত্র ছ’বছরের ছেলে।  
বিশদ

09th  April, 2019
কংগ্রেসের ইস্তাহার বিজেপিকে
লড়াইতে টেনে এনেছে
পি চিদম্বরম

চুয়ান্ন পৃষ্ঠার একটা নথি যেন পায়রাদের মধ‌্যে‌ শিকারি বেড়াল দর্শনের ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখানে বিজেপি হল একদল পায়রা—৫৬ ইঞ্চি বুকের পাটার দম্ভ এখানে ভুলে যান—কংগ্রেসের ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ হতেই বিজেপি যেভাবে ফিটের রোগীর মতো আচরণ করছে তাতেই এর প্রমাণ।
বিশদ

08th  April, 2019
বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী
মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?

শুভা দত্ত

 ভোটযুদ্ধের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। দেশের আসমুদ্রহিমাচল প্রচার-অপপ্রচারের ঢেউয়ে উত্তাল। যুযুধান পক্ষগুলির মন্ত্রী-সান্ত্রী-সেনাপতি থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতানেত্রী নাওয়া-খাওয়া ভুলে চড়া রোদের তাপ উপেক্ষা করে দেশজনতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন।
বিশদ

07th  April, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বৃহস্পতিবার নবদ্বীপের গ্রামীণ এলাকায় রোড-শো করে ভোটপ্রচার করলেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এদিন সকাল ৮টা থেকে হুডখোলা জিপে চেপে মায়াপুর থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। বাইকে চেপে প্রচুর কর্মী-সমর্থক প্রার্থীর সঙ্গে রোড-শোয়ে শামিল হন। ...

লিসবন, ১৮ এপ্রিল (পিটিআই): পর্তুগালে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ২৯ জন জার্মান পর্যটকের। এছাড়াও জখম হয়েছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যস্থল মাদিরা দ্বীপে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে।  ...

  সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: বৃহস্পতিবার নির্বিঘ্নে ই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল মেখলিগঞ্জ মহকুমায়। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার দু’টি ব্লক মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে পড়েছে। ...

বিএনএ, কাঁচরাপাড়া: বৃহস্পতিবার ভোরে কাঁচরাপাড়া স্টেশনের কাছে বিবেকানন্দ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লেগে মার্কেটের ১৬৭টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকল বাহিনীর উদাসীনতার জন্য আগুন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু,
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার,
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম,
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু,
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২ 

17th  April, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৬ টাকা ৯২.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.০৭ টাকা ৮০.০২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৩৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৩২ অপঃ ৪/৪২। চিত্রা ৩৫/৩০ রাত্রি ৭/৩০। সূ উ ৫/১৭/৩৬, অ ৫/৫৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে অস্তাবধি, বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
প্রাচীন পঞ্জিকা: ৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৪৩/৪৯ অপঃ ৪/৪৭/৪৩। চিত্রানক্ষত্র রাত্রি ৩৬/২৭/৩৮ রাত্রি ৭/৫৩/১৪, সূ উ ৫/১৮/১১, অ ৫/৫৫/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৪০ গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৭/৩১ গতে ১০/২/১১ মধ্যে, কালবেলা ১০/২/১১ গতে ১১/৩৬/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৬/১১ গতে ১০/১১/৩১ মধ্যে। 
১৩ শাবান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম। বৃষ: প্রেমে সফলতা প্রাপ্তি। মিথুন: শ্বশুরবাড়ির সূত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম ...বিশদ

07:03:20 PM

কেকেআরকে ২১৪ রানের টার্গেট দিল বেঙ্গালুরু  

09:44:38 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ১২২/২(১৫ ওভার) 

09:14:28 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ৭০/২(১০ ওভার) 

08:53:00 PM

টসে জিতে ফিল্ডিং নিল কেকেআর

07:35:32 PM