Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কিছু সহজ প্রশ্ন
শুভময় মৈত্র

সপ্তদশ লোকসভা গঠনের লক্ষ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেল ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। সাত দফায় চলবে এই ভোট, ১৯ মে পর্যন্ত। তারপর ২৩ তারিখ ভোটফল। মোদি সরকার আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে কিনা সেটাই এবারের মূল প্রশ্ন। আপাতত বিভিন্ন সমীক্ষা যা খবর দিয়েছে তাতে সেই আশা একেবারে অলীক নয়। হয়তো বিজেপির আসন কিছু কমবে, কিন্তু জোট হিসেবে এনডিএ সম্ভবত জুটিয়ে ফেলবে সরকার গড়ার মত প্রয়োজনীয় সংখ্যা। সমীক্ষাগুলোর মত অনুযায়ী গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের শুরুর দিক পর্যন্ত যে পরিমাণ বিরোধী হাওয়া ছিল তার তুলনায় নাকি অনেকটা জমি ফেরত পেয়েছে বিজেপি। সীমান্তে উত্তেজনা এবং তারপর জমজমাট জাতীয়তাবাদ তার একটা বড় কারণ হতেই পারে। তবে বিভিন্ন সমীক্ষায় আসনের হিসেবনিকেশ নিয়ে বেশ সন্দেহ আছে। বিশেষত যে সমস্ত জায়গায় বিজেপির আসন অনেকটা কমবে বলে ধরা হয়েছিল, সমীক্ষকরা সেখানেও তাদের যথেষ্ট আসন দিয়েছেন, যেমন বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ইত্যাদি হিন্দি বলয়ের বিভিন্ন রাজ্যে। কংগ্রেসের আসন সংখ্যাও কোথাও কোথাও একটু ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে, যেমন কেরলে। তবে সমীক্ষাগুলি দেখে জনগণ একটা বিষয় মোটামুটি মেনে নিচ্ছেন যে কমপক্ষে এনডিএ জোট ২০০, ইউপিএ জোট ১০০ এবং তৃতীয় পক্ষ ১০০ আসন পাবে। এরপরেও প্রায় দেড়শো আসন থাকে, সেটা যেদিকে যাবে তাদেরই পোয়াবারো। বিজেপি অথবা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটে কিংবা তৃতীয় পক্ষে কারা কারা আছেন সেটা অবশ্য অনেক ক্ষেত্রেই অস্পষ্ট। তবে রাজনীতিতে সেটুকু অস্পষ্টতা না থাকলে তাকে আর সম্ভাবনার বিজ্ঞান বলা হবে কেন? এই সমস্ত সংখ্যা থেকে দুটো বিষয় পরিষ্কার। এক, বিজেপি যদি তার সাম্প্রতিক জোটসঙ্গীদের নিয়ে ২৩০ আসন জুটিয়ে ফেলে, তাহলে বাকি পঞ্চাশটি সাংসদ তারা এদিক ওদিক থেকে ঠিক জোগাড় করে নেবে। তবে সংখ্যাটা ২৩০ এর নীচে নেমে গেলে কিন্তু অন্যরকম কিছু ঘটতেও পারে। উজ্জীবিত কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দল তখন দলমত নির্বিশেষে কাউকে একটা নেতা ঠিক করে সরকার গঠনের আপ্রাণ চেষ্টা করবে। সেক্ষেত্রে তালিকার একেবারে প্রথমদিকে থাকবেন রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নাইডু, মায়াবতী প্রমুখ। মে মাসের শেষ সপ্তাহে এই সমস্ত অনিশ্চয়তা অতিক্রম করে আমরা সংসদের স্বচ্ছ বিন্যাস দেখতে পাব।
এর আগেও বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বিশেষ কিছু রাজ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা নিয়ে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় আর হরিয়ানা মিলে মোট ২৩৫টি আসন। তার মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছিল ২০০। সঙ্গে কোথাও কোথাও সহযোগীরাও ছিল। অর্থাৎ এখানে মূল তথ্য হল বিজেপি বিপুল সংখ্যক আসন পেয়েছিল এই রাজ্যগুলো থেকে। এবারও যদি বিজেপি সেই আসনগুলো মোটামুটি ধরে রাখতে পারে তাহলে তারা অবশ্যই ক্ষমতায় থাকবে। আর যদি তা না পারে, তাহলে সুযোগ আসবে অন্যদলের সামনে। সাম্প্রতিক যে তথ্য এই মুহূর্তে হাতে আছে তা হল মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের তিন বিধানসভা ভোটের ফলাফল এবং বিহার ও উত্তরপ্রদেশে বেশ কিছু উপনির্বাচনের তথ্য। তা থেকে অবশ্যই একথা পরিষ্কার যে এই পাঁচ রাজ্যে বিজেপির গত লোকসভায় যে পরিমাণ আপেক্ষিক ভোট শতাংশ ছিল, তা অনেকটা কমেছে। এক্ষেত্রে আপেক্ষিক ভোট শতাংশ বলতে আমরা বোঝাতে চাইছি যে গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি (সপা) এবং বহুজন সমাজ পার্টির (বসপা) ভোট ভাগ হওয়ায় বিজেপির ভোট তুলনায় আসন জেতার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। কিন্তু সপা-বসপার সমর্থন পাটিগণিতের নিয়মে এক হয়ে গেলে (সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলো যে কথা বলছে) তখন কিন্তু আসন পাওয়ার নিরিখে বিজেপির আপেক্ষিক ভোট শতাংশ কম হয়ে যেতে পারে। পর্যবেক্ষণ বিহারের ক্ষেত্রে আবার অন্যরকম। সেখানে নীতীশকুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) লালুর রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সঙ্গে আড়ি করে বিজেপিতে যোগ দিলেও উপনির্বাচনগুলোতে বিজেপি-জেডিইউ জোট মোটেও ভালো ফল করে নি। সেই হিসেবে জোট করেও এনডিএ-র আপেক্ষিক ভোট শতাংশ ভালো নয়। অন্যদিকে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে ভোট শতাংশে খুব একটা খারাপ ফল করে নি বিজেপি, কিন্তু আসনের হিসেবে হেরেছে। ছত্তিশগড়ে জনমত এবং আসনের হিসেবে, দু ক্ষেত্রেই বিজেপির ফল বিপুল খারাপ। সেই প্রসঙ্গেই একটা প্রশ্ন বারবার উঠছে যে সমীক্ষকরা হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলোতে বিজেপিকে বেশ কিছু আসন দিচ্ছেন কীভাবে? এর পুরোটাই কি পুলওয়ামা হামলার পরে বিজেপির ফিরে আসা?
এখানে অন্য একটি রাজনৈতিক ব্যাখ্যাও আছে, তা হল কংগ্রেসের কর্মকাণ্ড। কয়েকটি সহজ বিষয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বারবার চোখ এড়িয়ে গিয়েছে। প্রথম প্রশ্ন হল মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে ক্ষমতা দখল করার পর এই তিন রাজ্যের আসনগুলির দিকে ঠিক কতটা নজর দিচ্ছে কংগ্রেস? এই তিন রাজ্য মিলে আসনসংখ্যা ৬৫, তার মধ্যে আগেরবার বিজেপি পেয়েছিল ৬২টি আসন। সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করলে এই তিন রাজ্যে অবশ্যই কংগ্রেসের আসন তিরিশের আশেপাশে পৌঁছয়। আর সেক্ষেত্রে পাটিগণিতের নিয়মে বিজেপির আসন ততগুলিই কমতে হয়। এবার এ যুক্তি আসতেই পারে যে বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটের প্রেক্ষিত আলাদা, এবং তার ওপর আছে জাতীয়তাবাদের ঢেউ। কিন্তু এসব ধরেও যদি বিজেপি আবার এই ৬৫-র মধ্যে ৪৫ বা তার বেশি আসন পেয়ে যায়, তাহলে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে কিছু প্রশ্ন কি উঠবে না? সদ্যগঠিত বিধানসভায় এত উৎসাহ নিয়ে জিতে আসার পর তা যদি লোকসভা আসনে কিছুমাত্র প্রতিফলন না ঘটাতে পারে, তাহলে কংগ্রেসের সংগঠন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বইকি। নির্বাচনের ঠিক মুখে আয়কর দপ্তরের হানার মুখে পড়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের পরিজনেরা। সে নিয়েও জাতীয় সংবাদমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে প্রচুর। কিন্তু কংগ্রেসের প্রতিবাদ সেরকম তীক্ষ্ণ নয়। রাহুল গান্ধী শুধু আমেথিতে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন না, যেতে হল সুদূর কেরলের আসন ওয়ানাদে। হিন্দি বলয়ের বিধানসভায় জেতা তিন রাজ্যে কোথাও তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হলে তো অবশ্যই তাঁর দলের কর্মীদের উৎসাহ অনেকটা বাড়ত। তা না করে তিনি গেলেন কেরলে, যেখানে বামেদের আসন কমিয়ে আর কংগ্রেসের আসন বাড়িয়ে তাঁর আখেরে কোনও লাভ নেই। কারণ কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করলে অবশ্যই তারা বামেদের সমর্থন পেত। তুলনায় সেই পরিশ্রমটা হিন্দি বলয়ে করলে কংগ্রেসের সুবিধা আর বিজেপির অসুবিধা হতো তুলনায় বেশি।
আরও গোলমেলে বিষয় হল হিন্দি বলয়ে গান্ধী পরিবার সবথেকে বেশি পরিশ্রম করছেন উত্তরপ্রদেশে। তাঁদের পরিবারের জন্যে আসন দুটি সপা-বসপা শুরুতেই ছেড়ে রেখেছিল। পরিবারের তিনজনই, এমনকী জামাইকে যোগ করে চার জনও ভোটে দাঁড়ালে চারটে আসনও হয়তো ছেড়ে দিত বুয়া-ভাতিজা। কিন্তু তা না করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দায়িত্ব দেওয়া হল পূর্ব উত্তরপ্রদেশের। অবশ্যই কংগ্রেসের পালে হাওয়া লাগল, গঙ্গায় বজরা ভাসালেন নেত্রী। কিন্তু সেই হাওয়ায় ভোট বাড়লেও আসন বাড়ার সম্ভাবনা খুব কম। উচ্চবর্ণের হিন্দুদের ভোটে যদি কংগ্রেস ভাগ বসাতে না পারে, তাহলে তারা যা ভোট পাবে সেটাই কমবে সপা-বসপার। পাটিগণিতে আবার সুবিধে পাবে বিজেপি। তাই শুধু পড়শি দেশের সঙ্গে যুদ্ধের হুঙ্কার নয়। সম্ভবত কংগ্রেসের কিছু আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে সমীক্ষাগুলিতে। সেই কারণেই সমীক্ষাগুলো হিন্দি বলয়ে তুলনায় ভালো ফল দেখাচ্ছে বিজেপির। যেখানে নিজেদের ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি সেখানে কংগ্রেসের সর্বময় নেতৃত্বের দেখা নেই, যেখানে বিজেপির সঙ্গে তাদের সরাসরি লড়াই সেখানে কংগ্রেসের প্রচার স্তিমিত আর যেখানে ভোট ভাঙাভাঙিতে বিজেপির সুবিধে সেখানে বিপুল হইচই করছেন তারা। মোদি যে পশ্চিমবঙ্গে বারবার কেন আসছেন তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার, কিন্তু রাহুল গান্ধী এই রাজ্যে দু-চারটি আসনের জন্যে খুব বেশি সময় দিলে তখন সন্দেহ হবেই যে তিনি কি তাহলে হিন্দি বলয়ে উত্তরপ্রদেশ ছাড়া অন্য রাজ্যগুলোতে বিজেপির বিরুদ্ধে খুব প্রচার করতে চাইছেন না?
জনসাধারণ কিন্তু নজর রাখছেন রাহুল গান্ধীর প্রচারের পরিসংখ্যানে। রাজ্য হিসেবে কোথায় তিনি কতটা সময় দিচ্ছেন সে হিসেবটা কংগ্রেসের আকাশপাতায় দেখতে পাওয়া গেলে ভালো হতো। জ্ঞানেই হোক বা অজ্ঞানে, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুকৌশলী বিজেপি বিরোধিতা কিন্তু প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে না। তুলনায় আগ্রাসী বিজেপি নিজের দলকে জেতাতে চেষ্টা করছে মারাত্মক। সমীক্ষার ফল আপাতত জনমতের প্রতিফলনের থেকে বেশি সেই ইঙ্গিতটাই দিচ্ছে।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
18th  April, 2019
মধ্যবিত্তের ভোটচর্চা 

সমৃদ্ধ দত্ত: ভোট নিয়ে সবথেকে বেশি গল্প কারা করে? মধ্যবিত্ত। ভোট নিয়ে সারাদিন বন্ধুবান্ধব আর পরিচিতদের সঙ্গে ঝগড়া কারা করে? মধ্যবিত্ত। যে নেতানেত্রীরা তাঁদের চেনেনই না, তাঁদের হয়ে জানপ্রাণ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছোটবেলার বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজন অথবা পরিচিত ফ্যামিলি ফ্রেণ্ডকে আক্রমণ করে কারা? মধ্যবিত্ত।  বিশদ

সেই প্রশ্নগুলির জবাব মিলছে না কেন?
মোশারফ হোসেন 

দেশজুড়ে রাজনীতির ময়দানে এই মুহূর্তে গনগনে আঁচ। রাজনীতির মাটি গরম। রাজনীতির বাতাস গরম। কারণ দেশে ভোট যে শুরু হয়ে গিয়েছে! ভোটগ্রহণ সব মিলিয়ে সম্পন্ন হবে সাত দফায়।  
বিশদ

16th  April, 2019
দুটি ইস্তাহারের গল্প
পি চিদম্বরম

গত ৮ এপ্রিল বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হল কোনও প্রকার তূর্যনিনাদ ছাড়াই। বিজেপির পক্ষে এই যে নম্রতা একেবারে অস্বাভাবিক! বিজেপির নরম হওয়ার অনেক কারণ ছিল। 
বিশদ

15th  April, 2019
লোকসভা ২০১৯: বাংলার ভোটে
মমতাভক্তি ঠেকানো যাবে?
শুভা দত্ত

যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। ভোটযুদ্ধ ২০১৯। আগামী লোকসভার দখল কে নেবেন, আগামী পাঁচ বছর কার হাতে থাকবে দেশ-শাসনের ভার তার ফয়সালা হবে এই যুদ্ধের ময়দানে। গত বৃহস্পতিবার এ রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশে শুরু হয়ে গেল সেই যুদ্ধ।
বিশদ

14th  April, 2019
দলগুলির ইস্তাহারে রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা
ভবিষ্যতে সংকট ডেকে আনবে না তো?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। আমাদের রাজ্যে তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপি এবং কংগ্রেস চতুর্মুখী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে চার শিবিরের প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারগুলির তূলনামূলক পর্যালোচনা থেকে বেরিয়ে আসছে যে, প্রতিটি শিবিরই নাগরিকদের আরও বেশি করে রাষ্ট্রমুখী করতে চাইছে।
বিশদ

14th  April, 2019
জাতীয়তাবাদ আজ যে কানাগলিতে
নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী

 জ্যাক বারজুঁ (Jacque Barzun) ১৯৭২ সালে একুশ শতকে সন্ধান করার সময় যে, কথাটা বলেছিলেন, সেটা আজ এই সাতচল্লিশ বছর পর এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রযত্নে যে এমন সত্য হয়ে উঠবে, এটা কে জানত? জ্যাক বারজুঁ এক অ্যামেরিকান ঐতিহাসিক, যিনি বাহাত্তর সালে বলেছিলেন যে, অতীতের রাজনৈতিক ‘বাদ’ (ism) যা যা বোঝাত, সেইরকম কোনও ‘বাদ’ টিকে না থাকলেও একমাত্র জাতীয়তাবাদ অতি অদ্ভুতভাবে টিকে আছে।
বিশদ

13th  April, 2019
ছুটির ফাঁদে
অতনু বিশ্বাস

 ছুটির ফাঁদে পড়েছে সূর্যোদয়ের দেশটা। জাপান। হঠাৎ করে পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মত দশদিনের অতিরিক্ত ছুটি জুটেছে জাপানিদের। আর সেই ছুটি নিয়ে করবেটা কী, তা বুঝতেই পারছে না হোক্কাইডো থেকে হাটেরুমা পর্যন্ত সকল জাপানবাসী।
বিশদ

13th  April, 2019
ভোটে জিততে হাতিয়ার যখন বিজ্ঞাপন
মৃণালকান্তি দাস

‘পেটিএম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর এবার পরশ বিন্দিতেও।’ ট্যুইটারে এমনই কটাক্ষ করেছিলেন রায়গঞ্জের বামপ্রার্থী মহম্মদ সেলিম। গাঁয়ে-গঞ্জে মহিলাদের টিপের পাতাতেও মোদির ছবি ছাপিয়ে বিজেপির এমন অভিনব নির্বাচনী প্রচার এর আগে কোনওদিন দেখেনি এই বাংলার মানুষ। শুধু কী তাই! নমো ব্র্যান্ডের টিশার্ট, কাপ, নোটবুক সবেতেই মোদি।
বিশদ

12th  April, 2019
নির্বাচনে কৃষক-শ্রমিকের রায় কার পক্ষে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪২টি আসনই গ্রামীণ ভারতের অন্তর্গত। এই ৩৪২টি আসনে প্রায় ৬০ কোটির কাছাকাছি ভোটারের ৭০ ভাগই কৃষিজীবী মানুষ। অন্যদিকে, দেশের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৫৭টি আসন পুরোপুরি শহরকেন্দ্রিক। বাকি ১৪৪টি আসন আধা-শহর, আধা-গ্রাম বিশিষ্ট।  
বিশদ

11th  April, 2019
রাজনীতির উল্টো ফুটে এক আশ্চর্য বালক
হারাধন চৌধুরী 

এক হাতে একটি মৃত মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে দশ টাকার একটি নোট। একজন কাঁদো কাঁদো মুখ করে ছুটে যাচ্ছে। হাত দুটি, পা দুটি খুব ছোট তার। কারণ, মানুষটিও ছোট খুব। মাত্র ছ’বছরের ছেলে।  
বিশদ

09th  April, 2019
কংগ্রেসের ইস্তাহার বিজেপিকে
লড়াইতে টেনে এনেছে
পি চিদম্বরম

চুয়ান্ন পৃষ্ঠার একটা নথি যেন পায়রাদের মধ‌্যে‌ শিকারি বেড়াল দর্শনের ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখানে বিজেপি হল একদল পায়রা—৫৬ ইঞ্চি বুকের পাটার দম্ভ এখানে ভুলে যান—কংগ্রেসের ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ হতেই বিজেপি যেভাবে ফিটের রোগীর মতো আচরণ করছে তাতেই এর প্রমাণ।
বিশদ

08th  April, 2019
বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী
মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?

শুভা দত্ত

 ভোটযুদ্ধের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। দেশের আসমুদ্রহিমাচল প্রচার-অপপ্রচারের ঢেউয়ে উত্তাল। যুযুধান পক্ষগুলির মন্ত্রী-সান্ত্রী-সেনাপতি থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতানেত্রী নাওয়া-খাওয়া ভুলে চড়া রোদের তাপ উপেক্ষা করে দেশজনতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন।
বিশদ

07th  April, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বৃহস্পতিবার নবদ্বীপের গ্রামীণ এলাকায় রোড-শো করে ভোটপ্রচার করলেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এদিন সকাল ৮টা থেকে হুডখোলা জিপে চেপে মায়াপুর থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। বাইকে চেপে প্রচুর কর্মী-সমর্থক প্রার্থীর সঙ্গে রোড-শোয়ে শামিল হন। ...

বিএনএ, কাঁচরাপাড়া: বৃহস্পতিবার ভোরে কাঁচরাপাড়া স্টেশনের কাছে বিবেকানন্দ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লেগে মার্কেটের ১৬৭টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকল বাহিনীর উদাসীনতার জন্য আগুন ...

  সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: বৃহস্পতিবার নির্বিঘ্নে ই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল মেখলিগঞ্জ মহকুমায়। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার দু’টি ব্লক মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে পড়েছে। ...

নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল (পিটিআই): অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী ক্রিশ্চিয়ান মিচেলের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। পরিবারের সঙ্গে ইস্টার উৎসব উদযাপন করতে সাতদিনের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছিলেন মিচেল।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু,
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার,
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম,
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু,
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২ 

17th  April, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৬ টাকা ৯২.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.০৭ টাকা ৮০.০২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৩৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৩২ অপঃ ৪/৪২। চিত্রা ৩৫/৩০ রাত্রি ৭/৩০। সূ উ ৫/১৭/৩৬, অ ৫/৫৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে অস্তাবধি, বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
প্রাচীন পঞ্জিকা: ৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৪৩/৪৯ অপঃ ৪/৪৭/৪৩। চিত্রানক্ষত্র রাত্রি ৩৬/২৭/৩৮ রাত্রি ৭/৫৩/১৪, সূ উ ৫/১৮/১১, অ ৫/৫৫/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৪০ গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৭/৩১ গতে ১০/২/১১ মধ্যে, কালবেলা ১০/২/১১ গতে ১১/৩৬/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৬/১১ গতে ১০/১১/৩১ মধ্যে। 
১৩ শাবান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম। বৃষ: প্রেমে সফলতা প্রাপ্তি। মিথুন: শ্বশুরবাড়ির সূত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম ...বিশদ

07:03:20 PM

কেকেআরকে ২১৪ রানের টার্গেট দিল বেঙ্গালুরু  

09:44:38 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ১২২/২(১৫ ওভার) 

09:14:28 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ৭০/২(১০ ওভার) 

08:53:00 PM

টসে জিতে ফিল্ডিং নিল কেকেআর

07:35:32 PM