সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার এক-দু’দিন পর থেকেই প্রত্যেকদিন প্রচারে শামিল হচ্ছেন উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী কনীনিকা বোস (ঘোষ)। তিনি বলেন, আমি তো বেশিরভাগটা পায়ে হেঁটেই প্রচার করছি। মানুষের সঙ্গে সময় নিয়ে, দু’দণ্ড দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি। সময় বেশি পেয়েছি বলেই এরকম করা সম্ভব হচ্ছে। তাঁর দাবি, বামপন্থীদের প্রচারমাধ্যমও সেভাবে তুলে ধরে না। তাই আমাদের প্রচারের কাজটা অন্যদের তুলনায় কিছুটা কঠিন। সময় পাওয়ায় সেই কাজ করতে পারছি। তাই ক্লান্তি সেভাবে আসছে না। উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ১৫ লক্ষেরও বেশি। এই এলাকার মধ্যে রয়েছেন নানা ভাষা, নানা জাতি, বর্ণ ও ধর্মের মানুষ। যা কার্যত মিনি ভারতবর্ষ বললে অত্যুক্তি হয় না। এমন এলাকায় যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যায়, ততই ভোটের সুবিধা বলে সাফ জানালেন লোকসভা ভোটের প্রার্থী হিসেবে নবাগতা কনীনিকা। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পোড় খাওয়া রাজনীতিক রাহুল সিনহা। বহুবার তিনি নির্বাচন লড়েছেন। তিনি বলেন, এই গরমে দু’মাস ছোটাছুটি করা সত্যিই একটু কষ্টকর। কিন্তু মানুষ যেভাবে সাড়া দিচ্ছেন, যেভাবে আশ্বস্ত করছেন, তাতে গরমের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হচ্ছে। মানুষের অনুপ্রেরণায় ক্লান্তি দূরে চলে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মানুষ যদি সাড়া না দিতেন, তাহলে এই দু’মাসকেই দু’বছর মনে হতো। কিন্তু আমার এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে তাই কোনও পরিশ্রম টের পাচ্ছি না।
দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মালা রায় অবশ্য একটু অন্যরকম মতামত রেখেছেন। তিনি বলেন, বেশিদিন আগে প্রচার করে এলে মানুষের ভুলে যাওয়ার একটা সম্ভাবনাও থাকে। ফলে একদম শুরুর দিকে যেখানে গিয়েছিলাম, সেখানে ভোটের আগে আরেকবার যেতে চেষ্টা করব। প্রায় দু’মাস এভাবে রোদে পুড়ে প্রচারকাজ চালানো যে বেশ ঝক্কির ব্যাপার, তা তিনি মেনে নিচ্ছেন। পাশাপাশি এ কথাও বলছেন যে এতটা সময় পাওয়ায় তড়িঘড়ি না করে অনেকটা সময় নিয়ে, সংগঠিতভাবে প্রচার করা যাচ্ছে। এটি যে একটি বড় সুবিধা, তা অস্বীকার করেননি তিনি। তবে বাম-ডান সব প্রার্থীই একমত, একেবারে শেষে ভোটগ্রহণ হওয়ায় বিভিন্ন দলের তারকা প্রচারকরা পুরো সময় দিয়ে শেষ মুহূর্তে প্রচারকে তুঙ্গে তুলে নিয়ে যেতে পারবেন।