সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
গত বছর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘হিউম্যান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অ্যালায়েন্স লিগ’ আদালতকে জানিয়েছিল, ‘ফলহারিনী কালীপুজো’ উপলক্ষে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ইত্যাদি জেলার আদিবাসীরা শিকার উৎসবে নামতে চলেছে। আদিবাসীদের সঙ্গে গ্রামের বহু সাধারণ মানুষও এই সুযোগে বিভিন্ন সংরক্ষিত প্রাণীকে হত্যা করে থাকে। যা পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। তাছাড়া আদিবাসীরাও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করতে পারেন না। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে ইচিবাচক ভূমিকা না নেওয়ায় শিকার উৎসবের নামে অবাধে বন্যপ্রাণ হত্যালীলা চলছে। সংস্থাটি চেয়েছিল, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের বলা হোক, তাঁরা যেন আইন রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেন।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১১ মে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনকে বলেছিল, ‘ফলহারিনী কালীপুজো’ উপলক্ষে ১২ থেকে ১৬ মে যেন শিকার উৎসব না হয়। কিন্তু, সেই নির্দেশ সূত্রে কতটা কাজ হয়েছিল, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে সংশয় থাকলেও ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি এবারও একই আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। যাতে ওই জেলাগুলিতে এমন হত্যালীলা না হয়। তাদের বক্তব্য, উৎসবকে সামনে রেখে যে হাজার-হাজার প্রাণীকে মারা হয়, তা নিয়ে বেআইনি ব্যবসাও চলে। এমনকী ওই জেলাগুলির বিভিন্ন রেলস্টেশন লাগোয়া জায়গায় এই উৎসবের আড়ালে প্রাণীর দেহাংশের অবাধ কেনাবেচা হয়। আগের শুনানিতে আদালত ওই ওয়ার্ডেনের রিপোর্ট তলব করেছিল। এদিন তা পেশ হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি টি বি নায়ার রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে রেল কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।