Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মধ্যবিত্তের ভোটচর্চা 

সমৃদ্ধ দত্ত: ভোট নিয়ে সবথেকে বেশি গল্প কারা করে? মধ্যবিত্ত। ভোট নিয়ে সারাদিন বন্ধুবান্ধব আর পরিচিতদের সঙ্গে ঝগড়া কারা করে? মধ্যবিত্ত। যে নেতানেত্রীরা তাঁদের চেনেনই না, তাঁদের হয়ে জানপ্রাণ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছোটবেলার বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজন অথবা পরিচিত ফ্যামিলি ফ্রেণ্ডকে আক্রমণ করে কারা? মধ্যবিত্ত। রাজনীতির আলোচনায় প্রিয়জনের সঙ্গেও মনোমালিন্য করতে দ্বিধা করে না কারা? মধ্যবিত্ত। সাহিত্য নয়, সিনেমা নয়, সঙ্গীত নয়, বিজ্ঞান নয়, যে কোনও আড্ডা, আলোচনার ভরকেন্দ্রে সবথেকে বেশি করে চলে আসে রাজনীতি কোন শ্রেণীর কাছে? মধ্যবিত্ত। অথচ লক্ষ করে দেখলে দেখা যাবে কৃষকের জন্য স্পষ্ট করে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস বলেছে ক্ষমতায় এলে বছরে ৭২ হাজার টাকা নিশ্চিত আয়ের ব্যবস্থা করা হবে। নরেন্দ্র মোদির বিজেপি বলেছে ৬ হাজার টাকা বছরে ব্যাঙ্ক ট্র্যান্সফার করা হবে দেশের সমস্ত কৃষককে। ক্ষুদ্র দোকানিদের জন্য বলা হয়েছে ৬০ বছরের পর পেনশনের ব্যবস্থা হবে। শ্রমিকদের পেনশন ছাড়াও বিমা এবং বিশেষ সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা হবে। আয়ুষ্মান ভারত নামক স্বাস্থ্যপ্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা করে মেডিক্লেম পাবেন বিপিএল মানুষেরা। কংগ্রেস ঘোষণা করেছে ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টিকে এবার ১৫০ দিনে পরিণত করা হবে। বামপন্থীদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বলা হয়েছে যে কোনও শ্রমের ন্যূনতম মজুরি এমন করা হবে যাতে মাসিক রোজগার অন্ততপক্ষে ১৮ হাজার টাকা হয়। শিল্পপতিদের জন্য লগ্নির সুবিধা ও কর্পোরেট ট্যাক্স ছাড়ের অবাধ সুবিধা দেওয়া হবে।
এই যে এত প্রতিশ্রুতি তার প্রত্যেকটি কিন্তু খুব ফোকাসড। অর্থাৎ কোনও ধোঁয়াশা নেই। স্পষ্ট। কৃষকরা কত টাকা ব্যাঙ্ক ট্র্যান্সফার পাবেন সেই টাকার অঙ্ক স্পষ্ট। কত টাকা প্রিমিয়াম দিলে দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষের মেডিক্লেম পাওয়া যাবে সেটা স্পষ্ট। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য ১০০ দিনের কাজ বেড়ে ১৫০ দিন হবে এই আশ্বাসটি স্পষ্ট যে ৫০ দিন আরও বেড়ে যাবে জব কার্ড পাওয়ার সুযোগ। কৃষক, ক্ষুদ্র দোকানি ও শ্রমিকদের বয়স ৬০ হলে পেনশন পাওয়া যাবে এটাও স্পষ্ট। কিন্তু মধ্যবিত্তদের জন্য অত্যন্ত স্পষ্ট করে কোনও দলের প্রতিশ্রুতি থাকে না। কিংবা কোনও সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীনও মধ্যবিত্তের জন্য বিপুল উন্নয়ন প্যাকেজ কখনও করেছে বলে শোনা যায় না। গোটা দেশে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য তা সে কৃষক হোক, শ্রমিক হোক, বিপিএল হোক হাজারো প্রকল্প আছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের। কিন্তু নিছক মধ্যবিত্তের জীবনযাপনের উন্নতি হবে এরকম প্রকল্প কি প্রত্যক্ষভাবে আছে? নেই। মধ্যবিত্তদের জন্য কী আছে? দেখা যায় এই শ্রেণীর জন্য শুধু ফিল গুড, শুনতে ভালো, বেশ আধুনিক চালাক চালাক শব্দ দিয়ে ঘেরা কথামালা থাকে। স্মার্ট সিটি, ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া। ‌ইউপিএ আমলে ছিল ভারতনির্মাণ। বাজেটে যখনই আয়কর নিয়ে ঘোষণা করা হয় দেখা যায় সেটি নানাবিধ শর্তের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ সরাসরি স্ল্যাব কমানো হয়। সরাসরি আয়করের শতাংশ কমানো হয় না। যা হয় সব ঘুরিয়ে। এবং প্রচুর হিসেব নিকেশ করে দেখা যায় বিশেষ কোনও লাভই হয়নি।
আজ যুবসমাজের কর্মসংস্থান একটি জ্বলন্ত ইস্যু। চাকরি চাই। কাজ চাই। কিন্তু কোনও দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে সরাসরি স্পষ্ট সোজা ঘোষণা নেই যে সরকারে এলে এই কাজ দেওয়ার জন্য কী করা হবে। যা বলা হয়েছে সেটাও স্রেফ ধোঁয়াশা আর গোল গোল কথা। এই সেক্টরে এত চাকরি হবে, এই দপ্তরে এতগুলি নিয়োগ হবে। নতুন কোনও এক ব্যবস্থায় প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। এরকম কোনও নির্দিষ্ট ঘোষণা কিন্তু নেই। সোজা কথায় মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাসকে স্রেফ হাওয়া খাইয়ে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর। আর এই শ্রেণী সেটা বুঝুক না বুঝুক রাতদিন রাজনীতি, ভোট, দল নিয়েই মেতে আছে।
আজকের ভারতের শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত সাধারণত বেসরকারি পরিষেবার উপর নির্ভরশীল জীবনযাপনের ক্ষেত্রে। জ্বর হলে পাড়ার ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়। গলব্লাডারে স্টোন হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নার্সিংহোমে যেতে হয়। সরকারি হাসপাতালে যাওয়া হয় না তা নয়। তবে ডেট পাওয়া সমস্যা, বেড পাওয়া অনিশ্চিত, এসব থাকে বলে ওটা অ্যাভয়েড করে মধ্যবিত্ত আর উচ্চ মধ্যবিত্ত। একটু বড় অংশই ছেলেময়েদের পাঠায় বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়ামে। আর একটু বড় ক্লাস হলে আকাশ বা ফিটজির মতো টিউটোরিয়াল ইনস্টিটিটিউটে। প্রায় কোনও সরকারি প্রকল্পের আওতায় এই শ্রেণী আসে না। সরকারি বা স্পনসর্ড স্কুলে মিড ডে মিল ছাড়া। ফলে মোটের উপর দেখা যায় মিডল ও আপার মিডল ক্লাস সরকারের উপর তেমন একটা নির্ভরশীল নয়। নিজেদের প্রয়াসে চাকরি পেতে হয়। কাজ খুঁজতে হয়। সেটা সরকারি বা বেসরকারি যাই হোক। যদি আমাদের প্রতিদিনের জীবনে পুরসভা, কাউন্সিলারকে লাগতে পারে। চেনাশোনা থাকলে ভালো। সামাজিকভাবে একটা আত্মগরিমার প্রকাশ দেখা যায় কাউন্সিলার বা বিধায়ক যদি আমাকে চেনে তাহলে। কিন্তু সিংহভাগ মানুষের তাও চেনাজানা থাকে না। অর্থাৎ মিডল ক্লাস ও আপার মিডল ক্লাস সরকারের থেকে বিশেষ যে কিছু পায় এমন নয় (এখানে ডি এ কিংবা অবসরের বয়স ৬২ এসব ধরা হচ্ছে না)। অথচ লক্ষ করা যায় এই শ্রেণীটিই সবথেকে বেশি পলিটিক্স নিয়ে কথা বলে। সবথেকে বেশি রাজনীতির ঝগড়া করে, তুলকালাম আক্রমণ করে একে অন্যকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপে গ্রুপে ঘুরে বেড়ায় পলিটিক্যাল বিষয়ে কমেন্ট করার জন্য। যে দলের হয়ে এঁরা চেনা আপনজনদের আক্রমণ কিংবা অপমান করতে এইসব ঝগড়ার সময় দ্বিধা করে না, সেইসব দলের কোনও নেতাই কিন্তু এঁদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। এমনকী দেখা করতে গেলেও যে দেখা করবেন এমনও নয়। অথচ মিডল ক্লাস ও আপার মিডল ক্লাস সবথেকে বেশি ভোকাল রাজনীতি নিয়ে। আমাদের চারপাশের সমাজে এই ক্লাসের মধ্যে দেখা যায় সবথেকে বেশি যে দুটি জিনিস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান আছে সে-দুটি হল পলিটিক্স আর মিডিয়া। মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাস এই দুটি বিষয়েই সবথেকে বেশি চর্চা করে। কারণ এই দুটি বিষয়ের জন্য কোনও অনুশীলনের দরকার হয় না। প্রতিদিনের জীবনে চোখের সামনেই ঘটছে। বই নিয়ে, সঙ্গীত নিয়ে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে, প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে হলে অনুশীলন করতে হবে। জানতে হবে। সেই প্রয়াস করার থেকে যে দুটি বিষয়ে যে কোনও সময় যে কোনও অভিমত দেওয়া সহজ, সেটার চর্চা অনেক কমফর্টেবল। তাই পলিটিক্স আর মিডিয়া প্রিয় বিষয় আলোচনার।
রাজনৈতিক দলগুলি মধ্যবিত্তদের মধ্যে সবথেকে বেশি আলোচিত। অথচ মধ্যবিত্তদের জন্য তাঁরা কিছু করে না কখনও। আমাদের জীবনযাপন ১০ বছর আগের তুলনায় যদি বদলে যায় তাহলে সেটা আমাদের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব কিংবা ব্যক্তিগত অসাফল্য অথবা দুর্ভাগ্য। সরকারের কোনও প্রকল্পের কারণে আমার জীবনযাত্রার মানই বদলে গিয়েছে এটা কিন্তু মিডল ও আপার মিডল ক্লাসের ক্ষেত্রে তেমনভাবে দেখা যাবে না। মিডল ক্লাসের সমস্যা হল তারা আর্থিক, শিক্ষা ও সামাজিকভাবে সবথেকে শক্তিশালী জাতি। কিন্তু অর্গানাইজড নয়। ধরুন নাসিক থেকে কৃষক পদযাত্রা হবে। সেখানে আমি যদি কৃষক হই পশ্চিমবঙ্গ থেকে যোগ দিতে পারি জীবিকার তাগিদে। হয়ও সেরকম। দিল্লির রামলীলা ময়দানে শ্রমিকদের সমাবেশ হবে। সেখানে দেখা যায় প্রায় সব রাজনৈতিক দলের শ্রমিক ইউনিয়ন একজোট। আমি ইউনিয়নের কেউ না হলেও নিছক একজন শ্রমিক হিসেবে নিজের স্বার্থেও সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাই। কিন্তু মিডল আর আপার মিডল ক্লাসের কোনও সম্মিলিত দাবিই নেই। তাদের কোনও সমন্বয়ও নেই। তারা শুধু নিজেদের মধ্যেই লড়াই করে নীতি,আদর্শ, রাজনৈতিক অবস্থান, নেতানেত্রীর প্রতি ভক্তি নিয়ে। কিন্তু স্রেফ মধ্যবিত্ত আর উচ্চ মধ্যবিত্তের স্বার্থ রক্ষা করতে কখনও এই ক্লাসকে একজোট হতে দেখা যায় না। এটা মিডল ক্লাসের দুর্বলতা। আর রাজনৈতিক দলগুলির শক্তি। রাজনৈতিক দলগুলি মিডল আর আপার মিডল ক্লাসকে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী ইউজ করে। কিন্তু তাদের জন্য কোনও প্রকল্প ঘোষণা করে না, প্ল্যান নেই, নির্দিষ্ট ঘোষণাও নেই। অথচ এরাই রাজনীতির ডিসকার্সে সবথেকে সরব।
২০১৯ সালে শহুরে মধ্যবিত্ত অর্থাৎ আরবান মিডল ক্লাস কীভাবে ভোট দেবে সেটা অনেকটাই কিন্তু স্থির করে দেবে নরেন্দ্র মেদি ও রাহুল গান্ধীর ভবিষ্যৎ। ২০১৪ সালে আরবান মিডল ক্লাসের ভোটের বিপুল অংশ নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে গুজরাত বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই দেখা গিয়েছে আরবান মিডল ক্লাসের সামান্য মোহভঙ্গ হয়েছে নরেন্দ্র মোদির প্রতি। গুজরাতের ৪২টি শহুরে বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৩৬টি। যেটা আগে ছিল ৩৮। আবার তার থেকেও উদ্বেগ হল গ্রামীণ আসনগুলির মধ্যে বিজেপির দখলে থাকা ১৪টি আসন কংগ্রেস দখল করে নিয়েছিল। গ্রামের ক্ষোভের পাশাপাশি যদি শহুরে মধ্যবিত্তও ক্রুদ্ধ হয় তাহলে বিজেপির আসন অনেকটা ধাক্কা খাবে। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া তিনটি রাজ্যের ভোটে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়েও দেখা যাচ্ছে ৮০টি শহুরে আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র ৪৬ শতাংশ দখল করতে পেরেছে। যেটা ২০১৩ সালে ছিল ৮০ শতাংশ। তাহলে কি মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত ভোটে সামান্য সুইং আসতে চলেছে ২০১৯ সালে?
পশ্চিমবঙ্গে এই প্রবণতা আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে চলেছে। কারণ সিপিএমের আরবান মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাস ভোটের সিংহভাগ বিজেপি দখল করে নিচ্ছে। কারণ একদা সিপিএম সমর্থকদের কাছে ধীরে ধীরে রাজনীতিটা হয়ে গিয়েছে অ্যান্টি মমতা বনাম প্রো মমতা। তারা মমতার উপর এতটাই ক্ষিপ্ত যে মমতাকে হারতে দেখাই একটি আত্মতৃপ্তি। সেটা চাক্ষুষ করার জন্য এই ‘মনে সিপিএম ভোটে বিজেপি’ শ্রেণীটি মমতা বিরোধী ভোট দিচ্ছে। আরবান মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাসের একটি সমস্যা আছে। সেটি হল তাঁরা সাধারণত প্রতিদিন সেইসব মানুষের সঙ্গেই আলোচনা করেন, বা রাজনীতির ইনফরমেশনের আদানপ্রদান করেন যাঁরা সিংহভাগই তাঁদেরই সমাজ ও শ্রেণীভুক্ত। কালেভদ্রে হয়তো সাব অলটার্ন কিংবা কৃষক অথবা গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে দেখা হলে মিডল ও আপার মিডল ক্লাসের আমরা প্রশ্ন করি, কী বুঝছেন? কী হবে এবার? কারা জিতবে? কিন্তু মোটের উপর সারাদিন, সারা মাস, সারা সপ্তাহ আমরা সচরাচর নিজেদের সমাজের সঙ্গেই বেশি কথা বলি। তাই ক্রমেই ওই চেনা সমাজের কথাগুলিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তাদের সঙ্গেই তর্ক করি। তাদের কথার বিরোধিতা করি। তাদের কথায় সমর্থন করি। কিন্তু এই যে নিরন্তর সরব আলোচনা, এসবের আড়ালে একটা নীরবতার জগৎ থাকে। যাঁরা কিছু‌ই বলেন না। শোনেন। পাড়ার আড্ডাস্থল, ক্লাব, অফিসের টিফিন টাইম, স্কুলের স্টাফরুম, চায়ের দোকানের চিৎকৃত এইসব আলোচনার পাশ থেকে এই নীরব লোকেরা মাথা নিচু করে নির্লিপ্তভাবে চলে যান কলেজে, অফিসে বা বাড়িতে। অথবা গ্রামে ১০০ দিনের কাজ করেন, ভেঙে যাওয়া টালি সারাচ্ছেন, বিডিও অফিসে লাইন দিয়েছেন, স্বনিযুক্তির সামগ্রী নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন। এঁরা কী ভাবছেন? এঁরা কোথায় ভোট দেবেন? সরব অংশ প্রেডিকটেবল। তাঁদের মধ্যে রহস্য নেই। ভোটের সবথেকে ইন্টারেস্টিং চরিত্র আসলে এইসব শহর আর গ্রামের নীরব অংশ! যাঁরা এখনও কম কথা বলেন! তাঁদের ভোট কে পাবেন? হয়তো সেটাই স্থির করে দেবে কারা জিতবে!  
কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কিছু সহজ প্রশ্ন
শুভময় মৈত্র

সপ্তদশ লোকসভা গঠনের লক্ষ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেল ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। সাত দফায় চলবে এই ভোট, ১৯ মে পর্যন্ত। তারপর ২৩ তারিখ ভোটফল। মোদি সরকার আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে কিনা সেটাই এবারের মূল প্রশ্ন। আপাতত বিভিন্ন সমীক্ষা যা খবর দিয়েছে তাতে সেই আশা একেবারে অলীক নয়।
বিশদ

18th  April, 2019
সেই প্রশ্নগুলির জবাব মিলছে না কেন?
মোশারফ হোসেন 

দেশজুড়ে রাজনীতির ময়দানে এই মুহূর্তে গনগনে আঁচ। রাজনীতির মাটি গরম। রাজনীতির বাতাস গরম। কারণ দেশে ভোট যে শুরু হয়ে গিয়েছে! ভোটগ্রহণ সব মিলিয়ে সম্পন্ন হবে সাত দফায়।  
বিশদ

16th  April, 2019
দুটি ইস্তাহারের গল্প
পি চিদম্বরম

গত ৮ এপ্রিল বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হল কোনও প্রকার তূর্যনিনাদ ছাড়াই। বিজেপির পক্ষে এই যে নম্রতা একেবারে অস্বাভাবিক! বিজেপির নরম হওয়ার অনেক কারণ ছিল। 
বিশদ

15th  April, 2019
লোকসভা ২০১৯: বাংলার ভোটে
মমতাভক্তি ঠেকানো যাবে?
শুভা দত্ত

যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। ভোটযুদ্ধ ২০১৯। আগামী লোকসভার দখল কে নেবেন, আগামী পাঁচ বছর কার হাতে থাকবে দেশ-শাসনের ভার তার ফয়সালা হবে এই যুদ্ধের ময়দানে। গত বৃহস্পতিবার এ রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশে শুরু হয়ে গেল সেই যুদ্ধ।
বিশদ

14th  April, 2019
দলগুলির ইস্তাহারে রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা
ভবিষ্যতে সংকট ডেকে আনবে না তো?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। আমাদের রাজ্যে তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপি এবং কংগ্রেস চতুর্মুখী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে চার শিবিরের প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারগুলির তূলনামূলক পর্যালোচনা থেকে বেরিয়ে আসছে যে, প্রতিটি শিবিরই নাগরিকদের আরও বেশি করে রাষ্ট্রমুখী করতে চাইছে।
বিশদ

14th  April, 2019
জাতীয়তাবাদ আজ যে কানাগলিতে
নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী

 জ্যাক বারজুঁ (Jacque Barzun) ১৯৭২ সালে একুশ শতকে সন্ধান করার সময় যে, কথাটা বলেছিলেন, সেটা আজ এই সাতচল্লিশ বছর পর এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রযত্নে যে এমন সত্য হয়ে উঠবে, এটা কে জানত? জ্যাক বারজুঁ এক অ্যামেরিকান ঐতিহাসিক, যিনি বাহাত্তর সালে বলেছিলেন যে, অতীতের রাজনৈতিক ‘বাদ’ (ism) যা যা বোঝাত, সেইরকম কোনও ‘বাদ’ টিকে না থাকলেও একমাত্র জাতীয়তাবাদ অতি অদ্ভুতভাবে টিকে আছে।
বিশদ

13th  April, 2019
ছুটির ফাঁদে
অতনু বিশ্বাস

 ছুটির ফাঁদে পড়েছে সূর্যোদয়ের দেশটা। জাপান। হঠাৎ করে পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মত দশদিনের অতিরিক্ত ছুটি জুটেছে জাপানিদের। আর সেই ছুটি নিয়ে করবেটা কী, তা বুঝতেই পারছে না হোক্কাইডো থেকে হাটেরুমা পর্যন্ত সকল জাপানবাসী।
বিশদ

13th  April, 2019
ভোটে জিততে হাতিয়ার যখন বিজ্ঞাপন
মৃণালকান্তি দাস

‘পেটিএম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর এবার পরশ বিন্দিতেও।’ ট্যুইটারে এমনই কটাক্ষ করেছিলেন রায়গঞ্জের বামপ্রার্থী মহম্মদ সেলিম। গাঁয়ে-গঞ্জে মহিলাদের টিপের পাতাতেও মোদির ছবি ছাপিয়ে বিজেপির এমন অভিনব নির্বাচনী প্রচার এর আগে কোনওদিন দেখেনি এই বাংলার মানুষ। শুধু কী তাই! নমো ব্র্যান্ডের টিশার্ট, কাপ, নোটবুক সবেতেই মোদি।
বিশদ

12th  April, 2019
নির্বাচনে কৃষক-শ্রমিকের রায় কার পক্ষে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪২টি আসনই গ্রামীণ ভারতের অন্তর্গত। এই ৩৪২টি আসনে প্রায় ৬০ কোটির কাছাকাছি ভোটারের ৭০ ভাগই কৃষিজীবী মানুষ। অন্যদিকে, দেশের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৫৭টি আসন পুরোপুরি শহরকেন্দ্রিক। বাকি ১৪৪টি আসন আধা-শহর, আধা-গ্রাম বিশিষ্ট।  
বিশদ

11th  April, 2019
রাজনীতির উল্টো ফুটে এক আশ্চর্য বালক
হারাধন চৌধুরী 

এক হাতে একটি মৃত মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে দশ টাকার একটি নোট। একজন কাঁদো কাঁদো মুখ করে ছুটে যাচ্ছে। হাত দুটি, পা দুটি খুব ছোট তার। কারণ, মানুষটিও ছোট খুব। মাত্র ছ’বছরের ছেলে।  
বিশদ

09th  April, 2019
কংগ্রেসের ইস্তাহার বিজেপিকে
লড়াইতে টেনে এনেছে
পি চিদম্বরম

চুয়ান্ন পৃষ্ঠার একটা নথি যেন পায়রাদের মধ‌্যে‌ শিকারি বেড়াল দর্শনের ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখানে বিজেপি হল একদল পায়রা—৫৬ ইঞ্চি বুকের পাটার দম্ভ এখানে ভুলে যান—কংগ্রেসের ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ হতেই বিজেপি যেভাবে ফিটের রোগীর মতো আচরণ করছে তাতেই এর প্রমাণ।
বিশদ

08th  April, 2019
বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী
মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?

শুভা দত্ত

 ভোটযুদ্ধের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। দেশের আসমুদ্রহিমাচল প্রচার-অপপ্রচারের ঢেউয়ে উত্তাল। যুযুধান পক্ষগুলির মন্ত্রী-সান্ত্রী-সেনাপতি থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতানেত্রী নাওয়া-খাওয়া ভুলে চড়া রোদের তাপ উপেক্ষা করে দেশজনতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন।
বিশদ

07th  April, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল: দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পান্ডিয়া ব্রাদার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৫ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। পঞ্চম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ২৬ বলে তোলেন ৫৪ রান। হার্দিক ১৫ বলে দু’টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার ...

 সুখেন্দু পাল  লাউদোহা, বিএনএ: দেশে প্রকৃত আচ্ছে দিন আনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার ডাক দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অরূপ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার তিনি পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের লাউদোহার জামগড়া গ্রামে জনসভা করেন। এদিন থেকেই অরূপবাবু পশ্চিম বর্ধমানে ...

বিএনএ, কাঁচরাপাড়া: বৃহস্পতিবার ভোরে কাঁচরাপাড়া স্টেশনের কাছে বিবেকানন্দ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লেগে মার্কেটের ১৬৭টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকল বাহিনীর উদাসীনতার জন্য আগুন ...

লিসবন, ১৮ এপ্রিল (পিটিআই): পর্তুগালে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ২৯ জন জার্মান পর্যটকের। এছাড়াও জখম হয়েছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যস্থল মাদিরা দ্বীপে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু,
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার,
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম,
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু,
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২ 

17th  April, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৬ টাকা ৯২.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.০৭ টাকা ৮০.০২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৩৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৩২ অপঃ ৪/৪২। চিত্রা ৩৫/৩০ রাত্রি ৭/৩০। সূ উ ৫/১৭/৩৬, অ ৫/৫৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে অস্তাবধি, বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
প্রাচীন পঞ্জিকা: ৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৪৩/৪৯ অপঃ ৪/৪৭/৪৩। চিত্রানক্ষত্র রাত্রি ৩৬/২৭/৩৮ রাত্রি ৭/৫৩/১৪, সূ উ ৫/১৮/১১, অ ৫/৫৫/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৪০ গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৭/৩১ গতে ১০/২/১১ মধ্যে, কালবেলা ১০/২/১১ গতে ১১/৩৬/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৬/১১ গতে ১০/১১/৩১ মধ্যে। 
১৩ শাবান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম। বৃষ: প্রেমে সফলতা প্রাপ্তি। মিথুন: শ্বশুরবাড়ির সূত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম ...বিশদ

07:03:20 PM

কেকেআরকে ২১৪ রানের টার্গেট দিল বেঙ্গালুরু  

09:44:38 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ১২২/২(১৫ ওভার) 

09:14:28 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ৭০/২(১০ ওভার) 

08:53:00 PM

টসে জিতে ফিল্ডিং নিল কেকেআর

07:35:32 PM