সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
যাদবপুরের সেন্টার ফর ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধীনে। যাদবপুর টিএমসিপির আহ্বায়ক মেবার হোসেনের অভিযোগ, কোনওরকম দরপত্র না ডেকেই এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল সেন্টারকে। যদিও, এই কাজ করার জন্য যোগ্য আর কোনও লোক ছিল না, এমন নয়। আমরা এও মনে করি, প্রকল্পটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুব একটা সহায়ক হয়নি। এটা তো গেল একটি দিক। কিন্তু যে প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটরের বেতন ২৭ হাজার ৯০০ টাকা মঞ্জুর হয়েছিল, সেখানে তাঁকে বেতন দেওয়া হয়েছে এক লক্ষ টাকা। এসব তথ্য আমাদের হাতে আসার পরই আমরা নড়েচড়ে বসি। প্রসঙ্গত, টিএমসিপি তাদের পোস্টারে এমন প্রশ্নও তুলেছে যে এত কাটমানি কার পকেটে যাচ্ছে?
এ প্রসঙ্গে সেন্টার ফর ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিংয়ের অধিকর্তা অধ্যাপক চন্দন মজুমদার বলেন, পোস্টারগুলি দেখিনি। তাই সে বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে, এটা বলতে পারি, এই প্রজেক্টে কর্মী নেওয়া হয়েছিল ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করেই। প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটররা কোনও টাকা নেন না। বেতন দেওয়া হয় কর্মীদের। আমি দীর্ঘদিন এই প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ছিলাম ঠিকই। কিন্তু আমি ব্যস্ততার কারণে এই দায়িত্ব আর পালন করছি না। বিভাগের অন্যরা এই দায়িত্ব পালন করছেন। বেশি টাকা দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, যাঁদের এ ধরনের প্রকল্পে নিয়োগ করতে হয়, তাঁদের যোগ্যতাও সেরকমই হয়। আর প্রকল্পভিত্তিক কাজে তো বেশি বেতন দিতেই হবে। নাহলে এই পর্যায়ের যোগ্য লোকরা কেন থাকবেন?
যদিও, আর্থিক কোনও অনিয়ম হয়নি বলেই তিনি দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, এই সংক্রান্ত যাবতীয় অডিট রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জমা রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এর বেশি কিছু বলতে গেলে আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকও স্বীকার করেছেন, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে চন্দনবাবু কোনও অর্থ নেননি। কিন্তু কর্মী নিয়োগের ব্যাপারটি উনিই দেখছিলেন। তার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ঢোকেনি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সেই কর্মীরা লাখখানেক টাকা বেতন পাচ্ছেন। এরকম আটজন কর্মী রয়েছেন। আবার, তাঁদের সরানো হলে প্রকল্পটিই বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ঠিক করা হয়েছে, মাস ছয়েক প্রকল্পটি সেই কর্মী-আধিকারিকদের দিয়ে চালিয়ে তার পরিচালনভার অন্য কারও হাতে দেওয়া হবে। কারণ, চুক্তির মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়েছে। সেটা কোনও সমস্যা হবে না।
সম্প্রতি ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেন্টার ফর ডিজেবিলিটি স্টাডিজের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয় এগজিকিউটিভ কাউন্সিল। একটি প্রকল্পকেও বাদ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক স্কুল এবং সেন্টারগুলি থেকে সম্প্রতি ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠে আসছে। তার মধ্যে ফলপ্রকাশের জন্য নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা নেওয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে।