সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
আমরেলিতে এদিনের জনসভায় মোদির সিংহভাগ বক্তব্যই ছিল গুজরাতিতে। কাশ্মীর ইস্যু থেকে সন্ত্রাসবাদ, একের পর এক প্রসঙ্গ টেনে মুণ্ডপাত করেন কংগ্রেসের। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদকে মাত্র ‘আড়াইটি জেলা’র মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে তাঁর সরকার। গত পাঁচ বছরে দেশের অন্যত্র আর কোথাও একটিও বিস্ফোরণ ঘটেনি। কিন্তু ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর কংগ্রেস কী করছিল? আপনাদের কি মনে হয় কংগ্রেসের কোনও উন্নতি হয়েছে? আমরা কি কংগ্রেসকে বিশ্বাস করতে পারি? আর উরি হামলার পর মোদি কী করেছে? আপনারা জানেন সার্জিকাল স্ট্রাইকের মধ্যেমে আমরা কীভাবে পাকিস্তানকে শিক্ষা দিয়েছি। কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কি আমি দায়ী? শুধুমাত্র কংগ্রেসের নীতির কারণে ৭০ বছর পরও আমরা কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান করতে পারিনি। আর এর পরই চিরাচরিত মোদিসুলভ ভঙ্গিতে বালাকোট হামলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওরা (পাকিস্তান) ভুলে গিয়েছিল যে, এটা মোদি। এই প্রথম, আপনারা নিশ্চই পাকিস্তানকে কাঁদতে দেখেছেন। মোদি যাতে ফোন তোলেন, কাতর আর্জি জানাচ্ছে ওরা। আমরা পাকিস্তানকে এই পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছি।
কংগ্রেস তাদের ইস্তাহারে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন খতিয়ে দেখার কথা বলেছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইন তুলে দেওয়ার কথা বলেছে। এদিনের সভা থেকে এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির তোপ, কংগ্রেস তাদের ইস্তাহারে কাশ্মীর থেকে বাহিনী প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাহলে কী হবে ভেবে দেখুন। সেনাবাহিনীর অনুপস্থিতিতে জঙ্গিরা অবাধে অমরনাথযাত্রীদের হত্যা করবে। বৈষ্ণোদেবীর তীর্থযাত্রী বা শ্রীনগরে যাওয়া পর্যটকদের কী হবে? কংগ্রেস রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইন তুলে দিতে চাইছে। যারা দেশকে টুকরো টুকরো করতে চাইছে, আমরা কি তাদের হাত খুলে দিতে পারি? স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সালে কংগ্রেস সবচেয়ে কম লোকসভা আসন জিতেছে। ৪০০ থেকে তারা ৪০টি আসনে নেমে গিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ আপনারা গুজরাতের ২৬টি আসনই আমাদের দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে কম আসন পাওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস ফের দেশের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে। ২০১৯ সালে স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে কম আসনে লড়াই করতে চলেছে কংগ্রেস। এটাই গুজরাতের এক চা-ওয়ালার ক্ষমতা।
গুজরাতের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এদিন নির্বাচনী সভা করেন কর্ণাটকের বাগলকোটেও। এই সভা থেকে কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস সরকারকে চূড়ান্ত কটাক্ষ করেন তিনি। আর সেই সঙ্গেই কেন্দ্রে শক্তিশালী সরকার গঠনের ডাক দেন। মোদি বলেন, আপনারা যদি শক্তিশালী সরকার দেখতে চান তাহলে দিল্লির দিকে তাকান। যদি অসহায় সরকার দেখতে চান তাহলে কর্ণাটকের দিকে তাকান। কংগ্রেস অসহায় সরকার চায়। তাই ভোটারদের ‘অসহায়’ কুমারস্বামীর দিকে তাকাতে বলছে।