সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
সুব্রতবাবু বলেন, এদিন ছাতনায় আমি ভালো সাড়া পেয়েছি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের রোড শোয়ে অংশগ্রহণ করেছে। এদিনের জনসভায় আদিবাসী শিল্পীদের অংশগ্রহণ ছিল ব্যাপক। ছাতনায় জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
অরূপবাবু বলেন, সভাধিপতি থাকাকালীন আমি ছাতনায় শতাধিক আদিবাসী লোকশিল্পীর দল তৈরি করি। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার শিল্পীদের নানা সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছে। ফলে আদিবাসীরা আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। এদিন আমরা শিল্পীদের নিয়ে ছাতনার চাকলতোড়ে একটি জনসভা করি। আগামী নির্বাচনে ছাতনায় আমরা ‘লিড’ পাব।
এদিন বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা ওন্দার সান্তোর এবং নিকুঞ্জপুর এলাকায় প্রচার করেন। অন্যদিকে, এদিন ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুনীল খাঁ জয়পুর ব্লক এলাকার বিভিন্ন গ্রামে প্রচার সারেন। বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা খাঁয়ের নেতৃত্বে এদিন ওন্দার রামসাগরে মিছিল বের হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার ডোঙ্গল মোড় থেকে রোড শো করেন। এদিন তিনি হুড খোলা জিপে দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে ভোট প্রচার করেন। গৌরহাটি-১ ও ২ অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে তিনি ঘুরেছেন। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী তপন রায় এদিন দলীয় কর্মীদের নিয়ে পুরশুড়ায় ভোট প্রচার সারেন। এছাড়া সিপিএমের শক্তিমোহন মালিকও পুরশুড়ার চিলাডাঙি, শ্যামপুর প্রভৃতি অঞ্চলে প্রচার করেছেন। বিজেপির কর্মী সমর্থকরা এদিন পুরশুড়া, খানাকুলে সাইকেল ও বাইক নিয়ে মিছিলও করেছেন বলে দাবি।
অন্যদিকে, এদিন গোঘাটের নকুণ্ডায় তৃণমূলের কর্মিসভায় যোগ দেন হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না। তাঁর সঙ্গে এদিন সেখানে ছিলেন গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার সহ অন্যান্যরা। ওই কর্মিসভায় বেচারামবাবু রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি এদিন তিনি প্রাক্তন বাম সরকারকে নানা ভাষায় কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, বাম আমলে চাষিদের পাশে সরকার ছিল না। কিন্তু, আমাদের সরকার চাষিদের একটু চোখের জল পড়তে দেয়নি। কারও অভাবের তাড়নায় মৃত্যু হয়নি।
এদিন বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটবন্দি, জিএসটি নিয়েও কটাক্ষ করেন বেচারামবাবু। বাংলার ৬৫ হাজার যুবক কাজ হারিয়ে বাড়ি চলে এসেছেন বলে তিনি জানান। দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি ও পুলওয়ামা ঘটনা নিয়েও তিনি নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, এখন সিপিএম আর বিজেপি এক সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৃণমূল প্রার্থীকে বেশি ভোটে জয়ী করুন। আমরা এবার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। অপরূপা পোদ্দার এবার রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতবেন। পাশাপাশি নকুণ্ডার দলকার জলা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এদিন বেচারামবাবু আশ্বস্ত করেন।