সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
সূত্রের দাবি, এ নিয়ে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের কাছে জেলা নেতৃত্বের নামে অভিযোগ জানিয়েছেন একাধিক প্রার্থী। এক প্রার্থীর কথায়, জেলা সভাপতি আমার সঙ্গে সব সময় থাকছেন। সংবাদমাধ্যমে আমাদের দু’জনের হাসিমুখের ছবি প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু সাংগঠনিক স্তরে বহু ক্ষেত্রে আমার বিরুদ্ধে উনি কাজ করছেন। রীতিমতো অসহায় দেখাচ্ছিল বিজেপির ওই প্রার্থীকে। তিনি বলেন, কী করা যাবে? বেশি বলতে ভয় পাচ্ছি। কারণ, প্রচার, ভোটের স্লিপ বিলি, বুথ পাহারা সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে জেলা সভাপতিদের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করতে হবে। তাই এ নিয়ে আরও বাড়াবাড়ি হোক, চাইছি না। এ বিষয়ে দলের আরেক রাজ্য নেতা বলেন, টাকা এর অন্যতম একটা কারণ। ভোটে দাঁড়াতে পারলেই দিল্লির তরফে মোটা টাকার জোগান পাওয়া সুনিশ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করা পুরনো বিজেপি নেতারা অনেকেই এবার টিকিট বিলি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। তার উপর অন্য দল থেকে দু’দিন আগে বিজেপিতে এসে নেপোয় মারে দইয়ের ঢঙে টাকা নিয়ে অনেক প্রার্থীই হম্বিতম্বি শুরু করেছেন। ভোটের প্রচার, সংগঠন বিস্তার সহ বিবিধ খাতে টাকা বরাদ্দ করা নিয়ে অনেক কেন্দ্রে প্রার্থী ও জেলা সভাপতিদের মধ্যে মতবিরোধ তীব্র আকার নিয়েছে। তিনি বক্তব্য, অন্যান্য দলে জেলা স্তরে একজন সভাপতি থাকেন। কিন্তু বিজেপির একটি জেলায় একাধিক সভাপতি রয়েছেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গোটা কলকাতায় বিজেপির চারজন সাংগঠনিক সভাপতি রয়েছেন। সেই সাংগঠনিক জেলাগুলি হল—কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর শহরতলি, কলকাতা দক্ষিণ শহরতলি। স্বভাবতই অনেক লোকসভা ক্ষেত্রের সীমানা একাধিক জেলা সভাপতির অধীনে পড়ে গিয়েছে। সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ করে ভোটে নামানোর ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।