সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
মিমি এদিন যে বুথে ভোট দিয়েছেন সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বুথের নজরদারির দায়িত্বে ছিল। স্কুলের গেটেই তাই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভোটারদের বাদে অন্যদের আটকে দেওয়া হয়। মিমি তাঁর নিজের দিদিকে নিয়ে বুথের দিকে এগিয়ে যান। দিদির অসুস্থতার জন্য তাঁকে আগে ভোটদানের জন্য এগিয়ে দিয়ে নিজে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। পিছনে মিমির মা, মামার বাড়ির অন্য সদস্য ভোটাররাও দাঁড়িয়ে পড়েন। বিকালে ওই সময় ভোটের লাইনে ভিড় তেমন ছিল না। কয়েকজনের ভোট হতেই মিমি নিজে স্লিপ নিয়ে বুথে ঢুকে পড়েন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বুথের ভিতরের ছবি তোলার চেষ্টা করলে মিমি নিজেই একসময় বুথের একটি দরজা বন্ধ করে দেন। ভোট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে মিমি বলেন, প্রত্যেকবার ভোট এলে বাড়িতে আসি। লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিই। এই বুথের সকলেই আমার পরিচিত। বুথে ঢোকার আগে বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে প্রণাম করে তাঁদের পরিবারের কুশলও জেনে নিয়েছেন মিমি। তিনি বুথে থাকতে থাকতেই সেখানে চলে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। দু’জনেই জয়ের চিহ্ন সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।
তবে বুথের বাইরে দাঁড়িয়ে মিমিকে সঞ্জয় পাশোয়ানকে খুঁজতে দেখা যায়। তাঁর সঙ্গে কিছু কথা বলার পর মিমি গাড়িতে চেপে বাড়িতে চলে যান। মিমি এদিন বলেন, অনেকদিন পর এত বেশি সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এখানে এসে প্রচারের ব্যস্ততা ছিল, তারপর বাড়িতে এসে সকলের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটিয়েছি। শুক্রবার সকালে কলকাতায় চলে যাব। শুক্রবার রাতেই মামাত বোন সুকন্যা চক্রবর্তীর বিয়ের অনুষ্ঠার রয়েছে। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকা হবে না। মনটা খারাপ লাগছে। কিন্তু আমি দায়িত্ব এড়াতে পারি না। শুক্রবার আমার নিজের নির্বাচনী এলাকায় প্রচারের কর্মসূচি রয়েছে। সেটা আমাকে করতেই হবে। বিজয় চন্দ্র বর্মন ও নিজের ভোটের লড়াইয়ে জয় নিয়ে আত্ববিশ্বাসী অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তিনি বলেন, মানুষের ভালোবাসা আছে বলেই সিনেমায় সাফল্য পেয়েছি। নির্বাচনেও সাফল্য আসবেই। মিমি চলে যাওয়ার পর সঞ্জয় পাশোয়ান জানিয়েছেন, ম্যাডাম আমার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে ভালোবাসেন। আমার নয় বছরের বড় মেয়ে পিউকে ম্যাডাম আগে দেখেছেন। কিন্ত ছোট মেয়ে পাখিকে দেখেননি। ওকে দেখতেই আজ ম্যাডাম বাড়িতে নিয়ে আসতে বলেছেন। মিমির মামা সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, বুধবার রাতে ভাগ্নি আমার বাড়িতে না এলেও এখানকার রান্না খাবার রাতে খেয়েছে। জলপাইগুড়ির ভোটপর্ব মিটতেই মিমির পাড়ায় শতাধিক মামা রয়েছেন, তারা ভাগ্নির হয়ে যাদবপুরে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।