সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
কমিশন সূত্রে খবর, গত এক-দেড় বছরে অভিভাবকরা যে হারে বেসরকারি স্কুলগুলির লাগামছাড়া ফি বৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ করেছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এই অবস্থায় কী করে স্কুলগুলির এমন মানসিকতা বদলানো যয়, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় তারা। এই নিয়ে কিছু একটা রফাসূত্র যদি বের করা যায়, তাহলে বহু মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে তাদের সন্তানদের ভালো বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করানো সম্ভব হবে। কী করে এই ফি বৃদ্ধি ঠেকানো যায়, স্কুলগুলিকেই বা কী বার্তা দেওয়া হবে, তাই হবে আলোচনার মূল বিষয়। চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, আমরা স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব। একটি বৈঠক হবে। এই ফি বৃদ্ধির সমস্যার সমাধান করা দরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর ওই বৈঠকের পর যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তাদের কাজকর্মও প্রায় স্তব্ধ বলেই খবর। এক সময় সক্রিয়ভাবে তারা কাজ করলেও, বর্তমানে তা এক প্রকার নিষ্ক্রিয় বলেই অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। ওই বৈঠকে এই কমিটির প্রসঙ্গও উঠতে পারে বলে জানা গিয়েছে। শিশু কমিশনে ফি সংক্রান্ত অভিযোগ এলেও, তারা কিছুটা নিরুপায়। কারণ, বেশ কিছু স্কুলের চরিত্রই এমন, যেখানে এই ফি সংক্রান্ত বিষয়ে আইনগতভাবে কিছু করা সম্ভব নয়। তারা মূলত সংখ্যালঘু স্কুল। আবার কিছু ক্ষেত্রে স্কুলগুলিকে সতর্ক করা হলেও, তারা মানছে না। এতে কমিশনের অসহায়তাই ফুটে উঠছে। কারণ তারা সুপারিশ ছাড়া বেশি কিছু করতে পারবে না। তাই এই বৈঠকের মাধ্যমে একটা নীতি তৈরি করার দাবি তুলতে চাইছে কমিশন। যার মাধ্যমে অভিভাবকরা এই বাড়তি ফি চাপিয়ে দেওয়ার ‘জুলুম’ থেকে রেহাই পেতে পারেন।