সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
গ্রামে বেশির ভাগ মানুষ ঘর সংসারের কাজ সামলে বেলার দিকে ভোট দিতে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও ভোটারদের নিয়ে বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে টানাটানি যেমন ছিল না সেরকম শেষ মুহূর্তে ভোটার প্রভাবিত করার দৃশ্যও এবার সেভাবে দেখা যায়নি। এদিন বেলা দু’টোর পর কালারাম হাইস্কুল, রানিডাঙ্গা নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লিউসিপুকুরি স্কুলের বুথগুলিতে দেখা গিয়েছে মহিলা-পুরুষ সব ছোট ছোট দলে ভোট দিতে আসছেন। বুথে ঢোকার মুখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সব কিছু পরীক্ষা করছে। গ্রামের মানুষ সুশৃঙ্খলভাবে একে একে ভোট দিতে যাচ্ছেন। কারও চোখেমুখে কোনও উদ্বেগ বা ভয়ের ছাপ নেই। ভোট দিয়ে আবার নিজেদের মতো করে চলে যাচ্ছেন। রানিডাঙা কালারাম হাইস্কুলের বুথ থেকে আনুমানিক ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা, ভোট দিয়েছেন প্রশ্নের জবাবে শুধু কালি লাগানো আঙ্গুলটি দেখিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যান। রাজনৈতিক দলগুলির টেন্টে গিয়ে ভোটারদের সাহায্য চাওয়া বা ভোটারদের নিজেদের টেন্টে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতা কর্মীদের দাপাদাপিও সেভাবে নজরে পড়েনি। শিলিগুড়ি মহকুমার বাকি গ্রামীণ এলাকাতেও এদিন ভোটে এমন অভাবনীয় দৃশ্য দেখা গিয়েছে।
শিলিগুড়ি শহরের বুথগুলিতেও প্রায় একই দৃশ্য ছিল। কয়েকটি বুথে সাময়িক উত্তেজনা, ইভিএম বিভ্রাট দেখা দিলেও কোথাও কোনও অশান্তির খবর নেই। কোনও রেষারেষি বা দাপাদাপি তাঁদের মধ্যে ছিল না। মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। কারও কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এখানেও কিন্তু ভোট দিয়ে এসে বেশির ভাগ ভোটার দ্রুত বাড়ির পথে পা বাড়িয়েছেন। পরিচিত নেতা কর্মীদের দেখে এগিয়ে গিয়ে কথা বলা বা বুথের আশেপাশে খোশ মেজাজে গল্পে মেতে ওঠার দৃশ্য এবার কার্যত অমিল ছিল।
এবারে ভোটে এই নতুন পরিবেশ নিয়ে সকলেরই দাবি, তাঁরাই জিতবেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন। এখানকার শান্তিপ্রিয় মানুষ উন্নয়নের জন্য তৃণমূলকেই ভোট দেবেন। শিলিগুড়ির মেয়র সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য বলেন, সর্বত্র তৃণমূল বিরোধী হাওয়া বইছে। সেই হাওয়াতেই এবার শিলিগুড়িতেও ভোটার ভোট দিয়ে নীরব থেকেছেন। এটা তৃণমূলের পরাজয়ের ইঙ্গিত। বিজেপি’র শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, ভোটারদের নীরবতায় তৃণমূল বুঝে গিয়েছে তাদের কেউ ভোট দিচ্ছে না।