সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
অরূপবাবু বলেন, বাংলা থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আবার একটা সুযোগ এসেছে। জ্যোতি বসুকে তার দল প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি। কিন্তু এবার টালির ঘরে থাকা মেয়েটিকে আপনারা দিল্লিতে পৌঁছে দিন। একমাত্র তিনি মানুষের কথা ভাবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের মানুষ আচ্ছে দিন দেখতে পাবেন। তিনি বাংলায় উন্নয়ন করে দেখিয়েছেন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি মানুষের পাশে রয়েছেন। গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জামা, জুতো, ব্যাগ দিয়েছেন। ছাত্রীদের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন। প্রত্যন্ত এলাকার মেয়েরাও পড়াশোনা করছে। আজ কোনও বাবা-মাকে মেয়ের বিয়ের জন্য ভাবতে হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রূপশ্রী প্রকল্প চালু করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অথচ বারবার বাংলাকে দিল্লি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই ট্র্যাডিশন চলে আসছে। তাই এবার নির্বাচনে জবাব দেওয়ার সুযোগ এসেছে।
এদিন অরূপবাবুর জনভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি লাউদোহার জামগড়া গ্রামে সভার পর জেমুয়াতে যান। সেখানেও ভালো ভিড় হয়। অরূপবাবুর সঙ্গে এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি, তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনের ইলেকশন এজেন্ট দীপ্তাংশু চৌধুরী প্রমুখ। অরূপবাবু বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, ওরা দার্জিলিংকে বাংলা থেকে ভাগ করতে চেয়েছিল। ওখানকার সংসদ সদস্য বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন। যিনি বাংলাকে ভাগ করতে চেয়েছিলেন, তাঁকে একটাও ভোট নয়। বিজেপি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরি হবে। কিন্তু এই এলাকায় কি একজন যুবকের চাকরি কেন্দ্রীয় সংস্থায় হয়েছে? বেকারদের কর্মসংস্থান তো হয়নি উল্টে দেশে দু’কোটি বেকার তৈরি হয়েছে। উনি বলেছিলেন বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধার করে সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে টাকা দেবেন। কেউ কি সেই টাকা পেয়েছেন? উল্টে দেশ থেকে টাকা লুট হয়ে চলে গেল। আর কালো টাকা বিজেপির অ্যাকাউন্টে চলে এল। দেশের কৃষকদের দুর্দিন নেমে এসেছে। মোদির আমলে এই কয়েক বছরে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। শিল্পপতিরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এরা নাকি আনবে আচ্ছে দিন। আচ্ছে দিন শুধু মোদির জীবনে এসেছে। ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে তিনি ৬০ বার বিদেশে গিয়েছেন।
মোদিকে তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, ওঁর পাশে দেশের জনসাধারণ নেই। এমনকী আদবানির মতো তাঁর দলের নেতারাও নেই। শুধু অমিত শাহ তাঁর পাশে রয়েছেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি এবং অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে লড়ছেন। মোদি দেশের মানুষকে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তার কোনওটাই তিনি বাস্তবায়িত করেননি। আমাদের নেত্রী বাংলা থেকে ৪২টি আসনে জয়ী হওয়ার ডাক দিয়েছেন। আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, এখনও পর্যন্ত যে পাঁচটি আসনে ভোট হয়েছে, তার সবগুলিতে তৃণমূল এগিয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে তৃণমূল বিরোধীদের পিছনে ফেলে দিয়েছে। এদিন থেকে অরূপবাবু প্রচারে নামায় দলের নেতা-কর্মীরা বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন। তৃণমূলের হেভিওয়েট ওই নেতা বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ওরা সবাইকে ভাগ করতে চায়। সবার সঙ্গে সবার লড়াই লাগিয়ে দেওয়া ওদের উদ্দেশ্য। ভগবান কোনও রাজনৈতিক দলের এজেন্ট হতে পারে না। তিনি সবার। বিজেপি এসব ভাগাভাগি করে বাংলায় কিছু করতে পারবে না। ৪২টি আসনেই জয়ী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি পাঠানোর সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই রাজ্যের মানুষ নিয়েছেন।