সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
সেলিম বলেন, ইসলামপুরের বেশিরভাগ এলাকায় শান্তিতে ভোট হয়েছে। আমি আগে থেকেই বলে আসছিলাম মাটিকুণ্ডা ও আমডিমটিখুন্তি অঞ্চলের পাটাগোড়া সহ কয়েকটি বুথে স্থানীয় মস্তান আছে। তারা স্থানীয়দের কয়েকদিন থেকেই ভয় দেখিয়ে রেখেছে। যারা মস্তানি করে পঞ্চায়েত মেম্বার হয়েছিল তারাই অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ভোট করছে। অবজার্ভার, সেক্টর অফিসার কেউ সাড়া দেয়নি। মানুষ অসহায় হয়ে আমাকে ফোন করে বুথ দখলের কথা জানায়। আমি এসে সেখলাম বুথে মস্তানরা অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে কে কোথায় ভোট দিচ্ছে। স্থানীয় পুলিস ক্যাম্প ১৫০ মিটারের মধ্যে আছে। তাদের আসতে ৫০ মিনিট লেগেছে। আমার গাড়ি ভাঙা হয়েছে। চালককে আক্রমণ করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, এলাকায় শান্তিতে ভোট হচ্ছিল। সেলিম সাহেবই সেখানে উত্তেজনা ছড়ান। তাঁর দলের পোলিং এজেন্ট নেই। তার দায় কি আমাদের? রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, সেলিম সাহেবকে আমাদের কেউ আক্রমণ করেনি। তিনি প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে বচসা করেন। পরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটাকদের ধমক চমক দেন। ভোটাররা ক্ষেপে গিয়ে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেছে। সর্বত্র শান্তিতে ভোট হয়েছে।
এদিকে দিন সকালে ইসলামপুর বাজারে হিন্দি স্কুলে ভোট দেন প্রার্থী কানাইয়াবাবু। সকাল ৭টার সময় তিনি সাধারন মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু ভিভিপ্যাডের সমস্যা হওয়ায় ভোট গ্রহণে প্রায় ৪৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয়। ভোট দিয়ে তিনি ইসলামপুর শহরের বিভিন্ন বুথ ঘুরে দাড়িভিট হয়ে গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়া হয়ে আবার শহরে ফিরে আসেন।
পাটাগোড়ায় এক সাংবাদকর্মী বুথ দখলের খবর করতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে। তাঁর পার্স ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে সেগুলি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। গোয়ালপোখরের লোহাগাছি এলাকায় ভোটাররা ভোট দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা বুথের বাইরেই তাঁদের হাতে কালি লাগিয়ে স্লিপ নিয়ে নিচ্ছিল। ওই এলাকায় খবর সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করা হয়। চোপড়াতেও সংবাদ মাধ্যমের এক কর্মীর ওপরে পুলিস চাঠি চার্জ করেছে।
ইসলামপুরের ক্ষুদিরামপল্লি হাইস্কুল ও মিলনপল্লি হাইস্কুলে মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত পাঁচটি মডেল বুথ ছিল। সেখানে বয়স্কদের বসার ব্যবস্থা ছিল শিশুদের চকোলেট দেওয়া হয়। বুথগুলিকে বেলুন, ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল। সেখানে উৎসবের মেজাজে মানুষ ভোট দেয়। এদিন শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তৃণমূলের নির্বাচন কার্যালয়গুলিতে কর্মীদের ভালো উপস্থিতি চোখে পড়লেও বিরোধীদের ক্যাম্পে তেমন ভিড় ছিল না।