সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে, এমনকী আগেও শিল্পকে কেন্দ্র করে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি শ্রমিকদের সংগঠিত করবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। জ্যোতি বসু থেকে ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত, চিত্ত বসু থেকে গুরুদাস দাশগুপ্ত—শ্রম আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন। ৫০-এর দশকের পর প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলই শ্রমিক সংগঠন গড়ে তুলেছিল মূলত নির্বাচনী রাজনীতির কথা বিবেচনা করে। স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে ১৯৫২ সালে প্রথম লোকসভা নির্বাচনে সিপিআই যে পাঁচটি আসন পেয়েছিল সেই আসনগুলি মূলত শ্রমিকশ্রেণী এবং শহরের মধ্যবিত্ত ভোটারদের সমর্থনে। ৬০ এবং ৭০-এর দশকে হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দমদম, বারাকপুরের মতো শিল্প-অধ্যুষিত বিধানসভা বা লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে মূলত শ্রম আন্দোলনের মাধ্যমে শ্রমিক শ্রেণীর সমর্থন পেয়ে বারবার জয়ী হয়েছে বামেরা। তবে ভারতের অন্যত্র যেমন; মহারাষ্ট্র, দিল্লি-তে বামপন্থীরা শ্রমিকদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেও নির্বাচনী রাজনীতিতে শ্রমিকদের সমর্থন কিন্তু বামপন্থীদের পক্ষে কখনওই যায়নি বলা যায়। বাংলা, কেরল এবং ত্রিপুরার বাইরের শ্রমিকদের মধ্যে একটি প্রবাদবাক্য এখনও চালু আছে— ‘‘রুটির জন্য লাল পার্টি, ভোটের জন্য সবুজ বা গেরুয়া পাটি।’’
৯০-এর দশকের পর ভারতীয় রাজনীতিতে জাত ও ধর্মের প্রভাবে শ্রেণীগত রাজনীতির গুরুত্ব কমতে শুরু করে, ফলে শ্রমিকরা আর্থিক মানদণ্ডের অপেক্ষা অনেক বেশি প্রভাবিত হতে থাকে পরিচয়সত্তার রাজনীতির দ্বারা। এর ফলে শ্রমিকদের মধ্যে বামপন্থীদের প্রভাব কিছুটা হলেও কমে আসে, বৃদ্ধি পায় ভারতীয় মজদুর সংঘের মতো বিজেপি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনগুলি। ৯০-এর দশক থেকে কংগ্রেসের প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আই.এন.টি.ইউ.সি.-র ভূমিকাও ক্রমশই হ্রাস পায়। অন্যদিকে, আঞ্চলিক দলগুলির ভাবনা-চিন্তার ওপর ভিত্তি করে রাজ্যভিত্তিক একাধিক শ্রমিক সংগঠন গড়ে ওঠে। স্বভাবতই এর ফলে শ্রমিক আন্দোলনের সর্বভারতীয় চেহারা, গুরুত্ব এবং উপস্থিতি ভারতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। নয়া-উদার অর্থনীতিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানার সমাপ্তি ঘটায় এবং ব্যক্তি মালিকানা প্রাধান্য পাওয়াতে শ্রমিক নেতাদের পক্ষে দাবি আদায়ের পন্থা হিসেবে শ্রমিক ধর্মঘটের মতো পুরনো পন্থা পরিত্যাগ করতে হয়েছে। বরং, নতুন শিল্পভাবনায় শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা বলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ যে নেই, তা বলা যায় না। বরং বেতন থেকে কাজের সময়, চাকরির অনিশ্চয়তা নিয়ে শ্রমিকদের যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে।
আমাদের রাজ্যে শিল্পভিত্তিক ৮টি লোকসভার আসন রয়েছে। একনজরে এই ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের ২০১৪-র জয়ী দল ও ব্যবধান এবং ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে এগিয়ে থাকা দলের নাম ও ভোটের ব্যবধান দেখুন (সারণি-১ দ্রষ্টব্য):
গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে দার্জিলিং এবং আসানসোল শিল্পাঞ্চল বাদে বাকি সব লোকসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়েছিল। কিন্তু ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে শিল্পপ্রধান ৮টি লোকসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেস লিড নিয়েছিল। এই ৮টি শিল্পপ্রধান লোকসভা কেন্দ্র ছাড়াও বর্ধমান, দুর্গাপুর, ডায়মন্ডহারবার, বারাসত এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে শিল্পক্ষেত্রের উপস্থিতি কৃষিক্ষেত্রের পাশাপাশি রয়েছে। কৃষি ও শিল্পভিত্তিক মিশ্র এই চারটি লোকসভা কেন্দ্রেও তৃণমূল কংগ্রেস ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এবং ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের ভিত্তিতে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।
দীর্ঘ খরা কাটিয়ে বামেরা সিঙ্গুরের টাটাদের মোটর কারখানা এবং নন্দীগ্রামে কেমিক্যাল হাব গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে কৃষক আন্দোলনের মুখে পড়ে বামেরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল। ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচন থেকে এখনও অবধি অধিকাংশ শিল্পকেন্দ্রিক লোকসভা এবং বিধানসভাগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস বামেদের সরিয়ে জয়ী হয়ে আসছে। এ রাজ্যে শিল্পাঞ্চলভিত্তিক যে ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, তার মধ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস একাই ৫১টি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল, বামেরা পেয়েছিল ১৫টি আসন, বিজেপি ২টি এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ২টি আসনে জয়ী হয়। অথচ এক সময় ৭০টি শিল্পাঞ্চলকেন্দ্রিক বিধানসভার মধ্যে ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বামেরাই ৮০ শতাংশ আসনেই জয়ী হয়ে আসছিল।
গত ৭ বছরে রাজ্য সরকার প্রায় ১২ লক্ষ হাজার কোটি টাকা ‘মউ’ স্বাক্ষর করলেও বাস্তবে বিনিয়োগ কত হয়েছে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বৃহৎ শিল্পের প্রসারে রাজ্য সরকারের জমিনীতিকে অনেকেই দায়ী করে আসছেন। শিল্পাঞ্চলে কারখানা বন্ধ হওয়ার ঘটনা বা শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনাও কখনও কখনও প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু চা বাগানের শ্রমিক থেকে বৃহৎ কল-কারখানার শ্রমিকরা ২ টাকা দামের চাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এই সামাজিক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে যে বিপুল পরিমাণে উপভোক্তা রাজ্য সরকার তৈরি করতে পেরেছে তাতে শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের একটা বড় অংশই রাজ্যের শাসকদলের পক্ষে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে সমস্ত দল তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে শ্রমিকদের উন্নয়নের নানা প্রকল্পের কথা বলছে। যেমন— কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে ‘শিল্প, পরিষেবা এবং কর্মসংস্থান’-এর নামে নতুন একটি মন্ত্রক তৈরির কথা ঘোষণা করেছে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কংগ্রেসের ইস্তাহারে শিল্পনগরী গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। এখন দেখার শিল্পপ্রধান লোকসভা কেন্দ্রগুলির শ্রমিকেরা এই নির্বাচনে কোন দলকে বেছে নেয়। তবে প্রথমে বিমুদ্রাকরণ এবং পরে পরিকাঠামো তৈরি না করে দ্রুত জিএসটি চালু করায় শিল্পক্ষেত্রের ওপর যে প্রভাব পড়েছে তাতে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির নির্বাচনে অস্বস্তিতে থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
অন্যদিকে, বিগত ৫ বছরে কৃষিক্ষেত্রের সংকটকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক তরজা হয়েছে। উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) মোদি সরকার বাড়িয়েছে। গত বাজেটে ঘোষণা করেছে কৃষদের ফসল উৎপাদনের খরচ বাবদ দুই কিস্তিতে ৬ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু রাজ্যে রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যা, ফসলের লাভজনক দাম না পাওয়া এবং কৃষিঋণকে কেন্দ্র করে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা একের পর এক তোপ দাগছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে হিন্দিবলয়ের তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানের ভোটে জিতে কংগ্রেস কৃষকদের ঋণ মকুব করার কথা ঘোষণা করেছে। লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহারেও কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ঋণ মকুব থেকে ঋণমুক্তির দিশা দেখাবে বলে জানিয়েছে। কংগ্রেস ইস্তাহারে ঘোষণা করেছে পৃথক কৃষি বাজেটের কথাও। দেশে প্রায় ৬০ কোটির কাছাকাছি কৃষক রয়েছেন তাঁদেরকে প্রভাবিত করবার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে কৃষির উন্নতিতে নানা প্রস্তাব দিচ্ছেন। শিল্পক্ষেত্রের মতোই একসময় কৃষিক্ষেত্রেও কৃষকদের সংগঠিত করবার ক্ষেত্রে বামপন্থীদের পাশাপাশি সমাজবাদী দলগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। কিন্তু ৯০-এর দশকের গোঁড়া শিল্পের মতো কৃষিক্ষেত্রেও জাত, ধর্মের রাজনীতির প্রভাব প্রকট হলে কৃষকরা শ্রেণীগত পরিচয়ের থেকেও পরিচয়সত্তার রাজনীতির ওপর ভিত্তি করে একের পর এক নির্বাচনে তাঁদের রায় দিয়েছেন। দেশের ৩৪২টি গ্রামীণ লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলে জাত-ধর্ম-বর্ণের প্রভাব স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের গ্রামীণ নির্বাচনী ক্ষেত্রে বিজেপির সমর্থন অন্য দলগুলির তুলনায় যথেষ্ট ভালো ছিল। ২০১৯-এর নির্বাচনে কৃষিক্ষেত্রে কৃষকের অসন্তোষ আদতেও কোনও প্রভাব ফেলে কি না তা নিয়ে নির্বাচনী বিতর্ক চলছে। তবে পুলওয়ামার ঘটনার পর জাতীয়তাবাদী ভাবাবেগের ওপর ভর করে বিজেপি গ্রামীণ ক্ষেত্রগুলিতে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে, সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বছরে ১৫০ দিনের কাজ নিশ্চিত করা, কৃষকদের ঋণ মকুব, ঋণ খেলাপি কৃষকদের জেলে না পাঠানোর মতো একাধিক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। দেশের সবচেয়ে গরিব ৫ কোটি পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসে ৬ হাজার করে টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কংগ্রেস।
এ রাজ্যে একের পর এক সামাজিক প্রকল্পের পাশাপাশি একর-পিছু কৃষকদের দুই কিস্তিতে ৫ হাজার টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে কৃষকদের প্রতি যে আস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করতে পেরেছিলেন, সেই আস্থা এবারের নির্বাচনেও সর্বত্র অটুট থাকে কি না তা আরেকবার পরখ করার সুযোগ থাকছে ২৩ মে ফল ঘোষণার দিন।
তবে এ রাজ্যেও বিজেপি উত্থানের মধ্যে দিয়ে পরিচয়সত্তার রাজনীতি গ্রামীণ কৃষিজীবী মানুষের ওপরেও প্রভাব ফেলেছে। সংখ্যালঘু কৃষকদের মধ্যে তৃণমূলের প্রতি সমর্থন প্রাক্ নির্বাচন সমীক্ষা থেকে উঠে আসছে। অন্যদিকে, কৃষিক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটের একটি বড় অংশের ভোট বিজেপির পক্ষে থাকার সম্ভাবনাও যথেষ্ট। পরিচয়সত্তার রাজনীতি কৃষিক্ষেত্রেও ঢুকে যাওয়াতে বামেদের প্রভাব কৃষকদের মধ্যে ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। যদিও সারা ভারতের মতো পশ্চিমবঙ্গেও গত কয়েক বছর বামেরা কৃষিক্ষেত্রের দুরবস্থা নিয়ে একের পর এক লং মার্চ আয়োজন করেছিল। ভোটের বাক্সে তার প্রভাব কিন্তু তেমন দেখা যাচ্ছে না। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৭টি লোকসভা কেন্দ্র মূলত কৃষিপ্রধান। এই ২৭টি কৃষিপ্রধান লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস একাই পেয়েছিল ২১টি আসন, কংগ্রেস ৪টি ও বামেরা ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পুরসভাবিহীন সম্পূর্ণ গ্রামীণ এলাকাভিত্তিক বিধানসভা কেন্দ্র ছিল ১৬৩টি। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস একাই জয়ী হয়েছিল ১১৮টি আসনে, বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ৪৩টি আসন, অন্যদিকে বিজেপি পায় ২টি বিধানসভা আসন।
কৃষিপ্রধান ২৭টি লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৪-র লোকসভা এবং ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে একনজরে জয়ী বা এগিয়ে থাকা দলের নাম এবং ভোটের ব্যবধান দেখুন (সারণি-২ দ্রষ্টব্য):
গ্রামীণ এলাকায় কৃষকদের সমর্থন পাবার বিষয়ে রাজ্যের চার পক্ষই নানা প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। শেষপর্যন্ত গ্রামভিত্তিক রাজ্যের ২৭টি লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফল আগামী ২৩ মে জানা যাবে। তবে সংগঠন, নেতৃত্ব, সরকারি পরিষেবার পাশাপাশি রাজনীতির নানান সমীকরণে তৃণমূল কংগ্রেস এই ২৭টি কেন্দ্রের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিরোধীদের থেকে যে কয়েক যোজন এগিয়ে রয়েছে সে বিষয়ে সংশয় নেই।
লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক