Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নির্বাচনে কৃষক-শ্রমিকের রায় কার পক্ষে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪২টি আসনই গ্রামীণ ভারতের অন্তর্গত। এই ৩৪২টি আসনে প্রায় ৬০ কোটির কাছাকাছি ভোটারের ৭০ ভাগই কৃষিজীবী মানুষ। অন্যদিকে, দেশের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৫৭টি আসন পুরোপুরি শহরকেন্দ্রিক। বাকি ১৪৪টি আসন আধা-শহর, আধা-গ্রাম বিশিষ্ট। এই দুই শ্রেণীর আসনের মধ্যে এমন ৭৬টি লোকসভা আসন আছে যেখানে ছোট-বড়-মাঝারি বিভিন্ন শিল্পে কর্মরত ভোটারের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বা তার বেশি। ৫০, ৬০ এমনকী ৭০-এর দশক পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলি শ্রমিক এবং কৃষক আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে এবং তাঁদের চিন্তাভাবনা ও চাহিদার নিরিখে নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরি থেকে নির্বাচনী প্রচারের কৌশল স্থির করতেন। অর্থনৈতিক উদারীকরণের প্রভাবে শিল্পক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা কমতে কমতে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। বাজার অর্থনীতি এবং বিশ্বায়নের প্রভাবে রাজনৈতিক দলগুলির শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন করবার ক্ষেত্রেও ৫০-৬০-এর দশকের থেকে উদ্যোগ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। ফলে লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার অনেকটাই কমে এসেছে। বরং উদারীকরণের পরবর্তী সময় থেকে দেশের নির্বাচনগুলিতে প্রচারে কৃষিক্ষেত্রের সংকট অনেক বেশি জায়গা করে নিতে পেরেছে।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে, এমনকী আগেও শিল্পকে কেন্দ্র করে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি শ্রমিকদের সংগঠিত করবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। জ্যোতি বসু থেকে ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত, চিত্ত বসু থেকে গুরুদাস দাশগুপ্ত—শ্রম আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন। ৫০-এর দশকের পর প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলই শ্রমিক সংগঠন গড়ে তুলেছিল মূলত নির্বাচনী রাজনীতির কথা বিবেচনা করে। স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে ১৯৫২ সালে প্রথম লোকসভা নির্বাচনে সিপিআই যে পাঁচটি আসন পেয়েছিল সেই আসনগুলি মূলত শ্রমিকশ্রেণী এবং শহরের মধ্যবিত্ত ভোটারদের সমর্থনে। ৬০ এবং ৭০-এর দশকে হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দমদম, বারাকপুরের মতো শিল্প-অধ্যুষিত বিধানসভা বা লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে মূলত শ্রম আন্দোলনের মাধ্যমে শ্রমিক শ্রেণীর সমর্থন পেয়ে বারবার জয়ী হয়েছে বামেরা। তবে ভারতের অন্যত্র যেমন; মহারাষ্ট্র, দিল্লি-তে বামপন্থীরা শ্রমিকদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেও নির্বাচনী রাজনীতিতে শ্রমিকদের সমর্থন কিন্তু বামপন্থীদের পক্ষে কখনওই যায়নি বলা যায়। বাংলা, কেরল এবং ত্রিপুরার বাইরের শ্রমিকদের মধ্যে একটি প্রবাদবাক্য এখনও চালু আছে— ‘‘রুটির জন্য লাল পার্টি, ভোটের জন্য সবুজ বা গেরুয়া পাটি।’’
৯০-এর দশকের পর ভারতীয় রাজনীতিতে জাত ও ধর্মের প্রভাবে শ্রেণীগত রাজনীতির গুরুত্ব কমতে শুরু করে, ফলে শ্রমিকরা আর্থিক মানদণ্ডের অপেক্ষা অনেক বেশি প্রভাবিত হতে থাকে পরিচয়সত্তার রাজনীতির দ্বারা। এর ফলে শ্রমিকদের মধ্যে বামপন্থীদের প্রভাব কিছুটা হলেও কমে আসে, বৃদ্ধি পায় ভারতীয় মজদুর সংঘের মতো বিজেপি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনগুলি। ৯০-এর দশক থেকে কংগ্রেসের প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আই.এন.টি.ইউ.সি.-র ভূমিকাও ক্রমশই হ্রাস পায়। অন্যদিকে, আঞ্চলিক দলগুলির ভাবনা-চিন্তার ওপর ভিত্তি করে রাজ্যভিত্তিক একাধিক শ্রমিক সংগঠন গড়ে ওঠে। স্বভাবতই এর ফলে শ্রমিক আন্দোলনের সর্বভারতীয় চেহারা, গুরুত্ব এবং উপস্থিতি ভারতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। নয়া-উদার অর্থনীতিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানার সমাপ্তি ঘটায় এবং ব্যক্তি মালিকানা প্রাধান্য পাওয়াতে শ্রমিক নেতাদের পক্ষে দাবি আদায়ের পন্থা হিসেবে শ্রমিক ধর্মঘটের মতো পুরনো পন্থা পরিত্যাগ করতে হয়েছে। বরং, নতুন শিল্পভাবনায় শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা বলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ যে নেই, তা বলা যায় না। বরং বেতন থেকে কাজের সময়, চাকরির অনিশ্চয়তা নিয়ে শ্রমিকদের যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে।
আমাদের রাজ্যে শিল্পভিত্তিক ৮টি লোকসভার আসন রয়েছে। একনজরে এই ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের ২০১৪-র জয়ী দল ও ব্যবধান এবং ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে এগিয়ে থাকা দলের নাম ও ভোটের ব্যবধান দেখুন (সারণি-১ দ্রষ্টব্য):
গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে দার্জিলিং এবং আসানসোল শিল্পাঞ্চল বাদে বাকি সব লোকসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়েছিল। কিন্তু ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে শিল্পপ্রধান ৮টি লোকসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেস লিড নিয়েছিল। এই ৮টি শিল্পপ্রধান লোকসভা কেন্দ্র ছাড়াও বর্ধমান, দুর্গাপুর, ডায়মন্ডহারবার, বারাসত এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে শিল্পক্ষেত্রের উপস্থিতি কৃষিক্ষেত্রের পাশাপাশি রয়েছে। কৃষি ও শিল্পভিত্তিক মিশ্র এই চারটি লোকসভা কেন্দ্রেও তৃণমূল কংগ্রেস ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এবং ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের ভিত্তিতে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।
দীর্ঘ খরা কাটিয়ে বামেরা সিঙ্গুরের টাটাদের মোটর কারখানা এবং নন্দীগ্রামে কেমিক্যাল হাব গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে কৃষক আন্দোলনের মুখে পড়ে বামেরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল। ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচন থেকে এখনও অবধি অধিকাংশ শিল্পকেন্দ্রিক লোকসভা এবং বিধানসভাগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস বামেদের সরিয়ে জয়ী হয়ে আসছে। এ রাজ্যে শিল্পাঞ্চলভিত্তিক যে ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, তার মধ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস একাই ৫১টি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল, বামেরা পেয়েছিল ১৫টি আসন, বিজেপি ২টি এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ২টি আসনে জয়ী হয়। অথচ এক সময় ৭০টি শিল্পাঞ্চলকেন্দ্রিক বিধানসভার মধ্যে ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বামেরাই ৮০ শতাংশ আসনেই জয়ী হয়ে আসছিল।
গত ৭ বছরে রাজ্য সরকার প্রায় ১২ লক্ষ হাজার কোটি টাকা ‘মউ’ স্বাক্ষর করলেও বাস্তবে বিনিয়োগ কত হয়েছে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বৃহৎ শিল্পের প্রসারে রাজ্য সরকারের জমিনীতিকে অনেকেই দায়ী করে আসছেন। শিল্পাঞ্চলে কারখানা বন্ধ হওয়ার ঘটনা বা শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনাও কখনও কখনও প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু চা বাগানের শ্রমিক থেকে বৃহৎ কল-কারখানার শ্রমিকরা ২ টাকা দামের চাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এই সামাজিক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে যে বিপুল পরিমাণে উপভোক্তা রাজ্য সরকার তৈরি করতে পেরেছে তাতে শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের একটা বড় অংশই রাজ্যের শাসকদলের পক্ষে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে সমস্ত দল তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে শ্রমিকদের উন্নয়নের নানা প্রকল্পের কথা বলছে। যেমন— কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে ‘শিল্প, পরিষেবা এবং কর্মসংস্থান’-এর নামে নতুন একটি মন্ত্রক তৈরির কথা ঘোষণা করেছে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কংগ্রেসের ইস্তাহারে শিল্পনগরী গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। এখন দেখার শিল্পপ্রধান লোকসভা কেন্দ্রগুলির শ্রমিকেরা এই নির্বাচনে কোন দলকে বেছে নেয়। তবে প্রথমে বিমুদ্রাকরণ এবং পরে পরিকাঠামো তৈরি না করে দ্রুত জিএসটি চালু করায় শিল্পক্ষেত্রের ওপর যে প্রভাব পড়েছে তাতে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির নির্বাচনে অস্বস্তিতে থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
অন্যদিকে, বিগত ৫ বছরে কৃষিক্ষেত্রের সংকটকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক তরজা হয়েছে। উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) মোদি সরকার বাড়িয়েছে। গত বাজেটে ঘোষণা করেছে কৃষদের ফসল উৎপাদনের খরচ বাবদ দুই কিস্তিতে ৬ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু রাজ্যে রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যা, ফসলের লাভজনক দাম না পাওয়া এবং কৃষিঋণকে কেন্দ্র করে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা একের পর এক তোপ দাগছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে হিন্দিবলয়ের তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানের ভোটে জিতে কংগ্রেস কৃষকদের ঋণ মকুব করার কথা ঘোষণা করেছে। লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহারেও কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ঋণ মকুব থেকে ঋণমুক্তির দিশা দেখাবে বলে জানিয়েছে। কংগ্রেস ইস্তাহারে ঘোষণা করেছে পৃথক কৃষি বাজেটের কথাও। দেশে প্রায় ৬০ কোটির কাছাকাছি কৃষক রয়েছেন তাঁদেরকে প্রভাবিত করবার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে কৃষির উন্নতিতে নানা প্রস্তাব দিচ্ছেন। শিল্পক্ষেত্রের মতোই একসময় কৃষিক্ষেত্রেও কৃষকদের সংগঠিত করবার ক্ষেত্রে বামপন্থীদের পাশাপাশি সমাজবাদী দলগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। কিন্তু ৯০-এর দশকের গোঁড়া শিল্পের মতো কৃষিক্ষেত্রেও জাত, ধর্মের রাজনীতির প্রভাব প্রকট হলে কৃষকরা শ্রেণীগত পরিচয়ের থেকেও পরিচয়সত্তার রাজনীতির ওপর ভিত্তি করে একের পর এক নির্বাচনে তাঁদের রায় দিয়েছেন। দেশের ৩৪২টি গ্রামীণ লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলে জাত-ধর্ম-বর্ণের প্রভাব স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের গ্রামীণ নির্বাচনী ক্ষেত্রে বিজেপির সমর্থন অন্য দলগুলির তুলনায় যথেষ্ট ভালো ছিল। ২০১৯-এর নির্বাচনে কৃষিক্ষেত্রে কৃষকের অসন্তোষ আদতেও কোনও প্রভাব ফেলে কি না তা নিয়ে নির্বাচনী বিতর্ক চলছে। তবে পুলওয়ামার ঘটনার পর জাতীয়তাবাদী ভাবাবেগের ওপর ভর করে বিজেপি গ্রামীণ ক্ষেত্রগুলিতে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে, সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বছরে ১৫০ দিনের কাজ নিশ্চিত করা, কৃষকদের ঋণ মকুব, ঋণ খেলাপি কৃষকদের জেলে না পাঠানোর মতো একাধিক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। দেশের সবচেয়ে গরিব ৫ কোটি পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসে ৬ হাজার করে টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কংগ্রেস।
এ রাজ্যে একের পর এক সামাজিক প্রকল্পের পাশাপাশি একর-পিছু কৃষকদের দুই কিস্তিতে ৫ হাজার টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে কৃষকদের প্রতি যে আস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করতে পেরেছিলেন, সেই আস্থা এবারের নির্বাচনেও সর্বত্র অটুট থাকে কি না তা আরেকবার পরখ করার সুযোগ থাকছে ২৩ মে ফল ঘোষণার দিন।
তবে এ রাজ্যেও বিজেপি উত্থানের মধ্যে দিয়ে পরিচয়সত্তার রাজনীতি গ্রামীণ কৃষিজীবী মানুষের ওপরেও প্রভাব ফেলেছে। সংখ্যালঘু কৃষকদের মধ্যে তৃণমূলের প্রতি সমর্থন প্রাক্‌ নির্বাচন সমীক্ষা থেকে উঠে আসছে। অন্যদিকে, কৃষিক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটের একটি বড় অংশের ভোট বিজেপির পক্ষে থাকার সম্ভাবনাও যথেষ্ট। পরিচয়সত্তার রাজনীতি কৃষিক্ষেত্রেও ঢুকে যাওয়াতে বামেদের প্রভাব কৃষকদের মধ্যে ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। যদিও সারা ভারতের মতো পশ্চিমবঙ্গেও গত কয়েক বছর বামেরা কৃষিক্ষেত্রের দুরবস্থা নিয়ে একের পর এক লং মার্চ আয়োজন করেছিল। ভোটের বাক্সে তার প্রভাব কিন্তু তেমন দেখা যাচ্ছে না। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৭টি লোকসভা কেন্দ্র মূলত কৃষিপ্রধান। এই ২৭টি কৃষিপ্রধান লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস একাই পেয়েছিল ২১টি আসন, কংগ্রেস ৪টি ও বামেরা ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পুরসভাবিহীন সম্পূর্ণ গ্রামীণ এলাকাভিত্তিক বিধানসভা কেন্দ্র ছিল ১৬৩টি। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস একাই জয়ী হয়েছিল ১১৮টি আসনে, বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ৪৩টি আসন, অন্যদিকে বিজেপি পায় ২টি বিধানসভা আসন।
কৃষিপ্রধান ২৭টি লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৪-র লোকসভা এবং ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে একনজরে জয়ী বা এগিয়ে থাকা দলের নাম এবং ভোটের ব্যবধান দেখুন (সারণি-২ দ্রষ্টব্য):
গ্রামীণ এলাকায় কৃষকদের সমর্থন পাবার বিষয়ে রাজ্যের চার পক্ষই নানা প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। শেষপর্যন্ত গ্রামভিত্তিক রাজ্যের ২৭টি লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফল আগামী ২৩ মে জানা যাবে। তবে সংগঠন, নেতৃত্ব, সরকারি পরিষেবার পাশাপাশি রাজনীতির নানান সমীকরণে তৃণমূল কংগ্রেস এই ২৭টি কেন্দ্রের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিরোধীদের থেকে যে কয়েক যোজন এগিয়ে রয়েছে সে বিষয়ে সংশয় নেই।
 লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক 
11th  April, 2019
মধ্যবিত্তের ভোটচর্চা 

সমৃদ্ধ দত্ত: ভোট নিয়ে সবথেকে বেশি গল্প কারা করে? মধ্যবিত্ত। ভোট নিয়ে সারাদিন বন্ধুবান্ধব আর পরিচিতদের সঙ্গে ঝগড়া কারা করে? মধ্যবিত্ত। যে নেতানেত্রীরা তাঁদের চেনেনই না, তাঁদের হয়ে জানপ্রাণ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছোটবেলার বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজন অথবা পরিচিত ফ্যামিলি ফ্রেণ্ডকে আক্রমণ করে কারা? মধ্যবিত্ত।  বিশদ

কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কিছু সহজ প্রশ্ন
শুভময় মৈত্র

সপ্তদশ লোকসভা গঠনের লক্ষ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেল ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। সাত দফায় চলবে এই ভোট, ১৯ মে পর্যন্ত। তারপর ২৩ তারিখ ভোটফল। মোদি সরকার আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে কিনা সেটাই এবারের মূল প্রশ্ন। আপাতত বিভিন্ন সমীক্ষা যা খবর দিয়েছে তাতে সেই আশা একেবারে অলীক নয়।
বিশদ

18th  April, 2019
সেই প্রশ্নগুলির জবাব মিলছে না কেন?
মোশারফ হোসেন 

দেশজুড়ে রাজনীতির ময়দানে এই মুহূর্তে গনগনে আঁচ। রাজনীতির মাটি গরম। রাজনীতির বাতাস গরম। কারণ দেশে ভোট যে শুরু হয়ে গিয়েছে! ভোটগ্রহণ সব মিলিয়ে সম্পন্ন হবে সাত দফায়।  
বিশদ

16th  April, 2019
দুটি ইস্তাহারের গল্প
পি চিদম্বরম

গত ৮ এপ্রিল বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হল কোনও প্রকার তূর্যনিনাদ ছাড়াই। বিজেপির পক্ষে এই যে নম্রতা একেবারে অস্বাভাবিক! বিজেপির নরম হওয়ার অনেক কারণ ছিল। 
বিশদ

15th  April, 2019
লোকসভা ২০১৯: বাংলার ভোটে
মমতাভক্তি ঠেকানো যাবে?
শুভা দত্ত

যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। ভোটযুদ্ধ ২০১৯। আগামী লোকসভার দখল কে নেবেন, আগামী পাঁচ বছর কার হাতে থাকবে দেশ-শাসনের ভার তার ফয়সালা হবে এই যুদ্ধের ময়দানে। গত বৃহস্পতিবার এ রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশে শুরু হয়ে গেল সেই যুদ্ধ।
বিশদ

14th  April, 2019
দলগুলির ইস্তাহারে রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা
ভবিষ্যতে সংকট ডেকে আনবে না তো?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। আমাদের রাজ্যে তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপি এবং কংগ্রেস চতুর্মুখী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে চার শিবিরের প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারগুলির তূলনামূলক পর্যালোচনা থেকে বেরিয়ে আসছে যে, প্রতিটি শিবিরই নাগরিকদের আরও বেশি করে রাষ্ট্রমুখী করতে চাইছে।
বিশদ

14th  April, 2019
জাতীয়তাবাদ আজ যে কানাগলিতে
নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী

 জ্যাক বারজুঁ (Jacque Barzun) ১৯৭২ সালে একুশ শতকে সন্ধান করার সময় যে, কথাটা বলেছিলেন, সেটা আজ এই সাতচল্লিশ বছর পর এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রযত্নে যে এমন সত্য হয়ে উঠবে, এটা কে জানত? জ্যাক বারজুঁ এক অ্যামেরিকান ঐতিহাসিক, যিনি বাহাত্তর সালে বলেছিলেন যে, অতীতের রাজনৈতিক ‘বাদ’ (ism) যা যা বোঝাত, সেইরকম কোনও ‘বাদ’ টিকে না থাকলেও একমাত্র জাতীয়তাবাদ অতি অদ্ভুতভাবে টিকে আছে।
বিশদ

13th  April, 2019
ছুটির ফাঁদে
অতনু বিশ্বাস

 ছুটির ফাঁদে পড়েছে সূর্যোদয়ের দেশটা। জাপান। হঠাৎ করে পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মত দশদিনের অতিরিক্ত ছুটি জুটেছে জাপানিদের। আর সেই ছুটি নিয়ে করবেটা কী, তা বুঝতেই পারছে না হোক্কাইডো থেকে হাটেরুমা পর্যন্ত সকল জাপানবাসী।
বিশদ

13th  April, 2019
ভোটে জিততে হাতিয়ার যখন বিজ্ঞাপন
মৃণালকান্তি দাস

‘পেটিএম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর এবার পরশ বিন্দিতেও।’ ট্যুইটারে এমনই কটাক্ষ করেছিলেন রায়গঞ্জের বামপ্রার্থী মহম্মদ সেলিম। গাঁয়ে-গঞ্জে মহিলাদের টিপের পাতাতেও মোদির ছবি ছাপিয়ে বিজেপির এমন অভিনব নির্বাচনী প্রচার এর আগে কোনওদিন দেখেনি এই বাংলার মানুষ। শুধু কী তাই! নমো ব্র্যান্ডের টিশার্ট, কাপ, নোটবুক সবেতেই মোদি।
বিশদ

12th  April, 2019
রাজনীতির উল্টো ফুটে এক আশ্চর্য বালক
হারাধন চৌধুরী 

এক হাতে একটি মৃত মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে দশ টাকার একটি নোট। একজন কাঁদো কাঁদো মুখ করে ছুটে যাচ্ছে। হাত দুটি, পা দুটি খুব ছোট তার। কারণ, মানুষটিও ছোট খুব। মাত্র ছ’বছরের ছেলে।  
বিশদ

09th  April, 2019
কংগ্রেসের ইস্তাহার বিজেপিকে
লড়াইতে টেনে এনেছে
পি চিদম্বরম

চুয়ান্ন পৃষ্ঠার একটা নথি যেন পায়রাদের মধ‌্যে‌ শিকারি বেড়াল দর্শনের ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখানে বিজেপি হল একদল পায়রা—৫৬ ইঞ্চি বুকের পাটার দম্ভ এখানে ভুলে যান—কংগ্রেসের ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ হতেই বিজেপি যেভাবে ফিটের রোগীর মতো আচরণ করছে তাতেই এর প্রমাণ।
বিশদ

08th  April, 2019
বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী
মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?

শুভা দত্ত

 ভোটযুদ্ধের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। দেশের আসমুদ্রহিমাচল প্রচার-অপপ্রচারের ঢেউয়ে উত্তাল। যুযুধান পক্ষগুলির মন্ত্রী-সান্ত্রী-সেনাপতি থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতানেত্রী নাওয়া-খাওয়া ভুলে চড়া রোদের তাপ উপেক্ষা করে দেশজনতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন।
বিশদ

07th  April, 2019
একনজরে
লিসবন, ১৮ এপ্রিল (পিটিআই): পর্তুগালে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ২৯ জন জার্মান পর্যটকের। এছাড়াও জখম হয়েছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যস্থল মাদিরা দ্বীপে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে।  ...

নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল (পিটিআই): অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী ক্রিশ্চিয়ান মিচেলের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। পরিবারের সঙ্গে ইস্টার উৎসব উদযাপন করতে সাতদিনের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছিলেন মিচেল।   ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বৃহস্পতিবার নবদ্বীপের গ্রামীণ এলাকায় রোড-শো করে ভোটপ্রচার করলেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এদিন সকাল ৮টা থেকে হুডখোলা জিপে চেপে মায়াপুর থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। বাইকে চেপে প্রচুর কর্মী-সমর্থক প্রার্থীর সঙ্গে রোড-শোয়ে শামিল হন। ...

  সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: বৃহস্পতিবার নির্বিঘ্নে ই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল মেখলিগঞ্জ মহকুমায়। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার দু’টি ব্লক মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে পড়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু,
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার,
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম,
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু,
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২ 

17th  April, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৬ টাকা ৯২.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.০৭ টাকা ৮০.০২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৩৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৩২ অপঃ ৪/৪২। চিত্রা ৩৫/৩০ রাত্রি ৭/৩০। সূ উ ৫/১৭/৩৬, অ ৫/৫৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে অস্তাবধি, বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
প্রাচীন পঞ্জিকা: ৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৪৩/৪৯ অপঃ ৪/৪৭/৪৩। চিত্রানক্ষত্র রাত্রি ৩৬/২৭/৩৮ রাত্রি ৭/৫৩/১৪, সূ উ ৫/১৮/১১, অ ৫/৫৫/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৪০ গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৭/৩১ গতে ১০/২/১১ মধ্যে, কালবেলা ১০/২/১১ গতে ১১/৩৬/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৬/১১ গতে ১০/১১/৩১ মধ্যে। 
১৩ শাবান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম। বৃষ: প্রেমে সফলতা প্রাপ্তি। মিথুন: শ্বশুরবাড়ির সূত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম ...বিশদ

07:03:20 PM

কেকেআরকে ২১৪ রানের টার্গেট দিল বেঙ্গালুরু  

09:44:38 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ১২২/২(১৫ ওভার) 

09:14:28 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ৭০/২(১০ ওভার) 

08:53:00 PM

টসে জিতে ফিল্ডিং নিল কেকেআর

07:35:32 PM