Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী
মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?

শুভা দত্ত

ভোটযুদ্ধের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। দেশের আসমুদ্রহিমাচল প্রচার-অপপ্রচারের ঢেউয়ে উত্তাল। যুযুধান পক্ষগুলির মন্ত্রী-সান্ত্রী-সেনাপতি থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতানেত্রী নাওয়া-খাওয়া ভুলে চড়া রোদের তাপ উপেক্ষা করে দেশজনতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন। সরকার গড়তে পারলে আগামী পাঁচ বছরে সাধারণ মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কত কী করবেন, দেশকে অগ্রগতির কোন শিখরে তুলে ধরবেন—তার ফিরিস্তি দিচ্ছেন। সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিংয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় খাড়া করে, নয়তো কটু ব্যঙ্গবিদ্রুপে সরগরম করে তুলছেন শহর-মহানগর থেকে গ্রাম-গ্রামান্ত। হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ ভিড় করে নেতা-মন্ত্রীদের ওইসব কথা শুনছেন, পুরনো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের জ্বালা বুকে করে নতুন প্রতিশ্রুতি গিলছেন! এবং পথেঘাটে, অফিস-কাছারিতে, বাজারে-বৈঠকখানায় তা নিয়ে তর্কবিতর্কে মশগুল হচ্ছেন। সব মিলিয়ে গোটা দেশ জুড়ে এখন একটা যেন যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব—যুদ্ধং দেহি রাজনৈতিক শিবিরগুলোতে চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। ভোটযুদ্ধের মুখে এমন দৃশ্য অবশ্য নতুন নয়। ভোট, বিশেষত দেশের ক্ষমতা দখলের লোকসভা ভোট এলে আমাদের দেশে এই দৃশ্য চিরকালই দেখা গেছে, আজও যায়। সেই ট্র্যাডিশনে কোনও ব্যতিক্রমই ঘটেনি। তবে, একেবারে সাম্প্রতিকে মনে হচ্ছে ভোটযুদ্ধের পাত্রপাত্রীদের চড়া মেজাজ দৃশ্যের উত্তাপ কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিয়েছে। অবশ্য, দূষণের ঠ্যালায় তো সারা বিশ্বই আজ উষ্ণায়নের কবলে—রাজনীতির রণাঙ্গন বাদ থাকে কী করে? নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়!
আসলে, ভোটযুদ্ধটা এখন রাজনীতির তত্ত্বকথা ছেড়ে মনে হয় একটা হাইটেক কৌশলী ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোট গোনায় বেশি সময় লাগার অছিলায় ব্যালটে ভোটে তাই হয়তো এত আপত্তি! এবং যত অপবাদই উঠুক ‘হাইটেক’ ভোটমেশিনে এত ভরসা! যুক্তিও অকাট্য— গোনার ক্ষেত্রে সময় অনেক কম লাগে। ঠিকই, আজ সময় একটা বড় ফ্যাক্টর। কারও যেন সেই অর্থে বাড়তি সময় নেই। সব কাজধান্দার শেকলে বাঁধা। আর সময় ধরতে জীবনে হোক, কি কাজে সর্বত্র বেড়েছে গতি। রাজনীতির ক্ষেত্রও তার ব্যতিক্রম নয়। চটজলদি কথাটা এখন কেবল কথার কথা নয়—জীবনে সমাজে বিনোদনে মায় রাজনীতিতেও চটজলদি রেজাল্ট চাইছি আমরা প্রায় সকলেই। কীভাবে কম খেটে বেশি পাওয়া যাবে কোন জায়গায় আঘাত করলে শত্রু ঘায়েল হবে জলদি—সেটাই আজ প্রধান ভাবনা, প্রথম লক্ষ্য। চলতি ভোটযুদ্ধের ময়দানে পক্ষ-প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক তরজা শুনলে অনেক ক্ষেত্রেই এই চটজলদি রেজাল্টের প্রতি একাগ্রতা টের পাওয়া যাচ্ছে! সভা-সমাবেশে উপস্থিত জনতার মন জয়ে তাই রাজনৈতিক নীতিতত্ত্ব বা বাস্তব সত্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চটকে চমকে মশালাদার মন্তব্য, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। এতে উপস্থিত জনতা সাময়িক একটা মনোরঞ্জনের আস্বাদ অবশ্যই পাচ্ছেন, তবে তা ভোটযুদ্ধে কতটা বক্তা বা তাঁর দলীয় রাজনীতিকে এগিয়ে দিচ্ছে বলা মুশকিল।
এই যেমন ধরুন না—দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ‘স্পিড ব্রেকারে’র সঙ্গে তুলনা করে গেলেন! রাস্তায় স্পিড ব্রেকার বসানো হয় দুর্ঘটনা এড়াতে—সেদিক থেকে দেখলে এর উপযোগিতা অনস্বীকার্য। কিন্তু, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য মন্তব্যে এমন ইতিবাচক ভাবনা কি থাকতে পারে? পারে না। সেজন্যই মোদিজির ‘স্পিড ব্রেকার’ নিছক একটা নেতিবাচক অর্থ নিয়েই গত বুধবার শিলিগুড়ির জনসভায় উপস্থিত জনতার দরবারে হাজিরা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি ছিল গোটা দেশে তিনি এত উন্নয়ন করলেন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে পারলেন না—কারণ মমতা! মমতা নাকি ‘স্পিড ব্রেকারে’র মতো তাঁর উন্নয়নের পথে ‘প্রতিবন্ধক’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন! মোদিজির মুখে এমন ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য শুনে হয়তো তাঁর দলের সমর্থক সাধারণ জনতার একটা অংশ আমোদ পেয়েছেন কিন্তু মাঠ ছাড়ার পর সেই আমোদজনক মন্তব্যের সঙ্গে বাস্তবের মিল কি তাঁরা পেয়েছেন? পাননি, পেতে পারেন না। তার কারণ, ওই জনতার ঘরে ঘরে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী, কর্মশ্রী, সবুজসাথী, শিশুসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জল ধরো জল ভরো, সবার ঘরে আলো মধুর স্নেহের মতো মমতার জনহিতকর প্রকল্পগুলির কোনও কোনওটার, এক বা একাধিকের সুযোগ-সুবিধা অনেকদিনই পৌঁছে গেছে। পাশাপাশি রাস্তাঘাট, পানীয় জল, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বিনামূল্যের চিকিৎসা, ওষুধ আজ প্রত্যন্ত গ্রামেও বাড়ি থেকে দু’পা বাড়ালেই মিলছে। তার ওপর নানারকম সরকারি আর্থিক অনুদান, সাহায্য, প্রকল্প, স্বাস্থ্য বা কৃষিক্ষেত্রে নিখরচায় বা অতি সামান্য খরচায় বিমা—তাও মিলতে শুরু করেছে বহুদিন। তাহলে!
বাংলার আজকের এই উজ্জ্বল উন্নত ছবিটার খোঁজ মোদিজি রাখেন না এমন তো নয়। হতেই পারে না। তিনি সব জানেন, জানে তাঁর দলের জাতীয় থেকে রাজ্য শাখার সকলে। তা সত্ত্বেও তবে কেন তিনি বুধবার ওইভাবে তীব্র আক্রমণ চালালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিশানা করে? বাংলার উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধক ‘স্পিড ব্রেকার’ বলে ব্যঙ্গ করলেন তাঁকে? এই ব্যঙ্গটুকু দিয়ে যে মমতার উন্নয়নকামী ভাবমূর্তিকে কিছুমাত্র বিচলিত করা যাবে না, পরন্তু বাংলায় বিজেপি সমর্থকমহলের মধ্যেই হয়তো কোথাও কোথাও কিঞ্চিৎ উষ্মা জাগার (মহানেতার বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবের সঙ্গতিহীনতার জন্য) সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে—এমন কথাও কি ভাবেননি? আমাদের জানা নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার দিক থেকে অত্যন্ত
বিচক্ষণ এবং কূটকৌশলী তা তথ্যভিজ্ঞজনেদের কাছে বহুবার শুনেছি। সুতরাং, তিনি যখন তাঁর অন্যতম প্রতিপক্ষকে ‘স্পিড ব্রেকার’ বলে ব্যঙ্গ করেন তখন সেটাকে কেবল মাঠ মাতানোর চেষ্টা বলে ভাবা
কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ওই ব্যঙ্গটি যখন
রাজ্যের ‘উন্নয়ন’ প্রসঙ্গে উত্থাপিত হয় তখন
সন্দেহ হয়—তাহলে কি খোদ প্রধানমন্ত্রীও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার উন্নয়নমুখী ভাবমূর্তির প্রবল
প্রভাব প্রতিপত্তিতে চিন্তিত! বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?
ভয় কতটা পাচ্ছে আমাদের জানা নেই, তবে বাংলায় মমতার অভাবনীয় ‘উন্নয়ন’ যে দেশজনতার মনে তাঁর সম্পর্কে প্রত্যাশার পারদ অনেকটা চড়িয়ে দিয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। জাতীয় স্তরের ভোট-রাজনীতিতে তো বটেই দেশজনতার মহলেও বাংলার উন্নয়ন এখন রীতিমতো চর্চার বিষয়। একথা আশা করি সকলেরই মনে আছে, ২০১৪ সালে মোদিজির জাতীয় রাজনীতিতে একচ্ছত্র হয়ে ওঠার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল ‘ভাইব্রান্ট গুজরাত’—শিল্পোন্নয়নের আলোয় উদ্ভাসিত গুজরাত। সারা দেশজুড়ে তখন গুজরাতের ‘অভূতপূর্ব’ উন্নয়ন এবং সেই উন্নয়নের রূপকার বলে চিত্রিত নরেন্দ্র মোদিজিকে নিয়ে সে কী ব্যাপক চর্চা! উঠতে বসতে ঘরে বাইরে সর্বত্র উন্নয়নের দিশারী হিসেবে মোদিজি’র গুণগান চলছে গেরুয়া শিবিরের দশদিক জোড়া প্রচারে আর দেশজনতাও অভিভূত, আত্মহারা। যে মানুষ গোধরা দাঙ্গায় ক্ষতবিক্ষত বদনামী একটা রাজ্যকে মুখ্যমন্ত্রীর সীমিত ক্ষমতা দিয়ে এমন উন্নয়নের শিখরে তুলে নিয়ে যেতে পারেন তাঁর হাতে দেশের ভার তুলে দিলে ‘আচ্ছে দিন’ নিশ্চয়ই আসবে। আসবেই। মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি ইত্যাদি ইস্যুতে পড়তি দশার কংগ্রেস তখন মোদিজির ওই উন্নয়নপন্থী ভাবমূর্তির প্রবল উত্থান আটকাতে দিশেহারা। এবং শেষপর্যন্ত পর্যুদস্ত। দেশের মানুষের অঢেল সমর্থনে কংগ্রেসিরাজকে নস্যাৎ করে মোদিজি ‘স্বচ্ছ ভারত’ ‘নতুন ভারতে’র রূপকার হয়ে অবতীর্ণ হলেন দিল্লি মসনদে। তারপর কী হয়েছে না হয়েছে, জনপ্রত্যাশা পূরণে মোজিদি কতটা কী সফল বিফল হয়েছেন তা নিয়ে তর্ক আলোচনা বহু হয়েছে! সেসব থাক।
কিন্তু, একথা অস্বীকার করা যাবে কি যে আজও এই ২০১৯ সালেও ২০১৪ সালের মতোই রাজ্যের নজিরবিহীন উন্নয়নকে হাতিয়ার করে জাতীয় রাজনীতিতে আর এক মুখ্যমন্ত্রীর বিরাট উত্থান ঘটছে? এবং বলা বাহুল্য তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর রাজ্যটা বাংলা। সুদূর পশ্চিমের গুজরাত যদি উন্নয়নের ধ্বজা উড়িয়ে তার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রিত্বের আসনে পৌঁছানোর পথ করে দিতে পারে, তবে বাংলা পারবে না কেন? উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি ও সাফল্যের নিরিখে আমাদের বাংলা এই মুহূর্তে দেশের যে কোনও রাজ্যের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রেই যে অনেক এগিয়ে তা কেন্দ্রীয় সরকারি পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে চলেছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বমঞ্চে সম্মান, মর্যাদা লাভের ক্ষেত্রে কন্যাশ্রীর মতো সাফল্য আর কেউ কোনওদিন পেয়েছে কি? তো, এমন উন্নয়নমুখী ভাবমূর্তি যাঁর জাতীয় ভোট-রাজনীতিতে তাঁকে ঘিরে সাধারণ জনতা নতুন করে স্বপ্ন দেখতেই পারেন, ভাবতেই পারেন মমতা বাংলার মতো দেশকেও বিশ্বমানে পৌঁছে দিতে পারেন। আর সেই প্রত্যাশাতে যদি ভোটবাক্সে ঢল নামে তবে...!
প্রশ্ন হল, এই সম্ভাবনার কথা ভেবেই কি বুধবারের নির্বাচনী সভায় ‘স্পিড ব্রেকার’ বলে মমতাকে ব্যঙ্গ করলেন মোদিজি, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর চেয়ে বেশি আক্রমণ শানালেন তাঁকে লক্ষ্য করে? কিন্তু, এভাবে কি পশ্চিমবঙ্গের ঝলমলে উন্নত বাস্তবকে উপেক্ষা করা যাবে? বাংলা সমেত গোটা দেশের জনমনে উন্নয়নের সফল সার্থক দিশারী হিসেবে মমতার যে ইমেজ গড়ে উঠেছে তাকে একটুও ম্লান করা যাবে? আমরা বলব না, বলবে সময়—লোকসভা যুদ্ধের শেষফল।
07th  April, 2019
মধ্যবিত্তের ভোটচর্চা 

সমৃদ্ধ দত্ত: ভোট নিয়ে সবথেকে বেশি গল্প কারা করে? মধ্যবিত্ত। ভোট নিয়ে সারাদিন বন্ধুবান্ধব আর পরিচিতদের সঙ্গে ঝগড়া কারা করে? মধ্যবিত্ত। যে নেতানেত্রীরা তাঁদের চেনেনই না, তাঁদের হয়ে জানপ্রাণ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছোটবেলার বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজন অথবা পরিচিত ফ্যামিলি ফ্রেণ্ডকে আক্রমণ করে কারা? মধ্যবিত্ত।  বিশদ

কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কিছু সহজ প্রশ্ন
শুভময় মৈত্র

সপ্তদশ লোকসভা গঠনের লক্ষ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেল ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। সাত দফায় চলবে এই ভোট, ১৯ মে পর্যন্ত। তারপর ২৩ তারিখ ভোটফল। মোদি সরকার আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে কিনা সেটাই এবারের মূল প্রশ্ন। আপাতত বিভিন্ন সমীক্ষা যা খবর দিয়েছে তাতে সেই আশা একেবারে অলীক নয়।
বিশদ

18th  April, 2019
সেই প্রশ্নগুলির জবাব মিলছে না কেন?
মোশারফ হোসেন 

দেশজুড়ে রাজনীতির ময়দানে এই মুহূর্তে গনগনে আঁচ। রাজনীতির মাটি গরম। রাজনীতির বাতাস গরম। কারণ দেশে ভোট যে শুরু হয়ে গিয়েছে! ভোটগ্রহণ সব মিলিয়ে সম্পন্ন হবে সাত দফায়।  
বিশদ

16th  April, 2019
দুটি ইস্তাহারের গল্প
পি চিদম্বরম

গত ৮ এপ্রিল বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হল কোনও প্রকার তূর্যনিনাদ ছাড়াই। বিজেপির পক্ষে এই যে নম্রতা একেবারে অস্বাভাবিক! বিজেপির নরম হওয়ার অনেক কারণ ছিল। 
বিশদ

15th  April, 2019
লোকসভা ২০১৯: বাংলার ভোটে
মমতাভক্তি ঠেকানো যাবে?
শুভা দত্ত

যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। ভোটযুদ্ধ ২০১৯। আগামী লোকসভার দখল কে নেবেন, আগামী পাঁচ বছর কার হাতে থাকবে দেশ-শাসনের ভার তার ফয়সালা হবে এই যুদ্ধের ময়দানে। গত বৃহস্পতিবার এ রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশে শুরু হয়ে গেল সেই যুদ্ধ।
বিশদ

14th  April, 2019
দলগুলির ইস্তাহারে রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা
ভবিষ্যতে সংকট ডেকে আনবে না তো?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। আমাদের রাজ্যে তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপি এবং কংগ্রেস চতুর্মুখী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে চার শিবিরের প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারগুলির তূলনামূলক পর্যালোচনা থেকে বেরিয়ে আসছে যে, প্রতিটি শিবিরই নাগরিকদের আরও বেশি করে রাষ্ট্রমুখী করতে চাইছে।
বিশদ

14th  April, 2019
জাতীয়তাবাদ আজ যে কানাগলিতে
নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী

 জ্যাক বারজুঁ (Jacque Barzun) ১৯৭২ সালে একুশ শতকে সন্ধান করার সময় যে, কথাটা বলেছিলেন, সেটা আজ এই সাতচল্লিশ বছর পর এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রযত্নে যে এমন সত্য হয়ে উঠবে, এটা কে জানত? জ্যাক বারজুঁ এক অ্যামেরিকান ঐতিহাসিক, যিনি বাহাত্তর সালে বলেছিলেন যে, অতীতের রাজনৈতিক ‘বাদ’ (ism) যা যা বোঝাত, সেইরকম কোনও ‘বাদ’ টিকে না থাকলেও একমাত্র জাতীয়তাবাদ অতি অদ্ভুতভাবে টিকে আছে।
বিশদ

13th  April, 2019
ছুটির ফাঁদে
অতনু বিশ্বাস

 ছুটির ফাঁদে পড়েছে সূর্যোদয়ের দেশটা। জাপান। হঠাৎ করে পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মত দশদিনের অতিরিক্ত ছুটি জুটেছে জাপানিদের। আর সেই ছুটি নিয়ে করবেটা কী, তা বুঝতেই পারছে না হোক্কাইডো থেকে হাটেরুমা পর্যন্ত সকল জাপানবাসী।
বিশদ

13th  April, 2019
ভোটে জিততে হাতিয়ার যখন বিজ্ঞাপন
মৃণালকান্তি দাস

‘পেটিএম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর এবার পরশ বিন্দিতেও।’ ট্যুইটারে এমনই কটাক্ষ করেছিলেন রায়গঞ্জের বামপ্রার্থী মহম্মদ সেলিম। গাঁয়ে-গঞ্জে মহিলাদের টিপের পাতাতেও মোদির ছবি ছাপিয়ে বিজেপির এমন অভিনব নির্বাচনী প্রচার এর আগে কোনওদিন দেখেনি এই বাংলার মানুষ। শুধু কী তাই! নমো ব্র্যান্ডের টিশার্ট, কাপ, নোটবুক সবেতেই মোদি।
বিশদ

12th  April, 2019
নির্বাচনে কৃষক-শ্রমিকের রায় কার পক্ষে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪২টি আসনই গ্রামীণ ভারতের অন্তর্গত। এই ৩৪২টি আসনে প্রায় ৬০ কোটির কাছাকাছি ভোটারের ৭০ ভাগই কৃষিজীবী মানুষ। অন্যদিকে, দেশের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৫৭টি আসন পুরোপুরি শহরকেন্দ্রিক। বাকি ১৪৪টি আসন আধা-শহর, আধা-গ্রাম বিশিষ্ট।  
বিশদ

11th  April, 2019
রাজনীতির উল্টো ফুটে এক আশ্চর্য বালক
হারাধন চৌধুরী 

এক হাতে একটি মৃত মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে দশ টাকার একটি নোট। একজন কাঁদো কাঁদো মুখ করে ছুটে যাচ্ছে। হাত দুটি, পা দুটি খুব ছোট তার। কারণ, মানুষটিও ছোট খুব। মাত্র ছ’বছরের ছেলে।  
বিশদ

09th  April, 2019
কংগ্রেসের ইস্তাহার বিজেপিকে
লড়াইতে টেনে এনেছে
পি চিদম্বরম

চুয়ান্ন পৃষ্ঠার একটা নথি যেন পায়রাদের মধ‌্যে‌ শিকারি বেড়াল দর্শনের ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখানে বিজেপি হল একদল পায়রা—৫৬ ইঞ্চি বুকের পাটার দম্ভ এখানে ভুলে যান—কংগ্রেসের ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ হতেই বিজেপি যেভাবে ফিটের রোগীর মতো আচরণ করছে তাতেই এর প্রমাণ।
বিশদ

08th  April, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল: দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পান্ডিয়া ব্রাদার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৫ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। পঞ্চম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ২৬ বলে তোলেন ৫৪ রান। হার্দিক ১৫ বলে দু’টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার ...

 সুখেন্দু পাল  লাউদোহা, বিএনএ: দেশে প্রকৃত আচ্ছে দিন আনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার ডাক দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অরূপ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার তিনি পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের লাউদোহার জামগড়া গ্রামে জনসভা করেন। এদিন থেকেই অরূপবাবু পশ্চিম বর্ধমানে ...

লিসবন, ১৮ এপ্রিল (পিটিআই): পর্তুগালে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ২৯ জন জার্মান পর্যটকের। এছাড়াও জখম হয়েছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যস্থল মাদিরা দ্বীপে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে।  ...

বিএনএ, কাঁচরাপাড়া: বৃহস্পতিবার ভোরে কাঁচরাপাড়া স্টেশনের কাছে বিবেকানন্দ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লেগে মার্কেটের ১৬৭টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকল বাহিনীর উদাসীনতার জন্য আগুন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু,
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার,
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম,
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু,
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২ 

17th  April, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৬ টাকা ৯২.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.০৭ টাকা ৮০.০২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৩৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৩২ অপঃ ৪/৪২। চিত্রা ৩৫/৩০ রাত্রি ৭/৩০। সূ উ ৫/১৭/৩৬, অ ৫/৫৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে অস্তাবধি, বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
প্রাচীন পঞ্জিকা: ৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৪৩/৪৯ অপঃ ৪/৪৭/৪৩। চিত্রানক্ষত্র রাত্রি ৩৬/২৭/৩৮ রাত্রি ৭/৫৩/১৪, সূ উ ৫/১৮/১১, অ ৫/৫৫/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৪০ গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৭/৩১ গতে ১০/২/১১ মধ্যে, কালবেলা ১০/২/১১ গতে ১১/৩৬/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৬/১১ গতে ১০/১১/৩১ মধ্যে। 
১৩ শাবান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম। বৃষ: প্রেমে সফলতা প্রাপ্তি। মিথুন: শ্বশুরবাড়ির সূত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম ...বিশদ

07:03:20 PM

কেকেআরকে ২১৪ রানের টার্গেট দিল বেঙ্গালুরু  

09:44:38 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ১২২/২(১৫ ওভার) 

09:14:28 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ৭০/২(১০ ওভার) 

08:53:00 PM

টসে জিতে ফিল্ডিং নিল কেকেআর

07:35:32 PM