Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দলগুলির ইস্তাহারে রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা
ভবিষ্যতে সংকট ডেকে আনবে না তো?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। আমাদের রাজ্যে তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপি এবং কংগ্রেস চতুর্মুখী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে চার শিবিরের প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারগুলির তূলনামূলক পর্যালোচনা থেকে বেরিয়ে আসছে যে, প্রতিটি শিবিরই নাগরিকদের আরও বেশি করে রাষ্ট্রমুখী করতে চাইছে। বাম, কংগ্রেস, বিজেপি এবং তৃণমূল—এই চার শিবির থেকে প্রকাশিত ইস্তাহারে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা প্রকল্প প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উদারীকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়নের প্রভাবে অনেকেই মনে করেছিলেন রাষ্ট্রের ভূমিকা বুঝি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে এবং বেসরকারিকরণের মাধ্যমে নাগরিকদের পুরোপুরি বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই চার রাজনৈতিক পক্ষের নির্বাচনী ইস্তাহারে অনেক বেশি রাষ্ট্র নির্ভরতা প্রকাশিত হয়েছে। কৃষক থেকে শ্রমিক, স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা—সর্বক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থা অপেক্ষায় রাষ্ট্রের ভূমিকাকে আরও সক্রিয় করবার প্রতিশ্রুতি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে রয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনের প্রাক্কালে ভোটারদের সামনে নানা প্রতিশ্রুতি হাজির করে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের মাধ্যমে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক মহলে যে প্রশ্নগুলি ঘুর-পাক খায় তা হল—কতজন ভোটার নির্বাচনী ইস্তাহার পড়ে ভোট দান করেন? নির্বাচনী ইস্তাহারগুলি ভোটারের কাছে আদতেও পৌঁছায় কি? যদিও বা পৌঁছায় ভোটাররা সেই ইস্তাহার পড়েন কি? নির্বাচনী ইস্তাহারের মাধ্যমে ভোট দাতাদের প্রভাবিত করা যায় কি? ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক দলগুলি কতটুকু কার্যকর করেন?
বাস্তবে নির্বাচনী ইস্তাহার পর্যালোচনা করে আদতেও ভোটাররা ভোট দেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে দলের তরফ থেকে প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহার কর্মী সমর্থকদের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারের কাছে প্রচারিত হয়। দলের তরফে স্থানীয় স্তরের নেতাদের ভাষণে দলের ঘোষিত ইস্তাহারের বিষয়গুলি স্থান পায়। এছাড়া, আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও দলের ইস্তাহারের বিষয়বস্তু ভোটারদের কাছে পৌঁছায়। বেশিরভাগ দল পেশাদার সংস্থাগুলিকে দিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে নির্বাচনী ইস্তাহার পুস্তিকা প্রকাশ করে থাকে। আজকাল ইস্তাহারের বিষয়বস্তুর ব্র্যান্ডিং-এর ওপর ইস্তাহারের গ্রহণযোগ্যতা বা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে।
ইন্দিরা গান্ধীর ‘গরিবি হঠাও’ স্লোগান ১৯৭১-এর নির্বাচনে দলের জয়ের পিছনে অন্যতম কারণ ছিল। আবার ১৯৮৯ সালে বিজেপি’র ইস্তাহারে রামমন্দির ইস্যুর প্রভাব ওই নির্বাচনে যথেষ্ট পড়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি’র ইস্তাহারে কালোটাকা উদ্ধারের বিষয়টি ভোটারদের যথেষ্ট প্রভাবিত করেছিল বলে মনে করা হয়। এবার বিজেপি’র ইস্তাহারকে ‘সংকল্প পত্র’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এই সংকল্প পত্রে ৭৫টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এতে ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা, গরিব কৃষকদের বার্ষিক ছয় হাজার টাকা প্রদান, ষাটোর্ধ্ব কৃষকদের পেনশন প্রদান প্রকল্প যেমন রয়েছে, তেমনি আছে সংসদীয় ব্যবস্থায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়। জিএসটিকে সরল করা, রপ্তানি দ্বিগুণ করা, আগামী পাঁচ বছরে ৫০টি উৎকর্ষ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, ৭৫টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল করা, উচ্চশিক্ষায় এক লক্ষ কোটি টাকা কৃষিক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা, বিনিয়োগের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিজেপি’র একের পর এক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ভূমিকায় ব্যাপক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি’র প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় চমক ‘ন্যায়’ প্রকল্পের ঘোষণা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা ৫ কোটি পরিবারের জন্য মাসে ছয় হাজার টাকা করে বছরে ৭২ হাজার টাকা প্রদানের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এই ৫ কোটি পরিবারকে বছরে ৭২ হাজার টাকা দিতে গেলে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার জোগান নিশ্চিত করতে হবে। এত বিপুল পরিমাণ টাকার জোগান কীভাবে হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী পক্ষ। অর্থনীতিবিদরা রাহুল গান্ধীর এই ন্যায় প্রকল্প নিয়ে যে সমস্ত প্রশ্ন তুলছেন তার মধ্যে অন্যতম হল আমাদের দেশে পরিবার পিছু আয়ের কোনও তথ্য নেই। ফলে, কীসের ভিত্তিতে মাসে ৬ হাজার টাকা করে বছরে ন্যূনতম ৭২ হাজার টাকা কতজন পরিবারকে প্রদান করা হবে? সারা দেশে পারিবারিক স্তরে আয় নির্ধারণ করা সহজসাধ্য বিষয় নয়। উপরন্তু, স্থানীয় স্তরে উপযুক্ত তথ্য না থাকায় আয়ের শংসাপত্র প্রদানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতির জন্ম নিতে পারে। পাশাপাশি মানুষকে সক্ষম করবার পরিবর্তে আরও বেশি করে সরকারমুখী করে তুলতে পারে এই ন্যায় প্রকল্প। কংগ্রেস দল ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রে ৪ লক্ষ এবং রাজ্য স্তরে ২০ লক্ষ সরকারি পদ পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ৮ মাস ধরে নানান আলোচনার মাধ্যমে যে ইস্তাহার কংগ্রেসের তরফ থেকে তৈরি করা হয়েছে তাতে কৃষিঋণ মকুব থেকে স্বাস্থ্যের অধিকার প্রদান এবং শিক্ষায় জিডিপি’র ৬ শতাংশ বরাদ্দ করবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত কিছুই রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান ভূমিকার দিকে ইঙ্গিত করছে। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের তরফ থেকে যে ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছে তার প্রতিটি ছত্রে জনকল্যাণকর রাষ্ট্রও গঠনের উদ্যোগ প্রতিফলিত হচ্ছে। তৃণমূলের ইস্তাহারে বলা হয়েছে দিল্লিতে যে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠিত হবে সেই সরকারের মূল লক্ষ্য হবে ১০০ দিনের কাজকে ২০০ দিন করে ভাতা দ্বিগুণ করা। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা, কৃষকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা, শিক্ষাক্ষেত্রে জিডিপি ৬ শতাংশ ব্যয় নিশ্চিত করা, নীতি আয়োগের অবসান ঘটিয়ে যোজনা কমিশনকে ফিরিয়ে আনা, মহিলাদের ক্ষমতায়নে জোর দেওয়া, প্রয়োজনে জিএসটি’র সংস্কার সাধন করা, নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা ইত্যাদি বিষয়। আবার বামেদের ইস্তাহারে রাষ্ট্রের ভূমিকা যে অধিক গুরুত্ব পাবে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রায় ৫০-৬০ দশকের কায়দায় বামেরা এবারও তাদের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। ধনীদের উপর কর আরোপ করে সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে বামেরা। ১০০ দিনের কাজের ঊর্ধ্বসীমা ২০০ দিন করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে বামেদের ইস্তাহারে। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিতে পিছিয়ে পড়া জাতির সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছে বামেরা। কেন্দ্রে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার গঠন তাদের লক্ষ্য। বামেরা তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি মাসে ১৮ হাজার টাকা করবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মতন যোজনা কমিশনকে ফিরিয়ে আনবার পক্ষে বামেরা। বামেদের ইস্তাহারে সামাজিক ক্ষেত্রে ন্যূনতম খরচ বেঁধে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ খরচ করবার ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রের ভূমিকার কথা ইস্তাহারে উঠে এসেছে।
সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে বিজেপি’র জিরো টলারেন্স, সব পক্ষের সহমতে রামমন্দির নির্মাণ, সবরিমাল বিশ্বাস ও ধর্মীয় আস্থাকে সাংবিধানিক সুরক্ষা, সন্ত্রাসে মদত দেওয়া দেশ ও সংস্থাকে একঘরে করা, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চালু করা, জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানে ৩৭০ ধারা বিলোপের মতন বিষয় স্থান পেলেও সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক বিষয়গুলি নিয়ে দলের ৫৫ পাতার ইস্তাহারে খুব কম জায়গা পেয়েছে। দুর্নীতি দমন নিয়ে নতুন কোনও পথ বিজেপি’র ইস্তাহারে যেমন স্থান পায়নি, তেমনি বহুত্ববাদী ভাবনা সংরক্ষণে দলের চিন্তা ভাবনায় স্পষ্ট কোনও রূপরেখা নেই। বিগত পাঁচ বছরে নোটবন্দি, জিএসটি এবং কৃষক অসন্তোষের মতো বিষয়গুলিকে প্রলেপ দেওয়ার জন্য নানা প্রকল্পের কথা ইস্তাহারে থাকলেও স্থায়ী কর্ম সংস্থান বিষয়ে দল কোনও নতুন দিশা দেখাতে পারেনি। অন্যদিকে কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচনী তহবিল থেকে রাজনৈতিক দলগুলিকে অর্থ বণ্টনের প্রতিশ্রুতি, নতুন চেহারায় জিএসটিকে আনা, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন প্রত্যাহার, কৃষিঋণ শোধ দিতে না পারলে ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ মামলা না করার মতন প্রতিশ্রুতি প্রদান করলেও সমাজ জীবন থেকে দুর্নীতি মুক্তির কোনও পথ দেখাতে পারেনি কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে। সরকারের স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং দুর্নীতিদমনের প্রশ্নে তৃণমূল এবং বামেদের নির্বাচনী ইস্তাহারেও স্পষ্ট কোনও রোড ম্যাপ নেই।
চার প্রতিপক্ষই তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেও নাগরিকদের ক্ষমতায়নের সুনির্দিষ্ট কোনও ভাবনা ইস্তাহারে রাখতে পারেনি। বিগত এক দশকের অভিজ্ঞতা বলছে, উন্নয়নের মাধ্যমে শাসকদল নাগরিকদের তাদের নিজস্ব ভোটার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। উন্নয়নের মাধ্যমে গড়ে তুলতে চাইছে স্থায়ীভাবে ‘এক ধরনের ‘প্যাট্রন ক্লায়েন্ট’ সম্পর্ক। উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকদের সম্পর্ক ‘দাতা-গ্রহীতা’ পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে। পাশাপাশি এই প্রশ্নটাও উঁকি মারছে অর্থনীতির ব্যাকরণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাষ্ট্র যেভাবে অসংখ্য কর্মসূচিতে আবদ্ধ হচ্ছে তাতে আগামী দিনে কোনও বৃহৎ আর্থিক সংকট আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে না তো? জনপ্রিয় রাজনীতির বিপদ নিয়েও আমাদের সজাগ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বটে।
লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
14th  April, 2019
মধ্যবিত্তের ভোটচর্চা 

সমৃদ্ধ দত্ত: ভোট নিয়ে সবথেকে বেশি গল্প কারা করে? মধ্যবিত্ত। ভোট নিয়ে সারাদিন বন্ধুবান্ধব আর পরিচিতদের সঙ্গে ঝগড়া কারা করে? মধ্যবিত্ত। যে নেতানেত্রীরা তাঁদের চেনেনই না, তাঁদের হয়ে জানপ্রাণ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছোটবেলার বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজন অথবা পরিচিত ফ্যামিলি ফ্রেণ্ডকে আক্রমণ করে কারা? মধ্যবিত্ত।  বিশদ

কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কিছু সহজ প্রশ্ন
শুভময় মৈত্র

সপ্তদশ লোকসভা গঠনের লক্ষ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেল ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। সাত দফায় চলবে এই ভোট, ১৯ মে পর্যন্ত। তারপর ২৩ তারিখ ভোটফল। মোদি সরকার আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে কিনা সেটাই এবারের মূল প্রশ্ন। আপাতত বিভিন্ন সমীক্ষা যা খবর দিয়েছে তাতে সেই আশা একেবারে অলীক নয়।
বিশদ

18th  April, 2019
সেই প্রশ্নগুলির জবাব মিলছে না কেন?
মোশারফ হোসেন 

দেশজুড়ে রাজনীতির ময়দানে এই মুহূর্তে গনগনে আঁচ। রাজনীতির মাটি গরম। রাজনীতির বাতাস গরম। কারণ দেশে ভোট যে শুরু হয়ে গিয়েছে! ভোটগ্রহণ সব মিলিয়ে সম্পন্ন হবে সাত দফায়।  
বিশদ

16th  April, 2019
দুটি ইস্তাহারের গল্প
পি চিদম্বরম

গত ৮ এপ্রিল বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হল কোনও প্রকার তূর্যনিনাদ ছাড়াই। বিজেপির পক্ষে এই যে নম্রতা একেবারে অস্বাভাবিক! বিজেপির নরম হওয়ার অনেক কারণ ছিল। 
বিশদ

15th  April, 2019
লোকসভা ২০১৯: বাংলার ভোটে
মমতাভক্তি ঠেকানো যাবে?
শুভা দত্ত

যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। ভোটযুদ্ধ ২০১৯। আগামী লোকসভার দখল কে নেবেন, আগামী পাঁচ বছর কার হাতে থাকবে দেশ-শাসনের ভার তার ফয়সালা হবে এই যুদ্ধের ময়দানে। গত বৃহস্পতিবার এ রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশে শুরু হয়ে গেল সেই যুদ্ধ।
বিশদ

14th  April, 2019
জাতীয়তাবাদ আজ যে কানাগলিতে
নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী

 জ্যাক বারজুঁ (Jacque Barzun) ১৯৭২ সালে একুশ শতকে সন্ধান করার সময় যে, কথাটা বলেছিলেন, সেটা আজ এই সাতচল্লিশ বছর পর এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রযত্নে যে এমন সত্য হয়ে উঠবে, এটা কে জানত? জ্যাক বারজুঁ এক অ্যামেরিকান ঐতিহাসিক, যিনি বাহাত্তর সালে বলেছিলেন যে, অতীতের রাজনৈতিক ‘বাদ’ (ism) যা যা বোঝাত, সেইরকম কোনও ‘বাদ’ টিকে না থাকলেও একমাত্র জাতীয়তাবাদ অতি অদ্ভুতভাবে টিকে আছে।
বিশদ

13th  April, 2019
ছুটির ফাঁদে
অতনু বিশ্বাস

 ছুটির ফাঁদে পড়েছে সূর্যোদয়ের দেশটা। জাপান। হঠাৎ করে পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মত দশদিনের অতিরিক্ত ছুটি জুটেছে জাপানিদের। আর সেই ছুটি নিয়ে করবেটা কী, তা বুঝতেই পারছে না হোক্কাইডো থেকে হাটেরুমা পর্যন্ত সকল জাপানবাসী।
বিশদ

13th  April, 2019
ভোটে জিততে হাতিয়ার যখন বিজ্ঞাপন
মৃণালকান্তি দাস

‘পেটিএম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর এবার পরশ বিন্দিতেও।’ ট্যুইটারে এমনই কটাক্ষ করেছিলেন রায়গঞ্জের বামপ্রার্থী মহম্মদ সেলিম। গাঁয়ে-গঞ্জে মহিলাদের টিপের পাতাতেও মোদির ছবি ছাপিয়ে বিজেপির এমন অভিনব নির্বাচনী প্রচার এর আগে কোনওদিন দেখেনি এই বাংলার মানুষ। শুধু কী তাই! নমো ব্র্যান্ডের টিশার্ট, কাপ, নোটবুক সবেতেই মোদি।
বিশদ

12th  April, 2019
নির্বাচনে কৃষক-শ্রমিকের রায় কার পক্ষে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪২টি আসনই গ্রামীণ ভারতের অন্তর্গত। এই ৩৪২টি আসনে প্রায় ৬০ কোটির কাছাকাছি ভোটারের ৭০ ভাগই কৃষিজীবী মানুষ। অন্যদিকে, দেশের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৫৭টি আসন পুরোপুরি শহরকেন্দ্রিক। বাকি ১৪৪টি আসন আধা-শহর, আধা-গ্রাম বিশিষ্ট।  
বিশদ

11th  April, 2019
রাজনীতির উল্টো ফুটে এক আশ্চর্য বালক
হারাধন চৌধুরী 

এক হাতে একটি মৃত মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে দশ টাকার একটি নোট। একজন কাঁদো কাঁদো মুখ করে ছুটে যাচ্ছে। হাত দুটি, পা দুটি খুব ছোট তার। কারণ, মানুষটিও ছোট খুব। মাত্র ছ’বছরের ছেলে।  
বিশদ

09th  April, 2019
কংগ্রেসের ইস্তাহার বিজেপিকে
লড়াইতে টেনে এনেছে
পি চিদম্বরম

চুয়ান্ন পৃষ্ঠার একটা নথি যেন পায়রাদের মধ‌্যে‌ শিকারি বেড়াল দর্শনের ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখানে বিজেপি হল একদল পায়রা—৫৬ ইঞ্চি বুকের পাটার দম্ভ এখানে ভুলে যান—কংগ্রেসের ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ হতেই বিজেপি যেভাবে ফিটের রোগীর মতো আচরণ করছে তাতেই এর প্রমাণ।
বিশদ

08th  April, 2019
বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী
মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?

শুভা দত্ত

 ভোটযুদ্ধের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। দেশের আসমুদ্রহিমাচল প্রচার-অপপ্রচারের ঢেউয়ে উত্তাল। যুযুধান পক্ষগুলির মন্ত্রী-সান্ত্রী-সেনাপতি থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতানেত্রী নাওয়া-খাওয়া ভুলে চড়া রোদের তাপ উপেক্ষা করে দেশজনতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন।
বিশদ

07th  April, 2019
একনজরে
  সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: বৃহস্পতিবার নির্বিঘ্নে ই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল মেখলিগঞ্জ মহকুমায়। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার দু’টি ব্লক মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে পড়েছে। ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বৃহস্পতিবার নবদ্বীপের গ্রামীণ এলাকায় রোড-শো করে ভোটপ্রচার করলেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এদিন সকাল ৮টা থেকে হুডখোলা জিপে চেপে মায়াপুর থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। বাইকে চেপে প্রচুর কর্মী-সমর্থক প্রার্থীর সঙ্গে রোড-শোয়ে শামিল হন। ...

 নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল: দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পান্ডিয়া ব্রাদার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৫ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। পঞ্চম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ২৬ বলে তোলেন ৫৪ রান। হার্দিক ১৫ বলে দু’টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার ...

নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল (পিটিআই): অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী ক্রিশ্চিয়ান মিচেলের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। পরিবারের সঙ্গে ইস্টার উৎসব উদযাপন করতে সাতদিনের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছিলেন মিচেল।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু,
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার,
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম,
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু,
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২ 

17th  April, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৬ টাকা ৯২.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.০৭ টাকা ৮০.০২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৩৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৩২ অপঃ ৪/৪২। চিত্রা ৩৫/৩০ রাত্রি ৭/৩০। সূ উ ৫/১৭/৩৬, অ ৫/৫৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে অস্তাবধি, বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
প্রাচীন পঞ্জিকা: ৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৪৩/৪৯ অপঃ ৪/৪৭/৪৩। চিত্রানক্ষত্র রাত্রি ৩৬/২৭/৩৮ রাত্রি ৭/৫৩/১৪, সূ উ ৫/১৮/১১, অ ৫/৫৫/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৪০ গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৭/৩১ গতে ১০/২/১১ মধ্যে, কালবেলা ১০/২/১১ গতে ১১/৩৬/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৬/১১ গতে ১০/১১/৩১ মধ্যে। 
১৩ শাবান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম। বৃষ: প্রেমে সফলতা প্রাপ্তি। মিথুন: শ্বশুরবাড়ির সূত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম ...বিশদ

07:03:20 PM

কেকেআরকে ২১৪ রানের টার্গেট দিল বেঙ্গালুরু  

09:44:38 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ১২২/২(১৫ ওভার) 

09:14:28 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ৭০/২(১০ ওভার) 

08:53:00 PM

টসে জিতে ফিল্ডিং নিল কেকেআর

07:35:32 PM