Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটে জিততে হাতিয়ার যখন বিজ্ঞাপন
মৃণালকান্তি দাস

‘পেটিএম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর এবার পরশ বিন্দিতেও।’ ট্যুইটারে এমনই কটাক্ষ করেছিলেন রায়গঞ্জের বামপ্রার্থী মহম্মদ সেলিম। গাঁয়ে-গঞ্জে মহিলাদের টিপের পাতাতেও মোদির ছবি ছাপিয়ে বিজেপির এমন অভিনব নির্বাচনী প্রচার এর আগে কোনওদিন দেখেনি এই বাংলার মানুষ। শুধু কী তাই! নমো ব্র্যান্ডের টিশার্ট, কাপ, নোটবুক সবেতেই মোদি। ট্রেনের টিকিটে মোদির ছবি থেকে বিমানের বোর্ডিং পাসেও মোদির ছবি— সব বিষয়েই বার বার নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি রেলের চায়ের কাপ নিয়েও বিতর্ক চরমে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি কাপের ছবি। কাঠগুদাম শতাব্দী এক্সপ্রেসে ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ লেখা সেই কাপে চা পরিবেশন করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে রেল ও অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে নোটিস পাঠাতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। পরে অবশ্য রেলের তরফে সেই কাপ তুলে নেওয়া হয়। কন্ট্রাক্টরকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টিকে ‘অনিচ্ছাকৃত ও অসাবধানতাবশত একটা ভুল’ বলে স্বীকার করে নেওয়া হয় মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। কেউ বলছেন, ভোট বাজারে বিজেপির প্রচারের অস্ত্র হয়ে উঠেছে ‘ব্র্যান্ড নমো’, ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’। জনসংযোগের অভিনব কৌশল তো বটেই।
আসলে ভোট বাজারের বিপণন কৌশল নরেন্দ্র মোদি নিজের হাতের তালুর মতো বোঝেন। এমনটা মনে করেন তাঁর প্রতিপক্ষরাও। ব্র্যান্ড মোদিকে কীভাবে প্রচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হয়, সেটা তাঁর নখদর্পণে। মোদিই মুখ, তিনিই ভরসা। নানা বিতর্কে বিদ্ধ বিজেপি লোকসভা নির্বাচনের রণতরী সাজিয়েছে সেই নরেন্দ্র মোদিকেই কাণ্ডারী করে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হটকেকের মত বিকোচ্ছে মোদি নামাঙ্কিত হুডি, কফি মগ, শাড়িও। ভোট ঘোষণার আগেই একের পর বিজেপি সংসদ সদস্য যখন ‘নমো এগেইন’ লেখা হুডি পড়ে ভরিয়ে তুলেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল, তখন পাল্লা দিয়ে তাঁদের সেই পোস্টে কমেন্ট করছেন, রিট্যুইট করছেন স্বয়ং মোদি। উদ্দেশ্য অবশ্যই পরিষ্কার। নিজের ব্র্যান্ডের প্রচার। ‘নমো’ অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদি। এই নাম যেভাবে পারো, যত পারো, ছড়িয়ে দাও। পৌঁছে দাও বাড়ির শোয়ার ঘর পর্যন্ত। তা সে পুরনো দিনের মতো প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন-ব্যানারেই হোক বা আধুনিক প্রযুক্তি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুক-ট্যুইটারের মতো বিস্তীর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। সর্বত্র বিজেপির প্রচারের প্রধান ‘মুখ’ করে তোলো মোদিকেই। এই কৌশল দেশের যুব সম্প্রদায়কে আকর্ষিত করবে, যার প্রভাব পড়বে ভোট বাক্সে। এমনই আশা গেরুয়া শিবিরের।
ধরুন, ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’-এর প্রচারের গল্পটাই। ২০১৪-য় ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখে বার বার শোনা গিয়েছে দু’টি শব্দ। ‘চৌকিদার’ ও ‘প্রধান সেবক’। রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হতেই কংগ্রেসের তরফে কটাক্ষ শুরু হয় ‘চৌকিদার’ শব্দটি নিয়ে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়।’ লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেস সভাপতির ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানের পাল্টা জবাব দিতে নতুন স্লোগান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’। সঙ্কটে তিনিই দেশের ‘পরিত্রাতা’ বোঝাতে ওই স্লোগান দিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ট্যুইটে। সেই ভিডিওতে রয়েছে একটি গান। আর সেই গানের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীকে কখনও দেখা যাচ্ছে কোনও জনসমাবেশে, কখনও বা কোনও যুদ্ধের ট্যাঙ্কের উপরে। নানা রকমের কর্মকাণ্ডে। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলতে দেখা যাচ্ছে, ‘আপনাদের পাহারা দেওয়ার জন্য দেশের সেবার জন্য এই চৌকিদার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গানের সুরে সুর মিলিয়ে আমজনতাও বলছে ‘ম্যায় ভি চৌকিদার হুঁ’। ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে করা সেই ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, ‘আমি একা নই। যাঁরাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছেন, সমাজের কলুষ, ত্রুটিবিচ্যুতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁরা সকলেই চৌকিদার। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যাঁরা লড়াই করে চলেছেন, তাঁরাও চৌকিদার। আজ প্রতিটি ভারতীয় নাগরিক বলছেন, ম্যায় ভি চৌকিদার।’ ব্যস! রাতারাতি ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ হয়ে গেল এই লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার। বিজেপির সব নেতা-কর্মীর নামের আগে এখন একটাই বিশেষণ। ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’!
বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন, চৌকিদার তো তারাই— যারা কোটি কোটি টাকার মালিক। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর)-এর তথ্য বলছে, গত লোকসভা ভোটে জয়ী ৫২১ জন সদস্যের হলফনামা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৮৩ শতাংশ সাংসদই কোটিপতি! ৫২১ জনের মধ্যে কোটিপতি সাংসদ ৪৩০ জন। এঁদের মধ্যে বিজেপির সদস্য হলেন ২২৭, কংগ্রেসের ৩৭, তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে দলের ২৯ এবং বাকিরা অন্য দলের কিংবা নির্দল সদস্য। এই সদস্যদের মধ্যে ৩২ জন রয়েছেন যাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকারও বেশি। লোকসভার মোট সদস্য ৫৪৩ জন। এডিআরের হিসেব অনুযায়ী সদস্যদের গড় সম্পত্তি দাঁড়াচ্ছে ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। ওই ৫২১ সদস্যের মধ্যে মাত্র ২ জন রয়েছেন যাঁদের সম্পত্তির মূল্য ৫ লাখেরও কম।
বিজ্ঞাপন প্রচারের শুরুটা হয়েছিল অনেক আগেই। গত ২৪ ডিসেম্বর গুজরাতের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নমো পণ্য বিক্রির অনলাইন পোর্টাল চালু করে। যারা দাবি করেছে যে এসব পণ্য হচ্ছে নমো মন্ত্রের পণ্য। তাদের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘নরেন্দ্র মোদি ইন্সপায়ার্ড প্রোডাক্টস আর দ্য ওয়ে টু সে হোয়াট ইউ স্ট্যান্ড ফর’। যার বাংলা দাঁড়ায় ‘আপনার মূল্যবোধকে তুলে ধরার উপায় হচ্ছে সেই সব পণ্য, যেগুলো তৈরি হয়েছে নরেন্দ্র মোদির চেতনায়’। মোদি কুর্তা, মোদি জ্যাকেট এবং মোদি টি-শার্টের পর এবার বাজারে নামানো হয়েছে মোদি শাড়িও। সাধারণ শাড়ির উপর ডিজিটাল প্রিন্টারের মাধ্যমে বসানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখাবয়ব। আর এই শাড়িই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা দেশে।
নমো-কে ‘বিকাশ পুরুষ’ বা প্রগতির পুরুষ হিসেবে তুলে ধরার প্রচারে মূলধারার প্রচারমাধ্যম বা দলীয় সমর্থকদের সভা-সমাবেশ ছাড়াও নতুন মাধ্যমগুলোর ভূমিকাও কম নয়। নির্বাচনী বৈতরণী পার করাতে শাসকদলের প্রধান হাতিয়ার মোদির বিজ্ঞাপনের জন্য বিজেপি হাতছাড়া করেনি বলিউডকেও। যদিও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। বিরোধীদের আপত্তির জেরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে মুক্তি পায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মজীবনী নিয়ে সিনেমা ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি।’ তবে এরই মধ্যে একটি নতুন টিভি চ্যানেলের জন্ম হয়েছে। নয়া চ্যানেলটির নাম ‘নমো টিভি’। একটি চব্বিশ ঘণ্টার স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল। আর কেউ নয়, চ্যানেলের বিষয়বস্তু শুধুমাত্র সেই তিনিই। খোদ নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। যে চ্যানেলের সম্ভবত কোনও বৈধ অনুমতিপত্র নেই। এবং যাকে নিয়ে আচারবিধির বাধ্যবাধকতায় সামান্য কদিন জলঘোলা হল বটে, কিন্তু আটকানো যায়নি। নির্বাচন কমিশনের উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে— নমো টিভি কোনও সংবাদ চ্যানেল নয়, একটি বিজ্ঞাপনী প্ল্যাটফর্ম মাত্র। যা প্রচারের জন্য ডিটিএইচ পরিষেবা সংস্থাগুলির কোনও সরকারি ছাড়পত্র প্রয়োজন হয় না। গত ৩১ মার্চ থেকে ডিটিএইচ পরিষেবার গ্রাহকদের কাছে এই চ্যানেল লভ্য। ফেসবুকে নমো টিভির পেজে ফলোয়ার সংখ্যা ইতিমধ্যে পনেরো লাখ। যাকে বলে বিজ্ঞাপনের আধুনিকীকরণ!
কী দেখানো হচ্ছে নমো টিভিতে? প্রধানমন্ত্রী মোদির ২০১৯-এর সবকটি নির্বাচনী প্রচারের সরাসরি সম্প্রচার। প্রতিটি জনসভা থেকে লাইভ। বিভিন্ন নির্বাচনী মঞ্চে মোদির গা-গরম করা পুরনো বক্তৃতা। গত লোকসভায় নানা সেশনে মোদিজির ভাষণ। এনডিএ সরকারের সাফল্যের নানা পরিসংখ্যান। মাঝে মাঝে যোগব্যায়াম, দু’একটি সিনেমা। মোদিময় এই চ্যানেলে মাঝে মাঝে অন্য নেতার মুখও যে ভেসে উঠছে না তা নয়, ঘুরেফিরে আসছে জিএসটি নিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ভাষণ, রাজনাথ সিং, অমিত শাহের রোড শো। সদ্য বাজারে আসা এই ‘নমো টিভি’, ‘নরেন্দ্র মোদি’ মোবাইল অ্যাপ, যা ইতিমধ্যেই প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড হয়ে গিয়েছে ১ কোটিরও বেশি হ্যান্ডসেটে। প্লে-স্টোরে থাকা অ্যাপের ভাঁড়ারে উঁকি দিলে গুনে শেষ করা যাবে না মোদির নাম ব্যবহার করে তৈরি করা অ্যাপের সংখ্যা। কোনওটিতে রয়েছে মোদির সঙ্গে সেলফি বা ছবি তোলার যান্ত্রিক কায়দা, কোনওটিতে মোদির জনপ্রিয় উক্তির সঙ্কলন, তো কোনওটিতে শুধুই বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরানোর ডাক। এই সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন।
ইন্টারনেট সমীক্ষক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্ডিয়ার সমীক্ষা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখের পর থেকে শুধুমাত্র গুগলকে বিজ্ঞাপন বাবদ রাজনৈতিক দলগুলি দিয়েছে ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। যার এক তৃতীয়াংশই দিয়েছে বিজেপি। মোট ৫৫৪টি বিজ্ঞাপনে বিজেপি খরচ করেছে ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। গুগলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিরিখে গেরুয়া শিবিরের ধারে কাছে নেই কংগ্রেস-সহ অন্য জাতীয় দলগুলি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রধান বিরোধী দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস। তাঁরা খরচ করেছে মোট, ১ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। গুগলকে দেওয়া বিজ্ঞাপনের নিরিখে কংগ্রেস রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। মাত্র ৫৪ হাজার ১০০ টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে রাহুল গান্ধীর দল। এবছর অবশ্য বিজ্ঞাপন নিয়ে বেশ কড়াকড়ি করেছে গুগল। টাকা দিলেই বিজ্ঞাপন দেওয়া যাচ্ছে না। সেজন্য প্রয়োজন পড়ছে নির্বাচন কমিশনের অনুমতির।
আসলে, নবীন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার সেরা মাধ্যম যে সোশ্যাল মিডিয়াই, তা অনেক আগেই টের পেয়েছিল বিজেপি। দলীয় অনুমোদনে ও ভোট-রাজনীতির স্বার্থে একজন নেতার ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ চরিত্রায়নে অন্যায় নেই ঠিকই। এও ঠিক, ভারতের মতো অর্ধপক্ব রাজনৈতিক সংস্কৃতির দেশে, যেখানে ক্যারিশমার মোহ থেকে আজও বেরতে পারেননি দেশের ভোটাররা। আজও এ দেশের ভোটাররা আগমার্কা গণতন্ত্রের খোঁজ করেন না, এই দেশ একজন সার্জিকাল স্ট্রাইকার চায়। সেটাও জানে বিজেপি। অতএব, গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ল নয়া বিজ্ঞাপন। ‘‌মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’‌— মোদি থাকলে সবই সম্ভব।
লোকসভা ভোটের মুখে ৫০৯ শব্দের এক বিস্ফোরক ব্লগে বিজেপির উদ্দেশ্যেই বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি। যার শিরোনাম ছিল: দেশ আগে, দল তার পরে, ব্যক্তি সব শেষে। ‘ব্রাত্য’ আদবানিকে নিজের ঢঙেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে ভোলেননি মোদি। হয়তো তিনি ভালো করেই জানেন, ব্র্যান্ড মোদির অবিসংবাদী নির্মাণের পথে সব কাঁটাগুলি ইতিমধ্যে উপড়ে ফেলা গিয়েছে, এগুলি তাদের মধ্যে একটি-দু’টির শেষ মরণখোঁচা মাত্র। দলের মার্গদর্শন নিয়ে এসব আপ্তবাক্যে তাঁর আর প্রয়োজন নেই। কারণ, দেশ ও দল ব্র্যান্ড মোদিতে এসে মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে। তিনিই এখন এ দেশের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা!
২০১৪ নির্বাচনেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিল গেরুয়া শিবিরের প্রচারের মূল অস্ত্র। স্লোগান উঠেছিল, ঘর ঘর মোদি। এবারেও সেই একই পথে দিল্লি জয়ের প্রচেষ্টায় বিজেপি। আর আপাতদৃশ্যে মনে হচ্ছে, বিজেপির প্রচার-কুশীলবদের রি-ব্র্যান্ডিং অভিযানের তোড়ে বিরোধীদের রাজনৈতিক প্রশ্নগুলো হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে। ভোটের ময়দানে এই বাংলার মাটিতে মোদিকে একমাত্র টক্কর দিচ্ছেন সেই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। কটাক্ষ করে বলেছেন,
দেশের প্রধানমন্ত্রী কাজের চেয়ে এখন বেশি নিজের বিজ্ঞাপন করেন।
12th  April, 2019
মধ্যবিত্তের ভোটচর্চা 

সমৃদ্ধ দত্ত: ভোট নিয়ে সবথেকে বেশি গল্প কারা করে? মধ্যবিত্ত। ভোট নিয়ে সারাদিন বন্ধুবান্ধব আর পরিচিতদের সঙ্গে ঝগড়া কারা করে? মধ্যবিত্ত। যে নেতানেত্রীরা তাঁদের চেনেনই না, তাঁদের হয়ে জানপ্রাণ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছোটবেলার বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজন অথবা পরিচিত ফ্যামিলি ফ্রেণ্ডকে আক্রমণ করে কারা? মধ্যবিত্ত।  বিশদ

কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কিছু সহজ প্রশ্ন
শুভময় মৈত্র

সপ্তদশ লোকসভা গঠনের লক্ষ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেল ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। সাত দফায় চলবে এই ভোট, ১৯ মে পর্যন্ত। তারপর ২৩ তারিখ ভোটফল। মোদি সরকার আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে কিনা সেটাই এবারের মূল প্রশ্ন। আপাতত বিভিন্ন সমীক্ষা যা খবর দিয়েছে তাতে সেই আশা একেবারে অলীক নয়।
বিশদ

18th  April, 2019
সেই প্রশ্নগুলির জবাব মিলছে না কেন?
মোশারফ হোসেন 

দেশজুড়ে রাজনীতির ময়দানে এই মুহূর্তে গনগনে আঁচ। রাজনীতির মাটি গরম। রাজনীতির বাতাস গরম। কারণ দেশে ভোট যে শুরু হয়ে গিয়েছে! ভোটগ্রহণ সব মিলিয়ে সম্পন্ন হবে সাত দফায়।  
বিশদ

16th  April, 2019
দুটি ইস্তাহারের গল্প
পি চিদম্বরম

গত ৮ এপ্রিল বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হল কোনও প্রকার তূর্যনিনাদ ছাড়াই। বিজেপির পক্ষে এই যে নম্রতা একেবারে অস্বাভাবিক! বিজেপির নরম হওয়ার অনেক কারণ ছিল। 
বিশদ

15th  April, 2019
লোকসভা ২০১৯: বাংলার ভোটে
মমতাভক্তি ঠেকানো যাবে?
শুভা দত্ত

যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। ভোটযুদ্ধ ২০১৯। আগামী লোকসভার দখল কে নেবেন, আগামী পাঁচ বছর কার হাতে থাকবে দেশ-শাসনের ভার তার ফয়সালা হবে এই যুদ্ধের ময়দানে। গত বৃহস্পতিবার এ রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশে শুরু হয়ে গেল সেই যুদ্ধ।
বিশদ

14th  April, 2019
দলগুলির ইস্তাহারে রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা
ভবিষ্যতে সংকট ডেকে আনবে না তো?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। আমাদের রাজ্যে তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপি এবং কংগ্রেস চতুর্মুখী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে চার শিবিরের প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারগুলির তূলনামূলক পর্যালোচনা থেকে বেরিয়ে আসছে যে, প্রতিটি শিবিরই নাগরিকদের আরও বেশি করে রাষ্ট্রমুখী করতে চাইছে।
বিশদ

14th  April, 2019
জাতীয়তাবাদ আজ যে কানাগলিতে
নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী

 জ্যাক বারজুঁ (Jacque Barzun) ১৯৭২ সালে একুশ শতকে সন্ধান করার সময় যে, কথাটা বলেছিলেন, সেটা আজ এই সাতচল্লিশ বছর পর এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রযত্নে যে এমন সত্য হয়ে উঠবে, এটা কে জানত? জ্যাক বারজুঁ এক অ্যামেরিকান ঐতিহাসিক, যিনি বাহাত্তর সালে বলেছিলেন যে, অতীতের রাজনৈতিক ‘বাদ’ (ism) যা যা বোঝাত, সেইরকম কোনও ‘বাদ’ টিকে না থাকলেও একমাত্র জাতীয়তাবাদ অতি অদ্ভুতভাবে টিকে আছে।
বিশদ

13th  April, 2019
ছুটির ফাঁদে
অতনু বিশ্বাস

 ছুটির ফাঁদে পড়েছে সূর্যোদয়ের দেশটা। জাপান। হঠাৎ করে পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মত দশদিনের অতিরিক্ত ছুটি জুটেছে জাপানিদের। আর সেই ছুটি নিয়ে করবেটা কী, তা বুঝতেই পারছে না হোক্কাইডো থেকে হাটেরুমা পর্যন্ত সকল জাপানবাসী।
বিশদ

13th  April, 2019
নির্বাচনে কৃষক-শ্রমিকের রায় কার পক্ষে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪২টি আসনই গ্রামীণ ভারতের অন্তর্গত। এই ৩৪২টি আসনে প্রায় ৬০ কোটির কাছাকাছি ভোটারের ৭০ ভাগই কৃষিজীবী মানুষ। অন্যদিকে, দেশের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৫৭টি আসন পুরোপুরি শহরকেন্দ্রিক। বাকি ১৪৪টি আসন আধা-শহর, আধা-গ্রাম বিশিষ্ট।  
বিশদ

11th  April, 2019
রাজনীতির উল্টো ফুটে এক আশ্চর্য বালক
হারাধন চৌধুরী 

এক হাতে একটি মৃত মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে দশ টাকার একটি নোট। একজন কাঁদো কাঁদো মুখ করে ছুটে যাচ্ছে। হাত দুটি, পা দুটি খুব ছোট তার। কারণ, মানুষটিও ছোট খুব। মাত্র ছ’বছরের ছেলে।  
বিশদ

09th  April, 2019
কংগ্রেসের ইস্তাহার বিজেপিকে
লড়াইতে টেনে এনেছে
পি চিদম্বরম

চুয়ান্ন পৃষ্ঠার একটা নথি যেন পায়রাদের মধ‌্যে‌ শিকারি বেড়াল দর্শনের ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখানে বিজেপি হল একদল পায়রা—৫৬ ইঞ্চি বুকের পাটার দম্ভ এখানে ভুলে যান—কংগ্রেসের ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ হতেই বিজেপি যেভাবে ফিটের রোগীর মতো আচরণ করছে তাতেই এর প্রমাণ।
বিশদ

08th  April, 2019
বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী
মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?

শুভা দত্ত

 ভোটযুদ্ধের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। দেশের আসমুদ্রহিমাচল প্রচার-অপপ্রচারের ঢেউয়ে উত্তাল। যুযুধান পক্ষগুলির মন্ত্রী-সান্ত্রী-সেনাপতি থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতানেত্রী নাওয়া-খাওয়া ভুলে চড়া রোদের তাপ উপেক্ষা করে দেশজনতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন।
বিশদ

07th  April, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল: দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পান্ডিয়া ব্রাদার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৫ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। পঞ্চম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ২৬ বলে তোলেন ৫৪ রান। হার্দিক ১৫ বলে দু’টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার ...

  সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: বৃহস্পতিবার নির্বিঘ্নে ই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল মেখলিগঞ্জ মহকুমায়। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার দু’টি ব্লক মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে পড়েছে। ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বৃহস্পতিবার নবদ্বীপের গ্রামীণ এলাকায় রোড-শো করে ভোটপ্রচার করলেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এদিন সকাল ৮টা থেকে হুডখোলা জিপে চেপে মায়াপুর থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। বাইকে চেপে প্রচুর কর্মী-সমর্থক প্রার্থীর সঙ্গে রোড-শোয়ে শামিল হন। ...

নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল (পিটিআই): অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী ক্রিশ্চিয়ান মিচেলের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। পরিবারের সঙ্গে ইস্টার উৎসব উদযাপন করতে সাতদিনের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছিলেন মিচেল।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু,
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার,
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম,
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু,
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২ 

17th  April, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৬ টাকা ৯২.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.০৭ টাকা ৮০.০২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৩৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৩২ অপঃ ৪/৪২। চিত্রা ৩৫/৩০ রাত্রি ৭/৩০। সূ উ ৫/১৭/৩৬, অ ৫/৫৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে অস্তাবধি, বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
প্রাচীন পঞ্জিকা: ৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৪৩/৪৯ অপঃ ৪/৪৭/৪৩। চিত্রানক্ষত্র রাত্রি ৩৬/২৭/৩৮ রাত্রি ৭/৫৩/১৪, সূ উ ৫/১৮/১১, অ ৫/৫৫/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৪০ গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৭/৩১ গতে ১০/২/১১ মধ্যে, কালবেলা ১০/২/১১ গতে ১১/৩৬/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৬/১১ গতে ১০/১১/৩১ মধ্যে। 
১৩ শাবান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম। বৃষ: প্রেমে সফলতা প্রাপ্তি। মিথুন: শ্বশুরবাড়ির সূত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম ...বিশদ

07:03:20 PM

কেকেআরকে ২১৪ রানের টার্গেট দিল বেঙ্গালুরু  

09:44:38 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ১২২/২(১৫ ওভার) 

09:14:28 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ৭০/২(১০ ওভার) 

08:53:00 PM

টসে জিতে ফিল্ডিং নিল কেকেআর

07:35:32 PM