সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
সারা দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কার কী র্যাঙ্ক তা সোমবার কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ঘোষণা করেছে। দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা করেন। সামগ্রিকভাবেই এই রাজ্যের আর একটি বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুরের স্থান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরেই। অর্থাৎ ষষ্ঠ স্থানে। প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে প্রথম দশের মধ্যেই আছে যাদবপুর। সামগ্রিক বিভাগের র্যাঙ্কেও কলকাতা ধাপে ধাপে উন্নতি করে এবার দ্বাদশে এবং যাদবপুর তার পুরনো র্যাঙ্ক বজায় রেখে ত্রয়োদশ স্থানে। যদিও, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বিভাগে যাদবপুর দু’ধাপ নীচে নেমে যাওয়ায় এবার তার র্যাঙ্ক হয়েছে চতুর্দশ। কেন এমনটি ঘটল তা খতিয়ে দেখা দরকার। রাজ্যের আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়—বর্ধমান ও কল্যাণীও প্রথম একশো র্যাঙ্কের মধ্যেই আছে। আবার কলেজ বিচারে প্রথম একশোর মধ্যে আছে এই রাজ্যের ছয়টি কলেজ। এই সাফল্য অবশ্যই প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে তুলবে। তবে, যে কারণেই হোক প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম একশোর তালিকায় প্রেসিডেন্সির নাম না-থাকায় তা কিছুটা নিরাশই করল। রাজ্যের শিক্ষার পরিবেশ এবং শিক্ষার মান নিয়ে বিরোধীরা অনেক সময়ই অভিযোগ তোলেন। সেক্ষেত্রে বলতেই হয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির এই সাফল্য অন্তত এটা প্রমাণ করে দিল, এই রাজ্যে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ বজায় আছে। না-হলে এমন ফল হল কীভাবে? এই কথা ঠিক, রাজ্যের কৃতী ছেলেমেয়েদের অনেকেই নানা সময়ে বিশ্বের দরবারে তাঁদের সাফল্য ও যোগ্যতার নজির রেখেছেন। অন্যদিকে, একাধিক ঘটনার কারণে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গ, আন্দোলন ইত্যাদি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ বারবার ওঠে সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রাদেশিক স্তরে প্রথম দশের মধ্যেই রয়েছে। রিপোর্টই বলছে, আন্দোলন হলেও যাদবপুরের ভাবমূর্তি আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। পারসেপশন বিভাগে যাদপুরের চেয়ে কম নম্বর পেয়েছে কলকাতা।
প্রসঙ্গত বলতে হয়, রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবজনক এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হওয়ারই কথা। তবে, উচ্ছ্বাসের আবেগে লক্ষ্য হারালে চলবে না।। আত্মতুষ্টির অবকাশ থাকা উচিত নয়। আগামী বছরগুলিতেও লক্ষ্য থাকা উচিত নাম্বার ওয়ান হওয়া। সেই লক্ষ্যে এগতে হলে প্রতিযোগিতা অবশ্যই চলবে। তাই, শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানকে কীভাবে আরও উন্নত মানে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা চালাতে হবে। পরিকাঠামোগত কোনও ঘাটতি থাকলে তা দূর করতে হবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয় কাকে কীভাবে টেক্কা দিল তা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে, তবে তার থেকে বড় কথা হল শিক্ষা গবেষণার মানের বিষয়টিকে উৎকর্ষতার শীর্ষে পৌঁছে দেওয়া। এতে দেশ ও রাজ্য সমৃদ্ধ হবে। উন্নত হবে গোটা সমাজ। যেসব মানুষের কাছে এখনও শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি তাদের আলোকিত করতে হবে। আশা করা যায়, রাজ্যবাসীর গর্বের এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আগামী দিনে সেই লক্ষ্যেই এগবে।