সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
বলা বাহুল্য যে, স্বাধীনতার পর থেকে ভারত গণতন্ত্র ছাড়া আর কোনও পথে হাঁটেনি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রে এবং সব রাজ্যে সরকার প্রতিষ্ঠার ঐতিহ্যটি বজায় রেখেছে ৬৮ বছর যাবৎ এবং বেশ দাপটের সঙ্গে। ভারত মনে করে, স্বাধীন ভারতের যতটুকু আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে খ্যাতিবৃদ্ধি ঘটেছে তা এই গণতন্ত্রের অবদান। গণতন্ত্রই ভারতকে বহুমত আর শান্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল রেখেছে। সব মিলিয়ে নির্বাচন হল আমাদের কাছে গণতন্ত্রের পূজা। ষোড়শ লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩ জুন। তার আগেই সপ্তদশ লোকসভার সদস্য নির্বাচনের ব্যবস্থা পাকা করে ফেলতে হবে। এখন চলছে সপ্তদশ লোকসভা গঠনের তোড়জোড়। এবার দেশজুড়ে মোট সাত দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে। (এইসঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং সিকিম বিধানসভার ভোটও নেওয়া হবে।) এত দফায় ভোট গ্রহণ নজিরবিহীন। এ নিয়ে বিরোধী মহলে উষ্মা থাকলেও তারাও শেষমেশ বুঝেছে যে বিশেষ পরিস্থিতিতে এটাই দরকার ছিল। কাশ্মীর পরিস্থিতি এবং ছত্তিশগড়সহ কিছু এলাকায় উগ্র মাওবাদীদের হিংসাত্মক তৎপরতার কথা মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন এবার এতটা সতর্ক।
আজ, বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোট। পশ্চিমবঙ্গের দুটি কেন্দ্রসহ ১৮টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৯১টি লোকসভা আসনের প্রার্থীদের ভাগ্যনির্ধারণ হয়ে যাবে। আজ, অন্ধ্রপ্রদেশের ১৭৫টি বিধানসভা এবং ওড়িশার ২৮টি বিধানসভা আসনেও ভোট নেওয়া হবে। তাই আজকের দিনটি সারা দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের যাবতীয় আয়োজন ইতিমধ্যেই সারা হয়ে গিয়েছে। কমিশনের এই উদ্দেশ্য যদি সফল হয় তবে তা গণতন্ত্রের এক বিরাট জয়। অবশ্য কমিশনের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। এই সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলির সদিচ্ছার উপর। শুরুটা সুন্দর হওয়া জরুরি আরও এই কারণে যে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরবর্তী ছয় দফা সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার আশা থাকবে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের দৃষ্টান্তই পারবে ২৩ মে গণনা এবং ফল প্রকাশের একটি সুন্দর দিন উপহার দিতে। আমরা তো বটেই সারা পৃথিবী সেই দিকেই অধীর আগ্রহে চেয়ে থাকবে বলা যায়। তাই এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দীর্ঘ প্রক্রিয়াই বলে দেবে ভারতীয় গণতন্ত্রের মাথা এবার আরও উঁচু হবে না কি কিছুটা নিচু করে দেব আমরা।