সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
শুধু বাংলা কেন, ভারতের যে-কোনও রাজ্যের ক্ষেত্রেই এই ঘটনা অভূতপূর্ব এবং অত্যন্ত শ্লাঘার। একবিংশ শতকেও ভারতে কন্যাসন্তানরা যথেষ্ট অবহেলিত। একটি রাজ্য সরকারি প্রশাসনকে এই সামাজিক অন্যায় মোকাবিলার কাজে কত দূর ব্যবহার করা সম্ভব মুখ্যমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেই তা দেখতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথাগত শিক্ষার অঙ্গনে মেয়েদের টেনে আনতে এবং ক্রমশ তাদের উপরে তুলে নিয়ে যেতে ২০১৩ সালে চালু করেছিলেন ‘কন্যাশ্রী’। অভিনব এই প্রকল্পটি অল্প দিনের ভিতরেই সারা পৃথিবীর নজর কেড়ে নেয়। অবশেষে ২০১৭ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্নের প্রকল্পকে সম্মানিত করে। কন্যাশ্রীকে দেওয়া হয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের সর্বোচ্চ জনসেবা পুরস্কার। ৬২টি দেশের ৫৫২টি সোশ্যাল সেক্টর স্কিমের মধ্যে সেরা হয় কন্যাশ্রী। বাংলার এই প্রকল্প আরও একাধিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। সে খবর পুরনো। এই রাজ্য প্রশাসন ২০১৬ সালে গ্রহণ করে ‘উৎকর্ষ বাংলা’। ১৮-৪০ বছর বয়সি যুবক-যুবতীদের নিখরচায় নানা ধরনের আধুনিক বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়ার একটি প্রকল্প। যাঁরা প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন তাঁদের দৈনিক ৫০ টাকা হারে ভাতাও দেওয়া হয়—যাতায়াত ও খাওয়া খরচ বাবদ। প্রশিক্ষিত হয়ে উঠছেন বছরে ছ’লক্ষ বেকার। রাজ্য সরকার মনে করে, এই প্রকল্প বাংলার বেকারদের রুজি রোজগারের দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। অন্যদিকে, সবুজসাথী হল সেই প্রকল্প যেটির মাধ্যমে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের স্কুলে যাতায়াতের জন্য সাইকেল দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনা খরচায় প্রায় এক কোটি সাইকেল বণ্টন করা হয়ে গিয়েছে।
কন্যাশ্রী-সহ এরাজ্যের সবকয়টি অভিনব কর্মসূচির কথা কেন্দ্রীয় সরকারেরও অজানা নয়। এমনকী এও অজানা নয়, এই আমলে একশো দিনের কাজের প্রকল্প রূপায়ণে এবং কৃষি ও শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলার ক্রমোন্নতির সত্যটি। দু’দিন আগে বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রটিও নানাভাবে প্রশংসিত হয়েছে মোদি সরকারেরই মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মাধ্যমে। তার পরেও নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর দলীয় সতীর্থ অমিত শাহ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং তাঁর সরকারকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে সমানে গলা চড়াচ্ছেন! মানুষের এত খুশি, কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক শংসাপত্র এবং একের পর এক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিলাভের পর বিজেপি নেতৃত্বের এইসব অভিযোগের কোনও গুরুত্ব থাকে কি? মানুষই তফাত করে নিচ্ছে কোনটা সমালোচনা আর নিছক রাজনীতির প্রয়োজনে কুৎসা।