বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
মঙ্গলবার শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট একটি ‘ভারসাম্যের’ রায় দিয়েছে, রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তাঁর বিরুদ্ধে দমনমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে না। তবে, তদন্তের স্বার্থে সিবিআইয়ের সামনে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে, এই মামলায় বিশ্বাসযোগ্যভাবে সহযোগিতাও করতে হবে। দিল্লি কিংবা কলকাতার বাইরে ‘নিরপেক্ষ’ স্থান শিলংয়ে সিবিআই দপ্তরে তিনি হাজিরা দিতে যাবেন। তার দিনক্ষণ দু’পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে স্থির হবে। অন্যদিকে, সিবিআই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করতে নেমেও বাধা পাচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে। সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। আদালত অবমাননার অভিযোগেরও জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত পরিষ্কার করে দিয়েছে, জবাব সন্তোষজনক না হলে মুখ্যসচিব, ডিজি এবং সিপি-কে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে হবে। উল্লেখ করার মতো বিষয় এই, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ নিয়ে সিবিআই এত আসর গরম করলেও আদালতে তার কোনও প্রমাণ তারা পেশ করতে পারেনি।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়টিকে দু’পক্ষই তাদের ‘নৈতিক জয়’ বলে দাবি করেছে। তবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এই জয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর, গণতন্ত্রের ও দেশবাসীর। ১৯ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যারে আহ্বানে ব্রিগেডে এসেছিলেন বিজেপি-বিরোধী নেতাদের একটা বড় অংশ। সিবিআই ইস্যু যেন বিরোধীদের সেই ঐক্য আরও দৃঢ় করে দিল। এখন সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল দেখাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ। লড়াইটা ক্রমশ মোদি বনাম মমতায় দানা বাঁধছে। এমন এক অভূতপূর্ব সাফল্য নিয়েই সারা দেশের তাবড় বিরোধী নেতাদের অনুরোধে ৪৬ ঘণ্টা পর ধর্না প্রত্যাহার করে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের আশা, আগামী ১৩ ও ১৪ তারিখ দিল্লিতে তাদের বিক্ষোভ ধর্না থেকে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ফ্রন্ট আরও শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে। আর তাতেই নির্দিষ্ট হয়ে যাবে আগামী লোকসভার ভোটের আসল মেজাজ।