Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অপারেশন’ ৭১: পর্ব ৯
খাইবার খতম
সমৃদ্ধ দত্ত

নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নন্দা এমনিতে শান্ত মানুষ। তিনি সেই বিরল প্রজাতির চরিত্র, যাঁরা বলেন কম, শোনেন বেশি। ন্যাভাল হেডকোয়ার্টার্সে বসে যখন তিনি অপারেশন ট্র্যাইডান্ট শুরু হওয়ার প্রথম মেসেজ পেলেন, তাঁর চোয়ালটা একটু শক্ত হয়ে গেল। আরব সাগরে যখন ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি অ্যারো শেপড ফর্মেশন করে অগ্রসর হচ্ছে করাচি বন্দরের দিকে, তখন অ্যাডমিরাল নন্দা গোটা প্ল্যান জানা সত্ত্বেও একটি বিশেষ যুদ্ধজাহাজকেই আগে ধ্বংস করতে হবে বলে পুনরায়  নিশ্চিত নির্দেশ পাঠালেন। তিনি যেন একটু অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছেন? কিন্তু কেন? ওয়েস্টার্ন ফ্লিটকে অ্যাডমিরাল নন্দা বললেন, মেক শিওর। ইট মাস্ট বি খাইবার ফার্স্ট! 
কী ব্যাপার? ভারতের যুদ্ধজাহাজ, মিসাইল বোট, ফুয়েল এসকর্ট শিপ এবং ব্যাক আপ ওয়ারশিপ পুরো টিম তো এগিয়ে গিয়েছে! তাদের কী করতে হবে সেটাও গত প্রায় চারদিন ধরে বিস্তারিত প্ল্যান হয়ে গিয়েছে। আগেই সকলে জানে যে, পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ পিএনএস খাইবার করাচির অদূরে দাঁড়িয়ে। আর এই অপারেশনের প্রধান লক্ষ্য সর্বপ্রথমে পিএনএস খাইবারকেই ধ্বংস করা। তারপর একে একে অন্য জাহাজগুলিকে ডুবিয়ে দিতে হবে। নিখুঁত প্ল্যান। তাহলে আর নৌসেনা প্রধানের এত টেনশন কেন? তাঁর তো এরকম চরিত্র নয়!  
সন্ধ্যা থেকে দু’বার তিনি জিজ্ঞাসা করে ফেলেছেন যে, খাইবারকে আগে টার্গেট করছি তো আমরা? সকলেই একটু অবাক হয়েছে। কিন্তু আসলে কেউ বুঝবে না যে, কেন এই অধীরতা অ্যাডমিরাল নন্দার। এর কারণ অনেক গভীরে। অনেক বড় এক বেদনা আর অপমানের জ্বালা তাঁকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে এতদিন ধরে। এই সুযোগ এসেছে। তাই এবার যেনতেনপ্রকারে পিএনএস খাইবারকে খতম করতেই হবে। কী কারণ? সেটা জানতে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে অ্যাডমিরাল নন্দার মনের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর। তাঁর মাথায় সেই বছরের ঘটনাগুলি আজও জীবন্ত। প্রতিশোধের আগুন এক মুহূর্তের জন্য তাঁকে ছেড়ে যায়নি। আজ সেই আগুনে তৃপ্তির ঠান্ডা জল কি পড়বে? তাই তিনি অধৈর্য। আপাতত অপারেশন ট্রাইডেন্ট সফল করার জন্য ভারতের নৌবাহিনী আরব সাগর ধরে অগ্রসর হোক। এটা ১৯৭১। ডিসেম্বর। আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে ৬ বছর। দেখা যাক কী হয়েছিল!
১৯৬৫ সাল। সেপ্টেম্বর মাস। তখন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল বি এস সোমান। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু। অ্যাডমিরাল বি এস সোমান ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তিনতলায় একটি ঘরে বসে আছেন। তাঁর সামনে একটি নোট রাখা। সরকারি লেটারহেড। সামরিক বিভাগের। সেখানে লেখা আছে, আন্দামান নিকোবর রক্ষা করাই আপাতত ইন্ডিয়ান নেভির প্রধান কর্তব্য। তাই আরব সাগরে পাকিস্তানের দিকে কোনও অফেন্সিভ মুভমেন্ট যেন না হয়। পোরবন্দরের এলাকা ছাপিয়ে আর অগ্রসর হবে না নেভি। ওয়েস্টার্ন সেক্টর সামাল দিচ্ছে আমাদের এয়ার ফোর্স আর আর্মি। মাত্র ২০০ নটসের মধ্যে থাকবে তোমরা। কড়া নির্দেশ। 
অ্যাডমিরাল সোমানের মুখচোখ থমথম করছে। এটা ডিফেন্স সেক্রেটারির নোট। এরকম একটা আশ্চর্য  নির্দেশ দেওয়ার অর্থ কী? পাকিস্তানের সঙ্গে আর্মি আর এয়ারফোর্স লড়াই করছে। আর ইন্ডিয়ান নেভি কোনও ভূমিকাই পালন করবে না? এটা কীভাবে সম্ভব? পাকিস্তানের অপারেশন গ্র্যান্ড স্ল্যামের জবাবে ভারত সবেমাত্র কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানকে অ্যাটাক করেছে। জম্মু-কাশ্মীরের আখনুর সেক্টর দখল করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। আর প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ভারতীয় আর্মিকে বলেছেন, পাঞ্জাব পেরিয়ে আমরা অ্যাটাক করব লাহোরে। পাকিস্তান জবাব পাবে যে, ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়। 
প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পেয়ে ভারতীয় সেনা লাহোর, শিয়ালকোট, ডেরার বাবানানক সেক্টরে আক্রমণ করার জন্য অগ্রসর হয়েছে। টানটান উত্তেজনা। লাহোরের কাছে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় সেনা। লাহোরের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ছে ভারতের এয়ারফোর্স। ঠিক এরকম সময় ইন্ডিয়ান নেভি কিছু একটা তো করবে? কিন্তু ভারত সরকার নেভিকে কাজে লাগাতে এখনই  চাইছে না।
অ্যাডমিরাল বি এস সোমান সরাসরি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়াই বি চ্যবনের অফিসে গিয়ে মন্ত্রীকেই প্রশ্ন করলেন, স্যার, এই সিদ্ধান্তের কারণ কী?
চ্যবন বললেন, আমি বুঝতে পারছি আপনি আপসেট। বাট এটা একটা স্ট্র্যাটেজি অ্যাডমিরাল। আপনি জানেন যে, ইন্দোনেশিয়া নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দখল করার জন্য এগচ্ছে। আমাদের ওই দ্বীপ নিজেদের দখলে রাখতেই হবে। আর ইন্দোনেশিয়ার এত বড় সাহস হচ্ছে কেন? হচ্ছে, কারণ ওদের মদতদাতা চীন। আপনি তো বুঝতে পারছেন, পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানকে প্ররোচনা দিয়ে পিকিং যুদ্ধে নামিয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। আর পূর্বদিকে সাগরে এগিয়ে দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়াকে। এটা হল টু-ফ্রন্ট ওয়ারের একটা কৌশল চীনের। আমরা সেই ফাঁদে পা দেব না। চীন চাইছে, আমাদের নেভি আরব সাগরের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ুক। আর সেই ফাঁকে ওরা নিকোবরে ঢুকে আসবে। 
অ্যাডমিরাল বললেন, বাট, আমাদের তো ওয়েস্টার্ন ফ্লিট রেডি আছে। সেটা করার জন্য পূর্বদিকে মোতায়েন ফোর্সকে কোনওরকম ডিসটার্ব করা হবে না। গিভ আস অর্ডার স্যার! 
চ্যবন বললেন, আমি জানি। আপনার সঙ্গে আমিও একমত। বাট আমাদের প্রোগ্রেস দেখে মনে হচ্ছে, পাকিস্তানকে আমাদের এয়ারফোর্স আর আর্মি যেভাবে চেপে ধরছে, আরব সাগরে ওরা চেষ্টা করেও বেশি কিছু করতে পারবে না। 
আর কোনও কথা না বলে অ্যাডমিরাল সোমান চলে গেলেও তিনি পরদিন দেখা করতে চাইলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। লালবাহাদুর শাস্ত্রী জানেন নেভি চিফ কী বলবেন। তিনি চ্যবনকেও ডেকে নিলেন। চ্যবন ঠিক করলেন, আজ তিনি কোনও কথাই বলবেন না। কারণ সত্যিই তো একজন সার্ভিস চিফের কাছে এটা মেনে নেওয়া কঠিন যে, বাকি দুই সার্ভিস অর্থাৎ এয়ারফোর্স আর আর্মি লড়াই করছে। আর তাঁর ফোর্স চুপ করে আছে। 
লালবাহাদুর শাস্ত্রী ছোটখাট মানুষ। কিন্তু অসম্ভব মনের জোর এবং ধীর স্থির ব্যক্তিত্ব। তিনি মন দিয়ে অ্যাডমিরালের সব কথা শুনলেন এবং জানিয়ে দিলেন, আমাদের সিদ্ধান্তই ফাইনাল। নেভি এখনও পর্যন্ত কোনও আক্রমণে যাবে না। 
ঠিক যে ভয়টা পাচ্ছিলেন অ্যাডমিরাল সোমান, তাই হল। ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আচমকা পাকিস্তানের সাতটা জাহাজ করাচি থেকে এগিয়ে এল ভারতের দিকে। এদিকে ওখা বন্দরে একটিমাত্র যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। আইএনএস তলওয়ার। যে একা সাতটা পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজকে ঠেকাতে পারবে না।  পাকিস্তানের নেতৃত্বে যে যুদ্ধজাহাজ তথা ডেস্ট্রয়ার সেটির নাম পিএনএস খাইবার। অন্তত ২০ মিনিট ধরে বোমাবর্ষণ চলছে। লক্ষ্য দ্বারকা মন্দির ও দ্বারকা শহর। ২০ মিনিটের মধ্যেই আরব সাগরের আকাশে ভারতীয় বিমান বাহিনী হাজির। পাল্টা বোমা মারছে তারা। পাকিস্তানের সাত জাহাজ পিছু হটে আবার ফিরে গেল করাচি। 
পাকিস্তান সেই যুদ্ধের পর চরম বিপর্যস্ত ও অসম্মানিত হয়। এমনকী তাসখন্দে মস্কোর উদ্যোগে যে শান্তিচুক্তি হল, সেটাও পাকিস্তানের জন্য চরম অপমানজনক। কিন্তু তাও মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু জ্বালা মেটাতে পাকিস্তান তারপর থেকে যে প্রবল প্রচারটা শুরু করল, সেটা হল তারা নাকি দ্বারকায় ভয়ঙ্কর ক্ষতি করেছে। এক হাজার বছর পর আবার ভারতের সোমনাথ আক্রমণের মতোই আর একটি আক্রমণ হয়েছে। এবার দ্বারকা। কেন সোমনাথ আক্রমণের সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে? কারণ, পাকিস্তানের যে যুদ্ধজাহাজগুলি থেকে দ্বারকা শহরে বোমাবর্ষণ করা হয়েছিল, তার অন্যতম পিএনএস খাইবারের অফিসার অন বোর্ড ছিলেন পাকিস্তান নেভির লেফটেন্যান্ট পি এন গজনভী। আর এক হাজার বছর আগে যে আক্রমণকারী সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করেছিলেন, তাঁর নামও ছিল মামুদ গজনভী। সুতরাং আবার ভারতকে গজনির সুলতানের ধাঁচেই আক্রমণ করতে সমর্থ হয়েছে পাকিস্তান। ভারত কিছুই বাধা দিতে পারেনি। এই প্রচার পাকিস্তান চরম আকারে শুরু করল। 
যদিও সত্যিটা ছিল বিপরীত। পাকিস্তান দ্বারকা আক্রমণ করেছিল বটে। কিন্তু লালবাহাদুর শাস্ত্রী এবং ওয়াই বি চ্যবনরা ঠিকই ধরেছিলেন। ভয়ে ভয়ে এতটাই দূরত্ব থেকে ওই বোমাবর্ষণ হয়েছিল যে, দ্বারকা মন্দির এবং রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে বেশিরভাগ শেল পড়েছিল। মন্দিরের গায়ে আঁচও লাগেনি। তবে একটি রেলওয়ে স্টোরেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
কিন্তু তাই বা হবে কেন? এটাই ছিল সেই সময় ভারতের নৌবাহিনীর প্রবল ক্রোধের কারণ। তারা মেনে নিতে পারছে না যে, ভারতের নাকের ডগায় এসে পাকিস্তান এভাবে দ্বারকায় আক্রমণ করে নির্বিঘ্নে ফিরে যাবে? নৌবাহিনীর এই রাগের কথা বুঝেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি তখনই স্থির করেছিলেন ভারতের নৌবাহিনীকে সম্পূর্ণ আধুনিক ফোর্সে পরিণত করা হবে। তারই প্রথম ধাপ একঝাঁক মিসাইল বোট আমদানি। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে। সেই বোটে থাকবে বিধ্বংসী স্টিক্স মিসা‌ইল!
....
মিসাইল বোট কিনলেই তো হবে না।. সেটা অপারেশনের প্রক্রিয়া শিখতে হবে। অতএব ক্যাপ্টেন কে কে নায়ারের নেতৃত্বে একসঙ্গে ১০ জন লেফটেন্যান্ট কমান্ডারকে পাঠানো হল সোভিয়েত ইউনিয়নে। থাকতে হবে এক বছর। কারণ, শুধু মিসাইল বোট অপারেট করার টেকনোলজি জানলেই হবে না। শিখতে হবে রাশিয়ান ভাষা। বিশেষ সিকিউরিটি টেকনোলজির জন্য এই মিসাইল বোটের প্রতিটি কমান্ড রাশিয়ান ভাষায় সেট করা। কোনও স্যুইচ, কোনও মেসেজ, কোনও রেডিও ট্রান্সমিটার সেট অন্য ভাষায় ম্যাচ করবে না। অতএব, একমাত্র রাশিয়ান ভাষা জানলেই এই বোট অপারেট করা হবে। ছোড়া যাবে নিখুঁত নিশানায় টর্পোডো। কারণ কী? কারণ, এইসব মিসাইল বোট, যদি কখনও শত্রুপক্ষের হাতেও পড়ে, তারা সেটা ব্যবহারই করতে পারবে না। কোড কমান্ড সবই  রাশিয়ান। আর কমান্ড কন্ট্রোল না জানলে ইউজ করা যাবে না এক বিন্দুও। 
এক বছরের ট্রেনিং নেওয়া হল ভ্লাদিভোস্তক নামক এমন এক প্রান্তসীমায়, যা আদতে উত্তর মেরুর মতোই এক আবহাওয়া। এরপর যখন সেটি ভারতে আনা হল, তখনও গভীর সমুদ্রের তলদেশে নিয়ে গিয়ে বারংবার হল আবার এক বছরের আরও এক দুর্ধর্ষ ট্রেনিং। মিসাইল বোটের অপারেটর লেফটেন্যান্ট কমান্ডাররা তাই হয়ে উঠলেন এক অসম সাহসী যোদ্ধা। বাছাই করা নৌসেনা অফিসার। ১৯৬৫ সালের এক অফিসার থাকা অ্যাডমিরাল নন্দা আজ ১৯৭১ সালে হয়েছেন নেভির প্রধান। আর তাই যখনই আবার পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হল এবং ঠিক হল সর্বাগ্রে আরব সাগরে করাচি বন্দরে হামলা করবে ভারত, তখন সবার আগে অ্যাডমিরাল নন্দার মনে পড়ল পিএনএস খাইবারের কথা। যে পিএনএস খাইবার দ্বারকা আক্রমণ করেছিল, আজ তাকেই ধ্বংস করার সুবর্ণ সুযোগ এসেছে হাতে। ঠিক এই কারণে ৬ বছর ধরে ধিকিধিকি করে বুকের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিশোধের আগুন এবার দাউদাউ করে জ্বলে উঠেছে। তাই অ্যাডমিরাল নন্দা বারংবার নিজের ফোর্সের কাছে নিশ্চিত হতে চাইছেন যে, অপারেশন ট্রাইডেন্ট শুরু হওয়ার সময় যেন সবার আগে টার্গেট করা হয় পিএনএস খাইবারকে। এটা তো তাঁরই প্ল্যান। তবু যেন তিনি অধৈর্য হয়ে পড়ছেন। আজ ৬ বছর পর এসেছে সেই সুযোগ অবশেষে। খাইবারকে খতম করার!  চরম শিক্ষা দেওয়া হবে। 
একটি টিম যাচ্ছে ওখা থেকে। আর একটি গিয়েছে বম্বে থেকে। মিসাইল বোট আর যুদ্ধজাহাজগুলিকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে আরব সাগরে, যাদের দূর থেকে দেখলে মনে হচ্ছে একটি তির।  অর্থাৎ অ্যারো। তাই এই ফরমেশনের নাম অ্যারো শেপড ফরম্যাট। কিলার ফাইভ স্কোয়াড্রনকে পেরতে হবে ৫০০ কিলোমিটার পথ। ভারতীয় নৌবাহিনীর সেই ট্রেনিং নেওয়া  কমান্ডাররাই অংশ নিয়েছে। প্রত্যেকে রাশিয়ান ভাষা জানে। শুধু যে মিসাইল বোট চালাতে হবে তাই নয়। এই অপারেশনে মেরিটাইম অবজার্ভেশন দিতে হবে রাশিয়ান ভাষায়। করাচিতে থাকা নেভির কন্ট্রোলে রেডিও ইন্টারসেপশনে রাশিয়ান ভাষা ধরা পড়লেও তারা সন্দেহ করবে না যে, এটা ইন্ডিয়ার বোট কিংবা ওয়ারশিপ থেকে আসছে। দূর থেকে ভাববে সোভিয়েত ইউনিয়নের কোনও বোট! আসলে ইন্ডিয়ার ঘাতক বাহিনী! 
....
এগিয়ে চলেছে স্কোয়াড্রন। আইএনএস নিপাটের র‌্যাডারে দেখা যাচ্ছে, করাচি বন্দর আর মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে। রাত ১০টা ৪৫। দূরত্ব কমে এসেছে। নিঃশব্দে অগ্রসর হচ্ছে গোটা  টিম। প্রথম সিগন্যাল আগে থেকেই দেওয়া আছে যে, আইএনএস নির্ঘাত সর্বাগ্রে টার্গেটকে লক করবে।  আইএনএস নির্ঘাতে আছে ভয়ঙ্কর স্টিক্স মিসাইল। প্রথমে কিছুটা আকাশে উড়বে। তারপর পলক ফেলার আগেই ছুটবে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে। 
পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ পিএনএস খাইবার ডেস্ট্রয়ার আগেই দেখেছে রাত ১০টা ১৫ মিনিটে একটা কোনও অজানা ফরমেশন এগিয়ে আসছে। ৬০ নটিক্যাল মাইল তখন দূরত্ব। খাইবার নিজেই এগিয়ে যেতে শুরু করল। সে নিজের টর্পেডোকে রেডি করছে। চার্জ করার জন্য। কিন্তু এ কী?  অকস্মাৎ আকাশে একটা তীব্র আলো। খাইবারের কমান্ডার ভাবলেন, ভারতের এয়ারফোর্স আবার অ্যাটাক করছে। পাল্টা গুলি করতে হবে। নিমেষের মধ্যে অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফট গান থেকে গুলি।  কিন্তু যেটা লক্ষ্য করে সেটা মারা হল, তা এয়ারক্র্যাফট ছিলই না। আসলে একটা মিসাইল। ভারতীয় নৌসেনার মারাত্মক শক্তিশালী স্টিক্স মিসা‌ইল। এসে পড়ল খাইবারের বোর্ডে। সবার আগে নাম্বার ওয়ান বয়লার রুমে আগুন ধরে গেল। শব্দ হচ্ছে। বুম...বুম...বুম...। গোটা ফানেল সিস্টেমে কালো ধোঁয়া।
খাইবারের স্পিড কমছে। এবার দাঁড়িয়ে যাবে। অয়্যারলেস অপারেটর তখনও শেষ চেষ্টা করলেন। করাচি কন্ট্রোলে মেসেজ পাঠালেন। বললেন, আন্ডার অ্যাটাক। ইন্ডিয়া এগেইন...। পাগলের মতো মেসেজ যাচ্ছে, ইন পজিশন...জিরো টোয়েন্টি এফএফ টোয়েন্টি...নম্বর ওয়ান বয়লার হিটেড...স্টপড...। 
খাইবার যে প্রায় ধ্বংসের মুখে সেটা ততক্ষণে নিমেষের মধ্যে বুঝে গিয়েছেন ভারতীয় নৌসেনার এই টিমের নেতৃত্বে থাকা  কমান্ডার যাদব। তিনি এবার আইএনএসকে অর্ডার দিলেন, শ্যুট! তীব্র গতিতে আইএনএস নিপাট থেকে ছুটে গেল আর একটি মিসাইল। করাচি শহর তখনও জেগে। কিন্তু আচমকা যেন মনে হল অনেক দূরের অরণ্যে দাবানল লেগেছে। দাউদাউ করে আগুনের আলো  আর কালো ধোঁয়া ঢুকে পড়ছে করাচিতে। হাজার হাজার মানুষ ভয়ে আতঙ্কে শিহরিত। সকলেই একটা কথা বুঝে গিয়েছে। ইন্ডিয়া নির্ঘাত অ্যাটাক করেছে। 
ভারতীয় নৌসেনার র‌্যাডারে দেখা যাচ্ছে পিএনএস খাইবারের শেষ দৃশ্য। ব্লিপ করছে র‌্যাডার স্ক্রিন। একবার...দুবার...তিনবার...চারবার...। 
ব্লিপ সেটিংস ক্রমেই স্তিমিত। তার মানে পাকিস্তানের গৌরবের যুদ্ধজাহাজ  দ্বারকা মন্দিরকে লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করা পিএনএস খাইবার আস্তে আস্তে সমুদ্রগর্ভে ডুবে যাচ্ছে। আনন্দে কমান্ডার যাদব একটা হাততালি দিয়ে উঠলেন। কিন্তু সেটা মুহূর্তের প্রতিক্রিয়া। কারণ, কাজ এখনও শেষ হয়নি। বরং শুরু। খাইবার খতম। পরবর্তী টার্গেট পিএনএস মুহাফিজ। 
রাত সাড়ে ১১টা। এগিয়ে আসছে মুহাফিজ! এবার তৈরি হচ্ছে ভারতের আইএনএস বীর! মুহাফিজ রেডি করছে টর্পেডো! ভারতের যুদ্ধজাহাজকে টার্গেট। কাউন্টডাউন শুরু। মাত্র ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে। ওয়ান...টু...থ্রি...ফোর...।    (চলবে)
28th  November, 2021
ছোট গল্প
তাজমহল
মীনাক্ষী সিংহ

অপেক্ষার ক্লান্ত আশাহত প্রহর পেরিয়ে সাত বছরের প্রতীক্ষা শেষে মালশ্রীর বিয়ে হল যোগ্য পাত্র সুতীর্থর সঙ্গে। কী আশ্চর্য সমাপতন। সুতীর্থও ডাক্তার। তবে মালশ্রী আগেই জেনে আশ্বস্ত হয়েছে যে দু’জনের কলেজ ছিল আলাদা। প্রিয়ক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উজ্জ্বল ছাত্র আর সুতীর্থ জলপাইগুড়ি কলেজের। বিশদ

05th  December, 2021
পর্ব ১০: অপারেশন’৭১
নিপাট রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এনিমি এয়ারক্র্যাফট অ্যাটাকড...পজিশন এফএফ টোয়েন্টি...নম্বর ওয়ান বয়লার হিট...ওভার...। পাকিস্তানের নেভি কন্ট্রোল এই মেসেজ পিএনএস খাইবার থেকে পেয়েই সেটা পাঠিয়েছে পিএনএস মুহাফিজকে। আর একটি যুদ্ধজাহাজ। যাতে তৎক্ষণাৎ রেসকিউ করতে যায় মুহাফিজ! 
বিশদ

05th  December, 2021
ছোট গল্প
রসাল কথা
এষা দে

কী করেছে শ্রী? দল বেঁধে রথের মেলায় গিয়েছিল। যাক্‌।  ঩সেখানে বড়দের সব বারণ, সাবধানবাণী অগ্রাহ্য করে আকণ্ঠ নিষিদ্ধ স্ন্যাক্স গরম গরম সামনে তৈরি জিলিপি, পাঁপড় ভাজা, বেগুনি, পেঁয়াজি খাওয়া হয়েছে। কী সর্বনাশ! তার ওপর সন্ধ্যায় ফেরার সময় একটি আম গাছের চারা কিনে নিয়ে এসে লুকিয়ে রেখে পরদিন সাতসকালে চুপচাপ মালি বিশুর কোদাল খুরপি ইত্যাদি হাতসাফাই করে হাউজিংয়ের খোলা সবুজের প্রায় মাঝখানে মাটি খুঁড়ে সেটি পুঁতে ফেলেছে। বিশদ

21st  November, 2021
পর্ব ৮: অপারেশন ’৭১
কিলার টোয়েন্টি ফাইভ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কলকাতায় বসে ইন্দিরা গান্ধী প্রথমেই খবর নিলেন ঠিক কতটা অ্যাটাক করছে পাকিস্তান। তাঁকে বলা হল, ম্যাডাম, ওয়েস্টার্ন সেক্টরে পাগলের মতো এয়ার স্ট্রা‌ইক করছে। একটু আগে পৌনে ৬টায় হয় প্রথম অ্যাটাক। ইন্দিরা গান্ধী বললেন, ডিটেলস এসেছে? কোথায় কোথায় বম্বিং হয়েছে? বিশদ

21st  November, 2021
অপারেশন ৭১
ডেপথ চার্জ

বিপ...বিপ...বিপ। মেসেজ এসেছে। পাকিস্তানের সাবমেরিন পিএনএস গাজিকে করাচি ন্যাভাল কন্ট্রোল থেকে মেসেজ করছে। তোমরা কোথায়? কোনও কন্ট্যাক্ট নেই কেন? ক্যাপ্টেন জাফর মহম্মদ খান বললেন, আমরা এখন কী করব বলে দিন? বিক্রান্তের খোঁজ পেয়েছেন? বিশদ

14th  November, 2021
ডাইনি

জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে আছে জামুনি। জামুনি টুডু। নিজেদের জমিতে চাষ, দুই ছেলেমেয়ে কাঁদন আর চূড়ামণিকে নিয়ে বেশ সংসার। দোষের মধ্যে গাঁয়ের সোমবারি টুডুর শরীর খারাপের খবর শুনে দেখতে গিয়েছিল। বিশদ

14th  November, 2021
কোথায় বিক্রান্ত?
সমৃদ্ধ দত্ত

শুনুন সবাই, আমাদের এবারের মিশন আইএনএস বিক্রান্ত! সেই বিখ্যাত ইন্ডিয়ান যুদ্ধজাহাজ। বললেন, পাকিস্তানের ন্যাভাল ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড অপারেশন প্ল্যানস ক্যাপ্টেন ভুমবাল। 
বিশদ

07th  November, 2021
আসা যাওয়ার পথে
তন্বী হালদার

বেশ কিছুদিন ধরে ঘুমোলেই রাই একটা স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে এমন মনে হচ্ছে যে, জেগে জেগেও বোধহয় সে এবার স্বপ্নটা দেখবে। সেদিন অফিস থেকে ট্রেনে ফেরবার সময় জানলার ধারে সিট পেয়েছিল।
বিশদ

07th  November, 2021
মেঘ বৃষ্টির গল্প
উদয়ারুণ রায়

‘চা-টা তো ঠান্ডা হয়ে যাবে এবার।’ বাবার ইজিচেয়ারের পাশে রাখা টেবিলটার ওপরে নিজের চায়ের কাপটা রেখে ওপাশের চেয়ারটায় বসল বৃষ্টি। বারান্দায় বাবা ইজিচেয়ারে বসে আছেন দূরের দিকে চেয়ে। মিনিট দুই আগে টিকলি, ওদের কাজের মেয়েটা অরুণ মিত্রকে চা দিয়ে গিয়েছে। বিশদ

31st  October, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৫
করাচি  প্ল্যান
সমৃদ্ধ দত্ত

পাকিস্তানের বোট যে তাদের লক্ষ্য করেই অগ্রসর হচ্ছে সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। একমাত্র ডুবসাঁতারই ভরসা। কিন্তু কোন দিকে যাওয়া যায়? এতগুলো মানুষ কর্ণফুলী নদীবক্ষে ছড়িয়ে আছে। সকলের পেটে গামছা দিয়ে বাঁধা আছে লিমপেট মাইন। বিশদ

31st  October, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৪
রেডিও সিগন্যাল
সমৃদ্ধ দত্ত

১৫ জুন ১৯৭১। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এস এম নন্দা পলাশির ক্যাম্প পরিদর্শনে এলেন। তিনি এবং ভারত সরকার একটা সাংঘাতিক কঠিন বাজি হাতে নিয়েছে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোদের এই কাজটির জন্য পাঠানো হতো, তাহলে অতটা টেনশন হতো না। বিশদ

24th  October, 2021
কোজাগরীর লক্ষ্মীসরা
শান্তনু বসু 

জাগো- জেগে থাক। নিদ্রা যেন চেতনাকে আচ্ছন্ন না করে। শুদ্ধ চিত্তে, শুদ্ধ চরিত্রে প্রতীক্ষা করো। তিনি আসবেন। তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হবে ধরণী। বৈকুণ্ঠ থেকে তিনি নেমে আসবেন গৃহস্থের অঙ্গনে। আসবেন বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে। অতএব নিবিষ্ট মনে স্মরণ কর তাঁকে। আলপনা দাও। নিষ্ঠা ভরে ধানের ছড়া এঁকে রাখ ভূমিতে, এঁকে রাখ তাঁর চরণচিহ্ন। বিশদ

17th  October, 2021
অপারেশন ৭১ : পর্ব ৩
প্ল্যান জ্যাকপট
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যরাতে ফোন করেছেন কে সংকর্ষণ নায়ার। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি এই সংস্থায় পাকিস্তান ডেস্ক মনিটর করেন। প্রাইম মিনিস্টারকে এত রাতে ফোন করার অর্থ বড়সড় কিছু ঘটেছে। বিশদ

17th  October, 2021
পর্ব ২: অপারেশন ৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চলাইট
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবে? সেরকম হলে আমার ডেডবডির উপর দিয়ে হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এরকমই বললেন, তাঁর আর্মি কমান্ডারদের। শেখ মুজিবের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি বাঙালির হাতে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিতে হবে? বিশদ

10th  October, 2021
একনজরে
রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা কেবল টিভি’র তারই চিন্তার কারণ। যাতায়াতের পথে অনেক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে পায়ে। আবার সাইকেল বা বাইকের চাকাতে জড়িয়েও কখনও কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ...

ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...

কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কাটোয়া আদালত চত্বর থেকে বাইক চুরি। এমনকী বাইক চুরি করে পালানোর সময় এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাইও করে দুষ্কৃতীরা। ...

ফুটফুটে এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ফের উত্তাল হল ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশ। ঘটনাটি হাপুর শহরের। মাত্র ছ’বছরের এক শিশুকন্যার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর পর তাকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM