Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আসা যাওয়ার পথে
তন্বী হালদার

বেশ কিছুদিন ধরে ঘুমোলেই রাই একটা স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে এমন মনে হচ্ছে যে, জেগে জেগেও বোধহয় সে এবার স্বপ্নটা দেখবে। সেদিন অফিস থেকে ট্রেনে ফেরবার সময় জানলার ধারে সিট পেয়েছিল। বনগাঁ লাইনে ট্রেনে জানলার ধারে সিট পাওয়া মানে রীতিমতো লটারি পাওয়া। অবশ্য এটা সম্ভব হয়েছে কোভিড পরিস্থিতির জন্য। খুব প্রয়োজন না থাকলে কেউ আর এখন শখ করে বাইরে বের হয় না। মাত্র দেড় দু’বছরের মধ্যে জীবনযাপন পরিস্থিতি সব যেন অলক্ষ্য থেকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে। আর আমরা পৃথিবী গ্রহের সব থেকে উন্নত প্রাণী দু’পেয়ে জীবরা সেই নিয়ন্ত্রকের হাতে সুতোয় বাঁধা পুতুল। যেমন নাচাচ্ছে তেমনি নাচছি। সেদিন ট্রেনে চোখ লেগে গেলে ওই স্বপ্নটা দেখে ধড়ফড় করে জেগে যায় রাই। কুলকুল করে ঘামছে তখন। মনে হচ্ছে গলার কাছটা কে যেন চেপে ধরেছে। উল্টোদিকে বসা এক বয়স্কা মহিলা বলে, ‘ও মেয়ে তোমার কী হয়েছে? শরীর খারাপ লাগছে? ব্যাগে জলের বোতল আছে? থাকলে খাও। চোখেমুখে জলের ছিটে দাও।’ 
বৃদ্ধার বলার মধ্যে এমন কিছু ছিল যে, রাইয়ের গলার কাছে দলা পাকিয়ে থাকা বোতলের দৈত্যের মতো কষ্টটা একটু একটু করে বাইরে বেরিয়ে আসে। আর সেটা গোপন করতে তাড়াতাড়ি চোখেমুখে জলের ঝাপটা দেয় রাই। বিশুদ্ধ চোখের জল আর পিউরিফায়েড ওয়াটার একাকার হয়ে যায়। বাকি জলটুকু গলায় ঢেলে দেয়। বৃদ্ধার মুখের দিকে তাকিয়ে একটু হাসে। বৃদ্ধা আর বাড়তি কৌতূহল দেখায় না।
রাই বরং জিজ্ঞাসা করে, ‘কোথায় নামবেন?‘  
‘হাবড়া।’ উত্তর দিয়ে আবার মৌন হয়ে যায় বৃদ্ধা। 
আগে এই ট্রেনে যাতায়াতের পথে ট্রেন-সম্পর্কে কত জন কত কিছু হয়ে উঠেছিল। কারও কারও সঙ্গে বাড়ি পর্যন্ত যাতায়াতের গল্পও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ভালো-মন্দ রান্না করলে নিয়ে আসা, ভাগ করে সিটে বসা, পুজো পালাপার্বণে উপহার দেওয়া নেওয়া পর্যন্ত। সে সব যেন অতীত। রাই বরাবর মিতভাষী। অরুণের চলে যাওয়ার পর থেকে আরও হয়ে গিয়েছে। আর সিদ্ধার্থ বিদেশে পড়তে চলে যাওয়ার পর যেন মূক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন এই বৃদ্ধার সঙ্গে খুব কথা বলতে ইচ্ছা করে। তাই জিজ্ঞাসা করে, ‘এখন বাইরে বেরিয়েছেন, খুব দরকার ছিল?’ 
বৃদ্ধার বেশভূষা বলে দিচ্ছে নিম্নবিত্তের গল্প। 
উত্তর দেয়, ‘না গো মেয়ে, বাবুসোনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। বারাসাতে একটা পাঁচ বছরের বাচ্চাকে আমি দেখাশোনা করতাম। তা ওর মা-র গতবার লকডাউনের সময় থেকে ঘরে বসে কাজ শুরু হয়েছে। তাই আমাকে আর বাবুসোনাকে দেখতে হয় না। সেই জন্ম থেকে কোলেপিঠে মানুষ করেছি তো ভুলে থাকতে পারি না। মাঝে মাঝে দেখতে চলে যাই। ওর মা গেলে না খাইয়ে ছাড়ে না। বাড়িতে এখন বের হলে খুব বকে। কিন্তু কী করব বড্ড মায়া গো বাবুসোনার প্রতি। দেখলেই এসে গলা জড়িয়ে ধরে। তা ওর মা আজ বলল, মাসি, এ অবস্থায় এখন এসো না, একটু ঠিক হোক সব। ঠিকই বলেছে। কিন্তু কবে যে সব ঠিক হবে!’ 
রাইয়ের সমস্ত কথারা ফুলঝুরির আগুনের মতো চারদিকে ছড়িয়ে যেতে থাকে, গুছিয়ে কিছু বলবার মতো শব্দবন্ধ তৈরি হয় না। বৃদ্ধার ঘোলা ঘোলা চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে।  
বৃদ্ধা হাসে। বলে, ‘দাঁড়াও মেয়ে তোমাকে বাবুসোনার ছবি দেখাচ্ছি’, বলে  জায়গায় জায়গায় আস্তরণ উঠে যাওয়া কোনও এক সময়ের খয়েরি রঙের চামড়ার ব্যাগের ভেতরে প্লাস্টিকে মোড়ানো প্যাকেট থেকে খুব যত্ন করে একটা কাগজের প্যাকেট বের করে। তার ভেতর থেকে গোলগাল ছোট্ট একটা বাচ্চার ছবি বের করে মেলে ধরে রাইয়ের সামনে। 
রাই একটু ঝুঁকে ছবিটা দেখে বলে, ‘খুব মিষ্টি।’ 
‘খুব দুষ্টু। এটা ওর তিন বছর জন্মদিনের ছবি।’ বলবার সময় গলাটা কেঁপে যায় বৃদ্ধার। 
মুখ তুলে রাই দেখে বৃদ্ধার দু’চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে যাচ্ছে। 
রাই কী যেন বলতে যাচ্ছিল তার আগেই ট্রেন থামে।
‘ওই দেখো কথায় কথায় হাবড়া এসে গিয়েছে,’ বলে উঠে পড়ে। নেমে যায় বৃদ্ধা। রাইয়ের জানা হয় না ওর বাড়িতে কে কে আছে। বা ওই বাচ্চাটার বাড়ি থেকে কিছু করে হলেও মাইনের টাকা দেয় কি না। 
বৃদ্ধা জানলার দিকে তাকিয়ে একটু হাসে। তারপর ধীরে ধীরে স্টেশনের বাইরে যাওয়ার দিকে হাঁটতে শুরু করে। 
রাই যে কোনওদিন খুব একটা প্রচণ্ডরকমের হাসিখুশি উচ্ছল ধরনের ছিল তা না। তবে প্রাণবন্ত পজিটিভ ভাইভস যাদের আছে তাদের সঙ্গ বরাবরের পছন্দের ছিল। আর এখন এই দেড় দু’বছর ধরে সব যেন কেমন এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। হুল্লোড় করে বেঁচে থাকা বা বাঁচতে জানা মানুষগুলো কোথায় যে সব হারিয়ে গেল! অসময়ের শ্রাবণ মেঘ ঢেকে দিয়েছে মানুষের যাপিত জীবন। ট্রেনটা আবার স্পিড নিয়েছে। দৌড়োচ্ছে তার গন্তব্যের দিকে। উদাসীন দৃষ্টিতে রাই জানলার দিকে তাকিয়ে। খুব গভীর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে। নিজেকেই যেন বলে, ‘এভাবে আর কত দিন!’ 
আর তখনই একটা চেনা কণ্ঠ ডেকে ওঠে, ‘রাই দিদি, কেমন আছো? কত্তদিন পরে দেখলাম গো।’
রাইও সোজা হয়ে বসে খুশিখুশি গলায় বলে, ‘আরে সীতুকুমার যে! কোথায় ছিলে এতদিন। আমি তো প্রায় অফিস যাই। রোস্টার ডিউটি চলছে। তোমাকে দেখি না তো।’ 
সীতুকুমারের একটা পরিচয় আছে। শীতকালে সে যাত্রা দলের সঙ্গে গ্রামে গ্রামে ঘোরে। বাঁশি বাজায়। পার্টও করে নাকি। বাঁশি ওর সঙ্গে সব সময় থাকে। কেউ একটু শুনতে চাইলে, প্রথমটা লজ্জা লজ্জা করলেও শুনিয়ে দেয়। তবে বনগাঁ লোকালের যে মৌমাছির চাকের মতো বিজবিজে ভিড় কে আর বাঁশি শুনতে চাইবে! তবু রাতের দিকে কামরা একটু ফাঁকা থাকলে কেউ কেউ বলে, সীতু একটু শোনা না। সীতু শোনায়। তখন সেই শিয়ালদা থেকে ঝগড়া করতে করতে আসা কমবয়সি বউটাও কেমন বাধ্য বালিকার মতো চুপ করে যায়। ফণা গুটিয়ে নিয়ে নিজেই ঝাঁপির মধ্যে ঢুকে যায়। সীতুকুমার ট্রেনে শশা, পেয়ারা বেচে। আর বাকি সময়টা যাত্রার দল। পুরো নাম নাকি সীতাপতি সর্দার। এটা নাকি যাত্রা দলের অধিকারী মশাইয়ের দেওয়া। একদিন কে যেন জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘তা বাপ সীতুকুমার তোর আসল মানে বাপ-মায়ের দেওয়া নামটা কী বল একটু শুনি।’ 
মাথা নেড়ে বলে, ‘শুনি কাজ নাই। উটি নামটা ভালো নয়।’ 
আর এই কথায় সবার কৌতূহল বেড়ে যায়। চেপে ধরে। ‘বল, বল সীতু।’ 
সীতুকুমার মুখ নিচু করে সলাজ হেসে বলেছিল, ‘ধনপতি।’ 
সমস্ত কামরা হাসিতে ফেটে পড়ে। 
সীতুকুমার কাঁদো কাঁদো হয়ে বলে, ‘জানতাম তুমরা হাসপে। তাই বলতি চাইনি।’ 
সেদিন রাইও ছিল ওই কামরায়। রাই সীতুর মনের চোরা দুঃখে জোনাকি জ্বালার মতো বলে ওঠে, ‘তুমি কান দিও না সীতু। একটু বাঁশি শোনাও দেখি। আর আমাকে পাঁচশো শশা দাও।’ 
মন কেমন করা বাঁশি শুনিয়েছিল সেদিন সীতু। সমস্ত কামরা থমথমে হয়ে যায়। 
আজ অনেকদিন পর সীতুকুমারকে দেখে সে সব মনে পড়ে যায়। রাই দেখে সীতুর হাতে শশা বা পেয়ারার ঝাঁকার বদলে একটা লম্বা লাঠির সঙ্গে আড়াআড়ি করে কতগুলো লাঠি বাঁধা আর তাতে দড়ি, সেপ্টিপিন দিয়ে মাস্ক ঝোলানো। রাই সেদিকে তাকালে সীতু নিজেই বলে, ‘এখন তো বাইরে আর কেউ কিছু খায় না। কিন্তু পেট তো চালাতে হবে। গতবছর যাত্রাও হয়নি। তাই মাস্ক বিক্রি করছি।’ 
অনলাইনে একগাদা ডিস্পোজাল মাস্ক কেনা আছে রাইয়ের ঘরে। মাস্ক কেনার কোনও দরকার নেই। তবু মন চায় সীতুকুমারকে কিছু সাহায্য করতে। গেটের উল্টোদিকে শুধু কমবয়সি একটা মেয়ে ছিল। সে শিয়ালদা থেকে পুরো সময়ই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিল। গোবরডাঙা আসতে নেমে গেল।
রাই বলে, ‘সীতু একটু বাঁশি শোনাও। কত দিন শুনিনি।’
সীতু বেশ খুশি মনেই কাঁধের ঝোলা ব্যাগটা থেকে বাঁশি বের করে বাজায়। সুরটা রাই চেনে না। কিন্তু বাঁশি তো বাঁশিই। বড় করুণ এর ধুন। মন কেমন করে। শেষ করে সীতু হাসিমুখে তাকায় রাইয়ের দিকে।
রাই বলে, ‘মনটা ভরে গেল গো সীতুকুমার।’ 
ব্যাগ থেকে পঞ্চাশ টাকার একটা নোট বের করে দিতে গেলে সীতু বলে, ‘এমা রাই দিদি তুমি কি কোনওদিন দেখেছো বাঁশি শুনিয়ে কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি!’ 
রাই বুঝতে পারে, ভুল হয়ে গিয়েছে তার। একজন শিল্পীর ভেতরকার অহং-এ ঘা দিয়ে ফেলেছে সে। তাড়াতাড়ি বলে, ‘তাহলে দুটো মাস্ক দাও দেখি।’ 
চাঁদপাড়া এলে, ‘আসি গো রাই দিদি’ বলে নেমে যায় সীতু। নেমে গিয়েও ছুটে আসে জানলার কাছে। ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। সীতু হাওয়ার গতিবেগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চিৎকার করে বলে, ‘রাই দিদি, ট্রেনে যে শিবুদা, গঙ্গাদি ছিল না, গান গাইতো। শিবুদা করোনায় একমাস হল মরে গিয়েছে।’  
ট্রেন স্পিড নিয়ে নেওয়ায় সীতুর আর কোনও কথা রাই শুনতে পায় না, আর রাইও কী যেন বলতে যাচ্ছিল আর বলা হয় না। 
হাতে ধরে থাকা মাস্ক দুটো ব্যাগের ভেতর ভরে নেয় রাই। হাতে একটু স্যানিটাইজার দেয়। সেদিন ফেসবুকে একটা মিমস দেখছিল, ঠাকুরঘরে গঙ্গাজলের বোতলে স্যানিটাইজার রাখা। সিটে একটু হেলান দেয় রাই। চোখটা বন্ধ করে। স্বপ্নটার কথা মনে হয়। সারি দিয়ে চিতা জ্বলছে। চিতার লকলকে আগুন। সব কোভিডে আক্রান্তদের শরীর। আর তখনই ট্রেনটা সিগ্যনাল না পেয়ে থেমে যেতে একটা ঝাঁকুনিতে চোখ খোলে রাই। পুরো কামরাটায় সে এখন একা। জীবনের প্রথম অবিশ্বাস্য ঘটনা। খাঁ খাঁ করছে যেন। সীতুর কথাটা মনে পড়ে। কী যেন বলছিল সে, শিবু গঙ্গা মানে সেই অন্ধ স্বামী-স্ত্রী। মাইক্রোফোন দিয়ে গান গেয়ে ট্রেনে ভিক্ষা করত। ওদের তো একটা মেয়েও আছে শুনেছিল। বনগাঁ গার্লস স্কুলে পড়ে। নতুন ক্লাসে উঠলে গতবার রাই একটা বই কেনার দামও দিয়েছিল। অনেকেই দেয়। ইসস স্বামীটা মারা গেলে বউটা একা একা কী করে সব সামলাবে! একে তো অন্ধ মানুষ। মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। 

বনগাঁ অন্তিম স্টেশন বলে নামার কোনও তাড়াহুড়ো নেই। ধীরেসুস্থে নামে রাই। নাকের উপর মাস্কটা একটু টেনে নেয়। সামনের সপ্তাহ থেকে আবার নাকি লকডাউন হবে শোনা যাচ্ছে। লকডাউনে দিন আনি দিন খাই মানুষগুলোর দুরবস্থার শেষ থাকে না। ট্রেন বন্ধ মানে সীতুদের মতো মানুষদের রুটিরুজিও বন্ধ। কবে যে সব ঠিক হবে কে জানে। অনেকে বলে, এ নাকি প্রকৃতিকে নিয়ে খেলা করার প্রতিশোধ নিচ্ছে সে। রাই মনে মনে বলে, ‘না অনেক হয়েছে আর নিও না প্রতিশোধ।’ 
স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় হঠাৎ একটা গানের সুর কানে আসে। গানটা কিশোরকুমারের জনপ্রিয় গান। ‘চলতে চলতে মেরে ইয়ে গীত ইয়াদ রাখ না কভি আলবিদা না কহে না...’ বেশ কমবয়সি মেয়ের গলা। ভালো সুরেই গাইছে। পায়ে পায়ে এগিয়ে গিয়ে দেখে গঙ্গা। আর বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না কমবয়সি মেয়েটা তারই মেয়ে। রাই দাঁড়িয়ে পড়ে। 
গান শেষ হলে জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি গাইছ তোমার মা এখন আর গায় না?’ 
মেয়েটি মাথা নাড়ে। বলে, ‘বাবা মরে যাওয়ার পর থেকে মা আর গান গায় না। আর আমারও তো স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাই আমিই গাই।’ 
রাই একটু চুপ করে যায়। তারপর বলে, ‘বন্ধ মানে! অনলাইন ক্লাস তো হচ্ছে।’ 
মেয়েটা হাসলে বাঁ গালে টোল পড়ে। সেই টোল ফেলে হেসে বলে, ‘আমাদের তো স্মার্টফোন নেই দিদি। একটা কাকু বলেছে আমার গানের গলা খুব ভালো। কলকাতায় ভালো জায়গায় গান গাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। তখন ওই ফোন কিনব। ক্লাস করব।’ 
রাই জবুথবু হয়ে বসে থাকা গঙ্গার দিকে ভালো করে তাকায়। মনে হয় ভাগ্যিস গঙ্গা চোখে দেখে না। তাহলে রাইকে হয়তো চিনতে পারত। জিজ্ঞাসা করত, রাইদিদি মেয়েটাকে ওই কাকুর সঙ্গে কলকাতায় গান গাইতে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে? 
ব্যাগ থেকে একশো টাকার একটা নোট ওদের সামনে রাখা পাত্রটায় রেখে হনহন করে হাঁটতে শুরু করে রাই।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
07th  November, 2021
ছোট গল্প
তাজমহল
মীনাক্ষী সিংহ

অপেক্ষার ক্লান্ত আশাহত প্রহর পেরিয়ে সাত বছরের প্রতীক্ষা শেষে মালশ্রীর বিয়ে হল যোগ্য পাত্র সুতীর্থর সঙ্গে। কী আশ্চর্য সমাপতন। সুতীর্থও ডাক্তার। তবে মালশ্রী আগেই জেনে আশ্বস্ত হয়েছে যে দু’জনের কলেজ ছিল আলাদা। প্রিয়ক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উজ্জ্বল ছাত্র আর সুতীর্থ জলপাইগুড়ি কলেজের। বিশদ

05th  December, 2021
পর্ব ১০: অপারেশন’৭১
নিপাট রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এনিমি এয়ারক্র্যাফট অ্যাটাকড...পজিশন এফএফ টোয়েন্টি...নম্বর ওয়ান বয়লার হিট...ওভার...। পাকিস্তানের নেভি কন্ট্রোল এই মেসেজ পিএনএস খাইবার থেকে পেয়েই সেটা পাঠিয়েছে পিএনএস মুহাফিজকে। আর একটি যুদ্ধজাহাজ। যাতে তৎক্ষণাৎ রেসকিউ করতে যায় মুহাফিজ! 
বিশদ

05th  December, 2021
অপারেশন’ ৭১: পর্ব ৯
খাইবার খতম
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৬৫ সাল। সেপ্টেম্বর মাস। তখন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল বি এস সোমান। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু। অ্যাডমিরাল বি এস সোমান ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তিনতলায় একটি ঘরে বসে আছেন। তাঁর সামনে একটি নোট রাখা। সরকারি লেটারহেড। সামরিক বিভাগের। সেখানে লেখা আছে, আন্দামান নিকোবর রক্ষা করাই আপাতত ইন্ডিয়ান নেভির প্রধান কর্তব্য। বিশদ

28th  November, 2021
ছোট গল্প
রসাল কথা
এষা দে

কী করেছে শ্রী? দল বেঁধে রথের মেলায় গিয়েছিল। যাক্‌।  ঩সেখানে বড়দের সব বারণ, সাবধানবাণী অগ্রাহ্য করে আকণ্ঠ নিষিদ্ধ স্ন্যাক্স গরম গরম সামনে তৈরি জিলিপি, পাঁপড় ভাজা, বেগুনি, পেঁয়াজি খাওয়া হয়েছে। কী সর্বনাশ! তার ওপর সন্ধ্যায় ফেরার সময় একটি আম গাছের চারা কিনে নিয়ে এসে লুকিয়ে রেখে পরদিন সাতসকালে চুপচাপ মালি বিশুর কোদাল খুরপি ইত্যাদি হাতসাফাই করে হাউজিংয়ের খোলা সবুজের প্রায় মাঝখানে মাটি খুঁড়ে সেটি পুঁতে ফেলেছে। বিশদ

21st  November, 2021
পর্ব ৮: অপারেশন ’৭১
কিলার টোয়েন্টি ফাইভ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কলকাতায় বসে ইন্দিরা গান্ধী প্রথমেই খবর নিলেন ঠিক কতটা অ্যাটাক করছে পাকিস্তান। তাঁকে বলা হল, ম্যাডাম, ওয়েস্টার্ন সেক্টরে পাগলের মতো এয়ার স্ট্রা‌ইক করছে। একটু আগে পৌনে ৬টায় হয় প্রথম অ্যাটাক। ইন্দিরা গান্ধী বললেন, ডিটেলস এসেছে? কোথায় কোথায় বম্বিং হয়েছে? বিশদ

21st  November, 2021
অপারেশন ৭১
ডেপথ চার্জ

বিপ...বিপ...বিপ। মেসেজ এসেছে। পাকিস্তানের সাবমেরিন পিএনএস গাজিকে করাচি ন্যাভাল কন্ট্রোল থেকে মেসেজ করছে। তোমরা কোথায়? কোনও কন্ট্যাক্ট নেই কেন? ক্যাপ্টেন জাফর মহম্মদ খান বললেন, আমরা এখন কী করব বলে দিন? বিক্রান্তের খোঁজ পেয়েছেন? বিশদ

14th  November, 2021
ডাইনি

জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে আছে জামুনি। জামুনি টুডু। নিজেদের জমিতে চাষ, দুই ছেলেমেয়ে কাঁদন আর চূড়ামণিকে নিয়ে বেশ সংসার। দোষের মধ্যে গাঁয়ের সোমবারি টুডুর শরীর খারাপের খবর শুনে দেখতে গিয়েছিল। বিশদ

14th  November, 2021
কোথায় বিক্রান্ত?
সমৃদ্ধ দত্ত

শুনুন সবাই, আমাদের এবারের মিশন আইএনএস বিক্রান্ত! সেই বিখ্যাত ইন্ডিয়ান যুদ্ধজাহাজ। বললেন, পাকিস্তানের ন্যাভাল ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড অপারেশন প্ল্যানস ক্যাপ্টেন ভুমবাল। 
বিশদ

07th  November, 2021
মেঘ বৃষ্টির গল্প
উদয়ারুণ রায়

‘চা-টা তো ঠান্ডা হয়ে যাবে এবার।’ বাবার ইজিচেয়ারের পাশে রাখা টেবিলটার ওপরে নিজের চায়ের কাপটা রেখে ওপাশের চেয়ারটায় বসল বৃষ্টি। বারান্দায় বাবা ইজিচেয়ারে বসে আছেন দূরের দিকে চেয়ে। মিনিট দুই আগে টিকলি, ওদের কাজের মেয়েটা অরুণ মিত্রকে চা দিয়ে গিয়েছে। বিশদ

31st  October, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৫
করাচি  প্ল্যান
সমৃদ্ধ দত্ত

পাকিস্তানের বোট যে তাদের লক্ষ্য করেই অগ্রসর হচ্ছে সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। একমাত্র ডুবসাঁতারই ভরসা। কিন্তু কোন দিকে যাওয়া যায়? এতগুলো মানুষ কর্ণফুলী নদীবক্ষে ছড়িয়ে আছে। সকলের পেটে গামছা দিয়ে বাঁধা আছে লিমপেট মাইন। বিশদ

31st  October, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৪
রেডিও সিগন্যাল
সমৃদ্ধ দত্ত

১৫ জুন ১৯৭১। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এস এম নন্দা পলাশির ক্যাম্প পরিদর্শনে এলেন। তিনি এবং ভারত সরকার একটা সাংঘাতিক কঠিন বাজি হাতে নিয়েছে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোদের এই কাজটির জন্য পাঠানো হতো, তাহলে অতটা টেনশন হতো না। বিশদ

24th  October, 2021
কোজাগরীর লক্ষ্মীসরা
শান্তনু বসু 

জাগো- জেগে থাক। নিদ্রা যেন চেতনাকে আচ্ছন্ন না করে। শুদ্ধ চিত্তে, শুদ্ধ চরিত্রে প্রতীক্ষা করো। তিনি আসবেন। তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হবে ধরণী। বৈকুণ্ঠ থেকে তিনি নেমে আসবেন গৃহস্থের অঙ্গনে। আসবেন বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে। অতএব নিবিষ্ট মনে স্মরণ কর তাঁকে। আলপনা দাও। নিষ্ঠা ভরে ধানের ছড়া এঁকে রাখ ভূমিতে, এঁকে রাখ তাঁর চরণচিহ্ন। বিশদ

17th  October, 2021
অপারেশন ৭১ : পর্ব ৩
প্ল্যান জ্যাকপট
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যরাতে ফোন করেছেন কে সংকর্ষণ নায়ার। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি এই সংস্থায় পাকিস্তান ডেস্ক মনিটর করেন। প্রাইম মিনিস্টারকে এত রাতে ফোন করার অর্থ বড়সড় কিছু ঘটেছে। বিশদ

17th  October, 2021
পর্ব ২: অপারেশন ৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চলাইট
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবে? সেরকম হলে আমার ডেডবডির উপর দিয়ে হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এরকমই বললেন, তাঁর আর্মি কমান্ডারদের। শেখ মুজিবের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি বাঙালির হাতে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিতে হবে? বিশদ

10th  October, 2021
একনজরে
কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কাটোয়া আদালত চত্বর থেকে বাইক চুরি। এমনকী বাইক চুরি করে পালানোর সময় এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাইও করে দুষ্কৃতীরা। ...

ফুটফুটে এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ফের উত্তাল হল ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশ। ঘটনাটি হাপুর শহরের। মাত্র ছ’বছরের এক শিশুকন্যার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর পর তাকে ...

ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...

রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স  ২-১ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। এবার প্রতিযোগিতায় প্রথম জয় পেল কেরলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM