ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
বেশিরভাগ ফ্ল্যাট মালিক তখন জীবিকা এবং জীবনে স্থিত, শৈশব অতিক্রান্ত ছেলেমেয়েরা স্কুলে পড়ে। কারও কারও অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ বাবা-মাও সঙ্গে থাকেন। যেমন থাকতেন পরেশ ও অনুভা ব্যানার্জিরা এ থ্রি/ টু’ অর্থাৎ ‘এ’ বিল্ডিংয়ের তিন তলার দু’নম্বর ফ্ল্যাট। জীবনসায়াহ্নে ধ্যানজ্ঞান ছোট ছেলে সুশান্তর একমাত্র সন্তান, শ্রীময়ী। সুশান্ত এবং দীপা দুজন কর্মব্যস্ত ইঞ্জিনিয়ার। তাদের প্রাত্যহিক দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে শ্রীময়ী বা শ্রী, শৈশব থেকে দাদাভাই, দিদার অতিরিক্ত মনোযোগ এবং প্রশ্রয় লাভ করে একটি বিচ্ছু মেয়েতে পরিণত। গ্রিনভিউর ছেলেমেয়েদের লিডার, যদিও আজ পলাশ, কাল অভ্র, পরশু অদিতির সঙ্গে আড়ি হাতাহাতি লেগেই থাকে। বেড়ে ওঠার স্বাভাবিক নিয়মে আজ যার সঙ্গে মারপিট কাল তারই সঙ্গে গলায় গলায় ভাব। ক্রমে গ্রিনভিউয়ের বাবা-মায়েরা তার কাণ্ডকারখানায় উত্তেজিত না হতে শিখে গেলেন।
সে যখন বয়ঃসন্ধিতে উপনীত, সদ্য টিনএজার, তখন সে এমন একটি কাণ্ড করে বসল যে সকলে মিলে রে রে করে তেড়ে এল।
‘না, এটা চলবে না।’
‘আবাসনের বিধিনিয়ম সবাইকে সমানভাবে মানতে হয় নইলে একসঙ্গে থাকা যায় না।’
গ্রিনভিউয়ের এতদিনের নিস্তরঙ্গ জীবন উথালপাতাল।
কী করেছে শ্রী? দল বেঁধে রথের মেলায় গিয়েছিল। যাক্। সেখানে বড়দের সব বারণ, সাবধানবাণী অগ্রাহ্য করে আকণ্ঠ নিষিদ্ধ স্ন্যাক্স গরম গরম সামনে তৈরি জিলিপি, পাঁপড় ভাজা, বেগুনি, পেঁয়াজি খাওয়া হয়েছে। কী সর্বনাশ! তার ওপর সন্ধ্যায় ফেরার সময় একটি আম গাছের চারা কিনে নিয়ে এসে লুকিয়ে রেখে পরদিন সাতসকালে চুপচাপ মালি বিশুর কোদাল খুরপি ইত্যাদি হাতসাফাই করে হাউজিংয়ের খোলা সবুজের প্রায় মাঝখানে মাটি খুঁড়ে সেটি পুঁতে ফেলেছে। সকলের গভীর সন্দেহ বিশু, ছোটদের কাছের মানুষ মাঝবয়সি বিশুকাকা, গোপনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। নইলে এত নিপুণভাবে মাটি তৈরি করে কী করে মেয়েটা গাছ লাগাতে পারল? ব্যানার্জিদের ফ্ল্যাটে দল বেঁধে ডেলিগেশন গেল। মেয়ের কীর্তিতে শ্রীর বাবা-মা মর্মাহত লজ্জিত, তার অপরাধের গুরুত্বের বিষয়ে বাকি বাসিন্দাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। দোষীকে সামনে আনা হল। হাউজিং একটি কোঅপারেটিভ, যার নিয়ম নীতি সিদ্ধান্ত সব বোঝানো হল। কমিটি প্রেসিডেন্ট সুজয়বাবু বললেন, ‘বুঝতে পারছ তো কেন ওই আম গাছ এ হাউজিংয়ে চলবে না?’
মাথা নাড়ে শ্রী, ‘না, বুঝতে পারছি না। রথের মেলায় লোকে যেমন তেলে ভাজা খায় তেমনই গাছের চারাও কেনে। কত রকমের গাছ লোকেরা কিনছিল। দিদা বলে আমরা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে নিজেদের ট্র্যাডিশন কিছু শিখিনি। আমাদের দেশে সিজন অনুযায়ী পরব। কালীপুজোর সময় বাজি পোড়াই কারণ শ্যামাপোকার মতো ইনসেক্ট হয় তাই। বসন্তকালে ফুল ফোটে। আমরা ফুলের হলুদ, লাল, বেগুনি রঙে ফাগ আবিরে দোল খেলি। বর্ষাকাল গাছ লাগানোর বেস্ট টাইম। তাই সে সময় রথের মেলায় হয় গাছ বিক্রি। দাদাভাইয়ের কাছে সব শুনেছি। তোমরা বড়রা জানো না কেন?’
একাধিক গলা হাঁ হাঁ করে ওঠে। সুজয়বাবু সবাইকে থামিয়ে বলেন, ‘ট্র্যাডিশন কাস্টমফাস্টম সব ঠিক আছে। কিন্তু সব সময় মানা যায় না। কালীপুজোয় কি আমরা হাউজিংয়ে শব্দবাজি ফাটাতে পারি? ফ্ল্যাটে তুমি দোল খেলতে পার? না। সেই রকম সর্বত্র সবরকম গাছও লাগানো যায় না। পাঁচজনের সঙ্গে বাস করতে হলে অন্যের সুবিধা-অসুবিধা দেখতে হয়।’
‘কার অসুবিধা আমগাছ থাকলে? সব তোমাদের জবরদস্তি।’ ফোঁস করে ওঠে শ্রী।
‘এই হাউজিং-এ ফলের গাছ লাগানো বারণ, সকলের মত। তুমি একা মানবে না কেন?’
‘ওটা তুলে ফেলতে হবে।’ কমিটি মেম্বার গীতি লাহিড়ীর আদেশ।
শক্ত মুখে শ্রী ঘোষণা করে, ‘না। রথের মেলায় কেনা আমগাছ থাকবে। কেউ যদি আমার গাছে হাত দিয়েছ তো দেখো আমি কী করি। এই হাউজিংয়ে আমার গাছ যদি না থাকতে পারে তাহলে আমিও থাকব না। পুলিস এসে তোমাদের ধরবে। তখন শত কান্নাকাটি করেও আর আমাকে ফেরাতে পারবে না, বলে দিলাম।’ ঘর থেকে গট গট করে বেরিয়ে গেল।
সবাই বাক্যহীন।
‘দেখুন, দয়া করে আপনারা গাছটায় হাত-টাত দেবেন না। বড় অভিমানী মেয়ে। কী অনর্থ করে বসবে ভাবলে বুক কাঁপে,’ দিদার কাতর মিনতি।
‘একটা আম গাছ লাগানো তো অপরাধ নয়। একটু যুক্তি দিয়ে চিন্তা করুন। হ্যাঁ আপনারা একটা নিয়ম করেছেন। সেটা কিন্তু কোনও আইনমাফিক কাজ নয়’, দাদাভাই নাতনির হয়ে লড়ে যান।
‘না, না, জানেন তো ফলের গাছ থাকলেই অশান্তি।’
‘সেটা তো আপনাদের অনুমান মাত্র। প্রতি সিজনে মৌসুমি ফুল হয়। কত সুন্দর সব ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, দোপাটি। কোনও দিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে কি?’ দাদাভাই নাছোড়বান্দা।
‘কিছু মনে করবেন না, আপনাদের প্রশ্রয়েই মেয়েটা এমন বেয়াড়া হয়ে উঠেছে।’ বি ফোর/ থ্রি-র ঠোঁটকাটা মিলি মিত্তির মুখের ওপর বলে দেন।
গম্ভীর মুখে দিদা বলেন, ‘দস্যিপনা করে সত্যি, কিন্তু ক্লাসে বরাবর ফার্স্ট হয়। মিসেস মিত্র, আপনার মেয়ে মৌলি প্রায়ই আসে শ্রীর কাছে অঙ্ক না কীসে জানি হেল্প নিতে।’
সি ওয়ান/ ফোর-এর সুনন্দা বাগচী ফুট কাটেন, ‘আমার ছেলে শৌণকও ফার্স্ট হয়। অবশ্য ওর অন্য ক্লাস। তাই বলে একেবারে যা ইচ্ছে তাই করবে, গুরুজনদের কথার তোয়াক্কা করবে না, এমন শিক্ষা আমরা ছেলেকে দিইনি।’
সকলে যেন ভুলেই গিয়েছে শ্রী মোটেই একলা রথের মেলায় যায়নি। প্রতিবাদী প্রতিবেশীদের ছেলেমেয়েরা বেশ কয়েকজন সঙ্গে ছিল। রীতিমতো একটা দল। তবে লিডার নিঃসন্দেহে ওই দস্যি মেয়ে। সকলে মিলেই তেলেভাজাটাজা খাওয়া হয়েছে। নিশ্চয় সকলের সামনেই গাছ কেনা। লাগানোর পরিকল্পনাতে নির্ঘাত সবাই শামিল। বাবা-মায়ের জেরার জবাবে বাধ্য পুত্র-কন্যাদের এক উত্তর, ‘কখন যে শ্রী ওটা কিনল কেউ খেয়ালই করতে পারিনি। ওর সঙ্গে তো একটা ঝোলা ব্যাগ ছিল আমাদের জলে বোতল ক্যারি করার জন্য। তার মধ্যে পুরে এনেছে নিশ্চয়, দেখতে পাইনি।’
বৃক্ষরোপণ কাণ্ডের বিভিন্ন পর্যায়ে সমষ্টির ভূমিকা রহস্যই রয়ে গেল। শেষমেশ দোষের ভাগী হয়ে রইল একমাত্র বিশু মালি। আসামিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদে মাথা চুলকে স্বীকার করল, ‘আজ্ঞে একটা শুভ দিনে শ্রীদিদি গাছটা কিনেছেন, ‘না’ বলি কী করে!’
দিনের আবার শুভ-অশুভ কী। এই একবিংশ শতকেও সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে কত অযৌক্তিক সনাতন ধ্যান-ধারণা রাজত্ব করছে সে নিয়ে কমিটির জরুরি মিটিংয়ে সমবেত ক্ষোভ প্রকাশ। অপেক্ষাকৃত বয়স্কদের মত, বাধা দিলে ছোটদের জেদ বাড়ে। সহ্য করে চুপচাপ থাকলে আপনি ঘাড় থেকে ভূত নেমে যাবে। গাছ তো খেলনা নয় যে ইচ্ছেমতো আজ খেলবে, কাল ফেলে রেখে দেবে। ও তো একটা প্রাণ, শিশুর মতো যাকে আদর যত্নে পালন করতে হয়। একটা আমের চারা বড় করা কি চাট্টিখানি কথা। কত বড় দায়িত্ব তা কি ওই এতটুকু মেয়ে জানে! ক’দিন তার বৃক্ষপ্রীতি টেকে দেখ। অতএব রসাল শিশুর অবশ্যম্ভাবী বিয়োগাত্মক পরিণতিতে নিশ্চিত হয়ে সকলে হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন।
সবাইকে অবাক করে স্কুল টিউশন সব সামলে নিয়মিত চলে দস্যি মেয়েটার আমের চারা লালনপালন। বলাবাহুল্য দাদু দিদার সক্রিয় সাহায্য ও ক্রমাগত উৎসাহদান। নইলে তার নিজস্ব ছোট ঝাঁঝরি খুরপি আসে কোত্থেকে। বিশুর অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপও স্পষ্ট। শিশুচারাটিকে ঘিরে একটি শক্তপোক্ত লোহার তারের জালি বেড়া রাতারাতি গজিয়ে উঠল। রোজই শ্রীকে দেখা যায় তার গাছের কাছে। পোঁতার সময় তার উচ্চতা ছিল ফুটখানেক। যেদিন হাঁটু ছুঁল, অভ্র আর মেধাকে শ্রী বলল, ‘জানিস হিমু দিব্যি বড় হচ্ছে।’
‘হিমু আবার কে?’
‘বা রে মনে নেই সেই যে গাছটা বিক্রি করল, সেই লোকটাই তো বলল ওর নাম হিমসাগর, চিনির মতো মিষ্টি আম দেবে। মস্ত বড় নাম হিমসাগর, ছোট করে আমি ওকে হিমু বলি।’
‘তুই এমনভাবে বললি যেন হিমু তোর একটা ছোট ভাই বা বোন’, অভ্র ঠাট্টা করে।
শ্রী লাফিয়ে ওঠে, ‘দি আইডিয়া। হিমুকে আমার ছোট ভাই করলাম।’
মেধা খেপায়, ‘ভাইফোঁটা দিবি তো?’
‘নিশ্চয় দেব।’
অতঃপর শ্রীর দলবল মহা উৎসাহে হিমুকে ঘিরে ফি বছর ভাইফোঁটা রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে হইহই করে, চিপস্ ক্যাডবেরি খায়, বলাবাহুল্য ফিনান্সিয়ের দাদাভাই। জন্মদিনে অর্থাৎ তার গ্রিনভিউতে আগমনের দিনে দিদার হাতের পায়েস। সে সবের বিবরণ তাদের বাবা-মায়ের কানে ওঠে। ‘যত্ত সব আদিখ্যেতা। মুখ বেঁকান মিলি মিত্তির। বয়েই গেল শ্রী’র। গাছগাছালিরও প্রাণ আছে। বড়রা কি জানে না জগদীশচন্দ্র বসুর আবিষ্কার? নিয়ম করে হিমুর সঙ্গে সময় কাটায়। গাছেরা নাকি ভালোবাসা চায়।
দেখতে দেখতে হিমু লম্বায় ধাঁ ধাঁ করে দিদিকে ছাড়াল। বেশ ডালপালা ছড়িয়ে গায়ে পায়েও দিব্যি ডাগরটি। কিন্তু কই আমের তো দেখা নেই। ততদিনে শ্রীর উঁচু ক্লাস, পড়ার চাপ প্রচণ্ড, দশ ক্লাস, বারো ক্লাস, জয়েন্ট এন্ট্রান্স। পরীক্ষা আর পরীক্ষা। কত স্বপ্ন তার নিজের এবং তাকে ঘিরে তার বাবা-মায়ের, দাদাভাই দিদার।
এদিকে হিমুকে নিয়ে তার দুশ্চিন্তা। তার গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে জিজ্ঞাসা করে, ‘তোর কি কোনও কষ্ট আছে?’
তার সবুজ পাতার রাশি বাতাসে দোলে, ‘না, আমি দিব্যি আছি।’
প্রবল বিরূপতার পারিপার্শ্বিকের জবাবেই যেন হিমু ঘন পাতা ভরা সমান শাখা-প্রশাখা চারদিকে ছড়িয়ে দিব্যি মানানসই সুন্দর আকৃতি নেয়। এমন বাহার যে তার এককাট্টা বিরোধীদের চোখেও ভালোই লাগে। আমের যে দেখা নেই এতে তাঁরা উচ্চগ্রামে বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করে থাকেন। ঠোঁটকাটা মিলি মিত্তির বলে বেড়ান, ‘যেমন বেয়াড়া মেয়ে শ্রী, তেমনই বেয়াড়া তার গাছ, কস্মিনকালেও ফল দেবে না।’
বিশুকাকা অবশ্য সকলের অগোচরে শ্রীকে বুঝিয়েছে, ‘ব্যস্ত হও না দিদি। তোমার হিমু মানুষের তৈরি কলমের গাছ নয় যে সাত তাড়াতাড়ি ফল ধরবে। ও হচ্ছে ভগবানের নিয়মে আঁটি থেকে গজানো গাছ, অন্তত সাত-আট বছর সময় লাগবে ফল ধরতে।’
এদিকে দিনে বারো-চোদ্দো ঘণ্টা ধরে চলছে শ্রীর পড়াশোনা। গ্রিনভিউয়ের এতগুলি ছেলেমেয়ের মধ্যে একমাত্র সে-ই যখন আইআইটিতে অ্যাডমিশন পেল, খুশির চেয়ে বেশি যেন মন খারাপ। হিমুকে ছেড়ে যেতে হবে। তার গায়ে হাত বুলিয়ে বিশুকাকাকে মিনতি করে ‘হিমুকে দেখো কিন্তু।’
‘আমি যখন যা দরকার ঠিক করে যাব। তুমি নিশ্চিন্তে যাও, মন দিয়ে পড়াশোনা কর। আর কলেজের ছুটিতে তো আসবে।’ প্রতিবার ছুটিতে এসে প্রথমেই হিমুর সার্বিক সুস্থতা পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করে শ্রী। আবাসনের বাসিন্দাদের পার্মানেন্ট হাসির খোরাক।
কেটে গিয়েছে সময়। গ্রীষ্মকাল। গ্রিনভিউ আবাসনের সবুজ পরিসরে সকলের নজর কেড়ে সগর্বে দাঁড়িয়ে ফলভরা বিশাল রসাল বৃক্ষ। আঁকশি দিয়ে বুড়ো বিশু বাচ্চাদের আম পেড়ে দেয়। মহানন্দে তারা খায়। বছর বছর কত শত আম দিয়ে যাচ্ছে হিমু। আর হিমুর ধাত্রী সেই অবাধ্য বেয়াড়া মেয়েটা কই। কত কাল হল চলে গিয়েছে আমেরিকায়। ইঞ্জিনিয়ার বাবা-মাও এখন সে দেশে স্থিতু। দাদাভাই-দিদা পৃথিবীতে নেই। ফ্ল্যাটে এখন নতুন মালিক। রয়েছে শুধু হিমু। তার অফুরন্ত সম্ভার নিয়ে অপেক্ষা করে আছে কবে তার সেই দস্যি দিদি ফিরবে, দেখবে তার হিমু চিনির মতো মিষ্টি আম বিলিয়ে যাচ্ছে সবাইকে।