Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মেঘ বৃষ্টির গল্প
উদয়ারুণ রায়

‘চা-টা তো ঠান্ডা হয়ে যাবে এবার।’ বাবার ইজিচেয়ারের পাশে রাখা টেবিলটার ওপরে নিজের চায়ের কাপটা রেখে ওপাশের চেয়ারটায় বসল বৃষ্টি। বারান্দায় বাবা ইজিচেয়ারে বসে আছেন দূরের দিকে চেয়ে। মিনিট দুই আগে টিকলি, ওদের কাজের মেয়েটা অরুণ মিত্রকে চা দিয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির কথাতেই সংবিৎ ফিরল ওর। দূর-দিগন্ত থেকে চোখ সরিয়ে মেয়ের দিকে তাকালেন। বললেন, ‘টিকলি কখন এসে চা রেখে গিয়েছে খেয়ালই করিনি।’
বোলপুরের প্রান্তিক স্টেশনের কাছেই যেখানে তেমন বসত বাড়ি নেই সেইখানে একটা বাড়ি করেছেন অরুণবাবু। বাপ আর মেয়ে দু’জন থাকেন আজ বছর পঁচিশ। আগে সঙ্গে অরুণবাবুর মা ছিলেন। বছরখানেক হল গত হয়েছেন। মেয়ে বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীতে এম.এ. করে নিজেই এখানে একটা গানের স্কুল খুলে বসেছে। এছাড়া ও একটা এনজিও চালায়। সেই এনজিও-র মাধ্যমে আদিবাসী ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখানো হয়। বৃষ্টি এসব নিয়ে খুবই ব্যস্ত।
বাবার সঙ্গে মেয়ের এই সকালবেলাতেই যা একটু দেখা হয়। টুকটাক কথাবার্তা হয়। প্রায় প্রতিদিনই ওর এনজিও-তে আসে শান্তিনিকেতনের পাঠভবনের শিক্ষক অর্চিষ্মান দাশগুপ্ত। সে বৃষ্টিকে এনজিও চালাতে সবরকম সাহায্য করে। মেধাবী সুপুরুষ ছেলে। বৃষ্টির সঙ্গে বাকি জীবনটা একসঙ্গে কাটাতে চায়। বাড়ি শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লিতে। পুরনো আশ্রমিক পরিবার। এই সম্পর্কের কথা অরুণবাবুও জেনেছেন। অরুণবাবুর বৃষ্টির এই সম্পর্কে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তিনি চান বৃষ্টিকে তার জীবনের অজানা অতীতটা নতুন সম্পর্কে যাওয়ার আগেই পরিষ্কার করে জানিয়ে দেবেন।
আজ রবিবার। বৃষ্টির আজ তেমন ব্যস্ততা নেই। অরুণবাবু ঠিক করেছেন আজই গল্পচ্ছলে সব জানিয়ে দেবেন মেয়েকে।
অরুণবাবু মেয়েকে বললেন, ‘ওই গানটা একবার শোনাবি আমাকে?’
‘কোন গানটা বাবা?’
‘ওই যে, তুমি যে চেয়ে আছো আকাশ ভরে...।’
মনে মনে প্রস্তুত হচ্ছেন অরুণবাবু। বৃষ্টি জানে, ওর মা মেঘ ওকে জন্ম দিয়ে ওর বছর চারেক বয়সে এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে মারা গিয়েছে।
বৃষ্টির এই একটা গুণ খুব ভালো হয়েছে বিশ্বভারতীয় সঙ্গীত ভবন থেকে গান শেখার ফলে। গান গাইতে ওর কোনও জড়তা নেই।
বৃষ্টি গাইছে— ‘তুমি যে চেয়ে আছো আকাশ ভরে/ নিশিদিন অনিমেষে দেখছ মোরে।/ আমি চোখ এই আলোকে মেলব যবে/ তোমার ওই চেয়ে-দেখা সফল হবে...’
অরুণবাবু তার প্রেমিকা মেঘকে যেন বলছেন, ‘মেঘ আজ আমি এক চরম সত্যের সামনে দাঁড়িয়ে। তোমার মেয়ে এখন অন্য পরিবারে যেতে চলেছে। তার আগে ওর সত্য জানা উচিত। তুমি আমাকে অনুমতি দাও।’
মেয়ে তখনও চোখ বুজে গাইছে— ‘সে দিনে ধন্য হবে তারার মালা/ তোমার এই লোকে লোকে প্রদীপ জ্বালা/ আমার এই আঁধারটুকু ঘুচলে পরে...’
গান শেষ করে বৃষ্টি দেখল বাবা নিষ্পলক তাকিয়ে আছে সেই দূরপ্রান্তে।
‘বাবা তুমি মাকে খুব ভালোবাসতে তাই না?’
‘সে আমাকে ভালোবাসার সুযোগ দিল কোথায়?’
অরুণবাবু কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর মৃদুস্বরে বললেন, ‘আজ তোকে সব বলব। আমার কথা তোর শোনার সময় আছে?’
‘নিশ্চয় আছে। আজ তো আমার ছুটি।’
ব্রেকফাস্ট শেষে মেয়ের মুখোমুখি বসল অরুণবাবু। তারপর বলতে শুরু করল— ‘তোর মাকে প্রথম দেখি আমি তখন ক্লাস এইটে পড়ি। সে সময় আমরা সিঁথির ফোয়ারার মোড়ের সামনে নতুন বাড়ি করে এসেছি। আমাদের বাড়ির ঠিক দু-তিনটে বাড়ির পর তোর মায়ের মামারবাড়ি। মামারবাড়ি যাতায়াতের পথে মেঘকে দেখে আমার ভালো লেগে যায়। তোর মায়ের চোখ দুটো ছিল হরিণ চোখ। গায়ের রংটাও ঠিক তোর মতো। তবে ওই অল্প বয়স থেকেই ওর হাঁটাটা ছিল গজগামিনী। মেঘের চলন আর ওর চোখ দুটো দেখেই ওকে আমার ভালোলাগা।’
বৃষ্টি বিস্ময়ে বলে উঠল, ‘মায়ের হাঁটা দেখে তুমি মায়ের প্রেমে পড়ে গেলে?’
‘মেঘের আসা আর ফিরে যাওয়া দেখাটা আমার নেশার মতো হয়ে উঠেছিল। আমাদের বাড়ির ছাদ থেকে ওর আসার রাস্তাটা বহুদূর পর্যন্ত দেখা যেত। হয়তো কখনও ছাদে উঠেছি। তখন আমি ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। দূর থেকে দেখতে পেলাম মেঘ আসছে। মেঘকে দেখেই আমি ছাদ থেকে নেমে যেখান থেকে রাস্তাটা পুরো দেখা যায় সেই ঘরের জানলার ধারে বসে জোরে জোরে কেমিস্ট্রি পড়তে শুরু করতাম মেঘকে ইমপ্রেস করার জন্য। আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমার জোরে জোরে পড়ার শব্দ শুনে ওর মুখে হালকা একটা হাসি দেখতে পেতাম। ও হয়তো আমার ভণ্ডামি দেখে, আমার নির্লজ্জ চাটুকারিতা দেখে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসত। সেই হাসিটা আমার ভীষণ ভালো লাগত। আমাকে আনন্দে মাতোয়ারা করে দিত।’
‘তোমার মাকে ক্লাস এইট থেকে ভালো লেগেছে আর ক্লাস ইলেভেন পর্যন্ত মাকে প্রোপোজ করতে পারনি!’ কপট বিরক্তি প্রকাশ করল বৃষ্টি।
‘আমাদের সময় এমনটাই ছিল রে। আমাদের ভালোবাসায় অপেক্ষা ছিল। বিবেচনা ছিল। যাকে ভালোবাসব নিজে তার উপযুক্ত কি না সেই ভাবনা ছিল।’
‘তারপর কী হল? কবে মাকে তুমি প্রোপোজ করলে?’
‘সব বলছি। একটু ধৈর্য ধর।’
বৃষ্টি বাবার হাত দুটো ধরে বলল, ‘মা-র কথা বলতে তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারছি। আমিও মাকে খুব মিস করি বাবা।’
‘মেঘকে প্রোপোজ করেছিলাম আমি তখন কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। এতদিন দ্বিধা ছিল— যদি মেঘ আমাকে ফিরিয়ে দেয়। যদি মেঘের পছন্দের অন্য কোনও ছেলে থেকে থাকে। মেঘ বাদে আমি কি বাঁচতে পারব? এইসব নানান কিছু ভেবে দুর্গাপুজোর ঠিক আগে ওর কলেজের সামনে মেঘকে আমি একটা চিঠি দিয়ে আমার মনের কথা জানিয়েছিলাম। মুখে বলেছিলাম, ‘ইচ্ছে হলে পড়ে দেখবেন। আর চিঠিটা পড়ার আগেই জানাই, আমি আপনাকে খুব পছন্দ করি।’
তোর মা আমার হাত থেকে চিঠিটা নিল। তারপর একদম জড়তা শূন্য গলায় আমাকে বলল— আমি আপনার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছিলাম। ভেবেছিলাম আপনার পছন্দের কথা আপনি আমাকে জানাবেন। এদিকে আমার এক বান্ধবীর দাদাও আমাকে পছন্দ করে আমার উত্তরের অপেক্ষায় ছিল। আপনার দিক থেকে কোনও চেষ্টা না দেখে, মাস ছয় আগে আমি বান্ধবীর দাদাকে কথা দিয়েছি যে আমি ওর সঙ্গে আছি। অপেক্ষারও তো একটা শেষ আছে?
এই বলে মেঘ আমার চিঠিটা ওর ব্যাগে ভরে নিল। তারপর আমার দিকে সামান্য এগিয়ে এসে বলল, আমাদের মধ্যে সাধারণ বন্ধুত্ব হতেই পারে। তাতে কিন্তু কোনও বাধা নেই।
আমি ওর দিকে তাকিয়েই থাকলাম। ও আমার পাশ কাটিয়ে এগিয়ে গেল বাসস্ট্যান্ডের দিকে।’
‘তারপর—’
‘তারপর ওর সঙ্গে আমার যখনই দেখা হতো ও দাঁড়িয়ে মিনিট দুই-তিন কথা বলত। ফুটবল খেলতে গিয়ে একবার পায়ে খুব চোট পেয়েছিলাম, সে সময় ও আমাকে চুন-হলুদ লাগাতে বলেছিল। গরম-ঠান্ডা জলে সেক করতে বলেছিল। ওর সঙ্গে কথা বলতে আমার বুকটা ফেটে যেত। তবুও আমি কোনওদিন আমার মনের দুর্বলতা ওর কাছে প্রকাশ করতাম না।’
‘এরপর তোমাদের দু’জনের বিয়ে হল কীভাবে বাবা?’
‘মেঘের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়নি তো!’
‘তবে আমি?’ বাবার বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জিজ্ঞাসা করল বৃষ্টি।
‘আজ তোকে সব বলব মা। মেঘ গ্র্যাজুয়েট হওয়ার এক বছরের মধ্যে ওর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল। ভদ্রলোক ফিল্ম লাইনে ছবি পরিচালনার কাজ করতেন। বিয়ের পরে মেঘ ওর বাপের বাড়ি এলে আমাদের দেখা হতো। তবে তখন আমি ওকে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করতাম। এর মধ্যেই একদিন হঠাৎ তোর মামার মুখে শুনলাম মেঘ তার স্বামীর সঙ্গে বোম্বে চলে গিয়েছে। তোর জন্ম বোম্বেতেই। তোর বাবার নাম স্বপ্নাঞ্জন দত্ত।’
‘তবে বাবা, আমি তোমার কাছে কেন? নিজের জন্মদাতা বাবার পরিচয়ে না বেঁচে তোমার পরিচয়ে কেন আমার পরিচয়?’ উৎকণ্ঠায় কাঁপতে কাঁপতে জিজ্ঞাসা করল বৃষ্টি।
‘সব বলছি— মেঘ বোম্বেতে চলে যাওয়ার পর কলকাতায় আমার একদম মন টিকছিল না। একদিন আমার মাকে সব বললাম। মা সব শুনলেন। মেঘকে মা চিনতেন। তিনি আমাকে দিল্লিতে মামাবাড়ি ঘুরে আসতে সাজেশন দিলেন। আমি দিল্লি চলে গেলাম। ওখানে চাকরি নিলাম। পরে তোর ঠাকুরমার অসুস্থতার কথা শুনে বাড়ি ফিরে এলাম।
বোম্বে যাওয়ার পরেই তোর বাবার সঙ্গে মেঘের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সিনেমার লাইনে যা হয়। এক কোটিপতি তামিল নায়িকার সঙ্গে স্বপ্নাঞ্জনের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। মেঘ সেটা একদম মেনে নিতে পারেনি। এই অশান্তির মধ্যেই তুই পৃথিবীতে এলি। তোকে নিয়ে মেঘ সেই যে কলকাতায় চলে এল আর ফিরে গেল না। এ সবের আমি কিছুই জানতাম না। আমার সঙ্গে একদিন মেঘের হঠাৎ রাস্তায় দেখা। আমাকে দেখে আগের মতো দাঁড়িয়ে গেল ও। আমি ওকে ‘কেমন আছেন’ বলতে গিয়ে চমকে উঠলাম। ওর মাথার সিঁদুর নেই। ও কোনওদিনই খুব বেশি সাজত না। কিন্তু না সাজার ভেতর যে আভিজাত্য আছে সেটা মেঘের মধ্যে খুব বেশি ছিল।
প্রথম ধাক্কাটা সামলে আমি ওকে বললাম, ‘কবে হল? কীভাবে হল?’
মেঘ আমার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, ‘কিছু হয়নি তো! আমি স্বপ্নাঞ্জনের সঙ্গে আর থাকতে পারলাম না।’
‘কেন?’ আমার গলা কেঁপে গেল।
‘সে অনেক কথা।’
‘আমাকে বলা যাবে না?’
‘এই রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলা যাবে না। শুনতে চাইলে একদিন আসুন বাড়িতে। আমি আমার মাকে বলে রাখব।’ আমার মুখে কোনও কথা আসছিল না। চুপ করে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ ও বলল, ‘জানেন তো এই মাস আটেক আগে আমার একটা মেয়ে হয়েছে। খুব মিষ্টি দেখতে হয়েছে। নিজের মেয়ে বলে বলছি না।’
এরপর একদিন তোর মামারবাড়ি গেলাম সাহস করে। তোকে দেখলাম। মেঘের মেয়ে। তুই সত্যিই খুব মিষ্টি দেখতে হয়েছিলি। তোকে দেখলেই আমার মনে হতো তুই আমার আর মেঘের সন্তান। অন্য কেউ এর মধ্যে ঢুকতেই পারে না। ধীরে ধীরে মেঘের সঙ্গে আমার নতুন করে ঘনিষ্ঠতা হল। আমাদের সমস্ত কর্মকাণ্ড ছিল তোকে জড়িয়ে। তোর সুস্থতা, তোর ভালো থাকা সব ছিল আমাদের দু’জনের নিরন্তর নজরদারিতে। আমি এদিকে বেকার। আমার মা তখনও চাকরি করেন। আমার খাওয়া পরার কোনও অসুবিধে নেই কিন্তু তোর আর মেঘের খরচ কীভাবে চলবে। তোর দিদিমার উইডো পেনশনে চলে ওদের সংসার। আমার মা সমস্ত পরিস্থিতি জানতেন। তিনি আমাকে টাকা দিতেন মেঘকে দেওয়ার জন্য কিন্তু মেঘ কিছুতেই সেই টাকা নিত না। আমার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল নিজের উপার্জনের। আমার এক বন্ধুর কৃপায় আমার একটা চাকরি জুটল। মাইনে মোটের ওপর ভালোই। দেখতে দেখতে তিন বছর কেটে গেল। তোর তখন চার বছর বয়স। সেই সময় আমি তোর মাকে আবার প্রোপোজ করলাম আমাকে বিয়ে করার জন্য। মেঘ কিছুতেই রাজি হল না। ওর বক্তব্য ছিল— তোমাকে বিয়ে করতে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদের বিয়ের পরে যদি আবার কোনও সন্তান হয় তখন। তোমার মন যদি এই মেয়ের থেকে সরে যায় তবে তো আমার শান্তির থেকে উল্টে নতুন আর এক বিড়ম্বনা শুরু হবে। মেঘের এই কথায় আমি প্রবল আপত্তি করলাম। বললাম, ‘ঠিক আছে আমি কথা দিলাম তোমার কাছ থেকে আমি আর নতুন সন্তান চাইব না। বৃষ্টিই হবে আমাদের একমাত্র মেয়ে।’
তখন মেঘ বলল, ‘তুমি না চাইতে পার কিন্তু তোমার মা তো চাইতেই পারেন। তোমার মা-এর নিজের নাতি-নাতনি চাওয়ার মধ্যে তো কোনও অপরাধ নেই।’
তখন আমি বললাম, ‘আমার মা একদম অন্যরকম। তুমি আমার মায়ের সঙ্গে পরিষ্কার কথা বলে দেখ। মেঘ, আমি তোমাকে ছাড়া আমার জীবন ভাবতেই পারি না। আমি অন্তর থেকে বলছি। বৃষ্টির বাবা আমি। ও আমার সন্তান। আমি শুধু তোমাকে আর বৃষ্টিকে চাই। বল, সেই কবে থেকে আমার অপেক্ষা তোমার জন্য।’ এতটা বলে একটু থামলেন অরুণবাবু। একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ল ভেতর থেকে।
‘তারপর কী হল বাবা?’ 
‘তারপর মেঘ একদিন এল আমার মায়ের কাছে। মা ওকে জানাল যে, তিনি এখনই তোকে নিজের নাতনি বলে স্বীকার করে নিয়েছেন।’
সেদিন তোর মা ফিরে এল আমাদের বাড়ি থেকে। ফেরার পথে আমাকে বলল, ‘তুমি আমাকে খুব ভালোবাসো তাই না?’
আমি বললাম— ‘এখনও তোমার মনে সন্দেহ আছে তাতে?’
মেঘ বলল— ‘একদিন যে আমি তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম।’
‘তাতে কী হয়েছে। ফিরলেই তো ভালোবাসা আরও দৃঢ় হয়।’
সে বলল, ‘আমি তো স্বার্থপর। তোমার জন্য অপেক্ষা না করে অন্যকে ভালোবেসে সংসার করেছি। আবার তার কাছে প্রতারিত হয়ে অসভ্যের মতো তোমাকে আশ্রয় করতে চাইছি।’
আমি বললাম— ‘এ কী বলছ তুমি! তুমি তো একজনের ভালোবাসাকেই গ্রহণ করেছিলে। যে তোমাকে মুখ ফুটে বলতে পেরেছিল— ভালোবাসি। আমি তো পারিনি বলতে।’
মেঘ মাথা ঝাঁকিয়ে বলেছিল— ‘তুমিও তো বলেছিলে। তবে কিছুদিন পরে। আমি তো তার অনেক আগেই জানতাম তুমি আমাকে ভালোবাসো। তবু—’
বলতে বলতে থেমে গেলে মেঘ। সেই আমাদের শেষ কথা। পরদিন ও চলে গেল। একসঙ্গে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল। সুইসাইড নোটে আমার উদ্দেশে লিখেছিল— ‘অরুণ, তুমি আমাকে স্বার্থপর ভেব না। পরজন্ম বলে যদি কিছু থাকে, তবে জেনো এই মেঘ তোমার জন্য আমৃত্যু অপেক্ষা করবে। আমার আর ভুল হবে না। তুমি আমাকে বলেছ— বৃষ্টি তোমার সন্তান। ওকে তুমি দেখ।’ অরুণবাবুর গলা ধরে এল।
বৃষ্টি বাবাকে ছেড়ে উঠে গেল খোলা জানলাটার কাছে তারপর গেয়ে উঠল— ‘নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে।’              
অলঙ্করণ : সোমনাথ পাল
31st  October, 2021
ছোট গল্প
তাজমহল
মীনাক্ষী সিংহ

অপেক্ষার ক্লান্ত আশাহত প্রহর পেরিয়ে সাত বছরের প্রতীক্ষা শেষে মালশ্রীর বিয়ে হল যোগ্য পাত্র সুতীর্থর সঙ্গে। কী আশ্চর্য সমাপতন। সুতীর্থও ডাক্তার। তবে মালশ্রী আগেই জেনে আশ্বস্ত হয়েছে যে দু’জনের কলেজ ছিল আলাদা। প্রিয়ক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উজ্জ্বল ছাত্র আর সুতীর্থ জলপাইগুড়ি কলেজের। বিশদ

05th  December, 2021
পর্ব ১০: অপারেশন’৭১
নিপাট রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এনিমি এয়ারক্র্যাফট অ্যাটাকড...পজিশন এফএফ টোয়েন্টি...নম্বর ওয়ান বয়লার হিট...ওভার...। পাকিস্তানের নেভি কন্ট্রোল এই মেসেজ পিএনএস খাইবার থেকে পেয়েই সেটা পাঠিয়েছে পিএনএস মুহাফিজকে। আর একটি যুদ্ধজাহাজ। যাতে তৎক্ষণাৎ রেসকিউ করতে যায় মুহাফিজ! 
বিশদ

05th  December, 2021
অপারেশন’ ৭১: পর্ব ৯
খাইবার খতম
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৬৫ সাল। সেপ্টেম্বর মাস। তখন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল বি এস সোমান। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু। অ্যাডমিরাল বি এস সোমান ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তিনতলায় একটি ঘরে বসে আছেন। তাঁর সামনে একটি নোট রাখা। সরকারি লেটারহেড। সামরিক বিভাগের। সেখানে লেখা আছে, আন্দামান নিকোবর রক্ষা করাই আপাতত ইন্ডিয়ান নেভির প্রধান কর্তব্য। বিশদ

28th  November, 2021
ছোট গল্প
রসাল কথা
এষা দে

কী করেছে শ্রী? দল বেঁধে রথের মেলায় গিয়েছিল। যাক্‌।  ঩সেখানে বড়দের সব বারণ, সাবধানবাণী অগ্রাহ্য করে আকণ্ঠ নিষিদ্ধ স্ন্যাক্স গরম গরম সামনে তৈরি জিলিপি, পাঁপড় ভাজা, বেগুনি, পেঁয়াজি খাওয়া হয়েছে। কী সর্বনাশ! তার ওপর সন্ধ্যায় ফেরার সময় একটি আম গাছের চারা কিনে নিয়ে এসে লুকিয়ে রেখে পরদিন সাতসকালে চুপচাপ মালি বিশুর কোদাল খুরপি ইত্যাদি হাতসাফাই করে হাউজিংয়ের খোলা সবুজের প্রায় মাঝখানে মাটি খুঁড়ে সেটি পুঁতে ফেলেছে। বিশদ

21st  November, 2021
পর্ব ৮: অপারেশন ’৭১
কিলার টোয়েন্টি ফাইভ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কলকাতায় বসে ইন্দিরা গান্ধী প্রথমেই খবর নিলেন ঠিক কতটা অ্যাটাক করছে পাকিস্তান। তাঁকে বলা হল, ম্যাডাম, ওয়েস্টার্ন সেক্টরে পাগলের মতো এয়ার স্ট্রা‌ইক করছে। একটু আগে পৌনে ৬টায় হয় প্রথম অ্যাটাক। ইন্দিরা গান্ধী বললেন, ডিটেলস এসেছে? কোথায় কোথায় বম্বিং হয়েছে? বিশদ

21st  November, 2021
অপারেশন ৭১
ডেপথ চার্জ

বিপ...বিপ...বিপ। মেসেজ এসেছে। পাকিস্তানের সাবমেরিন পিএনএস গাজিকে করাচি ন্যাভাল কন্ট্রোল থেকে মেসেজ করছে। তোমরা কোথায়? কোনও কন্ট্যাক্ট নেই কেন? ক্যাপ্টেন জাফর মহম্মদ খান বললেন, আমরা এখন কী করব বলে দিন? বিক্রান্তের খোঁজ পেয়েছেন? বিশদ

14th  November, 2021
ডাইনি

জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে আছে জামুনি। জামুনি টুডু। নিজেদের জমিতে চাষ, দুই ছেলেমেয়ে কাঁদন আর চূড়ামণিকে নিয়ে বেশ সংসার। দোষের মধ্যে গাঁয়ের সোমবারি টুডুর শরীর খারাপের খবর শুনে দেখতে গিয়েছিল। বিশদ

14th  November, 2021
কোথায় বিক্রান্ত?
সমৃদ্ধ দত্ত

শুনুন সবাই, আমাদের এবারের মিশন আইএনএস বিক্রান্ত! সেই বিখ্যাত ইন্ডিয়ান যুদ্ধজাহাজ। বললেন, পাকিস্তানের ন্যাভাল ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড অপারেশন প্ল্যানস ক্যাপ্টেন ভুমবাল। 
বিশদ

07th  November, 2021
আসা যাওয়ার পথে
তন্বী হালদার

বেশ কিছুদিন ধরে ঘুমোলেই রাই একটা স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে এমন মনে হচ্ছে যে, জেগে জেগেও বোধহয় সে এবার স্বপ্নটা দেখবে। সেদিন অফিস থেকে ট্রেনে ফেরবার সময় জানলার ধারে সিট পেয়েছিল।
বিশদ

07th  November, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৫
করাচি  প্ল্যান
সমৃদ্ধ দত্ত

পাকিস্তানের বোট যে তাদের লক্ষ্য করেই অগ্রসর হচ্ছে সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। একমাত্র ডুবসাঁতারই ভরসা। কিন্তু কোন দিকে যাওয়া যায়? এতগুলো মানুষ কর্ণফুলী নদীবক্ষে ছড়িয়ে আছে। সকলের পেটে গামছা দিয়ে বাঁধা আছে লিমপেট মাইন। বিশদ

31st  October, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৪
রেডিও সিগন্যাল
সমৃদ্ধ দত্ত

১৫ জুন ১৯৭১। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এস এম নন্দা পলাশির ক্যাম্প পরিদর্শনে এলেন। তিনি এবং ভারত সরকার একটা সাংঘাতিক কঠিন বাজি হাতে নিয়েছে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোদের এই কাজটির জন্য পাঠানো হতো, তাহলে অতটা টেনশন হতো না। বিশদ

24th  October, 2021
কোজাগরীর লক্ষ্মীসরা
শান্তনু বসু 

জাগো- জেগে থাক। নিদ্রা যেন চেতনাকে আচ্ছন্ন না করে। শুদ্ধ চিত্তে, শুদ্ধ চরিত্রে প্রতীক্ষা করো। তিনি আসবেন। তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হবে ধরণী। বৈকুণ্ঠ থেকে তিনি নেমে আসবেন গৃহস্থের অঙ্গনে। আসবেন বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে। অতএব নিবিষ্ট মনে স্মরণ কর তাঁকে। আলপনা দাও। নিষ্ঠা ভরে ধানের ছড়া এঁকে রাখ ভূমিতে, এঁকে রাখ তাঁর চরণচিহ্ন। বিশদ

17th  October, 2021
অপারেশন ৭১ : পর্ব ৩
প্ল্যান জ্যাকপট
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যরাতে ফোন করেছেন কে সংকর্ষণ নায়ার। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি এই সংস্থায় পাকিস্তান ডেস্ক মনিটর করেন। প্রাইম মিনিস্টারকে এত রাতে ফোন করার অর্থ বড়সড় কিছু ঘটেছে। বিশদ

17th  October, 2021
পর্ব ২: অপারেশন ৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চলাইট
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবে? সেরকম হলে আমার ডেডবডির উপর দিয়ে হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এরকমই বললেন, তাঁর আর্মি কমান্ডারদের। শেখ মুজিবের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি বাঙালির হাতে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিতে হবে? বিশদ

10th  October, 2021
একনজরে
কোচবিহার জেলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং দলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের সঙ্গে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার বিরোধ চরম আকার নিয়েছে। ...

পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...

রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স  ২-১ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। এবার প্রতিযোগিতায় প্রথম জয় পেল কেরলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ...

কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কাটোয়া আদালত চত্বর থেকে বাইক চুরি। এমনকী বাইক চুরি করে পালানোর সময় এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাইও করে দুষ্কৃতীরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM