Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ডাইনি

আইভি চট্টোপাধ্যায় : জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে আছে জামুনি। জামুনি টুডু। নিজেদের জমিতে চাষ, দুই ছেলেমেয়ে কাঁদন আর চূড়ামণিকে নিয়ে বেশ সংসার। দোষের মধ্যে গাঁয়ের সোমবারি টুডুর শরীর খারাপের খবর শুনে দেখতে গিয়েছিল। সোমবারির সারা শরীর হলুদ হয়ে গিয়েছে। জামুনি বলেছিল, ‘বল্লভপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাও না কেনে!’ এই দোষ। লখন অবশ্য বারণ করেছিল। এমনিও খেতমজুরি ছেড়ে নিজেদের জমিতে চাষ শুরু করেছে বলে সোমবারির পরিবার লখন টুডুকে কম হেনস্তা করেনি। গণেশ আর সোমবারি দুই ভাই।
গণেশ টুডু এই মৌজার রাজা। গাঁয়ের মেয়ে-মুনিষ সব উয়ার খেতে ভাতুয়া খাটে। গাঁয়ের একমাত্র কোঁচাঘাট, টুসুমেলার থান, বিলাইতি গাছের বাগান... সবই তার। গাঁয়ের সব জমিন, দলিল, কাঁসা-পেতলের বাসন, মাদল, ধামসা, এমনকী বউ ছেলেমেয়ে পর্যন্ত বন্ধকি আছে তার কাছে। একটা বিশাল গোরখপুরী সিন্দুক। কাগজে কাগজে ভর্তি, কাঁসা-পেতল-অ্যালুমিনিয়ামের থালা-বাটি-গেলাস-সানকি, মরচে পড়া টাঙ্গি-বল্লম-লাঙল। সব বন্ধকি! 
লখনের নিজের ভাই মাড়ুয়া, সব বন্ধকি দিয়ে সদরে ইটভাট্টিতে কাজ করতে চলে গিয়েছে। হা সিংবোঙ্গা! ধানজমি ঘরদুয়ার ছেড়ে শহরে কুলিগিরি!
গণেশের ভাই সোমবারি গোরামথানের আসল লোক। মুরগা-পাঁঠা-কাঁড়া বলি দেয় যখন, দেখলে ভয় লাগে। সেই সোমবারির অসুখ। হতে পারে? 
রঙ্কনথানে ফি-বছর কাঁড়া বলি, গোরামথানে বিশ-তিরিশটা মুর্গা বলি, জাহিরাথানে ফি-পরবে পাঁঠা বলি, গনগনির ডাঙ্গায় মোম জ্বালিয়ে পূজা। চাতবোঙ্গায় সেন্দ্রা-উত্সব, বৈশাখবোঙ্গায় অযোধ্যা-সেন্দ্রা, জ্যেঠবোঙ্গায় রাজা-সাকরাত, আষাঢ়বোঙ্গায় চিতাউ-পরব। 
‘কন পূজায় কমতি নাই, তব্যে?’

দুই
যত দোষ ওই জামুনির। কেউ কখনও শুনেছে, বিটিছেল্যাকে ইশকুলে পাঠায়? জুগিন মাস্টার সদরে পড়ালিখা শিখে আসছে, গাঁয়ের খোকাগুলাকে ইশকুলে পড়াতে নিয়ে যায় তাই। আর জামুনি সেইসঙ্গে চূড়ামণিকেও ইশকুলে পাঠাতে লাগল!
বুড়া পাহান কত্ত বুঝিয়েছিল, ‘মেয়াটাকে ডান বানাইবি তু! বিটিছেল্যা পড়ালিখা করলে ডান হয়।’
শুনল কোনও কথা? একা একা শান্ত উদ্ধত ভঙ্গিতে খেতে কাজ করে, গোরু-ছাগল চরায়, জঙ্গলের পথে হেঁটে বেড়ায় একা একা। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, উয়ার মাথায় ডান ভর করেছে। নইলে লতাগুলা উয়ার কথা শুনে ইমন? 
পিলুরামের বিটি ফুল্লরাকে লতা কাটল যখন, কাপড় বেঁধে কেমন বিষ নামিয়ে দিল? ফুল্লরাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে চলে গেল! হাসু গুনিন,পুন্নু গুনিন কাউকে একটা খবর করল না?
বুনো আগুন। লখনের সঙ্গে বিয়া হয়ে গাঁয়ে এল, সব জুয়ানদের বুকে হুহু বাতাস। নীল নীল কালো শরীর, গা দিয়ে তেল ঝরে এমন চকচকে। খোলাচুলে জবাফুলের গন্ধ। টুসুমেলায় আয়না, চিরুন নিয়ে ভাব জমাতে চেয়েছিল সোমবারি। সেন্দ্রা-পরবে নাচের আগে রুপোর মল পাঠিয়ে সঙ্গে নাচের প্রস্তাব দিয়েছিল রাজা গণেশ টুডু নিজে। সাড়া দেয়নি জামুনি। 
তখনই সবাই সন্দেহ করেছিল, জামুনি আসলে ডাইনি। ডান না হলে এত জোর হয়? নিজের মরদ লখনের কথা বাদই দাও, দেওর মাড়ুয়া পর্যন্ত ভেড়ুয়া বনে গেছে। আর লখনের বাপ-মা? বহু বলতে অজ্ঞান! 
গাঁয়ের কিছু বহু বিটিও বলতে লাগল,‘যেখানে যত মরদ,সব্বাই উয়ার দিকে ছুটে যায় কেনে?’
মাড়ুয়া গাঁ ছেড়ে গেল, সে নিয়ে গণেশ সোমবারির মায়ের কাছে, বাড়ির বউদের কাছে ছুটে এসেছিল জামুনি। নাকি মিছা কথা বুঝায়ে উয়ার ভাগের জমিন বাঁধা রাখা হয়েছে। সাহস দেখো। ই বহুটা গাঁয়ের ভালো বহুগুলাকেও বিগড়ে দিচ্ছে। ডান না হলে এমন হয়? 
তারপরই এই সোমবারির অসুখ। জামুনির চোখ আর তাপ লেগেই হয়েছে, এ তো সব্বাই বুঝতে পেরেছে। গণেশ টুডু বলেছে, ‘লখন যদি বহুকে না ছাড়ে, তার মানে লখনও ব্যাটাছেলে-ডান। দু’জনকেই গাঁ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।’
দোষের মধ্যে লখন বলেছিল, ‘জামুনি ডাইন হবে কেন? সোমবারির তো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবার মতনই অবস্তা হয়েছে।’ এতেই খেপে উঠেছে গাঁয়ের লোক। বউ একটা সোমত্ত ষাঁড়া জুয়ান ছেল্যাকে ‘খেয়ে ফেলছে।’ 
অঝোরে বৃষ্টি চলছিল। গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পালিয়ে এসেছে জামুনি। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে জুগিন মাস্টারের কাছে পৌঁছতে হবে। মাস্টার সদরে নিয়ে যেতে পারবে। গাঁয়ের মধ্যে নিরাপত্তা চাই। জন্ম থেকেই জঙ্গলের গ্রামে বাস। ছেলেমেয়ে রয়েছে। কী করে হঠাৎ ডাইনি হয়ে গেল জামুনি?
না পালিয়ে করবে কী? এদিকের জঙ্গলের গ্রামে ডাইনি বলে কত মেয়েকে যে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, বাইরের দুনিয়ার লোক সে খবর জানে না।

তিন
এ পাহাড়ে গরমকালে শালফুল কুসুমফুলে মনমাতাল। বসন্তকালে বেদম পলাশ ফোটে, সঙ্গে জারুল, শিমুল, কুর্চি। শীতকালে ঘন কুয়াশা। সবে কালীপূজা গেল, দু’দিন পরে বাদনা পরব। এখনই শীতের মতো কুয়াশা। না, শীতের কুয়াশা না। বৃষ্টি পড়ছে কাল থেকে। অসময়ে জঙ্গলের বৃষ্টি। তাই এমন। 
এই বৃষ্টির মধ্যেই দৌড়ে দৌড়ে সাঁঝাডুংরি কমলডি কালাচাঁদবুরু পেরিয়ে এসেছে জামুনি। 
ঘুরে ঘুরে আসতে হয়েছে, কারণ গোরামথানের পাশের চট্টানে বসে মহুয়ার নেশা করছিল সোমবারি। সামনে দুটো খাঁড়া। ফুল, বেলপাতা। ডান-বলি দেবে আজ। এদিকের জুনু টুডুর খেতের পাশের জঙ্গলের মুখে হাসু-পিলুরাম-মাংলা খোঁজাখুজি করছে। বুড়ি শাশুড়ির জন্য ভয় করছিল জামুনির। উয়ারা যদি ঘরে আগুন দেয়!
এতক্ষণে গাঁয়ের সিঁয়্যার পেরিয়ে এসে একটু বসেছে। পায়ে অনেক জায়গায় কেটে গেছে, নখ উপড়ে গেছে। কনুই থেকে তিরতির রক্ত পড়ছে। তবু থামেনি জামুনি। ভোর হবার আগেই জুগিন মাস্টারের কাছে পৌঁছতে হবে। 
কিন্তু বৃষ্টির মধ্যে বেশি দূর যেতে পারেনি জামুনি। একলা জঙ্গলে বসে বাড়ির জন্যে মনখারাপ করছে। 
অন্ধকারে চোখ সয়ে এসেছে। এখানে জঙ্গল হালকা। ফাঁকা ফাঁকা। আগে এদিকটায় মহুয়া পলাশ অর্জুন বহেড়া কুসুম বট অশ্বত্থ, কত গাছই না ছিল। বনের মধ্যে শান্ত নদী, ভোররাতে সেখানে জল খেতে আসে সব জন্তু জানোয়ার। 
জানোয়ারের কথা ভাবতেই মনে পড়ে গেল, এদিকের পড়িহা ঝিটকার জঙ্গলে পঞ্চাশ-ষাটটা হাতির একটা দল ঘোরাফেরা করছে বেশ কয়েকদিন ধরে। ক’দিন আগে রাতের অন্ধকারে একটি দাঁতাল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গ্রামে ঢুকে নীলমণিদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে। হাতির উৎপাতের ভয়ে রাতভর জেগে আছে গ্রামের মানুষ। এমনিও জঙ্গল লাগোয়া খেতগুলোর সীমানা বা  সিঁয়্যারগুলোয় বুনো শুয়োর, বন্যপ্রাণীর উৎপাত কমাতে বাজি-পটকাভর্তি ফল, আনাজ রাখা থাকে। দাঁতাল এলে সিঁয়্যারে বিস্ফোরক ফেটে যাবে। আর উয়ারা ভয়েই পালিয়ে যাবে। 
কিন্তু... দাঁতালগুলো যদি এদিকে চলে আসে? 
ভাবতে না ভাবতেই চোখে আঁধার নেমে এল। পাহাড়ের মতো কালো দাঁতাল একটা। হা সিংবোঙ্গা! ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল জামুনি। 
একটা শব্দ হল। হাতিটা কি দেখে ফেলেছে জামুনিকে? 
আবার শব্দ। হাতিটা চিত্‍কার করে উঠেছে। ও কি দলছুট? তাই আওয়াজ করে ডাকছে অন্যদের? আবার আওয়াজ করল হাতি। একটা যন্ত্রণার আওয়াজ কি? দাঁড়িয়ে আছে কেন ও?  
হাতিদের সঙ্গে গাঁয়ের লোকের একটা অকথিত চুক্তি আছে। কেউ কোনওদিন দেখেনি, বাদনা পরবের দু’দিন কোনও হাতি ধান খেয়ে গেছে। জানোয়ার হলে কী হয়, খুব বুঝমান আছে উয়ারা। তাছাড়া গ্রামরক্ষী দল তৈরি আছে। দল বেঁধে রাত জাগে, হাতে ক্যানেস্তারা, মশাল-বাজি-পটকা-তিরধনুক। বিডিও অফিস থেকেও মশাল জ্বালার কেরোসিন, পটকা সব দেয়। ভয়ে হাতি গাঁয়ে ঢুকতে পারে না। কিন্তু জঙ্গলের মুখে দাঁড়িয়ে খুব চিত্‍কার করে। রাগে পাগল হয়ে যায়। সে সময় একলা কাউকে পেলে পাথরে আছড়ে ফেলে। 

চার
মনে মনে বলতে লাগল জামুনি, ‘তুমি আমাদের দেবতা। আমি জংলি বিটি বাবা।  আমাকে মেরে ফেলো না। আমাকে যেতে দাও।’
মাত্র দু’দিন আগে লখনকে বলেছিল জামুনি, ‘বাদনা পরবের সময় তো দাঁতাল আসে না। এত বছরে কোনওদিন আসেনি। তাহলে সিঁয়্যারে এত পটকা রাখছ কেনে? হাতি তো আমাদের গণেশ বাবা, দেবতা— উয়াকে খুশি রাখতে হয়।’
সেই কথা শুনে গণেশ টুডু নাকি খুব রাগ করেছিল, ‘আরে মুখ্যু, হাতির জন্য সারা দুনিয়ায় কত কিছু চলছে জানিস? মানুষ মারার কমপেনসেশন, কথাটা শুনেছিস? উ দাঁতাল পাগলা হলে আমাদের কত লাভ, জানিস কিছু?’
একপ্রকার তাড়িয়েই দিয়েছিল লখনকে। ‘কিছু একটা চলছে, বুঝলি?’ লখন বলেছিল, ‘বিরজু আর মাংলা বলল, উয়ারা এবার তিনপুরুষের ধানজমি সব ফিরত পাবে। আমাকে বলল, চুপ থাক। পাগলা দাঁতাল কাউকে মারলে লোকের ভালো হবে।’
পাগলা দাঁতাল কাউকে মারলে সারা গাঁয়ের ভালো হবে? মানে? অনেক ভেবেও এই কথাটার মানে বুঝতে পারেনি জামুনি। গতকাল সোমবারিকে দেখতে গিয়ে কথাটা তুলেছিল একবার। 
এখন হঠাত্‍ মনে পড়ে গেল। 
আচ্ছা, এই দুটো ব্যাপারে কি কোনও মিল আছে? জামুনিকে ডাইনি অপবাদ তো সেই কবে থেকেই দিয়ে আসছে সবাই। হঠাত্‍ সোমবারির অসুখের সঙ্গে, গ্রামে আগামী কোনও এক মহামারীর সঙ্গে কেন জড়িয়ে ফেলা এই ডাইনি অপবাদ? তাহলে কি হাতি নিয়ে কথা বলাটা ভুল হয়েছে?
কী করতে চাইছে হাতি নিয়ে? 
কাঁদন একটা গোপন কথা বলেছিল। হাসু, মাংলা নাকি গুরুদারী দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল চোরের মতো। ওরা নাকি হাতি খেদিয়ে আনতে যাচ্ছিল। অবাক হয়েছিল জামুনি। গাঁ থেকে, ধানখেত থেকে হাতি খেদিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু হাতিকে খেদিয়ে গাঁয়ে আনবে কেন কেউ?
পাশের খেতে কাজ করতে করতে পুন্নুও বলেছিল, ‘কেন যে পাগলা হাতি আনছে গাঁয়ে? গণেশ-বাবাকে কোনও বিশ্বাস লাই।’
সত্যি গণেশবাবাকে বিশ্বাস নেই। কিছুদিন আগেই গাঁয়ের লোক গিয়ে বনদপ্তরে হাতির নামে নালিশ লিখিয়ে এসেছে। ফরেস্টার-বাবুরা এসে বন্দুক নিয়ে আকাশে গুলি ছুড়ে হাতি খেদিয়ে দূরের জঙ্গলে পাঠিয়ে দিয়ে এসেছিল। 
তাহলে? সেধে কেউ হাতিকে গাঁয়ে নিয়ে আসে? 
কিছু একটা ব্যাপার আছে। এই নিয়েই সোমবারির বহুর কাছে জানতে চেয়েছিল জামুনি। কথা শুরু করতেই ‘শরীর হলুদ হয়ে গেছে সোমবারির’,‘তু আমাদের ছেল্যাটাকে খেতে আসছিস’ বলে তাড়া করল সোমবারির মা। 

পাঁচ
হাতিটা আবার চিত্‍কার করে উঠল। এটাই কি সেই পাগলা হাতি? দুটো শজারু ভয় পেয়ে ছুটে পালিয়ে গেল। আস্তে সামনের অর্জুনগাছটার আড়ালে দাঁড়াল জামুনি। 
একটা বাচ্চা হাতিকে টেনে আনছে মা-হাতি। একটু করে টেনে আনছে, আর বাচ্চা-হাতিটা বেজায় চিৎকার করছে। সেই শুনে মা-হাতি আরও জোরে চিৎকার করছে। বাচ্চা-হাতির পায়ে লেগেছে বোধহয়, চলতেই পারছে না। পা দিয়ে গলগল করে রক্ত ঝরছে।
এবার বুঝেছে জামুনি। মা-হাতিটা মোটেই পাগল নয়। বাচ্চার পায়ে লেগেছে বলে ওরা দুজনে দল থেকে আলাদা হয়ে গেছে। দলের সঙ্গে হেঁটে যেতে পারেনি। নাকি হাতি খেদানোর দল ওদের তাড়া করে গাঁয়ের দিকে নিয়ে এসেছে? বাচ্চা-হাতির পায়ে এতবড় একটা ঘা হল কি করে? ওই বিস্ফোরক বাজির জন্যে? 
দূরে কোথায় অনেকগুলো মশাল জ্বলে উঠল। হইহই করে ক্যানেস্তারা বাজছে। আগুনে জঙ্গলের ওদিকটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে পলকে মা-হাতি উঠে দাঁড়িয়েছে। চিত্‍কার করে উঠেছে। চারধার কেঁপে উঠেছে। 
এবার বুঝেছে জামুনি। ঠিক ঠিক বুঝেছে। ওরা এটাই চায়। হাতিটা রাগে চিত্‍কার করুক, গনগন রাগে ছুটে যাক গাঁয়ের দিকে, ধান নষ্ট করুক, একটা দুটো মানুষ মারুক। তবেই তো কমপেনসেশন। হ্যাঁ,এই কথাটাই বলেছিল লখনকে। মানুষ মারার কমপেনসেশন। 
এই ক’দিন আগে কোথায় যেন একটা গর্ভবতী হাতিকে বাজি-পটকা ভর্তি আনারস খাইয়ে মেরে ফেলেছে কিছু মানুষ। মা-হাতিকে খেদানোর কথাটা সেই থেকেই বুঝি মাথায় এসেছে গণেশ টুডুর? হাতিবাবার নামে নাম, আর মনে এত আঁধার! 
মা-হাতি বাচ্চাকে নিয়ে ব্যস্ত আছে, সেই ফাঁকে আস্তে গাছের পাশ থেকে সরে এল জামুনি। গ্রামের মেয়ে, গ্রামের বউ। অনেকরকম ওষুধ জানে শাশুড়িমা। দিকুমাঝির ঠাকুমাও জড়িবুটি দিয়ে অনেক রোগ সারায়। তবে অন্ধকার এমন, তার ওপর বৃষ্টি পড়ছে, গাছ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। 
দেরি করলে চলবে না। ওদের মা আর বাচ্চাকে ঘন জঙ্গলের দিকে সরিয়ে দিতে হবেই। নইলে ওদের বিপদ, জামুনিদের সবারই বিপদ। 
চুপিচুপি গাছের আড়াল দিয়ে হাতির কাছ পর্যন্ত পৌঁছবার আগে মা-হাতিও টের পায়নি। কাছে গিয়েই জামুনি বাচ্চা-হাতিটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে শুরু করল। আর বলতে লাগল, ‘কিছু হবেক না তুমার ব্যাটার। তু ভয় পাস না মা। আমি তুর মাইয়া বটে।’ 
বারবার বলতে লাগল। মা-হাতি কী বুঝল কে জানে, তেড়ে গেল না, চিৎকারও করল না। 
তারপর বাচ্চা-হাতির পায়ে ওষুধ লাগাতে বসল জামুনি। ওষুধ দিয়ে কাপড় দিয়ে বাঁধার জন্য নিজের শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে নিল জামুনি। 
বাচ্চা-হাতি প্রথমে ছটফট করছিল, একটু পরে শান্ত হয়ে মাথাটা মাটিতে নামিয়ে রাখল   
দূর থেকে এগিয়ে আসছে মশাল। এইদিকেই। ভয়ানক ছ’সাতটা লকলকে শিখা। আকাশ কাঁপিয়ে চিত্‍কার করে উঠল হাতি-মা। তাকে লক্ষ্য করে ছুটে আসে জ্বলন্ত মশাল। তির। হাতি তীব্র চিত্‍কার করে ওঠে আবার।
কিন্তু আর ভয় করছে না জামুনির। 
বুক দিয়ে আগলে রাখল ছোট্ট হাতিকে। মশালের ভিড়টা যখন আরও এগিয়ে এল, হস্তীশাবকের শরীর আড়াল করে উঠে দাঁড়াল জামুনি, ‘হিম্মত থাকে তো আয় কেনে?’ 
থমকে দাঁড়িয়েছে সবাই। জঙ্গল ভোরের প্রথম আলোয় লাল। সেই লাল আলো মেখে খোলা চুলে হাতিকে আগলে দাঁড়িয়ে আছে ডাইনি। কালো দু’চোখে মশালের আলো পড়ে জ্বলজ্বল করছে। ভিড়টা ভয়ে আওয়াজ করে উঠল। শিউরে উঠল। ডাইনি!
ঠোঁটের দু’পাশে হাত রেখে গলার শির টানটান, ‘হো ও ও ও ...’ 
কেমন লম্বা হয়ে যাচ্ছে জামুনির শরীর। তিন চারবার ডাকের পর নেমে এল একপাল কালো কালো মস্ত শরীর। ভিড়টা ভয়ে আওয়াজ করে উঠল আবার। এতগুলো দাঁতাল একসঙ্গে! আজ আর কারও নিস্তার নেই। মা-হাতির পায়ে হাত দিয়ে বসল জামুনি, ‘তুমরা যাও গ। কেউ তুমাদের কুনো ক্ষতি করবেক নাই।’ 
তারপর হাত তুলে দাঁড়িয়ে রইল। স্থির দাঁড়িয়ে রইল ডাইনি-জামুনি। বরাভয় মূর্তি। ঠিক যেন রঙ্কন-মা। ঠিক যেন বনদেবী।
বহুদূর থেকে একটা আওয়াজ। ডিম ডিমা ডিম ডিম। আকাশে বাতাসে বাঁশির সুর। হাতির পাল চলে গেল গভীর জঙ্গলের দিকে। তখনও স্থির দাঁড়িয়ে আছে জামুনি।
অলঙ্করণ : সোমনাথ পাল
14th  November, 2021
ছোট গল্প
তাজমহল
মীনাক্ষী সিংহ

অপেক্ষার ক্লান্ত আশাহত প্রহর পেরিয়ে সাত বছরের প্রতীক্ষা শেষে মালশ্রীর বিয়ে হল যোগ্য পাত্র সুতীর্থর সঙ্গে। কী আশ্চর্য সমাপতন। সুতীর্থও ডাক্তার। তবে মালশ্রী আগেই জেনে আশ্বস্ত হয়েছে যে দু’জনের কলেজ ছিল আলাদা। প্রিয়ক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উজ্জ্বল ছাত্র আর সুতীর্থ জলপাইগুড়ি কলেজের। বিশদ

05th  December, 2021
পর্ব ১০: অপারেশন’৭১
নিপাট রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এনিমি এয়ারক্র্যাফট অ্যাটাকড...পজিশন এফএফ টোয়েন্টি...নম্বর ওয়ান বয়লার হিট...ওভার...। পাকিস্তানের নেভি কন্ট্রোল এই মেসেজ পিএনএস খাইবার থেকে পেয়েই সেটা পাঠিয়েছে পিএনএস মুহাফিজকে। আর একটি যুদ্ধজাহাজ। যাতে তৎক্ষণাৎ রেসকিউ করতে যায় মুহাফিজ! 
বিশদ

05th  December, 2021
অপারেশন’ ৭১: পর্ব ৯
খাইবার খতম
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৬৫ সাল। সেপ্টেম্বর মাস। তখন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল বি এস সোমান। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু। অ্যাডমিরাল বি এস সোমান ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তিনতলায় একটি ঘরে বসে আছেন। তাঁর সামনে একটি নোট রাখা। সরকারি লেটারহেড। সামরিক বিভাগের। সেখানে লেখা আছে, আন্দামান নিকোবর রক্ষা করাই আপাতত ইন্ডিয়ান নেভির প্রধান কর্তব্য। বিশদ

28th  November, 2021
ছোট গল্প
রসাল কথা
এষা দে

কী করেছে শ্রী? দল বেঁধে রথের মেলায় গিয়েছিল। যাক্‌।  ঩সেখানে বড়দের সব বারণ, সাবধানবাণী অগ্রাহ্য করে আকণ্ঠ নিষিদ্ধ স্ন্যাক্স গরম গরম সামনে তৈরি জিলিপি, পাঁপড় ভাজা, বেগুনি, পেঁয়াজি খাওয়া হয়েছে। কী সর্বনাশ! তার ওপর সন্ধ্যায় ফেরার সময় একটি আম গাছের চারা কিনে নিয়ে এসে লুকিয়ে রেখে পরদিন সাতসকালে চুপচাপ মালি বিশুর কোদাল খুরপি ইত্যাদি হাতসাফাই করে হাউজিংয়ের খোলা সবুজের প্রায় মাঝখানে মাটি খুঁড়ে সেটি পুঁতে ফেলেছে। বিশদ

21st  November, 2021
পর্ব ৮: অপারেশন ’৭১
কিলার টোয়েন্টি ফাইভ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কলকাতায় বসে ইন্দিরা গান্ধী প্রথমেই খবর নিলেন ঠিক কতটা অ্যাটাক করছে পাকিস্তান। তাঁকে বলা হল, ম্যাডাম, ওয়েস্টার্ন সেক্টরে পাগলের মতো এয়ার স্ট্রা‌ইক করছে। একটু আগে পৌনে ৬টায় হয় প্রথম অ্যাটাক। ইন্দিরা গান্ধী বললেন, ডিটেলস এসেছে? কোথায় কোথায় বম্বিং হয়েছে? বিশদ

21st  November, 2021
অপারেশন ৭১
ডেপথ চার্জ

বিপ...বিপ...বিপ। মেসেজ এসেছে। পাকিস্তানের সাবমেরিন পিএনএস গাজিকে করাচি ন্যাভাল কন্ট্রোল থেকে মেসেজ করছে। তোমরা কোথায়? কোনও কন্ট্যাক্ট নেই কেন? ক্যাপ্টেন জাফর মহম্মদ খান বললেন, আমরা এখন কী করব বলে দিন? বিক্রান্তের খোঁজ পেয়েছেন? বিশদ

14th  November, 2021
কোথায় বিক্রান্ত?
সমৃদ্ধ দত্ত

শুনুন সবাই, আমাদের এবারের মিশন আইএনএস বিক্রান্ত! সেই বিখ্যাত ইন্ডিয়ান যুদ্ধজাহাজ। বললেন, পাকিস্তানের ন্যাভাল ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড অপারেশন প্ল্যানস ক্যাপ্টেন ভুমবাল। 
বিশদ

07th  November, 2021
আসা যাওয়ার পথে
তন্বী হালদার

বেশ কিছুদিন ধরে ঘুমোলেই রাই একটা স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে এমন মনে হচ্ছে যে, জেগে জেগেও বোধহয় সে এবার স্বপ্নটা দেখবে। সেদিন অফিস থেকে ট্রেনে ফেরবার সময় জানলার ধারে সিট পেয়েছিল।
বিশদ

07th  November, 2021
মেঘ বৃষ্টির গল্প
উদয়ারুণ রায়

‘চা-টা তো ঠান্ডা হয়ে যাবে এবার।’ বাবার ইজিচেয়ারের পাশে রাখা টেবিলটার ওপরে নিজের চায়ের কাপটা রেখে ওপাশের চেয়ারটায় বসল বৃষ্টি। বারান্দায় বাবা ইজিচেয়ারে বসে আছেন দূরের দিকে চেয়ে। মিনিট দুই আগে টিকলি, ওদের কাজের মেয়েটা অরুণ মিত্রকে চা দিয়ে গিয়েছে। বিশদ

31st  October, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৫
করাচি  প্ল্যান
সমৃদ্ধ দত্ত

পাকিস্তানের বোট যে তাদের লক্ষ্য করেই অগ্রসর হচ্ছে সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। একমাত্র ডুবসাঁতারই ভরসা। কিন্তু কোন দিকে যাওয়া যায়? এতগুলো মানুষ কর্ণফুলী নদীবক্ষে ছড়িয়ে আছে। সকলের পেটে গামছা দিয়ে বাঁধা আছে লিমপেট মাইন। বিশদ

31st  October, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৪
রেডিও সিগন্যাল
সমৃদ্ধ দত্ত

১৫ জুন ১৯৭১। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এস এম নন্দা পলাশির ক্যাম্প পরিদর্শনে এলেন। তিনি এবং ভারত সরকার একটা সাংঘাতিক কঠিন বাজি হাতে নিয়েছে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোদের এই কাজটির জন্য পাঠানো হতো, তাহলে অতটা টেনশন হতো না। বিশদ

24th  October, 2021
কোজাগরীর লক্ষ্মীসরা
শান্তনু বসু 

জাগো- জেগে থাক। নিদ্রা যেন চেতনাকে আচ্ছন্ন না করে। শুদ্ধ চিত্তে, শুদ্ধ চরিত্রে প্রতীক্ষা করো। তিনি আসবেন। তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হবে ধরণী। বৈকুণ্ঠ থেকে তিনি নেমে আসবেন গৃহস্থের অঙ্গনে। আসবেন বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে। অতএব নিবিষ্ট মনে স্মরণ কর তাঁকে। আলপনা দাও। নিষ্ঠা ভরে ধানের ছড়া এঁকে রাখ ভূমিতে, এঁকে রাখ তাঁর চরণচিহ্ন। বিশদ

17th  October, 2021
অপারেশন ৭১ : পর্ব ৩
প্ল্যান জ্যাকপট
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যরাতে ফোন করেছেন কে সংকর্ষণ নায়ার। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি এই সংস্থায় পাকিস্তান ডেস্ক মনিটর করেন। প্রাইম মিনিস্টারকে এত রাতে ফোন করার অর্থ বড়সড় কিছু ঘটেছে। বিশদ

17th  October, 2021
পর্ব ২: অপারেশন ৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চলাইট
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবে? সেরকম হলে আমার ডেডবডির উপর দিয়ে হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এরকমই বললেন, তাঁর আর্মি কমান্ডারদের। শেখ মুজিবের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি বাঙালির হাতে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিতে হবে? বিশদ

10th  October, 2021
একনজরে
ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...

ফুটফুটে এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ফের উত্তাল হল ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশ। ঘটনাটি হাপুর শহরের। মাত্র ছ’বছরের এক শিশুকন্যার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর পর তাকে ...

রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা কেবল টিভি’র তারই চিন্তার কারণ। যাতায়াতের পথে অনেক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে পায়ে। আবার সাইকেল বা বাইকের চাকাতে জড়িয়েও কখনও কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ...

পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM