Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পর্ব ৮: অপারেশন ’৭১
কিলার টোয়েন্টি ফাইভ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কলকাতায় বসে ইন্দিরা গান্ধী প্রথমেই খবর নিলেন ঠিক কতটা অ্যাটাক করছে পাকিস্তান। তাঁকে বলা হল, ম্যাডাম, ওয়েস্টার্ন সেক্টরে পাগলের মতো এয়ার স্ট্রা‌ইক করছে। একটু আগে পৌনে ৬টায় হয় প্রথম অ্যাটাক। ইন্দিরা গান্ধী বললেন, ডিটেলস এসেছে? কোথায় কোথায় বম্বিং হয়েছে? সেক্রেটারি ডি পি ধর বললেন, ইয়েস ম্যাডাম। প্রাইমারি রিপোর্ট হল, অমৃতসর, পাঠানকোট, শ্রীনগর, অবন্তীপুর, উত্তারলাই, যোধপুর, সিরসা, হালওয়াড়া, জামনগর, চণ্ডীগড় আর আগ্রায় এয়ার স্ট্রিপে বম্বিং করেছে। তবে রানওয়ের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কোনও জেট ডেসট্রয় করতে পারেনি এখনও। এবার জম্মু এরিয়া টার্গেট করছে বলে জানালেন এয়ার চিফ মার্শাল। 
৩ ডিসেম্বর। ১৯৭১। সন্ধ্যা। ইন্দিরা গান্ধীর চোখমুখ শক্ত। একটু আগেই খবর এসেছে পাকিস্তান হঠাৎ আক্রমণ করেছে। রাগে ইন্দিরা গান্ধীর ফর্সা মুখ আরও লাল হয়ে গিয়েছে। থমথমে অবস্থায় তিনি বললেন, এবার আমাদের কী প্ল্যান? আই মাস্ট রিচ দিল্লি ইমিডিয়েটলি! ডি পি ধর ইতস্তত করছেন। ইন্দিরা গান্ধী বুঝতে পারলেন না, এত ভাবার কী আছে! এখনই ফ্লাই করতে হবে। তিনি মনে মনে ঠিক করছেন যে, পাকিস্তান আর আমেরিকা দুটো দেশকেই এবার এমন শিক্ষা দেবেন যে, ইন্ডিয়ার রিট্যালিয়েশন ওই দুই ঩দেশ আজীবন মনে রাখবে।
ডি পি ধরের ইতস্তত করার কারণ আছে। ইন্দিরা গান্ধী চাইলেই তো এখনই দমদম বিমানবন্দর থেকে এয়ারফোর্সের এয়ারক্র্যাফ্ট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উড়তে পারবে না! কেন? কারণ, ততক্ষণে দেশের নিরাপত্তা প্রধান গুপ্তচর বাহিনীর কর্তা আর এন কাও মেসেজ পাঠিয়েছেন তিন ফোর্সকেই যে, পাকিস্তান জেনেছে ইন্ডিয়ার প্রাইম মিনিস্টার এখন কোথায়। তিনি যে, দিল্লিতে নেই, কলকাতায় আছেন সেটাও সকলে জানে। আর তাই পাকিস্তানের এয়ারফোর্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, লক্ষ রাখতে কলকাতা থেকে কখন কোন এয়ারফোর্স এয়ারক্র্যাফ্টের সিরিজ টেক অফ করে মাঝ আকাশে যাচ্ছে। ঢাকা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে বলা হয়েছে, এই নজরদারি চালাতে। সুতরাং, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যে বিমান চলছে, পাকিস্তানি বাহিনী যদি সেই বিমানকে গুলি করে নামায়? তাহলে তো শুরুতেই পাকিস্তানের জয় হবে! খোদ ইন্ডিয়ার প্রাইম মিনিস্টারকেই যুদ্ধের প্রথম দিন আকাশে খতম করে দেওয়া হয়েছে! এই সুযোগ সর্বদাই পাকিস্তান পেতে চাইবে। তাই প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। প্ল্যান করতে হবে কিছু। নিতে হবে সতর্কতা। 
সাধারণ প্যাসেঞ্জার এয়ারক্র্যাফ্ট নয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মিটিং করে ঠিক হল, প্রধানমন্ত্রীকে নেওয়া হবে  ট্রান্সপোর্ট কেরিয়ার এয়ারক্র্যাফ্টে। টি ইউ টোয়েন্টি ফোর। এয়ার ফোর্সের ভিআইপি স্কোয়াড্রনের ট্রান্সপোর্ট কেরিয়ারে যে প্রাইম মিনিস্টার থাকতে পারেন, এটা চট করে পাকিস্তানি বাহিনী ধরতে পারবে না। তাই তারা টার্গেট করলেও বিভ্রান্ত হবে কিছুটা যে কোথায় আছেন ইন্দিরা গান্ধী? 
এয়ার হেডকোয়ার্টার্স ওই এয়ারক্র্যাফ্টের পাইলটকে কলকাতা থেকে টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই জানিয়ে দিল, ডোন্ট প্রসিড টু দিল্লি ডিরেক্টলি। ডাইভারশন সাজেস্টেড! অর্থাৎ কলকাতা থেকে ঘুরপথে এসো। আগে লখনউতে ল্যান্ডিং করো। তারপর আমরা অল ক্লিয়ার দিলে আবার লখনউ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফ্লাই করবে। একান্তই যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়? তাহলে সোজা গাড়িতে চাপিয়ে আনা হবে প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু সে তো অনেক দেরি? ইন্দিরা গান্ধী রাজি নন। তিনি ধমকে উঠলেন। বললেন, ‘আমি একটুও দেরি করতে চাই না। আজই আমি পাকিস্তানকে জবাব দেব। ইমিডিয়েট আমরা কাউন্টার অ্যাটাকে যাব। তিনি এমনিতে স্থির হয়ে বসে আছেন। কিন্তু ভিতরটা ছটফট করছে তাঁর। ইয়াহিয়া খানের সাহস আর স্পর্ধা দেখে তিনি স্তম্ভিত! ওরা ভাবছে কী? ইন্ডিয়ার প্রাইম মিনিস্টার একজন মহিলা? তাই তাঁকে ভয় দেখানো যাবে? আমাকে ওরা চেনেনি!’ 
ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে আছেন প্রাইভেট সেক্রেটারি ডি পি ধর, ইস্ট পাকিস্তান স্পেশাল ডিভিশনের ডিরেক্টর জে এন দীক্ষিত। বিদেশমন্ত্রকের অফিসার পিটার সিনাই। লখনউয়ের কাছে প্লেন পৌঁছতেই হঠাৎ কো-পাইলট উঠে এসে  ডি পি ধরকে বললেন, স্যার, আর্জেন্ট মেসেজ ফ্রম দিল্লি! আপনাকে চাইছে। একবার ককপিটে আসবেন? 
সার্টেনলি! দ্রুত ডি পি ধর এগিয়ে গেলেন। এক মিনিট। দু’মিনিট। তিন মিনিট। ককপিট থেকে ফিরছেন না তিনি। কী হল? ইন্দিরা গান্ধীর পর্যন্ত ভ্রু কুঁচকে গিয়েছে। এদিকে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই লখনউতে ল্যান্ড করতে হবে। অবশেষে চিন্তিত মুখে ফিরলেন ডি পি ধর। ইন্দিরা গান্ধীর কানের কাছে মুখ এনে কিছু বললেন, ফিসফিস করে। তারপর জে এন দীক্ষিতের পাশে আবার এসে বসলেন। জানা গিয়েছে, শুধু এয়ার স্ট্রাইক নয়। পাকিস্তান গ্রাউন্ড অ্যাটাকও করছে। গোটা নর্থ ইন্ডিয়ায় ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে। তাই এখন কীভাবে দিল্লি ল্যান্ড করা যাবে? লখনউ এয়ারফোর্স বেস এয়ারপোর্টের কী অবস্থা সেটাও তো অজানা! অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা না করে ভারতীয় সেনা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েই পাল্টা জবাব দেওয়াও শুরু করেছে। তবে কতটা এবং কতদূর যাওয়া হবে, সেটা স্থির করবেন প্রাইম মিনিস্টার। তাই সেনাপ্রধান, এয়ার ফোর্স প্রধান এবং নেভি চিফ অপেক্ষা করছেন, কখন দিল্লি ফিরে ইন্দিরা গান্ধী কিছু বলবেন। 
প্লেন লখনউয়ে ল্যান্ড করেছে। কলকাতা থেকে লখনউ পর্যন্ত ফ্লা‌ইটে সবরকম সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল। চারদিকে এসকর্ট এয়ারক্র্যাফ্ট নিয়ে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনও অ্যাটাক করা হয়নি। নির্বিঘ্নে লখনউয়ে নামার পর অপেক্ষা করা হল, কতক্ষণ পর আসবে দিল্লির সবুজ সংকেত। প্রায় ২ ঘণ্টা। কোনও অল ক্লিয়ার মেসেজ আসছে না।
 অবশেষে এসেছে। ইন্দিরা গান্ধী আর ধৈর্য রাখতে পারছেন না। দ্রুত প্রায় দৌড়ে উঠলেন এয়ারক্র্যাফ্টে। তটস্থ বাকিরা। রাত প্রায় ১১টায় দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে নামল প্রধানমন্ত্রীর বিমান। পালাম এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জগজীবন রাম। তিনি এগিয়ে এসে বললেন, আমরা রেডি ম্যাডাম। আপনার সিগন্যালের অপেক্ষা। ইন্দিরা গান্ধী শুধু বললেন হুমম! উঠে গেলেন গাড়িতে। সোজা সাউথ ব্লকের অপারেশন রুম। এখন থেকে যা হবে ওয়ার রুম। সেখানে আগে থেকেই বসে আছেন বিদেশমন্ত্রী স্বর্ণ সিং। বসে আছেন স্যাম মানেকশ। সেনাপ্রধান। নেভি প্রধান অ্যাডমিরাল নন্দা কলকাতায় ছিলেন। তিনিও আসছেন। এয়ার চিফ মার্শাল রয়েছেন এয়ারফোর্স কন্ট্রোলে। তাঁকে খবর দেওয়া হয়েছে। আর্মি হেডকোয়ার্টার্স এরিয়ায় চরম তৎপরতা থাকার কথা এখন। অথচ সাউথ ব্লকে যেন শান্ত এক আবহ। কী ব্যাপার? ইন্দিরা গান্ধী সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশকে বললেন, স্যাম, আমরা তো এখন একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি? 
মানেকশ উত্তর দিলেন, হ্যাঁ ম্যাডাম! অবশেষে। বলে হাসলেন। যেন এটা খুব আনন্দদায়ক খবর। আর্মি মুভমেন্ট অলরেডি শুরু হয়েছে। কাল সকালের আগেই পাকিস্তান ভালো মতো উত্তর পেয়ে যাবে। এয়ারফোর্সকে দিয়ে আমরা শুরু করব। নেভিও অলরেডি ওয়েস্টার্ন ফ্লিটকে বলে দিয়েছে। করাচির দিকে মুভ করছি ম্যাডাম আমরা। 
ইন্দিরা গান্ধী ভেবেছিলেন, পাকিস্তান যুদ্ধ করছে, আর আমাদের আর্মি হেডকোয়ার্টার্সে এত শান্তি বিরাজ করছে কেন? এটা কি শৈথিল্যের লক্ষণ? কিন্তু স্যাম মানেকশর কথায় বুঝে গেলেন, সামরিক বাহিনী সম্পূর্ণ তৈরি ছিল। তাই কোনও টেনশন নেই। 
ইন্দিরা গান্ধী বললেন, স্যাম, মেক ইট শর্ট। মিনিমাম পিরিয়ড প্রিসিশন! 
স্যাম মানেকশ বললেন, সার্টেনলি ম্যাডাম। আমরাও সেটা ভেবেছি। কত কম সময়ের মধ্যে পাকিস্তানকে সারেন্ডার করাতে পারি। 
প্রধানমন্ত্রীর মুখে এতক্ষণ পর সামান্য হাসি ফুটল। তাঁকে যেতে হবে  ক্যাবিনেট মিটিংয়ে। সেখানে গোটা ব্যাপারটা ব্রিফ করার পর আকাশবাণী থেকে দেশবাসীকে বার্তা। ইন্দিরা গান্ধী দেশবাসীকে বলছেন, পাকিস্তান আমাদের উপর একটা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। আক্রমণ করেছে পশ্চিম ভারতে। সুতরাং আমরাও তার পাল্টা জবাব দিতে তৈরি। দেশবাসী আমাদের সঙ্গে আছেন। আমাদের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশবাসীর শুভেচ্ছা থাকুক। ঠিক তখন বিশাখাপত্তনমের কাছে বন্দরের অদূরে প্রবল বিস্ফোরণ হচ্ছে। পাকিস্তান যখন মনে করছে তারা প্রথম আক্রমণ করে ভারতকে চরম বিপদে ফেলে দিয়েছে, আর ভারতের গৌরব যুদ্ধজাহাজ  আইএনএস বিক্রান্তকে টর্পেডো দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে কোণঠাসা করে দেবে, তাদের সেই আক্রমণকারী সাবমেরিন পিএনএস গাজিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। যুদ্ধ শুরুর মাহেন্দ্রক্ষণে সর্বাগ্রে ধ্বংস হয়ে গেল পিএনএস গাজি। করাচিতে খবর আসার পর গোটা ন্যাভাল হেডকোয়ার্টার্স স্তব্ধ হয়ে বসে আছে। গাজির অভ্যন্তরে থাকা নেভি অফিসার, কর্মী, নাবিকেরা কোথায়? সকলে শহিদ হয়ে গেল নাকি? করাচি ভাবতে শুরু করল, যুদ্ধের শুরুতেই যেখানে এরকম এক চরম দুঃসংবাদ, তার মানে এটা কি কোনও আগাম বার্তা যে, যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয় হবে? এরকম খারাপ স্টার্টিং হল কেন? 
করাচি যখন এসব ভাবছে, তখন তাদের কল্পনাতেই নেই, ভারতীয় নৌবাহিনী কী করতে চলেছে এরপর? মুম্বই এবং গুজরাত থেকে বিদ্যুতের গতিতে এগিয়ে চলেছে একঝাঁক মিসাইল বোট এবং ওয়ারশিপ। লক্ষ্য করাচি! অভিযানের নাম, অপারেশন ট্রাই঩ডেন্ট! 
....
এই বাহিনীর নাম কিলার স্কোয়াড্রন টোয়েন্টি ফাইভ। পরিভাষায় বলা হয়, কে টোয়েন্টি ফাইভ! প্ল্যান হল, সবার আগে পূর্ব পাকিস্তানকে সম্পূর্ণ ঘিরে ফেলতে হবে। যাতে এয়ারফোর্স, নেভি, আর্মি— পাকিস্তানের কোনও ফোর্স না পারবে পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে ঢুকতে। না পারবে বেরতে। সবথেকে বড় কাজ ইন্ডিয়ান নেভির। চট্টগ্রাম বন্দরকে সিল করে দিতে হবে।  বিশাখাপত্তনমে যখন পাকিস্তানের সাবমেরিন পিএনএস গাজিতে বিস্ফোরণ হচ্ছে, তখন আইএনএস বিক্রান্ত অনেক দূরে আন্দামানের কাছে। তাকে মেসেজ করা হল। বিক্রান্ত এবার এগচ্ছে চট্টগ্রামের দিকে। বিক্রান্তের থেকে উড়বে একের পর এক এয়ারফোর্সের ফাইটার জেট। পাকিস্তানের সবথেকে শক্তিশালী কেন্দ্র হল করাচি। অতএব করাচি বন্দরকে এমনভাবে আক্রমণ করা হবে যাতে এই বন্দর সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। জাহাজ, ট্যাঙ্কার, ফুয়েল অপারেশন ইউনিট, বয়লার সিস্টেম সব ধ্বংস করা দরকার। 
অবশ্যই আসল কাজটা করবে মিসাইল বোট। কিন্তু একা পারবে না। কভার ব্যাকআপ চাই। তাই তিনটে যুদ্ধজাহাজ থাকছে। মিসাইল বোটের মধ্যে অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফ্ট সিস্টেম থাকলেও সেটা তেমন শক্তিশালী নয়। আরও বেশি র‌্যাডার রেঞ্জ হওয়া দরকার। তাই আইএনএস নিপাট, আইএনএস নির্ঘাত ও আইএনএস বীরকে আনা হয়েছে। যেগুলির কমান্ডে রয়েছেন কমান্ডার বি বি যাদব, লেফটেন্যান্ট কম্যান্ডার বি কে কাবিনা, আই জে শর্মা এবং ও পি মেহতা। তাঁরা প্রত্যেকেই একদিকে যেমন এই যুদ্ধজাহাজের অপারেশনে পারদর্শী, একইভাবে রাশিয়ান মিসাইল বোটগুলির কমান্ড সিস্টেমের ট্রেনিং নিয়েছেন। কমান্ডার কে এন জাডু এবং কমান্ডার জি এস রাও থাকছেন আইএনএস কাচ্ছাল ও আইএনএস কিলটন নিয়ে।  জ্বালানির ব্যবস্থা কী হবে? আইএনএস পোশক ও আইএনএস বিদ্যুৎ নামের দুই রিফুয়েল ইউনিট এতটাই আধুনিক যে, অপারেশন চলাকালীনই তারা যে কোনও যুদ্ধজাহাজে জ্বালানি ভরে দিতে সক্ষম। অর্থাৎ অ্যাটাক করবে কিলার স্কোয়াড্রন টোয়েন্টি ফাইভ। আটটা মিসাইল বোর্ড। আর্মড ব্যাকআপ করার জন্য থাকছে চারটি ওয়ারশিপ। এসকর্ট করবে দুটি যুদ্ধজাহাজ। 
জেনারেল স্যাম মানেকশ আগের রাতেই অপারেশন রুমে ইন্দিরা গান্ধীকে বলেছিলেন যে, সবার আগে কাজ শুরু করবে এয়ারফোর্স। ঠিক তাই হল। নিখুঁত প্ল্যান। ৪ ডিসেম্বর সকাল। আচমকা করাচির আকাশে ঢুকে পড়ল ভারতীয় বিমানবাহিনীর চারটি ফা‌ইটার। এটা পাকিস্তানের কাছে প্রত্যাশিত ছিল। করাচি এয়ারফোর্স তৈরিও ছিল। কিন্তু তাদের একটাও গুলি ছুঁতে পারছে না ভারতের ফাইটার জেটকে। ভারতীয় বিমাববাহিনীর আগে থেকেই প্ল্যান করা আছে কী করতে হবে। অজানা টার্গেটকে ধ্বংস করতে সময় লাগে সাধারণত। কিন্তু বেছে বেছে যেখানে বোমা ফেলা হচ্ছে, সেটা দেখে মনে হচ্ছে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের এই চারটি বিমানের পাইলটেরা যেন আগে থেকেই করাচি এয়ারস্ট্রিপ সম্পর্কে সব জানেন। এটা হল নেভি চিফ অ্যাডমিরাল নন্দার ব্রিফিং এর ফল। তিনি রীতিমতো ম্যাপ এঁকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, করাচির কোথায় কী কী আছে। কোন রুটে গিয়ে, ঠিক কত স্পিডে পৌঁছে ফার্স্ট বম্বিং কোন ডিরেকশনে করতে হবে সব বলেছিলেন। 
ছবির মতো সেই ব্রিফিং মনে রেখে শুধু কাজটা করে যেতে হবে ম্যাপের পয়েন্ট সামনে রেখে। তাই করছেন ইন্ডিয়ান পাইলটেরা। করাচির এয়ারফিল্ডের র‌্যাডার-স্টেশন আর ওয়্যারহাউস ধ্বংস হয়ে গেল সবার আগে। এটার নাম মারসুর স্ট্রিপ। এখানে স্রেফ একের পর এক বোমা ফেলা হল  রানওয়েতে।
রানওয়ে এমনভাবে ধ্বংস হল যে, অন্তত এক মাস লাগবে মেরামতি করতে। আর কী আশ্চর্য! শুধু এই কাজটা করেই চলে গেল ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলি। কেন? কারণ, এটা এয়ারফোর্সের নিজেদের অপারেশনের প্ল্যান নয়। এটা আসলে বৃহত্তর এক নেভি অভিযানের প্রাক পরিকল্পনা।  ভারতীয় নৌসেনার অপারেশন ট্রাইডেন্ট তখনই শুরু করা হবে, যখন নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, করাচির মাসরুর স্ট্রিপ থেকে পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের কোনও বিমান উড়তে পারবে না। কারণ, করাচি বন্দরের দিকে অগ্রসর হওয়া ভারতীয় নেভির জাহাজ ও মিসাইল বোটকে ধ্বংস করার জন্য সবথেকে কাছে থাকা যে এয়ারস্ট্রিপ থেকে পাক ফাইটার জেট উড়বে সেটি হল ওই মাসরুর। অতএব এটাকে আগে অকেজো করে দাও। 
আগে থেকেই ভারতের নেভি আর এয়ারফোর্সের মধ্যে প্ল্যান হয়ে গিয়েছে যে, আগে ৪ ডিসেম্বর সকালে এয়ারফোর্স করাচিতে অ্যাটাক করবে, আর তারপরই যাত্রা শুরু করবে ভারতের নৌবাহিনীর কিলার স্কোয়াড্রন। পাকিস্তান ধরেই নিল ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের এই চকিত আক্রমণ যেন রুটিন একটা প্রত্যাঘাত। গতকালই পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে ওয়েস্টার্ন সেক্টরে। সুতরাং এটা স্বাভাবিক আজ ভারত পাল্টা জবাব দেবে। এটাও সেরকম বম্বিং। কিন্তু পাকিস্তান বুঝতে পারছে না এটা স্রেফ মুদ্রার একটি পিঠ। অন্য পিঠে আসছে ইন্ডিয়ান নেভির কিলার স্কোয়াড্রন! আজ রাতে।   
এখন সন্ধ্যা। আরব সাগরের মাঝদরিয়ায় ইন্ডিয়ান নেভির কিলার স্কোয়াড্রন। কে টোয়েন্টি ফাইভের র‌্যাডারে চোখ রাখা শুরু হল। কোথায় পাকিস্তানের সেই জাহাজ? যাকে সবার আগে অ্যাটাক করা হবে এই অপারেশনে। পিএনএস খাইবার ডেস্ট্রয়ার! কমান্ডার বি বি যাদব রেডিও ট্রান্সমিটারে নেভি হেডকোয়ার্টার্সে মেসেজ পাঠালেন, ট্রাইডেন্ট স্টার্টিং...!                   
 (চলবে)
21st  November, 2021
ছোট গল্প
তাজমহল
মীনাক্ষী সিংহ

অপেক্ষার ক্লান্ত আশাহত প্রহর পেরিয়ে সাত বছরের প্রতীক্ষা শেষে মালশ্রীর বিয়ে হল যোগ্য পাত্র সুতীর্থর সঙ্গে। কী আশ্চর্য সমাপতন। সুতীর্থও ডাক্তার। তবে মালশ্রী আগেই জেনে আশ্বস্ত হয়েছে যে দু’জনের কলেজ ছিল আলাদা। প্রিয়ক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উজ্জ্বল ছাত্র আর সুতীর্থ জলপাইগুড়ি কলেজের। বিশদ

05th  December, 2021
পর্ব ১০: অপারেশন’৭১
নিপাট রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এনিমি এয়ারক্র্যাফট অ্যাটাকড...পজিশন এফএফ টোয়েন্টি...নম্বর ওয়ান বয়লার হিট...ওভার...। পাকিস্তানের নেভি কন্ট্রোল এই মেসেজ পিএনএস খাইবার থেকে পেয়েই সেটা পাঠিয়েছে পিএনএস মুহাফিজকে। আর একটি যুদ্ধজাহাজ। যাতে তৎক্ষণাৎ রেসকিউ করতে যায় মুহাফিজ! 
বিশদ

05th  December, 2021
অপারেশন’ ৭১: পর্ব ৯
খাইবার খতম
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৬৫ সাল। সেপ্টেম্বর মাস। তখন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল বি এস সোমান। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু। অ্যাডমিরাল বি এস সোমান ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তিনতলায় একটি ঘরে বসে আছেন। তাঁর সামনে একটি নোট রাখা। সরকারি লেটারহেড। সামরিক বিভাগের। সেখানে লেখা আছে, আন্দামান নিকোবর রক্ষা করাই আপাতত ইন্ডিয়ান নেভির প্রধান কর্তব্য। বিশদ

28th  November, 2021
ছোট গল্প
রসাল কথা
এষা দে

কী করেছে শ্রী? দল বেঁধে রথের মেলায় গিয়েছিল। যাক্‌।  ঩সেখানে বড়দের সব বারণ, সাবধানবাণী অগ্রাহ্য করে আকণ্ঠ নিষিদ্ধ স্ন্যাক্স গরম গরম সামনে তৈরি জিলিপি, পাঁপড় ভাজা, বেগুনি, পেঁয়াজি খাওয়া হয়েছে। কী সর্বনাশ! তার ওপর সন্ধ্যায় ফেরার সময় একটি আম গাছের চারা কিনে নিয়ে এসে লুকিয়ে রেখে পরদিন সাতসকালে চুপচাপ মালি বিশুর কোদাল খুরপি ইত্যাদি হাতসাফাই করে হাউজিংয়ের খোলা সবুজের প্রায় মাঝখানে মাটি খুঁড়ে সেটি পুঁতে ফেলেছে। বিশদ

21st  November, 2021
অপারেশন ৭১
ডেপথ চার্জ

বিপ...বিপ...বিপ। মেসেজ এসেছে। পাকিস্তানের সাবমেরিন পিএনএস গাজিকে করাচি ন্যাভাল কন্ট্রোল থেকে মেসেজ করছে। তোমরা কোথায়? কোনও কন্ট্যাক্ট নেই কেন? ক্যাপ্টেন জাফর মহম্মদ খান বললেন, আমরা এখন কী করব বলে দিন? বিক্রান্তের খোঁজ পেয়েছেন? বিশদ

14th  November, 2021
ডাইনি

জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে আছে জামুনি। জামুনি টুডু। নিজেদের জমিতে চাষ, দুই ছেলেমেয়ে কাঁদন আর চূড়ামণিকে নিয়ে বেশ সংসার। দোষের মধ্যে গাঁয়ের সোমবারি টুডুর শরীর খারাপের খবর শুনে দেখতে গিয়েছিল। বিশদ

14th  November, 2021
কোথায় বিক্রান্ত?
সমৃদ্ধ দত্ত

শুনুন সবাই, আমাদের এবারের মিশন আইএনএস বিক্রান্ত! সেই বিখ্যাত ইন্ডিয়ান যুদ্ধজাহাজ। বললেন, পাকিস্তানের ন্যাভাল ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড অপারেশন প্ল্যানস ক্যাপ্টেন ভুমবাল। 
বিশদ

07th  November, 2021
আসা যাওয়ার পথে
তন্বী হালদার

বেশ কিছুদিন ধরে ঘুমোলেই রাই একটা স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে এমন মনে হচ্ছে যে, জেগে জেগেও বোধহয় সে এবার স্বপ্নটা দেখবে। সেদিন অফিস থেকে ট্রেনে ফেরবার সময় জানলার ধারে সিট পেয়েছিল।
বিশদ

07th  November, 2021
মেঘ বৃষ্টির গল্প
উদয়ারুণ রায়

‘চা-টা তো ঠান্ডা হয়ে যাবে এবার।’ বাবার ইজিচেয়ারের পাশে রাখা টেবিলটার ওপরে নিজের চায়ের কাপটা রেখে ওপাশের চেয়ারটায় বসল বৃষ্টি। বারান্দায় বাবা ইজিচেয়ারে বসে আছেন দূরের দিকে চেয়ে। মিনিট দুই আগে টিকলি, ওদের কাজের মেয়েটা অরুণ মিত্রকে চা দিয়ে গিয়েছে। বিশদ

31st  October, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৫
করাচি  প্ল্যান
সমৃদ্ধ দত্ত

পাকিস্তানের বোট যে তাদের লক্ষ্য করেই অগ্রসর হচ্ছে সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। একমাত্র ডুবসাঁতারই ভরসা। কিন্তু কোন দিকে যাওয়া যায়? এতগুলো মানুষ কর্ণফুলী নদীবক্ষে ছড়িয়ে আছে। সকলের পেটে গামছা দিয়ে বাঁধা আছে লিমপেট মাইন। বিশদ

31st  October, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৪
রেডিও সিগন্যাল
সমৃদ্ধ দত্ত

১৫ জুন ১৯৭১। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এস এম নন্দা পলাশির ক্যাম্প পরিদর্শনে এলেন। তিনি এবং ভারত সরকার একটা সাংঘাতিক কঠিন বাজি হাতে নিয়েছে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোদের এই কাজটির জন্য পাঠানো হতো, তাহলে অতটা টেনশন হতো না। বিশদ

24th  October, 2021
কোজাগরীর লক্ষ্মীসরা
শান্তনু বসু 

জাগো- জেগে থাক। নিদ্রা যেন চেতনাকে আচ্ছন্ন না করে। শুদ্ধ চিত্তে, শুদ্ধ চরিত্রে প্রতীক্ষা করো। তিনি আসবেন। তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হবে ধরণী। বৈকুণ্ঠ থেকে তিনি নেমে আসবেন গৃহস্থের অঙ্গনে। আসবেন বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে। অতএব নিবিষ্ট মনে স্মরণ কর তাঁকে। আলপনা দাও। নিষ্ঠা ভরে ধানের ছড়া এঁকে রাখ ভূমিতে, এঁকে রাখ তাঁর চরণচিহ্ন। বিশদ

17th  October, 2021
অপারেশন ৭১ : পর্ব ৩
প্ল্যান জ্যাকপট
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যরাতে ফোন করেছেন কে সংকর্ষণ নায়ার। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি এই সংস্থায় পাকিস্তান ডেস্ক মনিটর করেন। প্রাইম মিনিস্টারকে এত রাতে ফোন করার অর্থ বড়সড় কিছু ঘটেছে। বিশদ

17th  October, 2021
পর্ব ২: অপারেশন ৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চলাইট
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবে? সেরকম হলে আমার ডেডবডির উপর দিয়ে হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এরকমই বললেন, তাঁর আর্মি কমান্ডারদের। শেখ মুজিবের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি বাঙালির হাতে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিতে হবে? বিশদ

10th  October, 2021
একনজরে
রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স  ২-১ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। এবার প্রতিযোগিতায় প্রথম জয় পেল কেরলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ...

পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...

ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...

কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কাটোয়া আদালত চত্বর থেকে বাইক চুরি। এমনকী বাইক চুরি করে পালানোর সময় এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাইও করে দুষ্কৃতীরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM