Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অপারেশন ৭১: পর্ব ৪
রেডিও সিগন্যাল
সমৃদ্ধ দত্ত

আলফা, ব্রেভো, ডেলটা, ফক্সডোর্ট, ইয়ার্নি, ইকো আর চার্লি। এগুলো হল অপারেশনাল সেক্টর। পূর্ব পাকিস্তানের তিনটি বন্দরে মোতায়েন করা পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ ধ্বংসের অভিযান যখন চলবে, তখন যদি সেই অপারেশন টিম ব্যর্থ হয় কিংবা কোনও কারণে ধরা পড়ে যায়, তাহলে ভারতীয় সেনাবাহিনী আর নৌসেনার এই সাতটি সেক্টর ব্যাক আপ সাপোর্ট টিম হিসেবে থাকবে। অভিযান ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। টিম ব্যর্থ হতে পারে। কিন্তু অপারেশন জ্যাকপট সফল করতেই হবে। পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান যখন পূর্ব পকিস্তানে বাঙালি নিধন প্রোগ্রামে মত্ত হয়ে মহানন্দে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে আছেন এবং একের পর এক অত্যাচারের কাহিনি শুনে আত্মপ্রসাদ লাভ করছেন, তখন ভারতের অন্দরে উত্তরবঙ্গের মূর্তি নদীর কাছে, রাজগঞ্জে, বিহারের চাকুলায়, ত্রিপুরার দেবতামুড়ায়, অসমের মাসিমপুরে, মেঘালয়ের টুরায়, ডোমকল জলঙ্গির বর্ডারে তৈরি হয়েছে ব্যাক অ্যাপ ক্যাম্প। চলছে ট্রেনিং। মুর্শিদাবাদ আর নদীয়ার বর্ডার পলাশির প্রান্তরে মূল প্রশিক্ষণ চলছে। আর সেই যোদ্ধারা মাঝেমধ্যেই এই ক্যাম্পগুলিতে এসে টেকনিক্যাল সাপোর্ট সম্পর্কে অবহিত হয়ে ফের ফিরে যাচ্ছে পলাশিতে। 
১৫ জুন ১৯৭১। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এস এম নন্দা পলাশির ক্যাম্প পরিদর্শনে এলেন। তিনি এবং ভারত সরকার একটা সাংঘাতিক কঠিন বাজি হাতে নিয়েছে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোদের এই কাজটির জন্য পাঠানো হতো, তাহলে অতটা টেনশন হতো না। কিন্তু এ কাজের দায়িত্বে পূর্ব পাকিস্তানের সাবমেরিনার্স, বিদ্রোহী নৌসেনা, একঝাঁক মুক্তিযোদ্ধা আর ইস্ট পাকিস্তান বেঙ্গল ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের নেওয়া হয়েছে। তাদের এই কয়েকমাসের মাত্র ট্রেনিং-এ এত বড় একটা অভিযানে পাঠালে মিনিট বাই মিনিট অপারেশন সাকসেসফুল হবেই তার নিশ্চয়তা নেই। অন্য দেশ, অন্য অজানা ভূগোলের দিকে পাঠানো হবে অন্য দেশের একঝাঁক যোদ্ধাকে। সবটাই এক চান্স ফ্যাক্টর। তাই অ্যাডমিরাল নন্দা এই বাছাই করা ৩০০ জন যোদ্ধাকে বললেন, আপনাদের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আপনাদের মনোবল। আপনাদের ভবিষ্যৎ বিজয়। ইন্ডিয়ান আর্মি আর নেভির স্ট্র্যাটেজির কুশলতা। সব কিছু আপনাদের হাতে। মনে রাখবেন একটা কথা, শুধু‌ই পাকিস্তানের মোতায়েন করা জাহাজগুলিকে ধ্বংস করাই আপনাদের লক্ষ্য হবে না। এই ধ্বংসলীলার পিছনে আরও গভীর কারণ আছে। আমাদের স্ট্র্যাটেজি যদি সফল হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহলও কিন্তু ভয় পাবে। তারা বুঝতে পারবে, ইস্ট পাকিস্তানের সমুদ্র কিংবা নদীপথ মোটেই সুরক্ষিত নয়। যে কোনও সময় জাহাজ, ভেসেল অথবা ন্যাভাল বোটে অ্যাটাক করা হতে পারে। তাই পাকিস্তানের আহ্বান সত্ত্বেও ওই সব আন্তর্জাতিক মহল এরপর নিজেদের যুদ্ধজাহাজ কিংবা নৌবাহিনীর বোট পূর্ব পাকিস্তানে সাপ্লা‌ই করতে ভয় পাবে। তারা যতই পাকিস্তানের বন্ধু হোক, নিজেদের সেনাবাহিনীকে এভাবে মৃত্যুর মুখে কে পাঠাবে? তাই তাদের ভয় পাইয়ে দিতে হবে। তার ফলে পাকিস্তান বিদেশ থেকে সাহায্য পাবে না। একবার যদি একসঙ্গে এতগুলো জাহাজ উড়িয়ে দেওয়া যায়,  পাকিস্তানের আর্মস আর অ্যামুনিশনের সাপ্লাই লা‌ইনও বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের এয়ার ফোর্স ইতিমধ্যেই কিন্তু বন্ধ করে দিয়েছে এয়ারস্পেস। ইন্ডিয়ার এয়ারস্পেস লঙ্ঘন করলেই গুলি করে নামানো হবে পাকিস্তানের দিক থেকে আসা যে কোনও বিমানকে। এবার সমুদ্র আর নদী রুটও আমরা বন্ধ করে দেব। সম্পূর্ণ বন্দি হয়ে যাবে পাকিস্তান ইস্ট পাকিস্তানের মধ্যেই।  তাই এবার ফাইনাল কাজটা আপনাদের হাতযশ আর মনের জোর। পারবেন তো? সমস্বরে প্রায় তিনশো যোদ্ধা হাত মুষ্টিবদ্ধ করে চিৎকার করে বলে উঠলেন, পারব স্যার!
মোট ৮টা গ্রেডে ভাগ করা হল কমান্ডোদের। পলাশির প্রান্তরে গঙ্গায় অন্তত ১৫ থেকে ১৭ ঘণ্টা প্রতিদিন ট্রেনিং। নিয়ম করে পরীক্ষা নিচ্ছেন ভারতের ২০ জন নেভি ইনস্ট্রাকটর। লেফটেন্যান্ট এস দাস, লেফটেন্যান্ট ভি পি কপি, লিডিং সি ম্যান এম কে গুপ্তা, এস সিং। নানা বুজ রয়েছেন নেতৃত্বে। পরীক্ষায় সবথেকে ভালো ফল যারা করছে, তাদের জন্য এ গ্রেড। এভাবে এইচ গ্রেড পর্যন্ত। এ গ্রেডে যারা থাকবে, তারাই লিমপেট মাইন উইথ টাইমার রাখবে যুদ্ধজাহাজে।  ওই মাইন জাহাজের কেবলবক্সে রেখে নিমেষের মধ্যেই ঝড়ের গতিতে সাঁতরাতে হবে। দরকার হলে ওলিম্পিক্সের চ্যাম্পিয়নের রেকর্ডও ভেঙে দিতে হবে। শুধুই পরীক্ষার রেজাল্ট নয়। দরকার ভূগোল জানা। তাই ঠিক যেখানে যেখানে জাহাজকে টার্গেট করা হবে, সেই জেলা আর আশপাশের জেলায় যাদের বাড়ি, সেই যোদ্ধাদের চান্স দেওয়া হল। কারণ, নদী, ঘাট, বন্দর, গ্রাম এবং স্থানীয় ভাষা, এটা সম্যকভাবে জানা দরকার। পূর্ব পাকিস্তান মানেই তো আর সর্বত্র একইরকম বাংলা ভাষা নয়। অসংখ্য ভিন্ন উচ্চারণ, ডায়ালেক্ট আর বাচনভঙ্গি। সেরকমভাবেই কথা বলতে পারলে, গ্রামবাসীর সাহায্য যখন লাগবে, সেই সময় সুবিধা হয় অনেক। কোনও গেরিলা যুদ্ধ অথবা বিপ্লবই স্থানীয় জনগণের সহায়তা ছাড়া সফল হতে পারে না। ইতিহাস সাক্ষী। 
মোংলা বন্দর অপারেশনের জন্য ৬০ জন কমান্ডো বাছাই করা হল। তারা প্রত্যেকেই খুলনা জোনের। দুঃসাহসিক যাত্রাপথের সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে তাদের। তাই বাছাই করা হয়েছে এই টিমকে। প্রথমে পলাশি ক্যাম্প থেকে বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট। একপ্রস্থ ব্রিফিং। তারপর ক্যানিং। মাতলা নদীর পাশে একটি  বেস ক্যাম্পে এসে রিপোর্টিং। আগে থেকেই সেখানে আছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জি এস অরোরা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শালিক।  কলকাতা রেডিওর একজন  রিজিওনাল ডিরেক্টর আছেন তাঁদের সঙ্গে। কিন্তু এই নৌবাহিনীর অভিযানে কলকাতার রেডিও সেন্টারের রিজিওনাল সেন্টারের কী ভূমিকা? তিনি এবং তাঁর দুই টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কেন এসেছেন এই আদ্যন্ত এক গেরিলা অভিযানে? কারণ, এই অভিযানে ঠিক যতটা গুরুত্বপূর্ণ  নৌবাহিনী আর সেনা কমান্ডোদের সহায়তা, ঠিক সমপরিমাণ তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব কলকাতার আকাশবাণীর। কেন? 
পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ আর মিলিটারি ভেসেল ধ্বংস করার জন্য অপারেশনে যাওয়া কমান্ডোদের সঙ্কেত দেওয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধার এই দল থাকবে তখন কোথায়? কোনও জঙ্গলে।  নদীবক্ষে। অথবা সমুদ্রবন্দরের কাছে গ্রামের গোপন আস্তানায়। তাহলে কীভাবে পৌঁছনো যাবে সঙ্কেত? বহু চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, ভারতীয় রেডিও মারফত দু’টি গান বাজানো হবে। কখন আক্রমণ করতে হবে তার সঠিক সময়ের দুটি অ্যালার্ট দেবে আকাশবাণী। 
ন্যাভাল কমান্ডো নম্বর জিরো জিরো থ্রি নাইনের কমান্ডার আমিনুর রহমান খুসরুকে ভারতের লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরোরা স্পষ্ট করে দিয়ে বললেন, লুক কমান্ডারস,  একটা জিনিস ভুলবেন না। ওই গান কিন্তু একটা নির্দিষ্ট দিনে সারাদিনে শুধুমাত্র দু’বারই বাজানো হবে। আর নয়। এমনকী স্বয়ং আমাদের প্রাইম মিনিস্টার অনুরোধ করলেও আমরা আর বাজাতে পারব না। মিলিটারি সঙ্কেত সিস্টেম এমনই। সুতরাং আপনাদের রেডি থাকতে হবে। আর চরম সতর্ক হওয়া দরকার। কারণ, গান বাজবে যে কোনও মোমেন্টে। ওই গান বাজার অপেক্ষায় আপনাদের রেডিওর অনুষ্ঠান ফলো করতে হবে। এক্সট্রা ব্যাটারি নেবেন। কারণ, অভিযানের পথে ব্যাটারি জলে ভিজে যেতে পারে। রেডিও নষ্ট হতে পারে। তাই দুটো সেট রাখবেন। আর অনেক ব্যাটারি। 
কীভাবে আসবে গানের সিগন্যাল? আকাশবাণী কলকাতার পূর্বাঞ্চলীয় প্রোগ্রামে বাজানো হবে সেই সাঙ্কেতিক গান দু’টি। কমান্ডো মুক্তিযোদ্ধাদের রেডি করার জন্য সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৬টায় একবার বাজানো হবে একটি গান। আর অন্য গানটি বাজবে ঠিক রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে কোনও এক সময়। পূর্বাঞ্চলীয় প্রোগ্রামের নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি স্ট্রং। তাই এই গান নদীতেও শোনা যাবে। রেডিওর সাধারণ শ্রোতারা প্রতিদিনের মতোই ভাববে স্বাভাবিক নিয়মেই রেডিওর প্রোগ্রামে গান বাজছে। কিন্তু একমাত্র কলকাতা আকাশবাণীর কিছু কর্মী, ভারতের সামরিক ও নৌসেনার অফিসাররা, গুপ্তচর সংস্থা আইবি এবং RAW, আর অভিযানে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধারাই বুঝতে পারবেন বিশেষ ওই দুই  গানের অর্থ কী! সেই গান অনুসরণ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা অভিযানকে চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে। 
কী  সেই গান, যা পাকিস্তানের নৌবাহিনীকে ধ্বংস করার এই মহাযুদ্ধের সর্বপ্রথম শক্তিশালী এক অস্ত্র হতে চলেছে? প্রথম গান পঙ্কজকুমার মল্লিকের। ‘আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান’। যখনই এই গান বাজানো হবে অর্থাৎ ভোর ৬টা থেকে সাড়ে ৬ টায়, তখন রেডি হয়ে যেতে হবে। বুঝে নিতে হবে যে, ভারতীয় স্পাই ও মিলিটারি বাহিনী মাহেন্দ্রক্ষণটি চিহ্নিত করতে পেরেছে যে আজই অভিযান! অতএব তৈরি হও। এই গান শোনার সঙ্গে সঙ্গে যেন মুক্তিযোদ্ধারা বন্দরের ঘাঁটির কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করে। এবং অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী গানের জন্য। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আক্রমণ করতে হবে। তাহলে অ্যাটাক করা শুরু হবে কখন? সেটা দ্বিতীয় গান বাজার পরই। দ্বিতীয় গান সন্ধ্যা মুখোধ্যায়ের— ‘আমার পুতুল লক্ষ্মী পুতুল আজকে প্রথম যাবে শ্বশুরবাড়ি’। এই গানের অর্থ কী? অর্থ হল, যে টিম যেখানে আছে, তারা সেই  বেসস্টেশন ছেড়ে তখনই বেরিয়ে পড়ুক গন্তব্যে। এর পর আর কোনও অ্যালার্ট দেওয়া হবে না। ওই দ্বিতীয় গানই হবে চূড়ান্ত সঙ্কেত।  
ব্রিফিং শেষ। বেরিয়ে পড়ল চারটি টিম। টার্গেট মোংলা সমুদ্রবন্দর, চাঁদপুর নৌবন্দর, নারায়ণগঞ্জ নৌবন্দর, দাউদকান্দি ফেরিঘাট এবং হিরণ পয়েন্ট। 
কর্ণফুলী নদীতীরে এসে পৌঁছনো গেল দীর্ঘ যাত্রাশেষে। আপাতত নদীতীর ফাঁকা। তবে বৃষ্টি হচ্ছে। নিঃশব্দে আরও একটু উপরে এসে জড়ো হয়েছে ৬০ জনের দল। বোটগুলি জলের অনেকটা ভিতরে রেখে নদীজলে নেমে তটভূমিতে আসা হয়েছে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা। দু’জন যোদ্ধাকে মাঝি সাজানো হয়েছে। তারা  যুদ্ধজাহাজের অবস্থান আর গতিপ্রকৃতি দেখে আসবে। তারপর সেই গান বাজলে হবে চূড়ান্ত অপারেশন। 
যদি তাদের দেখে পাকিস্তানি নৌসেনার সন্দেহ হয় আর গুলিও ছোড়ে, তাহলে কিন্তু তাদের পাল্টা প্রত্যাঘাত করা চলবে না। জলে ঝাঁপ দিতে হবে। থাকতে হবে ডুবে। ডুবসাঁতারে ফিরে আসতে হবে। গুলি লাগতে পারে। হ্যাঁ। তবু পাল্টা আক্রমণ নয়। যাতে পাকবাহিনী বুঝতে না পারে যে, একটি গেরিলা অভিযানের সম্ভাবনা আছে। ১৩ আগস্ট। সন্ধ্যাতেই নিকষ কালো অন্ধকার। ক্যানিং থেকে বেরনোর পর সুন্দরবন পেরিয়ে আসতে হয়েছে। অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে।  চরাচর ভেজা । মাটি কর্দমাক্ত। আকাশ থমথমে। ভোর হয়েছে। এখন অপেক্ষা। যোদ্ধাদের ক্লান্ত শরীর অবসন্ন। চোখ আর জেগে থাকতে চাইছে না। কেটে গেল সারারাত। আচমকা তন্দ্রাচ্ছন্ন সেই শরীরগুলোয় চমক লাগল। ভোরের আলো। রেডিও চালানো হল তৎক্ষণাৎ। হঠাৎ চমক। গান বাজছে। ১৪ আগস্ট। স্নায়ুগুলো টানটান। অবশেষে সেই গান। ‘আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান..’ উত্তেজনায় কর্ণফুলী নদীর তীরে যেন লাফিয়ে উঠলেন যোদ্ধারা। মাঝি সেজে পাকিস্তানের জাহাজের কাছে যাওয়া দু‌ই যোদ্ধা নিরাপদে ফিরে এসেছে রাতেই। তারা বলেছে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। অপারেশন করা যাবে। তবে সার্চলাইট চলে সারারাত। দলনেতা ওয়াহিদ চৌধুরী বললেন, আমরা তিনজন করে ঝাঁপ দেব পানিতে। পেটে বাঁধা হল গামছা। তার মধ্যে প্লাস্টিকে মোড়া লিমপেট মাইন। প্রত্যেক জাহাজে অন্তত তিনটে করে মাইন লাগাতে হবে। কারণ, জলে ভিজে যদি একটি দু’টি না কাজ করে! তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়া চলবে না। আজ রাতে দ্বিতীয় গান বাজলে অপারেশন শুরু। টানটান স্নায়ু নিয়ে মানুষগুলি অপেক্ষা করছে। স্বাধীন দেশ গড়ার স্বপ্ন তাদের চোখে। দপ দপ করছে সেই চোখ উত্তেজনায়। কেটে গেল দিনটি। 
এখন সন্ধ্যা। দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানি জাহাজ। তবে একটাই সমস্যা। অবিরত সার্চলাইট। সারাদিন কেটে গেল। রাতের অপেক্ষা। উত্তেজনায় ক্ষুধা তৃষ্ণা যেন নেই। কিন্তু গান বাজছে না। কী হল? প্রথম গান আবার বাজল। অর্থাৎ এখনও গ্রিন সিগন্যাল নয়। অবশেষে পরদিন ভোরে এল মাহেন্দ্রক্ষণ। ‘আমার পুতুল লক্ষ্মী পুতুল’ বেজে উঠল। বন্দর থেকে দুই কিলোমিটার হেঁটে উজানে যাওয়া। নাহলে স্রোতে ভেসে যাবে সবাই। আজ সন্ধ্যার পর অভিযান। একটু পরই নদীতে নেমে কাছাকাছি পৌঁছতে হবে। তারপর পরস্পরের দিকে তাকিয়ে নদীতে নামল এই অসমসাহসীরা। কন্ট্রোল রুমে জেনারেল অরোরা আর অ্যাডমিরাল নন্দা ততোধিক টেনশনে। কাজটা পারবে তো এই কমান্ডোরা? সারাদিনের মতো মুড়ি, ছাতু, কলা খেয়ে নিয়ে তিনজন করে করে নদীতে নামার পর পরস্পরের হাত ধরে থাকল। যাতে কেউ ছিটকে না যায়। সন্ধ্যা নেমে এল। এবার অন্ধকার ঘন হচ্ছে। জলে নামা যাক। সামনেই চরলাক্ষ্যা নেভি বেস ক্যাম্প। ওখানেই পরপর দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের জাহাজ। 
কিন্তু এ কী ঠান্ডা জল! অসম্ভব এক শীতলতা গ্রাস করল প্রতিটি শরীরকে। আগস্ট মাসে এত ঠান্ডা জল! ঠকঠক করে কাঁপুনি শুরু হল। হাত ধরা ছিল এতক্ষণ। কিছুক্ষণ পর আর পরস্পরকে ধরে রাখা গেল না। হাত ছেড়ে গেল। তিনজন তিনদিকে। প্রতিটি টিমের। মোট ৩৯ জন নেমেছিল। এখন সবাই একা। অন্ধকারে কেউ যেন বুঝতেই পারছে না টিমের বাকিরা কোথায়! প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে এগতে থাকল। ঠান্ডা জলে টের পাওয়া গেল আবার ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নেমেছে। বুকডোবা জলে দাঁড়িয়ে সক঩লেই একবার আকাশে তাকাচ্ছে। ঈশ্বর-আল্লাহের দোয়া থাকবে তো? হঠাৎ তীব্র সার্চলা‌ইট এসে পড়ল কর্ণফুলীর জলে! 
২০ মিনিট কেটে গেল। প্রথম বিস্ফোরণ ঘটল বার্জে। অর্থাৎ একটি টিম অথবা অন্তত একজন পৌঁছে গিয়েছে। শুরু হয়েছে অপারেশন।  মুহূর্তের মধ্যে আরও একঝাঁক সার্চলাইট জ্বলে উঠল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুরু হল গুলি। পাকিস্তানি নেভি গুলি করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ঠিক এরকমই ট্রেনিং দিয়েছিলেন ভারতীয় নেভি অফিসাররা। কীভাবে গুলির মধ্যেই সাঁতরে যেতে হবে। কীভাবে সার্চলাইট এড়িয়ে জলে ডুবে থেকে টার্গেটের কাছে পৌঁছে মাইন লাগাতে হবে কেবলের বক্সে। সেভাবেই অগ্রসর হচ্ছে ৩৯ জনের দলটি। গুলি যাচ্ছে কানের পাশ থেকে। গুলি যাচ্ছে মাথার উপর দিয়ে। জল ছিটকে উঠছে গুলির অভিঘাতে। জলের আন্দোলনের কোনটা বৃষ্টির ফোঁটা আর কোনটা বুলেটের অভিঘাত, তা যেন বোঝা যায় না। সার্চলাইট, গুলি ছিলই। তার মধ্যেই আচমকা তিনটে বোট এগিয়ে আসছে নদীবক্ষ দিয়ে। কী করবে এই অবস্থায় এই যোদ্ধারা?
(চলবে)
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
24th  October, 2021
ছোট গল্প
তাজমহল
মীনাক্ষী সিংহ

অপেক্ষার ক্লান্ত আশাহত প্রহর পেরিয়ে সাত বছরের প্রতীক্ষা শেষে মালশ্রীর বিয়ে হল যোগ্য পাত্র সুতীর্থর সঙ্গে। কী আশ্চর্য সমাপতন। সুতীর্থও ডাক্তার। তবে মালশ্রী আগেই জেনে আশ্বস্ত হয়েছে যে দু’জনের কলেজ ছিল আলাদা। প্রিয়ক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উজ্জ্বল ছাত্র আর সুতীর্থ জলপাইগুড়ি কলেজের। বিশদ

05th  December, 2021
পর্ব ১০: অপারেশন’৭১
নিপাট রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এনিমি এয়ারক্র্যাফট অ্যাটাকড...পজিশন এফএফ টোয়েন্টি...নম্বর ওয়ান বয়লার হিট...ওভার...। পাকিস্তানের নেভি কন্ট্রোল এই মেসেজ পিএনএস খাইবার থেকে পেয়েই সেটা পাঠিয়েছে পিএনএস মুহাফিজকে। আর একটি যুদ্ধজাহাজ। যাতে তৎক্ষণাৎ রেসকিউ করতে যায় মুহাফিজ! 
বিশদ

05th  December, 2021
অপারেশন’ ৭১: পর্ব ৯
খাইবার খতম
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৬৫ সাল। সেপ্টেম্বর মাস। তখন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল বি এস সোমান। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু। অ্যাডমিরাল বি এস সোমান ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তিনতলায় একটি ঘরে বসে আছেন। তাঁর সামনে একটি নোট রাখা। সরকারি লেটারহেড। সামরিক বিভাগের। সেখানে লেখা আছে, আন্দামান নিকোবর রক্ষা করাই আপাতত ইন্ডিয়ান নেভির প্রধান কর্তব্য। বিশদ

28th  November, 2021
ছোট গল্প
রসাল কথা
এষা দে

কী করেছে শ্রী? দল বেঁধে রথের মেলায় গিয়েছিল। যাক্‌।  ঩সেখানে বড়দের সব বারণ, সাবধানবাণী অগ্রাহ্য করে আকণ্ঠ নিষিদ্ধ স্ন্যাক্স গরম গরম সামনে তৈরি জিলিপি, পাঁপড় ভাজা, বেগুনি, পেঁয়াজি খাওয়া হয়েছে। কী সর্বনাশ! তার ওপর সন্ধ্যায় ফেরার সময় একটি আম গাছের চারা কিনে নিয়ে এসে লুকিয়ে রেখে পরদিন সাতসকালে চুপচাপ মালি বিশুর কোদাল খুরপি ইত্যাদি হাতসাফাই করে হাউজিংয়ের খোলা সবুজের প্রায় মাঝখানে মাটি খুঁড়ে সেটি পুঁতে ফেলেছে। বিশদ

21st  November, 2021
পর্ব ৮: অপারেশন ’৭১
কিলার টোয়েন্টি ফাইভ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

কলকাতায় বসে ইন্দিরা গান্ধী প্রথমেই খবর নিলেন ঠিক কতটা অ্যাটাক করছে পাকিস্তান। তাঁকে বলা হল, ম্যাডাম, ওয়েস্টার্ন সেক্টরে পাগলের মতো এয়ার স্ট্রা‌ইক করছে। একটু আগে পৌনে ৬টায় হয় প্রথম অ্যাটাক। ইন্দিরা গান্ধী বললেন, ডিটেলস এসেছে? কোথায় কোথায় বম্বিং হয়েছে? বিশদ

21st  November, 2021
অপারেশন ৭১
ডেপথ চার্জ

বিপ...বিপ...বিপ। মেসেজ এসেছে। পাকিস্তানের সাবমেরিন পিএনএস গাজিকে করাচি ন্যাভাল কন্ট্রোল থেকে মেসেজ করছে। তোমরা কোথায়? কোনও কন্ট্যাক্ট নেই কেন? ক্যাপ্টেন জাফর মহম্মদ খান বললেন, আমরা এখন কী করব বলে দিন? বিক্রান্তের খোঁজ পেয়েছেন? বিশদ

14th  November, 2021
ডাইনি

জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে আছে জামুনি। জামুনি টুডু। নিজেদের জমিতে চাষ, দুই ছেলেমেয়ে কাঁদন আর চূড়ামণিকে নিয়ে বেশ সংসার। দোষের মধ্যে গাঁয়ের সোমবারি টুডুর শরীর খারাপের খবর শুনে দেখতে গিয়েছিল। বিশদ

14th  November, 2021
কোথায় বিক্রান্ত?
সমৃদ্ধ দত্ত

শুনুন সবাই, আমাদের এবারের মিশন আইএনএস বিক্রান্ত! সেই বিখ্যাত ইন্ডিয়ান যুদ্ধজাহাজ। বললেন, পাকিস্তানের ন্যাভাল ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড অপারেশন প্ল্যানস ক্যাপ্টেন ভুমবাল। 
বিশদ

07th  November, 2021
আসা যাওয়ার পথে
তন্বী হালদার

বেশ কিছুদিন ধরে ঘুমোলেই রাই একটা স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে এমন মনে হচ্ছে যে, জেগে জেগেও বোধহয় সে এবার স্বপ্নটা দেখবে। সেদিন অফিস থেকে ট্রেনে ফেরবার সময় জানলার ধারে সিট পেয়েছিল।
বিশদ

07th  November, 2021
মেঘ বৃষ্টির গল্প
উদয়ারুণ রায়

‘চা-টা তো ঠান্ডা হয়ে যাবে এবার।’ বাবার ইজিচেয়ারের পাশে রাখা টেবিলটার ওপরে নিজের চায়ের কাপটা রেখে ওপাশের চেয়ারটায় বসল বৃষ্টি। বারান্দায় বাবা ইজিচেয়ারে বসে আছেন দূরের দিকে চেয়ে। মিনিট দুই আগে টিকলি, ওদের কাজের মেয়েটা অরুণ মিত্রকে চা দিয়ে গিয়েছে। বিশদ

31st  October, 2021
অপারেশন ৭১: পর্ব ৫
করাচি  প্ল্যান
সমৃদ্ধ দত্ত

পাকিস্তানের বোট যে তাদের লক্ষ্য করেই অগ্রসর হচ্ছে সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। একমাত্র ডুবসাঁতারই ভরসা। কিন্তু কোন দিকে যাওয়া যায়? এতগুলো মানুষ কর্ণফুলী নদীবক্ষে ছড়িয়ে আছে। সকলের পেটে গামছা দিয়ে বাঁধা আছে লিমপেট মাইন। বিশদ

31st  October, 2021
কোজাগরীর লক্ষ্মীসরা
শান্তনু বসু 

জাগো- জেগে থাক। নিদ্রা যেন চেতনাকে আচ্ছন্ন না করে। শুদ্ধ চিত্তে, শুদ্ধ চরিত্রে প্রতীক্ষা করো। তিনি আসবেন। তাঁর পাদস্পর্শে ধন্য হবে ধরণী। বৈকুণ্ঠ থেকে তিনি নেমে আসবেন গৃহস্থের অঙ্গনে। আসবেন বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে। অতএব নিবিষ্ট মনে স্মরণ কর তাঁকে। আলপনা দাও। নিষ্ঠা ভরে ধানের ছড়া এঁকে রাখ ভূমিতে, এঁকে রাখ তাঁর চরণচিহ্ন। বিশদ

17th  October, 2021
অপারেশন ৭১ : পর্ব ৩
প্ল্যান জ্যাকপট
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যরাতে ফোন করেছেন কে সংকর্ষণ নায়ার। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ডেপুটি ডিরেক্টর।  তিনি এই সংস্থায় পাকিস্তান ডেস্ক মনিটর করেন। প্রাইম মিনিস্টারকে এত রাতে ফোন করার অর্থ বড়সড় কিছু ঘটেছে। বিশদ

17th  October, 2021
পর্ব ২: অপারেশন ৭১
২৫ মার্চ, ১৯৭১
অপারেশন সার্চলাইট
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হবে? সেরকম হলে আমার ডেডবডির উপর দিয়ে হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এরকমই বললেন, তাঁর আর্মি কমান্ডারদের। শেখ মুজিবের দল পাকিস্তানের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তো কী হয়েছে? তার মানে কি বাঙালির হাতে পাকিস্তানকে ছেড়ে দিতে হবে? বিশদ

10th  October, 2021
একনজরে
কোচবিহার জেলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং দলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের সঙ্গে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার বিরোধ চরম আকার নিয়েছে। ...

ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...

রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স  ২-১ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। এবার প্রতিযোগিতায় প্রথম জয় পেল কেরলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ...

ফুটফুটে এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ফের উত্তাল হল ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশ। ঘটনাটি হাপুর শহরের। মাত্র ছ’বছরের এক শিশুকন্যার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর পর তাকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM