উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কৃষিক্ষেত্র আগামীতে আরও কিছু বৃষ্টি চায়। সেটা যদি পাওয়া যায় তবে এবার বাম্পার খরিফ শস্য ঘরে তোলা শুধু সময়ের অপেক্ষা। মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের আশা, গ্রামীণ ভারত সচ্ছল হয়ে ওঠার আশীর্বাদ চুঁইয়ে পড়তে চলেছে অন্যান্য আর্থিক ক্ষেত্রগুলিতেও। ট্রাক্টর এবং কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার্য আরও অনেক যন্ত্রপাতির চাহিদা বাড়ছে। বিদ্যুতেরও চাহিদা বাড়ছে কৃষিতে। কৃষিজ পণ্য পরিবহণের একাধিক মডেলের গাড়ি এবং টু-হুইলারের চাহিদা বৃদ্ধিরও বিরাট প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। ফলে, এই সমস্ত যন্ত্র ও পণ্য তৈরির কারখানাগুলি ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভোগ্যপণ্যের তালিকায় এবার নতুন সংযোজন হয়েছে মাস্ক, গ্লাভস, ফেস শিল্ড, হ্যান্ডওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রভৃতি। এই ধরনের পণ্য তৈরির জন্য দেশজুড়ে নতুন শিল্প বিকশিত হচ্ছে। স্বভাবতই জিএসটি বাবদ সরকারের রাজস্ব সংগ্রহও দ্রুত বাড়তে চলেছে। প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে রেলে পণ্য পরিবহণে। হাতে বাড়তি পয়সা এলে মানুষ বাড়ি, ফ্ল্যাট প্রভৃতি কিনতে ফের আগ্রহী হবেনই। আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে গৃহনির্মাণ শিল্প। তার লক্ষণ ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ম্যাক্রো ইকনমিক রিপোর্ট।
সরকারি রিপোর্টের দাবি, এটা আনলক পর্বের অবদান। তাই টানা লকডাউনের বিকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। অর্থনীতির চাকায় পূর্ণগতি আনার জন্য স্বাভাবিক জনজীবনে ফিরে যাওয়াটাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। কিন্তু পুরনো স্বাভাবিকতা চাইলেই পাওয়া যাবে না। অন্তত এখনই নয়। আনলকের এক্সপেরিমেন্ট সেই কারণেই। কিন্তু, দেশের নানা স্থানে হঠাৎ কিছু বিপত্তি আনলকের সিদ্ধান্তকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। একটাই সুখবর, ভারতীয়দের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠার হার অনেক দেশের তুলনায় বেশি। তবুও পশ্চিমবঙ্গসহ কিছু রাজ্য আংশিক লকডাউনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু জীবনের সঙ্গে জীবিকার এই ভয়ানক সংঘাতে জিততে লকডাউনের উচিত বিকল্পের সন্ধানই আমাদের এই মুহূর্তের ভাবনা। পথ নিশ্চয় পাওয়া যাবে, যা দেশকে স্বাভাবিক জনজীবনে এবং গতিশীল অর্থনীতিতে ফেরাতে সাহায্য করবে। মনে রাখতে হবে, এই কঠিন কাজটা সরকার একা পারবে না। দেশের প্রতিটি মানুষকেও সমান সহযোগিতা করতে হবে। এই সময়ের আদর্শ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় সহযোগিতা।