উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৩৬ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। সেই সঙ্গে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮২৫। মোট সুস্থ হয়েছেন ১২৯৭ জন। মারা গিয়েছেন ১৫ জন। বুধবার পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে মোট ১৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তমলুকের পাঁচজন, কাঁথির একজন, নন্দকুমারের তিনজন, কোলাঘাটের চারজন, পাঁশকুড়ার তিনজন এবং হলদিয়ার দু’জন আছেন। এদিন মাত্র দু’জন রোগীকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বড়মায় এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন মোট রোগীর সংখ্যা ৫৫। উপসর্গহীন রোগীদের বাড়িতে রাখার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রায় দেড়শো আক্রান্ত হোম আইসোলেশনে আছেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে স্বাস্থ্যদপ্তর। নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর পর গোটা নন্দীগ্রাম বাজার এলাকা আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্লক প্রশাসন। গত সোমবার ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়। প্রথমবার টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও মৃত্যুর পর দ্বিতীয় রিপোর্ট পজিটিভ ছিল। তারপরই নন্দীগ্রামজুড়ে আতঙ্ক বেড়েছে কয়েকগুণ। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের নোনাকুড়ি পান মার্কেটে তিনজন পান ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পর বুধবার বিডিও সুমন মণ্ডল এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৬ থেকে ১২আগস্ট পর্যন্ত ওই বাজার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে তমলুক ব্লক, কোলাঘাট, হলদিয়া, এগরা-১, ভগবানপুর-১, পটাশপুর-২, ভগবানপুর-১ ব্লক, এগরা-২ ব্লক, কাঁথি ও তমলুক পুরসভা সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। এগরা-১ ব্লকে বড়নিহারি গ্রামে একই পরিবারের দুই কিশোর, তমলুক শহরে শালগেছিয়া এবং কাঁথি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তমলুক ব্লকে ১৪জন আক্রান্ত হয়েছেন। তমলুক পুরসভা এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন।