উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এলাকার লোকজনের বক্তব্য, শহরে সব জায়গায় পানীয় জলের মান সমান নয়। অনেক সময় আবার পাইপ ফেটে গিয়ে বা পুরনো হয়ে যাওয়া পাইপের কারণে পরিস্রুত পানীয় জল পাওয়া যায় না। সমস্যা এড়াতে তাই অনেকেই ভরসা করেন বিভিন্ন সংস্থার জারবন্দি পানীয় জলের উপর। ঘরে ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের দাবি তে শুধুমাত্র শহরের বাসিন্দারাই নন, বিরোধীরাও অনেক সময় এ নিয়ে সরব হয়েছেন। পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলার বিমল পালচৌধুরী বলেন, যেকোনও কারণে হোক এলাকার বহু বাসিন্দা জল কিনে খান। পুরসভা যে জল সরবরাহ করে তারউপর তাঁরা ভরসা করতে পারেন না। আমাদের দাবি, প্রশাসনকে সুষ্ঠুভাবে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই প্রকল্পে মাটির নীচের জল ব্যবহার করা হবে না। নদীর জল পরিস্রুত হবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে। সেই জল বাসিন্দাদের বাড়িতে সরবরাহ করা হবে। প্রথমে তিস্তা ব্রিজের নীচে ইনফিল্ট্রেশন সেন্টার থেকে জল যাবে বালাপাড়া ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে। সেখান থেকে পানীয় জল যাবে রিজার্ভারগুলিতে। তার পর ওই জল বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পটি প্রসঙ্গে পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, এই প্রকল্পের অধীনে ২১৫ কিমি পাইপলাইন বসানো হবে। তারমধ্যে ১৯০ কিমি পাইপলাইন বসানোর কাজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। পাইপ বসানোর জন্য যেসব রাস্তাঘাট খারাপ হয়েছে, তার মেরামত শুরু হয়েছে। বর্ষা এবং লকডাউনের জন্য রাস্তা মেরামতির কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। আগামী দিনে এই কাজে আরও গতি বাড়ানো হবে। সার্বিক পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে, তাহলে আগামী বছরেই এই প্রকল্প শেষ করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।