Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সবুজ হচ্ছে জঙ্গলমহলের প্রকৃতি ও মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

জঙ্গলমহল হাসছে। এই কথাটা একসময় বহু ব্যবহৃত শব্দবন্ধের মতো হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেটা নিয়ে বিরোধীদের বিদ্রুপ করা শুরু হল। কিন্তু এটা ঠিক, ২০১১ সালের আগে যে জঙ্গলমহলের চোখে জল ছিল, তা আর ফিরে আসেনি। মাওবাদীদের অত্যাচারে মানুষ মুখ খুলতে পারত না। বিগত বাম সরকারও সেভাবে জঙ্গলমহলে সুশাসন কায়েম করতে পারেনি। জঙ্গলমহলের মানুষের মনে সহানুভূতি আদায় করার লক্ষ্যে কোনও উন্নয়ন করতে পারেনি। তাই জঙ্গলমহল মাওবাদীদের অবাধ রাজত্বে পরিণত হয়েছিল। মাওবাদীদের প্রসঙ্গে নকশাল নেতা সন্তোষ রানা একসময় বলেছিলেন, ‘জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা শুধুই প্রভাব বিস্তার করলেন, কিন্তু সেখানকার মানুষদের নিয়ে মাথা ঘামালেন না।’ তাই যতটা না ভক্তিতে, তার থেকে বেশি ভয়ে মাওবাদী একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে ভয়ে কাঁটা হয়ে ছিল জঙ্গলমহলের মানুষ।
এই অনুন্নয়নের জায়গাটাকে ধরতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝেছিলেন, জঙ্গলমহলের উন্নয়ন করতে না পারলে মাওবাদীদের নাগপাশ থেকে তাকে বের করা যাবে না। তাই তিনি ক্ষমতায় এসেই জঙ্গলমহলের মুখে হাসি ফোটাতে সচেষ্ট হলেন। সেখানে আনলেন উন্নয়নের জোয়ার। আমরা হতদরিদ্র আমলাশোল, বেলপাহাড়ি দেখেছি। দেখেছি অভুক্ত দুখীরাম টুডু আর গুণধর বাস্কেদের। তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সেখানে নতুন ভাষ্যে উন্নয়নের প্রকাশ দেখতে পেলাম। ঝাঁ চকচকে রাস্তা, স্কুল, শিক্ষা, খাদ্য, বাসস্থান, চাকরির সুযোগ—সবকিছু দিয়ে এতদিনের বঞ্চিত আদিবাসী সমাজকে নতুন জীবনের স্বাদ এনে দিলেন মমতা।
সিপিএমের একচ্ছত্র আধিপত্যের মূল উপড়ে ফেললেন তিনি। সেই শূন্যস্থানে ধীরে ধীরে বিরোধী দল হিসেবে প্রবেশ করল বিজেপি। তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো ফল করে বিজেপি সেখানে পদ্ম ফোটাল। সেই ধারাবাহিকতা দেখা গেল লোকসভার নির্বাচনেও। আসলে সেদিন তৃণমূল নেতাদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছিল জঙ্গলমহলের অধিকাংশ মানুষ। তাই তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর এক বছর কেটে গিয়েছে। ক্রমেই বিজেপির প্রতি বীতরাগ জন্মাচ্ছে সেখানকার ভূমিপুত্রদের। তাঁরা দেখেছেন, কীভাবে ধীরে ধীরে আরএসএসের নির্দেশে আদিবাসী সমাজকে হিন্দুত্বের গণ্ডিতে টেনে আনার চেষ্টা চলছে। আরএসএসের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক মন্দির তৈরি হচ্ছে। এতে মানসিকভাবে আঘাত লাগছে কুর্মি, মাহাত, সাঁওতাল-সহ আদিবাসীদের ধর্মীয় আবেগে। আদিবাসীরা মনে করছেন, আরএসএস এখন তাঁদের ধর্ম ও সংস্কৃতির উপর আগ্রাসী প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে।
এর মধ্যেই ছিল এনআরসি’র আতঙ্ক। ভারতের অন্যান্য এলাকার মতো আদিবাসী সমাজেও আতঙ্কের ঢেউ তুলল কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। এইসব দরিদ্র, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, আজীবন বঞ্চিত মানুষ তাঁদের ‘ডকুমেন্ট’ পাবেন কোথা থেকে? তাহলে কি তাঁদের আশ্রয় নিতে হবে কোনও এক ডিটেনশন ক্যাম্পে? ভিতরে ভিতরে ফুঁসছিলেন তাঁরা। আবার হয়তো একটা বীরসা মুন্ডা বা সিধুকানহোর ইতিহাস তৈরি হতো। লেখা হতো নতুন উলগুলানের গল্প।
আদিবাসী সমাজের এই মনোভাব বুঝেছে বিজেপি। বুঝেছে আদিবাসী সমাজের ক্রমে দূরে সরে যাওয়ার কারণও। তাই কিছুটা নরম হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। তারা বলেছিল, রামমন্দিরের ভূমিপূজনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় মাটি ও জল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অযোধ্যায়। সাঁওতালদের পবিত্র ক্ষেত্র সারনা ও জাহের থানের মাটিও নিয়ে যাওয়া হবে রামজন্মভূমিতে। কিন্তু রামচন্দ্রের মন্দির নির্মাণের জন্য তাঁদের ধর্মস্থানের মাটি দিতে অস্বীকার করল সাঁওতাল সমাজ। সারা ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সুপ্রিমো রামচন্দ্র মুর্মু বললেন, আদিবাসী সমাজকে হিন্দু ধর্মে শামিল করার এটা একটা চক্রান্ত। আসলে মোহন ভাগবতরা দীর্ঘদিন ধরে চাইছেন হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য সাঁওতালদের হিন্দুত্বের তালিকায় নথিভুক্ত করতে। এতে দেশে হিন্দুত্বের সংখ্যা অনেক বেশি দেখানো যাবে। আরএসএসের এই ফাঁদে পা দিতে রাজি নয় আদিবাসী সমাজ। তাঁদের মতে, এই ফাঁদে পা দিলে সাঁওতাল আদিবাসীদের জাতি, ধর্ম, সমাজ সংস্কৃতি সব শেষ হয়ে যাবে। ক্রমে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই দূরত্ব যত বাড়বে, জঙ্গলমহল থেকে বিজেপি ততই তার মাটি হারাবে। তা অনেকটা প্রকট হয়ে উঠছে। ধীরে ধীরে সবুজ হয়ে উঠছে জঙ্গলমহলের প্রকৃতি, মাটি ও মানুষ। ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সমাজ বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা বিজেপিকে চায় না। সেখানে বিজেপি ক্ষমতা-বিচ্যুত। পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী সমাজের মানুষও তৈরি হয়েই আছে। শুধু ভোটের অপেক্ষা।
সেইসঙ্গে আছে জঙ্গলমহলে বিজেপির আপন ঘরের কোন্দল। যতদিন যাচ্ছে, একটু একটু করে ভাঙছে জঙ্গলমহলে বিজেপির সংগঠন। জঙ্গলমহলকে দখলে রাখতে বিজেপি সেখানে অনেক টাকা ঢেলেছে। সেই টাকা-পয়সার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু। দল, উপদল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের এইসব চেনা গল্প জড়াচ্ছে বিজেপিকে ঘিরেও। দলে জন্ম নিচ্ছেন বিক্ষুব্ধরা। তাঁদের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। তারই ফলে জঙ্গলমহলে দল ভেঙে আবার সব ফিরে যাচ্ছেন তৃণমূলে। বিজেপির ভাষাতেই যাকে বলা যায় ঘরওয়াপসি। তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ একদিন জঙ্গলমহলের মানুষকে বিজেপির দিকে ঠেলে দিয়েছিল, আজ বিজেপির দিকে তাকিয়ে তাঁদের মনে সেই একই ক্ষোভই জন্মাচ্ছে। ফলে আবার সবুজের আভা ফিরছে জঙ্গলমহলে। দল বেঁধে অনেকেই ফিরছেন তৃণমূলে। ঘাসফুল আবার সেখানে আশায় বুক বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নতুন করে সংগঠন সাজাচ্ছে।
এসব দেখে বিজেপি অনেকটাই আননার্ভড। তারা দিনে দিনে উপলব্ধি করছে যে, সেখান থেকে তাদের পায়ের তলার মাটি আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে। তারাও তাই পাল্টা প্রচারে নেমেছে। গেরুয়া শিবির এখন জোরকদমে প্রচার চালিয়ে বলছে, ‘ওই দেখ, ছত্রধর মাহাতকে জঙ্গলমহলে গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। ছত্রধরের ইতিহাস সবাই জানেন। উনি আসলে এখানে ফের মাওবাদী সংগঠন গড়ে তুলতে চান এবং সেটা তৃণমূলের পৃষ্ঠপোষকতায়।’ জঙ্গলমহলে এখন মাওবাদীদের ম-ও নেই। তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের ঢেউয়ে জঙ্গলমহল নতুন আর একটা সকালের স্বপ্ন দেখছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেডিয়াম, যোগাযোগ ব্যবস্থা, হাতে হাতে কাজ, আবাসন প্রকল্প, পুষ্টিবাগান প্রকল্প ইত্যাদি ঘিরে দারুণ উৎসাহ। এর মধ্যে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। সাঁওতালি ভাষাতেই এবার নেওয়া যাবে ডিএলএড। এবছর প্রথম সাঁওতালি ভাষায় পরীক্ষা দিয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে। তাদের জন্য সাঁওতালি মাধ্যমে কলেজ খোলা হচ্ছে। রাজনীতির বাইরে এ এক অন্য আলো। যে আলো অনুন্নয়নকে ঘাড় ধরে বের করে মানুষের মধ্যে আলোর স্পর্শ এনে তাকে নতুন বোধে জাগিয়ে তোলে।
জঙ্গলমহলের মানুষ আগে সিপিএমকে বলত, চোর আর তৃণমূলকে বলত, ডাকাত। এখন বিজেপিকে বলছে, মাফিয়া। যে তোলাবাজির কারণে একসময় জঙ্গলমহল এলাকায় তূণমূলকে হার স্বীকার করতে হয়েছিল, যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে লোকসভা ভোটে বিজেপি ভালো ফল করেছিল, আজ সেই কারণে আদিবাসী সমাজ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে গেরুয়া শিবির থেকে।
একদিকে মমতার উন্নয়নের ইতিবাচক দিক, অন্যদিকে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের নেতিবাচক দিক—এই দুইয়ের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলজুড়ে এখন ঘরে ঘরে ভাত ফোটার গন্ধ। জঙ্গলমহলজুড়ে এখন নতুন প্রজন্মের চোখে শিক্ষার স্বপ্ন, বড় হওয়ার স্বপ্ন। জঙ্গলমহলজুড়ে এখন মানুষের বেঁচে থাকার বিশ্বাসের স্বপ্ন। এই স্বপ্নের শক্তিকে নষ্ট করার মতো আর কোনও শক্তি আছে কি? অঞ্জনা সোরেন, ত্রিলোচন মাহাতরা এখন আর পিছু ফিরতে চাইছেন না। আবার সবুজ হয়ে ওঠা জঙ্গলমহলই ওদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়।
ক্ষমতায় আসার পর যে উন্নয়নটুকু হয়েছিল, সেটা তৎকালীন তৃণমূলের নেতারা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেননি। এর আগের বার উন্নয়নের সেই বাস্তবতাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়নি। এবার আর তৃণমূল সেই ভুল করতে রাজি নয়। উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রচারে নেমে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, ভুল থেকে তারা শিক্ষা নিয়েছে। প্রতিটি ব্লক ধরে তৈরি হচ্ছে উন্নয়নের তথ্যচিত্র। সেসব দেখে মানুষ মিলিয়ে নিতে পারবে, তাদের জন্য কী হয়েছে, এবং তথ্যচিত্রে কী দেখানো হচ্ছে। পরিস্থিতি আবার নতুন করে জঙ্গলমহলের মানুষকে ভাবাচ্ছে। তাদের মনের দিকবদল হচ্ছে।
তবে একটা ব্যাপার পরিষ্কার। আগের বার দলীয় নেতৃত্বের খেয়োখেয়ি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিন্তু দলের পক্ষে অভিশাপ ডেকে এনেছিল। সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিন্তু একেবারে নির্মূল হয়ে যায়নি। জঙ্গলমহলে তৃণমূল অনেকটা এগিয়ে থাকলেও তাকে পিছু টেনে ধরছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই। জঙ্গলমহলে উন্নয়নের সোনালি প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের অগ্রগতির মধ্যে এটাই কেবল একটা কাঁটার খোঁচা রয়ে গিয়েছে।
05th  August, 2020
ক্রীড়া ও বিনোদন অর্থনীতি:
কী ভাবছে সরকার?
হারাধন চৌধুরী

 ১০০ বছর ধরে মাঠ কাঁপাচ্ছে যে দল, সেই লাল-হলুদ ঝড়ের নাম ইস্টবেঙ্গল। এই স্লোগানের সঙ্গে বাঙালি বহু পরিচিত। গত ১ আগস্ট, ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ পূর্ণ হল। যে-কোনও ক্ষেত্রে সেঞ্চুরির গরিমা কতটা সবাই জানেন। ক্রীড়ামোদী বাঙালি মূলত দুই শিবিরে বিভক্ত—ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান।
বিশদ

 সমাজ ব্যর্থ হলে অসহায় মানুষের
পাশে দাঁড়াবার রাজনীতিই কাম্য
শুভময় মৈত্র

কোভিডাক্রান্ত ফুসফুসে সাহস জোগাতে সরকারের সহযোগিতায় দলমত নির্বিশেষে আরও কিছুটা উদ্যোগ জরুরি। দ্রুততার সঙ্গে সে কাজ না-হলে আম জনতা বিপদে পড়বে। সমাজ অকৃতকার্য হলে অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে না-পেরে অসুস্থের মৃত্যু রুখতে হবে নিঃসহায়ের রাজনীতিকেই।
বিশদ

05th  August, 2020
নয়া নীতিতে শিক্ষা
আমাদের ‘বাহন’ হবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নরেন্দ্র মোদি সরকার নয়া শিক্ষানীতি ঘোষণা করার পর দিকে দিকে কেমন একটা হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। বিষয়ে নতুনত্ব আছে। আর তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সরকারি স্কুলে প্লে-গ্রুপ ও কিন্ডারগার্টেন, ১০+২ এর ধারণা পিছনে ফেলে ফুটবলের মতো ৫+৩+৩+৪ ছকে স্কুলশিক্ষাকে সাজানো এবং সায়েন্স, আর্টস, কমার্স উঠে যাওয়া... নড়েচড়ে বসার মতো পরিস্থিতি বটে।
বিশদ

04th  August, 2020
রাজ্য-রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র
সোমেন মিত্রের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত 
প্রবীর ঘোষাল

২০০০ সালের মার্চ মাস। রাজ্য কংগ্রেস রাজনীতিতে ঘোর সঙ্কট। দু’বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করে ঝড় তুলে দিয়েছেন। দু’-দু’টি লোকসভা নির্বাচনে জোড়াফুলের সাফল্য গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই সময় এল পশ্চিমঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচন।  
বিশদ

03rd  August, 2020
করুণ কাহিনীতে কোনও ‘সমাপ্ত’ হয় না 
পি চিদম্বরম

গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। তারপর থেকে লিখিত আদেশ ছাড়াই জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক ব্যক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে। এরকমই একজন গৃহবন্দি রাজনৈতিক নেতা বলেন যে, ‘জম্মু ও কাশ্মীর একটা বিরাট বন্দিশালা’। 
বিশদ

03rd  August, 2020
৫ আগস্ট ও নরেন্দ্র
মোদির ভোট অঙ্ক
হিমাংশু সিংহ 

২৯ বছর আগে ছবিটা তুলেছিলেন মহেন্দ্র ত্রিপাঠি। করোনা আবহে সেই ছবিই গোটা দেশে আজ হঠাৎ ভাইরাল। মহেন্দ্র পেশায় শখের ফটোগ্রাফার। ছোট্ট একটা স্টুডিও আছে অযোধ্যার প্রস্তাবিত রামমন্দির চত্বরের কাছেই।   বিশদ

02nd  August, 2020
ভাবনা বদলালেই সহজ
হবে করোনা মোকাবিলা
তন্ময় মল্লিক 

‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে। আমি চোখ মেললুম আকাশে, জ্বলে উঠল আলো পুবে-পশ্চিমে।’—রবীন্দ্রনাথ। ‘শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব, বিপ্লব আনে মুক্তি।’—লেনিন।   বিশদ

01st  August, 2020
বন্ধু চীনই এখন
আমেরিকার বড় শত্রু
মৃণালকান্তি দাস 

পঞ্চাশ বছরের ‘সম্পর্ক’ মাত্র চার বছরে উল্টে গিয়েছে! এই সেদিনও চীন-আমেরিকা নিজেদের বলত ‘কৌশলগত বন্ধু’। ১৯৭১ সালে বেজিং সফরে গিয়ে ধুরন্ধর মার্কিন বিদেশসচিব হেনরি কিসিঞ্জার সেই ‘বন্ধুত্বে’র চারা লাগিয়ে এসেছিলেন।   বিশদ

31st  July, 2020
মমতাকে স্বস্তি দিচ্ছে
বিজেপির এই রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী 

যদি ক্যুইজে প্রশ্ন করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে? প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের নাম ক’জনের মাথায় আসবে সংশয় রয়েছে। বেশিরভাগ উত্তরদাতার ঠোঁটের ডগায় তৈরি থাকবে বিধানচন্দ্র রায়ের নামটা।   বিশদ

30th  July, 2020
মোদিজি, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন
সন্দীপন বিশ্বাস 

কতটা লড়াইয়ের পর করোনার মতো এমন ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে নিঃশেষ করা যাবে, আমরা জানি না। কতদিনে আমরা এর ওষুধ বের করতে পারব, তাও জানি না! কোভিড ওষুধ নিয়ে আমাদের দেশের ও বিশ্বের বিজ্ঞানীদের গবেষণা এখন ঠিক কোন পর্যায়ে, সেটাও আমরা জানি না।   বিশদ

29th  July, 2020
পাঁপড়ভাজা খেলে ভ্যাকসিন
বানানোর দরকারটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফিদেল কাস্ত্রোর ইন্টারভিউ নিতে গিয়েছেন এক সাংবাদিক। শুরুতেই কাস্ত্রো পাল্টা একটা প্রশ্ন ছুঁড়লেন... ‘দ্য ফোর্থ ভার্টিব্রা পড়েছেন? ফিনিশ লেখক না?... দারুণ লেখা কিন্তু।’ মার্কিনিদের জীবনযাত্রা ছিল ‘দ্য ফোর্থ ভার্টিব্রা’র বিষয়বস্তু।   বিশদ

28th  July, 2020
চীন ‘মাকড়শা’ হলে ভারত তার ‘শিকার’
পি চিদম্বরম

 দ্য স্পাইডার্স ওয়েব। মানে মাকড়শার জাল। এই সম্পর্কে তথ্য জানতে যদি ইন্টারনেট সার্চ করেন, তবে আপনি জিনিসটাকে পাবেন—‘সিক্স সারপ্রাইজিং ফ্যাক্টস অ্যাবাউট স্পাইডারওয়েবস’ হিসেবে। মানে মাকড়শার জাল সম্পর্কে ছয়টি অবাক করা সত্য।
বিশদ

27th  July, 2020
একনজরে
অধিনায়ক হিসেবে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অদ্ভুত এক তত্ত্ব মেনে চলেন রোহিত শর্মা। ‘হিটম্যান’ জানিয়েছেন, নেতৃত্বভার কাঁধে থাকলে ড্রেসিং রুমে নিজেকেই সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলে ...

তুফানগঞ্জ পুরসভা তহবিলের অভাবে উন্নয়নমূলক কোনও কাজ করতে পারছে না। করোনা পরিস্থিতিতে মার্চ মাসের শেষসপ্তাহে লকডাউন শুরু হতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।  ...

ভিসা ও অন্যান্য নথির মেয়াদ ফুরনোয় সৌদি আরবে এখন জেলবন্দি রয়েছেন প্রায় ৪৫০ জন ভারতীয়। তার মধ্যে অনেকেই এই বাংলার আদি বাসিন্দা। ...

অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো অনুষ্ঠানের রং লাগল সুদূর আমেরিকাতেও। সেখানকার ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা রামমন্দিরের একটি ডিজিটাল ছবি নিয়ে ট্যাবলো সাজিয়ে রীতিমতো শহর পরিক্রমা করলেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

হিরোশিমা দিবস
১৮৬৫ - চার্লি চ্যাপলিনের মা তথা ইংরেজ অভিনেত্রী, গায়িকা ও নৃত্যশিল্পী হান্নাহ চ্যাপলিনের জন্ম
১৮৮১- পেনিসিলিনের আবিষ্কারক ফ্লেমিংয়ের জন্ম
১৯০৫- দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস প্রকাশ করলেন বন্দে মাতরম পত্রিকা
১৯০৬ - বিপিনচন্দ্র পালের সম্পাদনায় বন্দে মাতরম্ (সংবাদপত্র) প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯১৪ - কলকাতা থেকে দৈনিক বসুমতী প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯২৫ - বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৫-হিরোশিমায় পরমাণু বোমা ফেলল আমেরিকা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.১৪ টাকা ৭৫.৮৬ টাকা
পাউন্ড ৯৬.৪৬ টাকা ৯৯.৮৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৪ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৪,৬৭০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫১,৮৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  August, 2020

দিন পঞ্জিকা

২১ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০, তৃতীয়া ৪৭/৩৪ রাত্রি ১২/১৫। শতভিষানক্ষত্র ১৫/১১ দিবা ১১/১৮। সূর্যোদয় ৫/১৩/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ১২/৪৮ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১০/২৪ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ২/৫৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/৫ মধ্যে।
২১ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০, তৃতীয়া রাত্রি ১১/২। শতভিষানক্ষত্র দিবা ১১/২১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৬/১৪। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৭ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ১০/২৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৯ গতে ৬/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/৬ মধ্যে।
১৫ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। বৃষ: ব্যবসায় উন্নতির যোগ আছে। মিথুন: ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
হিরোশিমা দিবস১৮৬৫ - চার্লি চ্যাপলিনের মা তথা ইংরেজ অভিনেত্রী, ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২,৯৫৪
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২,৯৫৪ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

08:56:34 PM

  সুশান্ত মামলা: ৭ জনের নামে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই
সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলায় সিবিআই রিয়া চক্রবর্তী সহ ৭ জনের ...বিশদ

08:40:00 PM

তামিলনাড়ুতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৫,৬৮৪ 
তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৬৮৪ জন। ...বিশদ

07:27:06 PM

উত্তরপ্রদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪,৬৫৮ 
উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৬৫৮ জন। মৃত্যু ...বিশদ

07:04:04 PM