উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের খাসতালুকে এরকম শুনশান দশা চলায় অন্নাভাবে ভুগছেন বহু দোকানদার। প্রায় চার মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ আইটি অফিস এলাকার খাবারের স্টলগুলি। এখন কবে আবার অফিস খুলে এলাকা গমগম করে উঠবে, সেই আশাতেই রয়েছেন দোকান মালিকরা।
সেক্টর ফাইভের আইটি পাড়ার অধিকাংশ অফিসেই এখন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চলছে। ফলে অফিসে ন্যূনতম কর্মচারী কাজ করছেন। বাকিরা বাড়িতে বসে সারছেন দৈনিক কাজকর্ম। যাঁরা অফিসে আসছেন তাঁরাও সংক্রমণ এড়াতে রাস্তার স্টলের খাবার কিছুটা হলেও এড়িয়ে যাচ্ছেন। যে অফিসপাড়ায় দুপুর হলেই রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত ভিড়ে ঠাসা থাকত, তা আজ প্রায় খাঁ খাঁ করছে। বেশিরভাগ কর্পোরেট কর্মচারী সেখানেই সারতেন দুপুরের ভূরিভোজ।
তবে কোভিডের উৎপাতে লাঞ্চ-টাইমের আইটি পাড়া একেবারে অচেনা। সোমবার মধ্যাহ্নভোজের সময়ে কলেজ মোড়, ইলেক্ট্রনিক কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল প্রায় শুনশান। সারি দিয়ে সমস্ত খাবারের স্টলগুলি বন্ধ।
একটি ভাত-রুটির দোকানের মালিক সুদেব মিস্ত্রি জানান, দিনে গোটা দশেক কাস্টমারও আসছেন না। আগে দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত নিঃশ্বাস ফেলার জো থাকত না। তাছাড়া এখন অনেকেই বাইরের খাবার এড়িয়ে যেতে চাইছেন। তবে কাল হয়েছে এই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নীতি। যার জেরে বাজার একেবারে বসে গিয়েছে।
অল্প কিছু বিক্রি হলেও অধিকাংশ দিনই খাবার নষ্ট হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ক্রেতার আশায় দোকান খোলা গুটিকয়েক বিক্রেতা। কেউ কেউ আবার হালে বদলেছেন তাঁদের খাবারের মেনু। অনেকেই ভাত, রুটি, সব্জি, মাংস ইত্যাদি ছেড়ে চা-কফির দোকান খুলে বসেছেন।
তাঁদের মতে, অনেকেই এখন বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে আসছেন। অনেক ব্যবসায়ী আবার জানাচ্ছেন, কোভিড মোকাবিলায় দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিকে যথাযথভাবে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে। তা সত্ত্বেও পুরোদস্তুর অফিস চালু না হলে যে লক্ষ্মীলাভের আশা ক্ষীণ, মানছেন তাঁরাও।