উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রশ্ন ওঠে, সদ্যোজাতকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমোনো কি অপরাধ? মরিসনকে কি তাহলে ‘অপরাধী’ বলে দেগে দেওয়া যায়? নাকি এটা নিছকই দুর্ঘটনা? বিতর্ক চলতেই থাকে। পক্ষে-বিপক্ষে অজস্র যুক্তি তুলে ধরা হয়। অবশেষে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পর মেরিল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালত মরিসনকে মুক্তি দিয়েছে। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে— ‘ব্যাপক গাফিলতি’র উপযুক্ত প্রমাণ না মেলায় মরিসনকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে। এই রায়ের পরও বিতর্ক অব্যাহত। দাবি উঠছে, এই ন্যায়াদেশ মহিলাদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দেবে। বিশেষ করে, সরকারি তরফে যখন বারবার মা ও তাঁর সদ্যোজাতকে আলাদা শোয়ার আর্জি জানিয়ে প্রচার করা হচ্ছে, তখন এই রায় ধোঁয়াশা বাড়াবে। পরিসংখ্যান বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর গড়ে সাড়ে তিন হাজার শিশু ঘুমোনোর পর দুর্ঘটনার কারণে মারা যায়। কোনও কিছুর চাপে হঠাৎ দমবন্ধ হয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা আকছার কানে আসে। তাই সদ্য মা হওয়া মহিলাদের প্রতি সিডিসি-র পরামর্শ — সন্তানকে নিয়ে একই ঘরে ঘুমোন। কিন্তু কখনওই এক বিছানায় নয়। প্রয়োজনে সদ্যোজাতের জন্য আলাদা খাট কিংবা দোলনার ব্যবস্থা করুন। তাতে শিশুকে যেমন নজরে রাখা যাবে, তেমনই বিপদ দেখা দেবে না।
বাদী-বিবাদী সমস্ত পক্ষের যাবতীয় যুক্তি-পাল্টা যুক্তি খতিয়ে দেখে বিচারপতিরা একে অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা বলে দেগে দিয়েছেন। শেষপর্যন্ত মুক্তি মিলেছে। ‘কিন্তু মায়ের অনুতাপ কি এত সহজে মিটে যাবে? নিজের কোলের শিশু তো আর ফিরে আসবে না! নিজের অবিবেচনার কথা ভেবে সারাজীবনের জন্য হয়তো তিনি নিজেকে দুষে চলবেন। কোনওভাবেই ক্ষমা করতে পারবেন না’, রায় ঘোষণার পর এমনটাই জানিয়েছেন মরিসনের আইনজীবী হেলি লিচা।