উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গোটা দেশে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর প্রেক্ষিতে ১০টি রাজ্যের তালিকা তৈরি করেছে ক্লাইমেট রিসিলিয়েন্ট অবজারভিং সিস্টেমস প্রোমোশন কাউন্সিল। তাতে তিন নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কাউন্সিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর ১ এপ্রিল থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের জন্য চিহ্নিত। গত বছরের এই চার মাসে বাংলায় ৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬০৮টি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছিল। মারা গিয়েছিলেন ৫২ জন। তালিকার শীর্ষে থাকা ওড়িশায় ওই সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছিল ৯ লক্ষ ২৯৬টি, মৃত্যু শতাধিক। চলতি বছরে এই সময়ে বজ্রাঘাতে পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা ৪০। যার বেশিরভাগই বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলায়। মূলত খোলা মাঠে বা খেতে কাজ করার সময়ই এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খানের কথায়, ‘বজ্রপাত নিয়ে আগাম সতর্কবার্তা জারি করে প্রাণহানির সংখ্যা কমানোই আমাদের লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই লক্ষ্যেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় লাইটনিং সেন্সর ডিভাইস বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এক একটি ডিভাইস ২৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার এলাকার জন্য আগাম সতর্কবার্তা জারি করতে পারবে। কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে জারি হবে সেই বার্তা। যাতে মাঠেঘাটে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছতে পারেন। দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক হবে। কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদেরও সেখানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
বছর দেড়েক আগে এক মার্কিন সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লাইটনিং সেন্সর ডিভাইস বসানো হয়েছিল। তার কী হল? জাভেদ সাহেবের জানিয়েছেন, আটটি জায়গায় সেন্সর বসানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি থেকে আগাম সতর্কবার্তা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য খুব কম সময় পাওয়া যাচ্ছিল। তাতে বিপত্তি এড়ানো মুশকিল। তাই এবার আরও আধুনিক সেন্সর ডিভাইস বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রক্রিয়াই শুরু করা হচ্ছে।