উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিকে, বুধবার নবান্নের তিনজন পুলিসকর্মী সহ চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে নবান্নের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ওএসডি পদমর্যাদার এক আধিকারিকও আছেন। এদিন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা করোনায় মৃত্যু কমাতে এবং আশঙ্কাজনক রোগীদের চিকিৎসায় জোর দিতে শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এরপর থেকে পরিদর্শক দল প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়ে ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীর শয্যা থেকেই যাবতীয় বিষয় আপলোড করবেন। এদিকে সমস্ত সরকারি এবং সরকার অধিগৃহীত করোনা হাসপাতালের রোগীদের শারীরিক অবস্থার দিকে প্রতি মুহূর্তে নজর রাখতে নতুন সফটওয়্যার চালু হয়েছে। আশঙ্কাজনক, মাঝারি এবং সাধারণ— এই তিন ধরনের প্রতিটি রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি সব তথ্যই থাকছে সফটওয়্যারে। অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৬১ জন মারা গিয়েছেন করোনায়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮৪৬ জন। মোট আক্রান্ত ৮৩ হাজার ৮০০। শিবপুরের বর্ষীয়ান বিধায়ক জটু লাহিড়ী করোনায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জটুবাবু এখন স্থিতিশীল। মহেশতলার প্রশাসক দুলাল দাসও পজিটিভ হয়েছেন। আক্রান্ত কলকাতা পুরসভার ১১ নম্বর বরোর কো-অর্ডিনেটর তারকেশ্বর চক্রবর্তীও। এছাড়া রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মোট ১১ জন আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। উপাচার্য ডাঃ রাজেন পাণ্ডে বলেন, এঁদের অ্যান্টিজেন টেস্ট পজিটিভ এসেছে। হোম আইসোলেশনে থাকতে বলেছি।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বিধাননগর পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সুভাষ বসু। জ্বর-শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ জুলাই বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। দলের সহকর্মীর অকালমৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট বার্তায় তিনি জানান, দলের এক সাহসী যোদ্ধা করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থেকে লড়াই করছিলেন। তাঁর পরিবার, শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধুদের সমবেদনা জানাই। শোকজ্ঞাপন করে বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, সুভাষ বসুর এভাবে চলে যাওয়া করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও সুসংহত করুক, এই প্রার্থনা করি। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন আমতা ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি শেখ খাইরল হক (৪৮)-ও।