উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
নিউটাউন-১ বিজেপির মণ্ডল সভাপতি রাজু পালের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পুজো করতে বাধা দেয়। চলে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি। বোমাবাজিও করা হয়। পাড়ার লোকজন বেরিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেখানে যান বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। চলে আসে বিশাল পুলিসবাহিনীও। তাপসবাবু বলেন, উত্তেজনার পরিস্থিতি যাতে প্রশমিত হয় সেটা দেখতে গিয়েছিলাম। কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিসকে জানাতে বলেছি। প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে। বুধবার সকাল থেকে ওই অঞ্চলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিস ও র্যাফ মোতায়েন করা হয়। লকডাউন থাকায় বাড়তি নজর দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে।
বিজেপির অভিযোগ, পুলিস প্রথমে পুজোর অনুমতি দিতে চায়নি। যাকে কেন্দ্র করে সকালেও একপ্রস্থ বচসা বাধে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়েছে বলে বিজেপির দাবি। নারায়ণপুরের ঘটনায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপের জন্য ১০ জনকে আটক করা হয় বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিস অবশ্য কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো এবং লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিন কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির নেতৃত্বে রাম পুজোর আয়োজন করা হয়। বালিগঞ্জ এলাকায় শরৎ বসু রোড এবং দেওধর স্ট্রিটে পুজো দেন দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি’র নেতারা। দমদম পার্কের মল্লিকপাড়াতেও পুজোর আয়োজন হয়েছিল। লকডাউনের জন্য সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রাম মন্দির বন্ধ ছিল। মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে বাড়তি পুলিস মোতায়েন করা ছিল এদিন।
অপরদিকে, হাওড়ার রামরাজাতলায় রামমন্দিরে পুজো হয়েছে স্থানীয় বিজেপির উদ্যোগে। হুগলির চুঁচুড়া, সিঙ্গুরের মল্লিকপুরে রামের মূর্তি বানিয়ে পুজো দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
রামপূজনের একই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিষ্ণুপুরেও। এদিন পুরুষোত্তম রামচন্দ্রের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। লকডাউন অমান্য করে বিভিন্ন জায়গায় রামপুজো করার চেষ্টা কড়া হাতে সামাল দিয়েছে জেলা পুলিস। বজবজ চড়িয়াল মন্দিরের পুজো বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। লকডাউন ভেঙে রামপুজো করার সময় দু’জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
বারাকপুর মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় যজ্ঞের আয়োজন করে বিজেপি। পানিহাটির অমরাবতীতে ও কামারহাটি-খড়দহের বেশ কিছু অংশে মিছিল বের হয়। পূর্ব ভাটপাড়া রথতলা মোড়ে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ যজ্ঞ করেন। সেখানে ধ্বজা উত্তোলনের পর ব্যাপক বাজি ফাটানো হয় বলে অভিযোগ। এদিকে, বাজি ফাটানোর অভিযোগ পেতেই পুলিস গিয়ে দু’জন বিজেপি সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। বারাকপুরের যুগ্ম কমিশনার অজয় ঠাকুর বলেন, দু’জনকে বাজি সমেত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বারাকপুরের পুলিস কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, মিছিল হয়েছে বলে তিনি জানেন না। কেউ যদি বাড়ির সীমানার ভিতরে কিছু করে থাকেন, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।