উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে (সুভাষগ্রাম) অবস্থিত এই গ্রামীণ হাসপাতাল। দীর্ঘদিন ধরে আশপাশের মানুষ এই হাসপাতালের উপরই নির্ভরশীল ছিলেন। কিন্তু সেখানকার পরিষেবায় খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না তাঁরা। সামান্য জটিল কেস হলেই কলকাতা রেফার করে দেওয়া হত বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। তাই প্রশাসনের কাছে একে উন্নত করার প্রস্তাব যায়। সেই মতো স্বাস্থ্যদপ্তর এই গ্রামীণ হাসপাতালকে ঢেলে সাজার অনুমোদন দিয়েছে। পূর্তদপ্তরকে এই কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে এই হাসপাতালে ২৫ থেকে ৩০টি বেড রয়েছে। আগামী দিনে সেখানে ১০০টি বেড করার চিন্তাভাবনা আছে বলে খবর। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের অস্ত্রোপচার আপাতত এখানে হয় না। সেই পরিষেবা চালু করার কথা রয়েছে। যে অপারেশন থিয়েটারটি বর্তমানে রয়েছে, তার মান আরও উন্নত করার পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে চিকিৎসক, স্টাফ, অন্য কর্মীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি করার ভাবনা রয়েছে। রোগীর আত্মীয়রা যাতে রাতের বেলায় এখানে থাকতে পারেন, তার জন্য বিশেষ রাত্রিনিবাস তৈরি করা হবে হাসপাতলে।
লকডাউনের আগে থেকেই পুরনো ভবনটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। ইমার্জেন্সি বিল্ডিং, আউটডোর ইত্যাদি ভবনের কাজ অর্ধেক হয়ে রয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, নির্মাণ কর্মী না থাকায় কাজ দ্রুতগতিতে করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কাজ পুরোদমে চালু হবে না। এদিকে ওই হাসপাতালের পাশে যে নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে, সেখানে একটি অংশ জুড়ে এখন হাসপাতালের ন্যূনতম পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। কারণ তার আরেকটি অংশে করোনা রোগীদের রাখা হয়েছে। এই ট্রেনিং সেন্টারকে আগামী দিনে কলেজে উন্নীত করার কথাবার্তাও চলছে বলে জানা গিয়েছে। পুর প্রশাসক পল্লব দাস বলেন, নতুন পরিষেবা চালু হয়ে গেলে অনেক সমস্যা মিটে যাবে। আরও অনেক রোগী এখানে এসে চিকিৎসা করতে পারবেন। -নিজস্ব চিত্র