উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ভূষণ সিং বলেন, আমাদের আয় তলানিতে এসে ঠেকেছে। কর আদায় ঠিকমতো হচ্ছে না। এতদিন কিছু আটকায়নি। কিন্তু এখন অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বাকি আছে। তবুও আমরা কর্মীদের বেতন দেওয়ার চেষ্টা করছি।
কোচবিহার পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দ সাহা বলেন, অস্থায়ী কর্মীরা তিনমাস ধরে বেতন পাচ্ছে না। আমরা ৭ আগস্ট প্রাক্তন বামপন্থী কাউন্সিলার তথা কো-অর্ডিনেটররা আলোচনায় বসব। এরপর আমরা বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনব।
কোচবিহার মিউনিসিপ্যালিটি ওয়ার্কাস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাজিরুল ইসলাম বলেন, লকডাইনের কারণে পুরসভার আয় কমেছে। সেই কারণে অস্থায়ী কর্মীদের মে, জুন ও জুলাই মাসের বেতন হয়নি। প্রায় ৫০০ অস্থায়ী কর্মী বেতন পাননি। পুরসভার আয় কম হলেও আমরা ওই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। আশা করছি, আগস্ট মাসে বেতন হবে। আমাদের দাবি, আংশিক হলেও অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া হোক। কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য আমিনা আহমেদ বলেন, মার্চ মাসের আগে পর্যন্ত বিভিন্ন খাত থেকে পুরসভার প্রতিদিন ভালো একটা আয় ছিল। যা মাসের শেষে গিয়ে বড় একটা অঙ্কে দাঁড়াত। কিন্তু মার্চের পর থেকে সেই আয় একেবারে কমে গিয়েছে। এরফলে আমরা সমস্যায় পড়েছি। অন্যান্য খরচ চালাতেও পুরসভাকে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। ওই আয় থেকেই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া হতো। তাঁদের বেকায়া বেতন দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করছি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ সময়ে পুরসভা শহরের বাজারগুলি থেকে কর আদায় করে। লকডাউন পর্বে বাজার বন্ধ থাকায় সেখান থেকে কর আদায়ের পরিমাণ কমেছে। করোনা পরিস্থিতিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় বাড়ির প্ল্যান পাশ করানো বাবদ পুরসভার যে আয় হয় তাও কমেছে। নামজারি করে পুরসভার আয় হয়। সেই আয়ও কমেছে। এছাড়াও বাড়ির খাজনা আদায়, মিনি বাসস্ট্যান্ড থেকে কর আদায়, টোল থেকে টাকা আদায় সহ একাধিক উপার্জন কমেছে। এরফলে পুরসভার নিজস্ব আয় কমে গিয়েছে। পুরসভার দাবি, মার্চ মাসের আগে পর্যন্ত কোচবিহার পুরসভার প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দু’লক্ষ টাকা আয় হতো। মাসের শেষে গিয়ে সেই টাকার পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াত ৫০-৫৫ লক্ষ টাকা।
কিন্তু লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে সেই টাকা আদায় কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। লকডাউন পর্বে ওই পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে মাসে মাত্র সাত থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকায়। এতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফাইল চিত্র