উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিন দুপুরের পর রাজভবন থেকে তড়িঘড়ি সংবাদমাধ্যমকে রাজভবনের সন্ধ্যার অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়। লকডাউন থাকা সত্ত্বেও রাজভবনের কর্মী-আধিকারিকদের একাংশকে ছুটোছুটি করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হয়। বেশ কিছু প্রদীপ ও বড় পিলসূজ জোগাড় করা হয়। সন্ধ্যায় সস্ত্রীক রাজ্যপাল প্রদীপ জ্বেলে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। তারপর বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের নেতাদের মতো সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, ৫০০ বছরের তপস্যার ফল আজ পেয়েছে ভারতবাসী। অযোধ্যায় ভগবান রামের মন্দিরের শিলান্যাস হওয়ায় দেশের তামাম মানুষ আজ প্রশান্তি লাভ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ আইনের মধ্যেই এই কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে।
রাজভবনে এভাবে শিলান্যাস অনুষ্ঠানের সাফল্য উদযাপন করায় বিস্মিত হয়েছে বিজেপি ছাড়া রাজ্যের বাকি রাজনৈতিক দল। শাসক তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, এই রাজ্যপাল প্রতি পদে বুঝিয়ে দিচ্ছেন ওঁর আসল উদ্দেশ্য কী। সাংবিধানিক প্রধানের পদে থেকে রাজভবনে উনি এভাবে একটি ধর্মীয় কর্মসূচির সাফল্য উদযাপন করতে পারেন না। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, রাজ্যপাল সংবিধানে রামের ছবি থাকার কথা উল্লেখ করে শিলান্যাস অনুষ্ঠানকেও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার মতলব করেছেন। ধর্মাচরণ উনি করতেই পারেন। কিন্তু রাজভবনকে ব্যবহার করে তা করা উচিত নয় কখনও। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়, বিজেপি’র ধর্মীয় অ্যাজেন্ডা পূরণের জন্য ধনকার রাজভবনে বসেননি। কিন্তু উনি প্রায়ই সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন নানাভাবে। দুর্ভাগ্যের, রাজ্যপাল বিজেপির মতো একই আচরণ করলেন।