Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চীন ‘মাকড়শা’ হলে ভারত তার ‘শিকার’
পি চিদম্বরম

দ্য স্পাইডার্স ওয়েব। মানে মাকড়শার জাল। এই সম্পর্কে তথ্য জানতে যদি ইন্টারনেট সার্চ করেন, তবে আপনি জিনিসটাকে পাবেন—‘সিক্স সারপ্রাইজিং ফ্যাক্টস অ্যাবাউট স্পাইডারওয়েবস’ হিসেবে। মানে মাকড়শার জাল সম্পর্কে ছয়টি অবাক করা সত্য।
১. মাকড়শার ডিজাইন সেন্স বা নকশা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে।
২. মাকড়শার জাল শিকারকে মাঝপথে আটকায় না। তাকে বরং আকর্ষণ বা প্রলুব্ধ করে।
৩. মাকড়শার জালগুলো একটা কারণে চকচকে।
৪. মাকড়শাদের চলাফেরায় একটা গুপ্ত ভাব থাকে।
৫. মাকড়শারা বড় করে ভাবে।
৬. মাকড়াশারা সাধারণভাবে রোজই তার জাল পাল্টায়।
যদি আমার মতো করে ভাবেন তবে আপনি বলবেন যে, ‘ভীষণ ঠিকঠাক’! ভারত-চীন সীমান্তের ভয়ানক অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে তাদেরকেই যথাযথ বা ঠিকঠাক (অ্যাপ্রোপ্রিয়েট) বলে মনে হয়। করোনা ভাইররাসের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী যুদ্ধে আমাদের পরাজয়ের সামনে তাদেরকেই যথাযথ বলে মনে হয়। দ্রুত তলিয়ে যেতে থাকা অর্থনীতি এবং বেকারত্বের মোকাবিলা করতে নেমে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে হতাশার জন্ম হয়েছে, মাকড়শাদের যথাযথ বলে
মনে হয় সেখানেও। রাজস্থানে যে অনাবশ্যক লড়াইয়ের মধ্যে (লাক্সারি টাসল) প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল আটকে রইল সেখানেও এদেরকে যথাযথ বলে মনে হয়।
রাজস্থান
শচীন পাইলট একজন ইয়ং ম্যান। তাঁর বিরাট উচ্চাশা। এর মধ্যে কোনও দোষ নেই। কিন্তু যে সময়টাতে তিনি এমন পদক্ষেপ করলেন তাতে সবটাই ভুলে ভরা হয়ে গেল। রাজস্থান-সহ পুরো জাতি আজ এমন তিনটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ব্যস্ত যা অতীতে কখনও করতে হয়নি। অর্থনীতি এবং মহামারীর বিষয়ে, দল এবং সরকার—উভয় দিক থেকেই বিজেপি পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। চীনা হুমকির সামনে সরকার কিছু হাস্যকর কাণ্ড করে চলেছে, কিন্তু সীমান্তের প্রকৃত পরিস্থিতিটা খোলসা করছে না। অস্বীকার বা প্রতিবাদের ব্যাখ্যা দেওয়াটাই সরকারের মুখপাত্রদের নতুন একটা কাজ হয়েছে। অনুরাগ শ্রীবাস্তব যা বলেন সেটা লব আগরওয়াল যদি বুঝতে পারেন আমি অবাক হব। দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবার যে লক্ষণ (গ্রিন শুটস) অর্থমন্ত্রী প্রতি সপ্তাহে একবার করে দেখতে পান, ওই দু’জনের মধ্যে কোনও একজনের নজরে তা যদি ধরা পড়ে তাহলেও আমি অবাক হব।
শচীন পাইলট আর বিজেপির মানসিকতা এক নয়, অথবা এটা আমাদের বিশ্বাস। যে মানুষগুলো মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন শচীনের সমস্ত শক্তি তাঁদের সাহায্যের জন্য ব্যয় করা উচিত। তাঁর সমস্ত শক্তি নিয়োজিত হোক রাজস্থান রাজ্যের অর্থনীতিকে নিজের পায়ে দাঁড় করাবার জন্যে। তাঁর সামনে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছেন অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার ব্যক্তিত্ব মোহনলাল সুখাড়িয়া। শচীন পাইলট লম্বা দৌড়ের জন্য প্রস্তুত হতে পারতেন। তাহলে তিনি হতে পারতেন মোহনলাল সুখাড়িয়ার মতোই দীর্ঘ মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী। এটা অস্বাভাবিক যে, তাঁর নকশা সম্পর্কে তাঁর কোনও জ্ঞানগম্যি নেই এবং শিকার জালে পড়ার মুখে তাকে আটকাবার চেষ্টা করলেন। ফলে কী হল? তিনি মাঝ সমুদ্রে—বুঝে উঠেত পারছেন না ঠিক কোন তীরে তাঁর তরী ভেড়াবেন!
অর্থনীতি
অর্থনীতির দিকে অথবা ধ্বংসাবশেষের দিকে তাকান। আর্থিক মন্দার ব্যাপারে গোড়ার দিকে যা আশঙ্কা করা হয়েছিল আজকের বাস্তব পরিস্থিতি তার থেকে অনেক খারাপ, অনেক বেশি উদ্বেগজনক। প্রথম ত্রৈমাসিক পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, নগদ জোগান বৃদ্ধির (ফিসকাল স্টিমুলাস) কোনও লক্ষণ নেই। এমনকী, পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা বাড়ানোর জন্য যে ধরনের উদ্যোগ সরকারের তরফে নেওয়া জরুরি তারও লক্ষণ নজরে আসেনি। যে-আর্থিক ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পক্ষে সেটাই যথেষ্ট হবে বলে যে-ক’জন মনে করেন তাঁরা হলেন—নির্মলা সীতারামন, কে ভি সুব্রহ্মণ্যম, রাজীব কুমার এবং প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ লেখক। তা সত্ত্বেও সব সিদ্ধান্তের মালিক একজনই—যৌথ ব্যবস্থায় বাকিদের ভূমিকা কিছু নেই। অর্থনীতি বাস্তবিকই ধসে পড়েছে। এসময় অর্থনীতির পুনর্গঠনের কৌশল সম্পর্কে শাসকদের পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার। আর সেটা যদি অনুপস্থিত হয় তবে দৃঢ়তাশূন্য প্রতিটি ব্যবস্থাই নিষ্ফলা হবে।
করোনা ভাইরাস
মাকড়শার, সবটা না হলেও, কিছু বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের মিল রয়েছে। ভাইরাসটা চুপিসারে সব দেশে ঢুকেছে। এটা অনুপ্রবেশ করেছে ভারতের মতো বিরাট দেশেও। ভারতের সবক’টা রাজ্যে। সবক’টা জেলাতেও। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জনবিন্যাস (ডেমোগ্রাফি), আবহাওয়া, মানুষের অভ্যাস, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, আয়ের শ্রেণীবিন্যাস, প্রস্তুতি, সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতা-ক্ষমতা প্রভৃতি আলাদা। প্রতিটা দেশের এই বিপুল বিচিত্র বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে দিব্য মানিয়ে নিয়েছে এই ভাইরাস। মহাভারতের যুদ্ধটা ছিল আঠারো দিনের।
সেই অধ্যায়ের সঙ্গে তুলনা টেনে প্রধানমন্ত্রীর মতো ব্যক্তিত্ব ভারতবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে জয়টা হাসিল হবে মাত্র ২১ দিনে! ফলে, মানুষ সহজেই তা বিশ্বাস করেছিল। কেউ বুঝতে পারেনি যে এটা ছিল অসত্য, স্তোকবাক্য। না চিকিৎসা বিজ্ঞান, না মধ্যযুগীয় বিশ্বাস—কোনও কিছুরই উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল না এই আশ্বাস। আমরা এখন জেনে গেছি যে যতক্ষণ না ভ্যাকসিন আবিষ্কার, প্রমাণিত ও বণ্টন হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা নিরস্ত্রই। কী কেন্দ্র, কী রাজ্য—সরকারগুলির উপর মানুষের বিশ্বাস, আস্থা আর নেই। যাঁরা নিজেদের সংস্থান নিজেরা করতে পেরেছেন তাঁরা নিজেদেরকে পৃথক করে নিয়েছেন। আর যাঁরা সেটা পারেননি তাঁরা ভয়-ভীতি ঝেড়ে ফেলে দিয়েছেন। একটা নির্দিষ্ট মৃত্যুহার (কেস ফ্যাটালিটি রেশিও) সমেত জীবন একটা নতুন ‘স্বাভাবিকতা’য় (নিউ ‘নর্মাল’) ফিরে যাবে। ‘লক-আনলক’টা হল সরকারের মূর্ছারোগ লক্ষণের মতো—যার সম্পর্কে কিছুই আগাম অনুমান করা সম্ভব নয়, সেটা পুরোই ফালতু। সরকারগুলো কতবার তাদের কৌশল (মাকড়শার উদাহরণে ওয়েব বা জাল) পাল্টাল, তার কোনও গুরুত্ব নেই। তারা আলাদাভাবে কিছুই করতে পারবে না।
চীন
চীন হল একেবারে বিদঘুটে ধরনের মাকড়শা। একটা মাকড়শার ‘সব’ ধরনের বৈশিষ্ট্যই এর মধ্যে রয়েছে। সর্বোপরি, দেশটার চিন্তাভাবনা বড় এবং এর শিকারদেরকে আকৃষ্ট করে। ছ’বছরে চীনের নেতার সঙ্গে ১৮টা মিটিং। তার মধ্যে একটা রাষ্ট্রীয় সফর এবং তিনটে শীর্ষ সম্মেলন। এমন চোখ ধাঁধানো খতিয়ান যে-কোনও কঠোর তপস্বীকেও ‘ফ্ল্যাটার’ করার পক্ষে যথেষ্ট। নরেন্দ্র মোদি কোনও তপস্বী নন। তাঁর ভয়ানক ইগো (সব প্রধানমন্ত্রীরই থাকে) এবং তাঁর দলের জন্য আরও বেশি অহংবোধ। মোদিজির মাপটা একেবারে নিখুঁত নিয়েছিলেন জি জিনপিং। উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি মোদিজিকে চটুল প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। পারস্পরিক লগ্নিতে উৎসাহ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জিনপিং আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ২০২০-কে ‘ভারত-চীন সংস্কৃতি এবং মানুষে মানুষে ভাব বিনিময়ের বর্ষ’ হিসেবে উদযাপনের জন্য বিশ্বমানের মঞ্চ বানাবেন।
কিন্তু, ২০২০-র জানুয়ারিতে কী কাণ্ডটা করলেন তিনি? চীনের লাল ফৌজকে (পিএলএ) এগিয়ে দিলেন ভারতে হানা দেওয়ার জন্য! চীনের জন্য ভারত হচ্ছে আর একটা আগুন নিয়ে খেলা। যেমন আগুনে-খেলা জিনপিং শুরু করেছেন হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, বেল্ট-অ্যান্ড-রোড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে এবং ভূমিষ্ঠ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পাকিস্তান, তুর্কি ও ইরানকে নিয়ে তাঁদের চার দেশের নয়া ঘোঁট (কোয়াড)। এই আগুন যদি কিছুটা ঝলসে দেয় তবে, এটা হবেও, চীন বীরদর্পে এগিয়ে যাবে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়া আর কোনও বিশ্বনেতা কি ভারতের বিরুদ্ধে চীনের আগ্রাসনের নিন্দা করেছেন? চীন যদি ‘মাকড়শা’ হয় তো ভারত হল তার ‘শিকার’—যাকে তার জালে প্রলুব্ধ করেছিল।
মাকড়শারা চিরকাল বিরামহীন।
• লেখক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী
27th  July, 2020
ক্রীড়া ও বিনোদন অর্থনীতি:
কী ভাবছে সরকার?
হারাধন চৌধুরী

 ১০০ বছর ধরে মাঠ কাঁপাচ্ছে যে দল, সেই লাল-হলুদ ঝড়ের নাম ইস্টবেঙ্গল। এই স্লোগানের সঙ্গে বাঙালি বহু পরিচিত। গত ১ আগস্ট, ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ পূর্ণ হল। যে-কোনও ক্ষেত্রে সেঞ্চুরির গরিমা কতটা সবাই জানেন। ক্রীড়ামোদী বাঙালি মূলত দুই শিবিরে বিভক্ত—ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান।
বিশদ

সবুজ হচ্ছে জঙ্গলমহলের প্রকৃতি ও মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

জঙ্গলমহল হাসছে। এই কথাটা একসময় বহু ব্যবহৃত শব্দবন্ধের মতো হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেটা নিয়ে বিরোধীদের বিদ্রুপ করা শুরু হল। কিন্তু এটা ঠিক, ২০১১ সালের আগে যে জঙ্গলমহলের চোখে জল ছিল, তা আর ফিরে আসেনি।
বিশদ

05th  August, 2020
 সমাজ ব্যর্থ হলে অসহায় মানুষের
পাশে দাঁড়াবার রাজনীতিই কাম্য
শুভময় মৈত্র

কোভিডাক্রান্ত ফুসফুসে সাহস জোগাতে সরকারের সহযোগিতায় দলমত নির্বিশেষে আরও কিছুটা উদ্যোগ জরুরি। দ্রুততার সঙ্গে সে কাজ না-হলে আম জনতা বিপদে পড়বে। সমাজ অকৃতকার্য হলে অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে না-পেরে অসুস্থের মৃত্যু রুখতে হবে নিঃসহায়ের রাজনীতিকেই।
বিশদ

05th  August, 2020
নয়া নীতিতে শিক্ষা
আমাদের ‘বাহন’ হবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নরেন্দ্র মোদি সরকার নয়া শিক্ষানীতি ঘোষণা করার পর দিকে দিকে কেমন একটা হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। বিষয়ে নতুনত্ব আছে। আর তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সরকারি স্কুলে প্লে-গ্রুপ ও কিন্ডারগার্টেন, ১০+২ এর ধারণা পিছনে ফেলে ফুটবলের মতো ৫+৩+৩+৪ ছকে স্কুলশিক্ষাকে সাজানো এবং সায়েন্স, আর্টস, কমার্স উঠে যাওয়া... নড়েচড়ে বসার মতো পরিস্থিতি বটে।
বিশদ

04th  August, 2020
রাজ্য-রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র
সোমেন মিত্রের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত 
প্রবীর ঘোষাল

২০০০ সালের মার্চ মাস। রাজ্য কংগ্রেস রাজনীতিতে ঘোর সঙ্কট। দু’বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করে ঝড় তুলে দিয়েছেন। দু’-দু’টি লোকসভা নির্বাচনে জোড়াফুলের সাফল্য গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই সময় এল পশ্চিমঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচন।  
বিশদ

03rd  August, 2020
করুণ কাহিনীতে কোনও ‘সমাপ্ত’ হয় না 
পি চিদম্বরম

গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। তারপর থেকে লিখিত আদেশ ছাড়াই জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক ব্যক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে। এরকমই একজন গৃহবন্দি রাজনৈতিক নেতা বলেন যে, ‘জম্মু ও কাশ্মীর একটা বিরাট বন্দিশালা’। 
বিশদ

03rd  August, 2020
৫ আগস্ট ও নরেন্দ্র
মোদির ভোট অঙ্ক
হিমাংশু সিংহ 

২৯ বছর আগে ছবিটা তুলেছিলেন মহেন্দ্র ত্রিপাঠি। করোনা আবহে সেই ছবিই গোটা দেশে আজ হঠাৎ ভাইরাল। মহেন্দ্র পেশায় শখের ফটোগ্রাফার। ছোট্ট একটা স্টুডিও আছে অযোধ্যার প্রস্তাবিত রামমন্দির চত্বরের কাছেই।   বিশদ

02nd  August, 2020
ভাবনা বদলালেই সহজ
হবে করোনা মোকাবিলা
তন্ময় মল্লিক 

‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে। আমি চোখ মেললুম আকাশে, জ্বলে উঠল আলো পুবে-পশ্চিমে।’—রবীন্দ্রনাথ। ‘শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব, বিপ্লব আনে মুক্তি।’—লেনিন।   বিশদ

01st  August, 2020
বন্ধু চীনই এখন
আমেরিকার বড় শত্রু
মৃণালকান্তি দাস 

পঞ্চাশ বছরের ‘সম্পর্ক’ মাত্র চার বছরে উল্টে গিয়েছে! এই সেদিনও চীন-আমেরিকা নিজেদের বলত ‘কৌশলগত বন্ধু’। ১৯৭১ সালে বেজিং সফরে গিয়ে ধুরন্ধর মার্কিন বিদেশসচিব হেনরি কিসিঞ্জার সেই ‘বন্ধুত্বে’র চারা লাগিয়ে এসেছিলেন।   বিশদ

31st  July, 2020
মমতাকে স্বস্তি দিচ্ছে
বিজেপির এই রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী 

যদি ক্যুইজে প্রশ্ন করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে? প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের নাম ক’জনের মাথায় আসবে সংশয় রয়েছে। বেশিরভাগ উত্তরদাতার ঠোঁটের ডগায় তৈরি থাকবে বিধানচন্দ্র রায়ের নামটা।   বিশদ

30th  July, 2020
মোদিজি, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন
সন্দীপন বিশ্বাস 

কতটা লড়াইয়ের পর করোনার মতো এমন ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে নিঃশেষ করা যাবে, আমরা জানি না। কতদিনে আমরা এর ওষুধ বের করতে পারব, তাও জানি না! কোভিড ওষুধ নিয়ে আমাদের দেশের ও বিশ্বের বিজ্ঞানীদের গবেষণা এখন ঠিক কোন পর্যায়ে, সেটাও আমরা জানি না।   বিশদ

29th  July, 2020
পাঁপড়ভাজা খেলে ভ্যাকসিন
বানানোর দরকারটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফিদেল কাস্ত্রোর ইন্টারভিউ নিতে গিয়েছেন এক সাংবাদিক। শুরুতেই কাস্ত্রো পাল্টা একটা প্রশ্ন ছুঁড়লেন... ‘দ্য ফোর্থ ভার্টিব্রা পড়েছেন? ফিনিশ লেখক না?... দারুণ লেখা কিন্তু।’ মার্কিনিদের জীবনযাত্রা ছিল ‘দ্য ফোর্থ ভার্টিব্রা’র বিষয়বস্তু।   বিশদ

28th  July, 2020
একনজরে
তুফানগঞ্জ পুরসভা তহবিলের অভাবে উন্নয়নমূলক কোনও কাজ করতে পারছে না। করোনা পরিস্থিতিতে মার্চ মাসের শেষসপ্তাহে লকডাউন শুরু হতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।  ...

 বাড়িতে বসে কাজ করলে আইটি কর্মচারীদের পেট চলবে। কিন্তু, স্টল বন্ধ রাখলে আমরা খাব কী! সল্টলেক সেক্টর ফাইভের এক ফুড স্টলের মালিক অনন্ত জানা আক্ষেপের ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে, সেগুলির কয়েকটির বাজার বন্ধকালীন দর। ...

অযোধ্যার রেশ এসে পড়ল রাজারহাটের নারায়ণপুরে। রামপুজোর প্রস্তুতি ঘিরে অশান্তির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

হিরোশিমা দিবস
১৮৬৫ - চার্লি চ্যাপলিনের মা তথা ইংরেজ অভিনেত্রী, গায়িকা ও নৃত্যশিল্পী হান্নাহ চ্যাপলিনের জন্ম
১৮৮১- পেনিসিলিনের আবিষ্কারক ফ্লেমিংয়ের জন্ম
১৯০৫- দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস প্রকাশ করলেন বন্দে মাতরম পত্রিকা
১৯০৬ - বিপিনচন্দ্র পালের সম্পাদনায় বন্দে মাতরম্ (সংবাদপত্র) প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯১৪ - কলকাতা থেকে দৈনিক বসুমতী প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯২৫ - বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৫-হিরোশিমায় পরমাণু বোমা ফেলল আমেরিকা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.১৪ টাকা ৭৫.৮৬ টাকা
পাউন্ড ৯৬.৪৬ টাকা ৯৯.৮৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৪ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৪,৬৭০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫১,৮৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  August, 2020

দিন পঞ্জিকা

২১ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০, তৃতীয়া ৪৭/৩৪ রাত্রি ১২/১৫। শতভিষানক্ষত্র ১৫/১১ দিবা ১১/১৮। সূর্যোদয় ৫/১৩/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ১২/৪৮ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১০/২৪ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ২/৫৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/৫ মধ্যে।
২১ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০, তৃতীয়া রাত্রি ১১/২। শতভিষানক্ষত্র দিবা ১১/২১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৬/১৪। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৭ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ১০/২৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৯ গতে ৬/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/৬ মধ্যে।
১৫ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। বৃষ: ব্যবসায় উন্নতির যোগ আছে। মিথুন: ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
হিরোশিমা দিবস১৮৬৫ - চার্লি চ্যাপলিনের মা তথা ইংরেজ অভিনেত্রী, ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২,৯৫৪
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২,৯৫৪ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

08:56:34 PM

  সুশান্ত মামলা: ৭ জনের নামে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই
সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলায় সিবিআই রিয়া চক্রবর্তী সহ ৭ জনের ...বিশদ

08:40:00 PM

তামিলনাড়ুতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৫,৬৮৪ 
তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৬৮৪ জন। ...বিশদ

07:27:06 PM

উত্তরপ্রদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪,৬৫৮ 
উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৬৫৮ জন। মৃত্যু ...বিশদ

07:04:04 PM