Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভাবনা বদলালেই সহজ
হবে করোনা মোকাবিলা
তন্ময় মল্লিক 

‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে। আমি চোখ মেললুম আকাশে, জ্বলে উঠল আলো পুবে-পশ্চিমে।’—রবীন্দ্রনাথ। ‘শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব, বিপ্লব আনে মুক্তি।’—লেনিন। কবি থেকে দার্শনিক সকলের কণ্ঠেই যুগে যুগে শোনা গিয়েছে চেতনার জয়গান। চেতনার বিকাশই মানবজীবনের উত্তরণ ঘটায়। আধ্যাত্মিক জীবনেও। তাই তো মাতৃসাধক গেয়েছিলেন, ‘আমার চেতনা চৈতন্য করে দে মা চৈতন্যময়ী।’ করোনার সঙ্কটমুক্তিও লুকিয়ে আছে সেই চেতনাতেই। ভ্যাকসিন এখনও আসেনি। এই অবস্থায় মানব-চেতনাই এনে দিতে পারে মহামারী বিরোধী লড়াইয়ে সাফল্য। কিন্তু সেই চেতনার অভাবেই আমরা দিন দিন তলিয়ে যাচ্ছি সঙ্কট-সমুদ্রের অতলে।
করোনা এখন আর টিভির পর্দায় বা সংবাদপত্রের পাতায় আটকে নেই। করোনা এসে দাঁড়িয়েছে বাড়ির দোরগোড়ায়। বিদেশি রোগ এখন ষোলাআনা স্বদেশি। করোনার বিষাক্ত ছোবলে চোখের সামনে অকালেই নিভে যাচ্ছে জীবনদীপ। একের পর এক। তাতেও সম্বিত ফিরছে না। সরকার, প্রশাসন যখন এই অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন কেউ কেউ ব্যস্ত ফাঁকফোকর অনুসন্ধানে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার যখন লকডাউন করছে, তখন অনেকেই নানা অজুহাতে বাইরে বেরনোর ফন্দি আঁটছে। মানছে না নিয়ম। মারণ ভাইরাসকে বাড়িতে আমন্ত্রণ করছে। পরিবারের সবাইকে অসুস্থ করছে। তারপরই গেল গেল রব। উঠছে সরকারের দিকে আঙুল। অথচ ভুল সংশোধনের কোনও ইচ্ছাই নেই।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। চলছে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত লকডাউনের পার্থক্য অনেকটাই। মোদির লকডাউন ছিল চার ঘণ্টার নোটিসে। দেশজুড়ে ২১দিনের লকডাউন। দেশবাসী পড়েছিলেন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। খাদ্যসামগ্রী মজুতের জন্য পড়েছিল হুড়োহুড়ি। কারণ মানুষ তখনও বুঝে উঠতে পারেনি, এই লকডাউন কতদিন গড়াবে? ঘরে ঘরে খাদ্যের জন্য হাহাকার পড়ে যাবে কি না! তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগাড় করতে দোকানে বাজারে জমেছিল মেলার ভিড়। কিন্তু, এখন? পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
রাজ্য সরকার অনেক আগে থেকেই জানিয়ে দিচ্ছে, কোন কোন দিন হবে লকডাউন। টানা লকডাউনের কোনও কর্মসূচিই সরকারের নেই। লকডাউনে পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট। কৃষিকে রাখা হয়েছে বাইরে। খাদ্যের জোগান সুরক্ষিত রাখাই উদ্দেশ্য। তাই নিকট ভবিষ্যতে খাদ্য সঙ্কটের কোনও আশঙ্কাই নেই। এই অবস্থাতেও লকডাউনের আগের ও পরের দিন মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে দোকানে, বাজারে। লাটে উঠছে সামাজিক দূরত্ব বিধি। গা ঘেঁসাঘেঁসি করে চলছে বাজার করা। চলছে মারণ ভাইরাসকে আলিঙ্গনের প্রতিযোগিতা। আর তাতেই লকডাউনের লাভের গুড় খেয়ে নিচ্ছে পিঁপড়ে। প্রতিহত হচ্ছে না সংক্রমণ। উল্টে বেড়েই চলেছে।
আসলে এরা অনেকটা পতঙ্গের মতো। আগুন দেখলেই পতঙ্গ সেদিকেই ঝাঁপ দেয়। এরাও বিপদ সত্ত্বেও পা বাড়াচ্ছে সেই দিকেই। পতঙ্গ জানে না, আগুনে ঝাঁপ মানে মৃত্যু। আর ‘আত্মঘাতী’ বাহিনী সব জেনেবুঝেও সেদিকেই দৌড়ায়। আর কত অকাল মৃত্যু চাক্ষুষ করলে এদের ‘জ্ঞানচক্ষু’ উন্মোচিত হবে?
রাজ্য সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ব্যাপক সাড়া মিলেছিল গোটা রাজ্যে। কারণ লাঠি নিয়ে পুলিস ছিল রাস্তায়। তবুও কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেছিল, পুলিস বা প্রশাসন নয়, রাজ্যবাসীই সফল করেছে লকডাউন। তাতেই উৎসাহিত হয়ে দ্বিতীয় দিন কেউ কেউ নেমেছিল লকডাউন ভাঙতে। পরখ করতে চেয়েছিল পুলিসের সক্রিয়তা। কিন্তু, তাদের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর হয়নি। কেউ বান্ধবীকে নিয়ে ‘জয় রাইড’ করতে গিয়ে, কেউ হিরোগিরি দেখাতে গিয়ে খেয়েছে পুলিসের রুলের গুঁতো। তাতেও যাদের বেয়াদপি কমেনি, তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। সেই সংখ্যাটাও প্রায় দু’হাজার ছুঁয়েছিল। আর লাঠির ঘায়ে যাদের পোশাক নোংরার আশঙ্কা ছিল, তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল কান ধরে ওঠবস। দুর্ভাগ্য, তাদেরই ভালোর জন্য পুলিসকে ধরতে হচ্ছে লাঠি। করাতে হচ্ছে কান ধরে ওঠবস। তবে সৌভাগ্যের বিষয়, এসব দেখেও কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে আদালতে নালিশ ঠোকেননি।
লাঠির অপার মহিমা। ‘লাঠি’ সিনেমায় ভিক্টর ব্যানার্জি দেখিয়েছিলেন, লাঠির তাকত। সার্কাসেও দেখা যেত লাঠির দাপট। লাঠির ভয়েই র‌য়্যাল বেঙ্গল টাইগারও হাতজোড় করত। বেয়াদপদের শায়েস্তা করতে সেই লাঠিই ভরসা। তবে, রাজ্যব্যাপী লকডাউনের তৃতীয় দিন অর্থাৎ ২৯ জুলাই পুলিসকে খুব বেশি গা ঘামাতে হয়নি। পুলিসের পারফরম্যান্সেই তারা বুঝে গিয়েছে, ব্যাগে এক আঁটি পালং শাক নিয়ে রাস্তাঘাটে ঘুর ঘুর করলে আর রেয়াত করবে না। তাই দোকানপাট, বাজারহাট তো বটেই, চা, পানবিড়ির গুমটির ঝাঁপ ছিল বন্ধ। রাস্তাঘাটে লোকজন দেখার জন্য রীতিমতো অপেক্ষা করতে হয়েছে। এসব দেখে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, বেয়াদপরা বরাবরই শক্তের ভক্ত, নরমের যম। পুলিস শক্ত হতেই আইনভঙ্গকারীরা আইন মানায় মন দিয়েছে। অতএব পরবর্তী দিনগুলিতে পুলিস চলুক পুলিসের মতোই।
সরকার বা প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে রাজনৈতিক ফায়দা লোটা যায়। কিন্তু করোনার মোকাবিলা করা যায় না। তার জন্য দরকার পরিকল্পনা এবং মানুষের চেতনা। শুধু সরকারের নয়, সমস্ত রাজনৈতিক দলেরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। অধিকাংশ মানুষই কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী অথবা সমর্থক। তাই নেতারা যেভাবে ঘটনার ব্যাখ্যা করবেন, তাঁদের অনুগামীরা সেই চোখেই তা দেখবেন। বিরোধীরা সরকারের সমালোচনা করবে, এটাই স্বাভাবিক। যুগে যুগে সেটাই হয়ে এসেছে। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। সমালোচনার পাশাপাশি সদর্থক ভূমিকাও দরকার। তবেই কোভিড মোকাবিলা সহজ হবে।
করোনা নিয়ে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা। প্রায় প্রতিদিন দেশের কোনও না কোনও প্রান্তে এমন ঘটনা ঘটছে যা দেখে মানুষ চমকে যাচ্ছে। যা আগে কোনও দিন কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।
বনগাঁ হাসপাতাল চত্বরে মাধবনারায়ণ দত্তের
মৃত্যু তেমনই একটা ঘটনা। অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে
গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর তাঁকে
তোলার জন্য এগিয়ে যাননি কেউ। চোখের সামনে স্বামীর মরণ দেখেছেন আল্পনাদেবী। বড় মর্মান্তিক সেই ঘটনা। তা নিয়ে সমালোচনার ঝড়ও বয়েছে। স্রোতস্বিনী নদীকেও হার মানিয়েছে কটাক্ষের বন্যা। কিন্তু, আরও মর্মান্তিক সত্যিটা হল, স্বামীর শেষকাজ করার জন্য আল্পনাদেবী পাশে পাননি কাউকেই। এমনকী, সেদিন যাঁরা আল্পনাদেবীর কষ্টে কেঁদে বুক ভাসিয়েছিলেন, তাঁরাও নয়।
ত্রিপুরার উদয়পুরের গোমতী জেলা হাসপাতালের হুইল চেয়ারে বসে বসেই মারা গিয়েছেন শ্যামলেন্দু ভৌমিক। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে তাঁকে অক্সিজেনটুকুও দেওয়া হয়নি। হুইল চেয়ারে বসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরেও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বইছে সমালোচনার ঝড়।
যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ঘটেছে আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা। এলাহাবাদের কোভিড হাসপাতালে মাঝবয়সি এক রোগী জ্বর, শ্বাস কষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাঁর। একটু অক্সিজেনের জন্য প্রবল চিৎকার করেছিলেন। কেউ সাড়া দেয়নি তাঁর ডাকে। হাত দিয়ে বুক চেপে ধরে তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরের দিন একটি ঝোপের মধ্যে মিলেছিল তাঁর দেহ। হাসপাতাল থেকে ৫০০ মিটার দূরে। গত শনিবারের ঘটনা। সেই দিনই আদিত্যনাথ অযোধ্যায় গিয়ে বলেছিলেন, ‘৫০০ বছরে এমন সুসময় আসেনি।’
এসব ঘটনা মন খারাপের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু, তার জন্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেই বদলে যাবে না পরিস্থিতি। বদলানোর জন্য বদল দরকার। আমাদের ভাবনার। সব দলেরই রয়েছে যুব সংগঠন। অফুরন্ত শক্তির ভাণ্ডার। করোনা মোকাবিলায় দলগুলি
কাজে লাগাক তাদের যুবশক্তিকে। করোনায়
আক্রান্ত ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত করা হোক। যৌবনের অন্তরে উদ্ভাসিত হোক বিবেকানন্দের বাণী, ‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।’
ভাবনা বদলালেই, বদলে যাবে পরিস্থিতি। যারা এই কাজ করতে পারবে তারাই জয় করে নেবে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়। তাহলে আর সমাজসেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইতে হবে না। উল্টে মানুষই তাদের খুঁজে নেবে। সমাজসেবা করার এটাই তো আসল সময়! 
01st  August, 2020
ক্রীড়া ও বিনোদন অর্থনীতি:
কী ভাবছে সরকার?
হারাধন চৌধুরী

 ১০০ বছর ধরে মাঠ কাঁপাচ্ছে যে দল, সেই লাল-হলুদ ঝড়ের নাম ইস্টবেঙ্গল। এই স্লোগানের সঙ্গে বাঙালি বহু পরিচিত। গত ১ আগস্ট, ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ পূর্ণ হল। যে-কোনও ক্ষেত্রে সেঞ্চুরির গরিমা কতটা সবাই জানেন। ক্রীড়ামোদী বাঙালি মূলত দুই শিবিরে বিভক্ত—ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান।
বিশদ

সবুজ হচ্ছে জঙ্গলমহলের প্রকৃতি ও মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

জঙ্গলমহল হাসছে। এই কথাটা একসময় বহু ব্যবহৃত শব্দবন্ধের মতো হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেটা নিয়ে বিরোধীদের বিদ্রুপ করা শুরু হল। কিন্তু এটা ঠিক, ২০১১ সালের আগে যে জঙ্গলমহলের চোখে জল ছিল, তা আর ফিরে আসেনি।
বিশদ

05th  August, 2020
 সমাজ ব্যর্থ হলে অসহায় মানুষের
পাশে দাঁড়াবার রাজনীতিই কাম্য
শুভময় মৈত্র

কোভিডাক্রান্ত ফুসফুসে সাহস জোগাতে সরকারের সহযোগিতায় দলমত নির্বিশেষে আরও কিছুটা উদ্যোগ জরুরি। দ্রুততার সঙ্গে সে কাজ না-হলে আম জনতা বিপদে পড়বে। সমাজ অকৃতকার্য হলে অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে না-পেরে অসুস্থের মৃত্যু রুখতে হবে নিঃসহায়ের রাজনীতিকেই।
বিশদ

05th  August, 2020
নয়া নীতিতে শিক্ষা
আমাদের ‘বাহন’ হবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নরেন্দ্র মোদি সরকার নয়া শিক্ষানীতি ঘোষণা করার পর দিকে দিকে কেমন একটা হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। বিষয়ে নতুনত্ব আছে। আর তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সরকারি স্কুলে প্লে-গ্রুপ ও কিন্ডারগার্টেন, ১০+২ এর ধারণা পিছনে ফেলে ফুটবলের মতো ৫+৩+৩+৪ ছকে স্কুলশিক্ষাকে সাজানো এবং সায়েন্স, আর্টস, কমার্স উঠে যাওয়া... নড়েচড়ে বসার মতো পরিস্থিতি বটে।
বিশদ

04th  August, 2020
রাজ্য-রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র
সোমেন মিত্রের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত 
প্রবীর ঘোষাল

২০০০ সালের মার্চ মাস। রাজ্য কংগ্রেস রাজনীতিতে ঘোর সঙ্কট। দু’বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করে ঝড় তুলে দিয়েছেন। দু’-দু’টি লোকসভা নির্বাচনে জোড়াফুলের সাফল্য গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই সময় এল পশ্চিমঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচন।  
বিশদ

03rd  August, 2020
করুণ কাহিনীতে কোনও ‘সমাপ্ত’ হয় না 
পি চিদম্বরম

গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। তারপর থেকে লিখিত আদেশ ছাড়াই জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক ব্যক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে। এরকমই একজন গৃহবন্দি রাজনৈতিক নেতা বলেন যে, ‘জম্মু ও কাশ্মীর একটা বিরাট বন্দিশালা’। 
বিশদ

03rd  August, 2020
৫ আগস্ট ও নরেন্দ্র
মোদির ভোট অঙ্ক
হিমাংশু সিংহ 

২৯ বছর আগে ছবিটা তুলেছিলেন মহেন্দ্র ত্রিপাঠি। করোনা আবহে সেই ছবিই গোটা দেশে আজ হঠাৎ ভাইরাল। মহেন্দ্র পেশায় শখের ফটোগ্রাফার। ছোট্ট একটা স্টুডিও আছে অযোধ্যার প্রস্তাবিত রামমন্দির চত্বরের কাছেই।   বিশদ

02nd  August, 2020
বন্ধু চীনই এখন
আমেরিকার বড় শত্রু
মৃণালকান্তি দাস 

পঞ্চাশ বছরের ‘সম্পর্ক’ মাত্র চার বছরে উল্টে গিয়েছে! এই সেদিনও চীন-আমেরিকা নিজেদের বলত ‘কৌশলগত বন্ধু’। ১৯৭১ সালে বেজিং সফরে গিয়ে ধুরন্ধর মার্কিন বিদেশসচিব হেনরি কিসিঞ্জার সেই ‘বন্ধুত্বে’র চারা লাগিয়ে এসেছিলেন।   বিশদ

31st  July, 2020
মমতাকে স্বস্তি দিচ্ছে
বিজেপির এই রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী 

যদি ক্যুইজে প্রশ্ন করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে? প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের নাম ক’জনের মাথায় আসবে সংশয় রয়েছে। বেশিরভাগ উত্তরদাতার ঠোঁটের ডগায় তৈরি থাকবে বিধানচন্দ্র রায়ের নামটা।   বিশদ

30th  July, 2020
মোদিজি, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন
সন্দীপন বিশ্বাস 

কতটা লড়াইয়ের পর করোনার মতো এমন ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে নিঃশেষ করা যাবে, আমরা জানি না। কতদিনে আমরা এর ওষুধ বের করতে পারব, তাও জানি না! কোভিড ওষুধ নিয়ে আমাদের দেশের ও বিশ্বের বিজ্ঞানীদের গবেষণা এখন ঠিক কোন পর্যায়ে, সেটাও আমরা জানি না।   বিশদ

29th  July, 2020
পাঁপড়ভাজা খেলে ভ্যাকসিন
বানানোর দরকারটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফিদেল কাস্ত্রোর ইন্টারভিউ নিতে গিয়েছেন এক সাংবাদিক। শুরুতেই কাস্ত্রো পাল্টা একটা প্রশ্ন ছুঁড়লেন... ‘দ্য ফোর্থ ভার্টিব্রা পড়েছেন? ফিনিশ লেখক না?... দারুণ লেখা কিন্তু।’ মার্কিনিদের জীবনযাত্রা ছিল ‘দ্য ফোর্থ ভার্টিব্রা’র বিষয়বস্তু।   বিশদ

28th  July, 2020
চীন ‘মাকড়শা’ হলে ভারত তার ‘শিকার’
পি চিদম্বরম

 দ্য স্পাইডার্স ওয়েব। মানে মাকড়শার জাল। এই সম্পর্কে তথ্য জানতে যদি ইন্টারনেট সার্চ করেন, তবে আপনি জিনিসটাকে পাবেন—‘সিক্স সারপ্রাইজিং ফ্যাক্টস অ্যাবাউট স্পাইডারওয়েবস’ হিসেবে। মানে মাকড়শার জাল সম্পর্কে ছয়টি অবাক করা সত্য।
বিশদ

27th  July, 2020
একনজরে
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে, সেগুলির কয়েকটির বাজার বন্ধকালীন দর। ...

ভিসা ও অন্যান্য নথির মেয়াদ ফুরনোয় সৌদি আরবে এখন জেলবন্দি রয়েছেন প্রায় ৪৫০ জন ভারতীয়। তার মধ্যে অনেকেই এই বাংলার আদি বাসিন্দা। ...

তুফানগঞ্জ পুরসভা তহবিলের অভাবে উন্নয়নমূলক কোনও কাজ করতে পারছে না। করোনা পরিস্থিতিতে মার্চ মাসের শেষসপ্তাহে লকডাউন শুরু হতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।  ...

অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো অনুষ্ঠানের রং লাগল সুদূর আমেরিকাতেও। সেখানকার ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা রামমন্দিরের একটি ডিজিটাল ছবি নিয়ে ট্যাবলো সাজিয়ে রীতিমতো শহর পরিক্রমা করলেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

হিরোশিমা দিবস
১৮৬৫ - চার্লি চ্যাপলিনের মা তথা ইংরেজ অভিনেত্রী, গায়িকা ও নৃত্যশিল্পী হান্নাহ চ্যাপলিনের জন্ম
১৮৮১- পেনিসিলিনের আবিষ্কারক ফ্লেমিংয়ের জন্ম
১৯০৫- দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস প্রকাশ করলেন বন্দে মাতরম পত্রিকা
১৯০৬ - বিপিনচন্দ্র পালের সম্পাদনায় বন্দে মাতরম্ (সংবাদপত্র) প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯১৪ - কলকাতা থেকে দৈনিক বসুমতী প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯২৫ - বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৫-হিরোশিমায় পরমাণু বোমা ফেলল আমেরিকা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.১৪ টাকা ৭৫.৮৬ টাকা
পাউন্ড ৯৬.৪৬ টাকা ৯৯.৮৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৪ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৪,৬৭০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫১,৮৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  August, 2020

দিন পঞ্জিকা

২১ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০, তৃতীয়া ৪৭/৩৪ রাত্রি ১২/১৫। শতভিষানক্ষত্র ১৫/১১ দিবা ১১/১৮। সূর্যোদয় ৫/১৩/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ১২/৪৮ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১০/২৪ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ২/৫৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/৫ মধ্যে।
২১ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০, তৃতীয়া রাত্রি ১১/২। শতভিষানক্ষত্র দিবা ১১/২১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৬/১৪। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৭ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ১০/২৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৯ গতে ৬/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/৬ মধ্যে।
১৫ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। বৃষ: ব্যবসায় উন্নতির যোগ আছে। মিথুন: ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
হিরোশিমা দিবস১৮৬৫ - চার্লি চ্যাপলিনের মা তথা ইংরেজ অভিনেত্রী, ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২,৯৫৪
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২,৯৫৪ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

08:56:34 PM

  সুশান্ত মামলা: ৭ জনের নামে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই
সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলায় সিবিআই রিয়া চক্রবর্তী সহ ৭ জনের ...বিশদ

08:40:00 PM

তামিলনাড়ুতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৫,৬৮৪ 
তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৬৮৪ জন। ...বিশদ

07:27:06 PM

উত্তরপ্রদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪,৬৫৮ 
উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৬৫৮ জন। মৃত্যু ...বিশদ

07:04:04 PM