Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতাকে স্বস্তি দিচ্ছে
বিজেপির এই রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী 

যদি ক্যুইজে প্রশ্ন করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে? প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের নাম ক’জনের মাথায় আসবে সংশয় রয়েছে। বেশিরভাগ উত্তরদাতার ঠোঁটের ডগায় তৈরি থাকবে বিধানচন্দ্র রায়ের নামটা। এজন্য বিধানবাবুর কোনও দোষ নেই। মন্দ কপাল প্রফুল্লবাবুর। নামটা তিনি ইতিহাসে লেখালেন বটে মানুষের মনে লেখাতে ব্যর্থ হলেন। সত্যি কথা বলতে কী, জ্যোতি বসুর শাসন শুরু হওয়ার আগে অবধি বাংলার মানুষ বিধান রায় ছাড়া আর কাউকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব দেননি।
প্রফুল্ল ঘোষের অভিষেক কীভাবে হয়েছিল তার বিস্তারিত খবর পাইনি। অথচ একাধিকবার স্বল্প সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন তিনি। স্বল্প মেয়াদে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন অজয় মুখোপাধ্যায়ও। এই নির্বাচিত দু’জনকে ওই গুরুত্বপূর্ণ পদে যেভাবে পাওয়া গিয়েছে সেটাকে ‘পলিটিক্যাল স্টপগ্যাপ’ বললে ভুল হবে না। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস শাসনের অবসান ঘটানোর নায়ক যে অজয়বাবু—সেই ইতিহাসও খুব বেশি মানুষের মনে নেই। এই বিরাট কৃতিত্বটা জ্যোতিবাবুকেই দিয়ে থাকেন দেখেছি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনেক সিরিয়াস ছাত্রও! প্রায় পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র সেন। এই তিন মুখ্যমন্ত্রীর তিনটি জিনিস হয়তো মনে রেখেছে মানুষ: প্রফুল্ল ঘোষকে কংগ্রেস নেতৃত্ব বার বার ক্ষুদ্রস্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন। অজয়বাবুর সঙ্গে জ্যোতিবাবুদের ঝগড়াঝাঁটি। আর খাঁটি গান্ধীভক্ত প্রফুল্ল সেন মুখ্যমন্ত্রী হয়েও কত অনাদরে বিদায় নিয়েছিলেন। টানা ১৪ বছর মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলেছেন বিধানবাবু। তিনি দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। অকমিউনিস্ট বাঙালি তাঁকেই ‘বাংলার রূপকার’ মেনেছেন। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় বাহাত্তর-সাতাত্তরের বিতর্কিত নায়ক। মুখ্যমন্ত্রী পদে শেষোক্ত চারজনকেও কীভাবে বাংলার মানুষ বরণ করেছিলেন তারও বিস্তারিত জানার সুযোগ হয়নি।
স্বাধীনতা-পরবর্তী পশ্চিমবাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে কালো অধ্যায়টা নিঃসন্দেহে সিদ্ধার্থবাবুর অবদান। ওই দম বন্ধ করা পরিবেশ থেকে যে-কোনও প্রকারে মুক্তিলাভের জন্য মানুষ মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। প্রার্থনা সত্যি হয়েছিল সাত্তারে। ২১ জুন শপথ নিল জ্যোতি বসুর প্রথম বামফ্রন্ট সরকার। রাজভবন প্রাঙ্গণে মস্ত শামিয়ানা টাঙানো হল। তার নীচে দু’-চারশোর বেশি মানুষ বসা সম্ভব নয়। অগুনতি মানুষের বাঁধভাঙা ভিড় জমে উঠল বাইরে। ওই চত্বরে অন্য সময় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। সেদিন উধাও হয়ে গেল! রাজভবন থেকে রাইটার্স—মানুষের বন্যায় একাকার! আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত মানুষ জ্যোতিবাবুর গাড়ি যাকে বলে ছেঁকে ধরল। রাজভবন থেকে রাইটার্স যাওয়ার পথে সদ্য শপথ নেওয়া মন্ত্রী থেকে শীর্ষস্থানীয় একাধিক বামনেতা ভিড়ের মধ্যে কার্যত হারিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন। জ্যোতি বসু কোনওরকমে রাইটার্সে পৌঁছে দেখলেন মুক্তির আনন্দ কত বড় হতে পারে! রাইটার্সের ভিতরেও নিজ নিজ প্রবেশাধিকার অবাধ করে নিয়েছেন মানুষ! আবেগবিহ্বল জনতার উদ্দেশে হাত নাড়লেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী। দোতলার বারান্দা থেকে সংক্ষিপ্ত ভাষণে বললেন, ‘আমরা নির্বাচিত সরকার। জনতার অনুশাসন অনুসারে এই সরকার চলবে। রাইটার্স বিল্ডিংসে বসে নয়, জনতার সঙ্গে মিশে গিয়ে, জনতার নির্দেশে, জনতার প্রেরণায় এই সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিরূপিত হবে।’
২৩ বছর ক্ষমতায় থেকেও কথা রাখতে পারেননি জ্যোতি বসু। অথচ তাঁর পক্ষে পারা উচিত শুধু নয়, সম্ভবও ছিল। বামেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পরবর্তী ১১ বছরেও রক্ষিত হয়নি। ইতিহাসের ‘ট্রাজিক নায়ক’ হয়ে রইলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ধরাশায়ী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে দেখতে পাচ্ছি, ঐতিহাসিক চরিত্র জ্যোতিবাবুও জনগণমন অধিনায়ক হয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাঁকে কেন্দ্র করে বিরাট প্রত্যাশা জেগেও উবে গিয়েছিল বুদবুদের দ্রুততায়। মানুষের কাছে তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের অধ্যায়টা ‘রেকর্ড’ হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছিল, যতক্ষণ না পবন চামলিং তা ভেঙে দিলেন। বাংলার মানুষ এবার তাঁকে গণতন্ত্রের স্বপ্নভঙ্গকারী হিসেবে মনে রাখবেন কি? ভবিষ্যৎই বলবে।
২০১১ সালের ২০ মে শপথ নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রথম বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠার দিনের স্মৃতি ভেসে উঠেছিল প্রবীণদের মনে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজনীতিক, মন্ত্রী, আমলা, শিল্পপতিদের সঙ্গে জায়গা পেয়েছিলেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা এবং অনেক পিছিয়ে-পড়া নারীপুরুষও। রাজভবন থেকে রাইটার্স—জনজোয়ারে অভিন্ন এক সত্তা হয়ে উঠেছিল। শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী রাইটার্সে পৌঁছেছিলেন জনতার সঙ্গে পা মিলিয়ে। দোতলার বারান্দা থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন। ভিড় অটুট ছিল রাত পর্যন্ত। শুধু এক ‘দিদি’র সৌজন্যে রাইটার্স নতুন এক ‘তীর্থস্থান’-এ রূপান্তরিত। রোজ শ’য়ে শ’য়ে মানুষ বৃহত্তম লালবাড়ির সামনে ভিড় জমাত। শুধু একটিবার চর্মচক্ষে ‘দিদি’কে দেখা ছাড়া প্রত্যাশা নেই। অল্প কিছু মানুষ অবশ্য ব্যক্তিগত দাবি-দাওয়া নিয়েও যেতেন। মানুষের ভালোবাসার অত্যাচার চলেছিল মাসখানেক। পুলিস একটু কড়া না-হলে আরও কতদিন চলত কে জানে!
২০১৩-র ৫ অক্টোবর। রাইটার্সের পরিবর্তে প্রধান প্রশাসনিক অফিস হয়ে উঠল ‘নবান্ন’। ‘রাইটার্স দখল’ কথাটা বন্ধ হল। মে, ২০১৬। দ্বিতীয় সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেড রোডে শপথ নেন মমতা। সেটাই ছিল পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে বৃহত্তম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। বিশ হাজারের বেশি মানুষ সামনে থেকে দেখেছিলেন সেই অভূতপূর্ব নক্ষত্র সমাবেশ। দ্বিতীয় সরকার নবান্ন থেকেই পরিচালিত হচ্ছে।
পরবর্তী ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। জয়ী দলের সরকার আশা করা যায় নবান্নেই যাবে, চলমান প্রথা মেনে। কিন্তু এবার নবান্ন কাদের দখলে যাবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষত গত লোকসভার ভোটের রেজাল্টের নিরিখে বিজেপি তার ভক্তদের ভিতরে একটা অন্য আশা জাগিয়ে দিয়েছিল। তারপর কয়েকটি বিতর্কিত পদক্ষেপে ভোটবিভাজনের রাজনীতিতে শান দেন মোদি-শাহ নেতৃত্ব। বোঝা যায়, বাংলা দখলের আশাকে উজ্জ্বল করে তুলতে কতটা মরিয়া তাঁরা। বাংলায় একটা কথা আছে, বাঙালির ছেলে কলকাতায় পাত্তা না-পেলে কুলীন হয় না। ভারতের রাজনীতিতে কুলীন হতে বাংলার শাসনক্ষমতা হাতে পাওয়া জরুরি। খেয়াল করে দেখুন, বাঙালির মন থেকে দূরে সরে যাওয়ার পর কংগ্রেস ক্রমে কতটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে সারা দেশে। দিল্লিতে জ্যোতিবাবুদের অপরিমেয় প্রতিপত্তি ছিল—সে মূলত রাইটার্সের অধীশ্বর পরিচয়েই না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ঘাড়ধাক্কা খাওয়ার পর থেকে মার্কসবাদীবাবুদের কী হাড়ির হালটাই না হয়েছে!
ফের আসি বিজেপির কথায়। মোদি-শাহ জুটি দিলীপবাবুদের (ঘোষ) হাতে কয়েকটা ললিপপ তুলে দিতে চাইলেন বটে, কিন্তু বিধি বাম! করোনা পরিস্থিতিতে ইস্যুগুলো কেমন যেন ঠান্ডা মেরে গেল! বরং বড় হয়ে উঠেছে মানুষের বাঁচার লড়াইটা। সেখানে স্পষ্ট করেই পিছিয়ে বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ পাশ মার্ক পেতেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে যে। সে বড় ঝক্কির ব্যাপার। বিকল্পও ছিল: মোদি সরকারকে বিপন্ন বাংলার পাশে দাঁড়াতে রাজি করানো। মানুষ দেখল দিলীপবাবুরা তাতেও ডাহা ফেল। করোনার তীব্রতার ভিতরে উম-পুনের আঘাত নেমে এল ২০ মে। দু’দিন পর প্রধানমন্ত্রী এসে প্রায় কেঁদে ফেললেন! বাংলার মানুষ ভাবল, যাক দিল্লিওয়ালাদের ট্রাডিশন ভাঙল তবে। প্রায় আড়াই মাস বাদে এসে বেশ মালুম হচ্ছে বাংলাকে বঞ্চনার প্রশ্নে—যাহাই কংগ্রেস, তাহাই বিজেপি!
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সবচেয়ে বড় ও বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাঁকে কুর্নিশ যে মোদি সরকারের কাছে দরবার করে ক্লান্ত হওয়ার চেনা রাস্তায় তিনি হাঁটেন না। আগে রাগে দুঃখে মেজাজ হারাতেন। এখন নিজেকে ভীষণ সংযত করেছেন। মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিজের সীমিত ক্ষমতাতেই আস্থা রেখেছেন। কী দেখছি আমরা? পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে এনেছেন। তাঁদের একটা বড় অংশকে কাজ দিয়েছেন—একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে হাতিয়ার করে। রেশন ব্যবস্থাকে সাথী করে রুখে দিয়েছেন গরিবের অনাহারের কষ্ট। যথাসাধ্য সাহায্য দিচ্ছেন উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্তদের। কৃষিক্ষেত্র চাঙ্গা। রাজ্যের কাঁধে বিপুল ঋণের বোঝা আর হাতে কেন্দ্রের কাছে ন্যায্য প্রাপ্যের লম্বা তালিকা। তা সত্ত্বেও বেকারত্বের হার জাতীয় গড়ের থেকে কম—অনেক বড় রাজ্য, বিশেষত বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোর থেকেও কম। সব মিলিয়ে আর্থ-সামাজিক প্রশ্নে এগিয়ে রয়েছে বাংলা। ‘এগিয়ে বাংলা’ নিছক এক রাজনৈতিক স্লোগানে গণ্ডিবদ্ধ নয়। এর জন্য মোদি সরকার বা বিজেপি আলাদাভাবে কোনও কৃতিত্ব দাবি করতে পারবে না। অথচ, ভক্তদের মনে দাগ কাটার অভূতপূর্ব সুযোগ এসেছিল এবার। হেলায় হারাল তারা। এই বিজেপিকে দেখে রাজীব গান্ধীর ‘এই হতাশা ভাঙতে চাই, নতুন বাংলা গড়তে চাই’ স্লোগানের অসারতা মনে পড়ে যাচ্ছে। কানে বাজছে গনিখান চৌধুরীর হুঙ্কার—‘বামফ্রন্ট সরকারকে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করে ছাড়ব’—যা বাংলার রাজনীতির ইতিহাসের অন্যতম সেরা কৌতুক হয়ে রয়েছে।
এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে এর চেয়ে স্বস্তিদায়ক বিরোধী রাজনীতি আর কী হতে পারে? তিনি হয়তো দেখতে পাচ্ছেন—একুশের ভোটগণনার পর বিজেপি নেতৃত্ব ‘পরের বার দেখে নেব’ বলে সান্ত্বনা খুঁজছেন। 
30th  July, 2020
ক্রীড়া ও বিনোদন অর্থনীতি:
কী ভাবছে সরকার?
হারাধন চৌধুরী

 ১০০ বছর ধরে মাঠ কাঁপাচ্ছে যে দল, সেই লাল-হলুদ ঝড়ের নাম ইস্টবেঙ্গল। এই স্লোগানের সঙ্গে বাঙালি বহু পরিচিত। গত ১ আগস্ট, ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ পূর্ণ হল। যে-কোনও ক্ষেত্রে সেঞ্চুরির গরিমা কতটা সবাই জানেন। ক্রীড়ামোদী বাঙালি মূলত দুই শিবিরে বিভক্ত—ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান।
বিশদ

সবুজ হচ্ছে জঙ্গলমহলের প্রকৃতি ও মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

জঙ্গলমহল হাসছে। এই কথাটা একসময় বহু ব্যবহৃত শব্দবন্ধের মতো হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেটা নিয়ে বিরোধীদের বিদ্রুপ করা শুরু হল। কিন্তু এটা ঠিক, ২০১১ সালের আগে যে জঙ্গলমহলের চোখে জল ছিল, তা আর ফিরে আসেনি।
বিশদ

05th  August, 2020
 সমাজ ব্যর্থ হলে অসহায় মানুষের
পাশে দাঁড়াবার রাজনীতিই কাম্য
শুভময় মৈত্র

কোভিডাক্রান্ত ফুসফুসে সাহস জোগাতে সরকারের সহযোগিতায় দলমত নির্বিশেষে আরও কিছুটা উদ্যোগ জরুরি। দ্রুততার সঙ্গে সে কাজ না-হলে আম জনতা বিপদে পড়বে। সমাজ অকৃতকার্য হলে অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে না-পেরে অসুস্থের মৃত্যু রুখতে হবে নিঃসহায়ের রাজনীতিকেই।
বিশদ

05th  August, 2020
নয়া নীতিতে শিক্ষা
আমাদের ‘বাহন’ হবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নরেন্দ্র মোদি সরকার নয়া শিক্ষানীতি ঘোষণা করার পর দিকে দিকে কেমন একটা হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। বিষয়ে নতুনত্ব আছে। আর তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সরকারি স্কুলে প্লে-গ্রুপ ও কিন্ডারগার্টেন, ১০+২ এর ধারণা পিছনে ফেলে ফুটবলের মতো ৫+৩+৩+৪ ছকে স্কুলশিক্ষাকে সাজানো এবং সায়েন্স, আর্টস, কমার্স উঠে যাওয়া... নড়েচড়ে বসার মতো পরিস্থিতি বটে।
বিশদ

04th  August, 2020
রাজ্য-রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র
সোমেন মিত্রের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত 
প্রবীর ঘোষাল

২০০০ সালের মার্চ মাস। রাজ্য কংগ্রেস রাজনীতিতে ঘোর সঙ্কট। দু’বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করে ঝড় তুলে দিয়েছেন। দু’-দু’টি লোকসভা নির্বাচনে জোড়াফুলের সাফল্য গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই সময় এল পশ্চিমঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচন।  
বিশদ

03rd  August, 2020
করুণ কাহিনীতে কোনও ‘সমাপ্ত’ হয় না 
পি চিদম্বরম

গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। তারপর থেকে লিখিত আদেশ ছাড়াই জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক ব্যক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে। এরকমই একজন গৃহবন্দি রাজনৈতিক নেতা বলেন যে, ‘জম্মু ও কাশ্মীর একটা বিরাট বন্দিশালা’। 
বিশদ

03rd  August, 2020
৫ আগস্ট ও নরেন্দ্র
মোদির ভোট অঙ্ক
হিমাংশু সিংহ 

২৯ বছর আগে ছবিটা তুলেছিলেন মহেন্দ্র ত্রিপাঠি। করোনা আবহে সেই ছবিই গোটা দেশে আজ হঠাৎ ভাইরাল। মহেন্দ্র পেশায় শখের ফটোগ্রাফার। ছোট্ট একটা স্টুডিও আছে অযোধ্যার প্রস্তাবিত রামমন্দির চত্বরের কাছেই।   বিশদ

02nd  August, 2020
ভাবনা বদলালেই সহজ
হবে করোনা মোকাবিলা
তন্ময় মল্লিক 

‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে। আমি চোখ মেললুম আকাশে, জ্বলে উঠল আলো পুবে-পশ্চিমে।’—রবীন্দ্রনাথ। ‘শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব, বিপ্লব আনে মুক্তি।’—লেনিন।   বিশদ

01st  August, 2020
বন্ধু চীনই এখন
আমেরিকার বড় শত্রু
মৃণালকান্তি দাস 

পঞ্চাশ বছরের ‘সম্পর্ক’ মাত্র চার বছরে উল্টে গিয়েছে! এই সেদিনও চীন-আমেরিকা নিজেদের বলত ‘কৌশলগত বন্ধু’। ১৯৭১ সালে বেজিং সফরে গিয়ে ধুরন্ধর মার্কিন বিদেশসচিব হেনরি কিসিঞ্জার সেই ‘বন্ধুত্বে’র চারা লাগিয়ে এসেছিলেন।   বিশদ

31st  July, 2020
মোদিজি, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন
সন্দীপন বিশ্বাস 

কতটা লড়াইয়ের পর করোনার মতো এমন ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে নিঃশেষ করা যাবে, আমরা জানি না। কতদিনে আমরা এর ওষুধ বের করতে পারব, তাও জানি না! কোভিড ওষুধ নিয়ে আমাদের দেশের ও বিশ্বের বিজ্ঞানীদের গবেষণা এখন ঠিক কোন পর্যায়ে, সেটাও আমরা জানি না।   বিশদ

29th  July, 2020
পাঁপড়ভাজা খেলে ভ্যাকসিন
বানানোর দরকারটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ফিদেল কাস্ত্রোর ইন্টারভিউ নিতে গিয়েছেন এক সাংবাদিক। শুরুতেই কাস্ত্রো পাল্টা একটা প্রশ্ন ছুঁড়লেন... ‘দ্য ফোর্থ ভার্টিব্রা পড়েছেন? ফিনিশ লেখক না?... দারুণ লেখা কিন্তু।’ মার্কিনিদের জীবনযাত্রা ছিল ‘দ্য ফোর্থ ভার্টিব্রা’র বিষয়বস্তু।   বিশদ

28th  July, 2020
চীন ‘মাকড়শা’ হলে ভারত তার ‘শিকার’
পি চিদম্বরম

 দ্য স্পাইডার্স ওয়েব। মানে মাকড়শার জাল। এই সম্পর্কে তথ্য জানতে যদি ইন্টারনেট সার্চ করেন, তবে আপনি জিনিসটাকে পাবেন—‘সিক্স সারপ্রাইজিং ফ্যাক্টস অ্যাবাউট স্পাইডারওয়েবস’ হিসেবে। মানে মাকড়শার জাল সম্পর্কে ছয়টি অবাক করা সত্য।
বিশদ

27th  July, 2020
একনজরে
অযোধ্যার রেশ এসে পড়ল রাজারহাটের নারায়ণপুরে। রামপুজোর প্রস্তুতি ঘিরে অশান্তির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। ...

অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো অনুষ্ঠানের রং লাগল সুদূর আমেরিকাতেও। সেখানকার ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা রামমন্দিরের একটি ডিজিটাল ছবি নিয়ে ট্যাবলো সাজিয়ে রীতিমতো শহর পরিক্রমা করলেন। ...

অধিনায়ক হিসেবে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অদ্ভুত এক তত্ত্ব মেনে চলেন রোহিত শর্মা। ‘হিটম্যান’ জানিয়েছেন, নেতৃত্বভার কাঁধে থাকলে ড্রেসিং রুমে নিজেকেই সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলে ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে, সেগুলির কয়েকটির বাজার বন্ধকালীন দর। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

হিরোশিমা দিবস
১৮৬৫ - চার্লি চ্যাপলিনের মা তথা ইংরেজ অভিনেত্রী, গায়িকা ও নৃত্যশিল্পী হান্নাহ চ্যাপলিনের জন্ম
১৮৮১- পেনিসিলিনের আবিষ্কারক ফ্লেমিংয়ের জন্ম
১৯০৫- দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস প্রকাশ করলেন বন্দে মাতরম পত্রিকা
১৯০৬ - বিপিনচন্দ্র পালের সম্পাদনায় বন্দে মাতরম্ (সংবাদপত্র) প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯১৪ - কলকাতা থেকে দৈনিক বসুমতী প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯২৫ - বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৫-হিরোশিমায় পরমাণু বোমা ফেলল আমেরিকা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.১৪ টাকা ৭৫.৮৬ টাকা
পাউন্ড ৯৬.৪৬ টাকা ৯৯.৮৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৪ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৪,৬৭০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫১,৮৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  August, 2020

দিন পঞ্জিকা

২১ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০, তৃতীয়া ৪৭/৩৪ রাত্রি ১২/১৫। শতভিষানক্ষত্র ১৫/১১ দিবা ১১/১৮। সূর্যোদয় ৫/১৩/৪৮, সূর্যাস্ত ৬/১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ১২/৪৮ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১০/২৪ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। বারবেলা ২/৫৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/৫ মধ্যে।
২১ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০২০, তৃতীয়া রাত্রি ১১/২। শতভিষানক্ষত্র দিবা ১১/২১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৬/১৪। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৭ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ১০/২৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৯ গতে ৬/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/৬ মধ্যে।
১৫ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। বৃষ: ব্যবসায় উন্নতির যোগ আছে। মিথুন: ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
হিরোশিমা দিবস১৮৬৫ - চার্লি চ্যাপলিনের মা তথা ইংরেজ অভিনেত্রী, ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২,৯৫৪
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২,৯৫৪ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

08:56:34 PM

  সুশান্ত মামলা: ৭ জনের নামে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই
সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলায় সিবিআই রিয়া চক্রবর্তী সহ ৭ জনের ...বিশদ

08:40:00 PM

তামিলনাড়ুতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৫,৬৮৪ 
তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৬৮৪ জন। ...বিশদ

07:27:06 PM

উত্তরপ্রদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪,৬৫৮ 
উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৬৫৮ জন। মৃত্যু ...বিশদ

07:04:04 PM