দক্ষিণবঙ্গ

ঘাটালে ভাস্কররা পাথর কেটে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গড়ছেন বিদ্যাসাগরের মূর্তি

সংবাদদাতা, ঘাটাল: হাতে আর সময় নেই। শিক্ষাদপ্তর ‘অনুরোধ’ করেছে মহকুমার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসাতে। তাই ঘাটাল মহকুমা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার ভাস্কররা দিনরাত এক করে শ্বেত পাথর কেটে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বানিয়ে যাচ্ছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্রের বাড়ি দাসপুর-১ ব্লকের দাদপুরে। তিনি বলেন, ‘আমরা স্কুলগুলিকে মূর্তি বসানোর অনুরোধ করার পর থেকে শিল্পীদের কাছে এতো মূর্তি তৈরির অর্ডার পড়ছে, সেটা কল্পনার বাইরে। শিল্পীরা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুন করে আর অর্ডার নিচ্ছেন না। ফলে এবারের ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বহু স্কুলেই হয়তো মূর্তি বসানো যাবে না।’
বিদ্যাসাগরের নিজের জেলায় অধিকাংশ স্কুলেই তাঁর মূর্তি নেই। জুন মাসে জেলা পরিষদের শিক্ষা স্থায়ী সমিতির মিটিংয়ে জেলার প্রত্যেকটি হাই, জুনিয়র এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসানার প্রস্তাব গৃহীত হয়। যেহেতু ঘাটাল মহকুমার মধ্যেই বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ, তাই এই মহকুমায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি স্থাপনে তৎপরতা শুরু হয়। ৩ জুলাই মহকুমা শাসকের দপ্তরে একটি মিটিং করে সমস্ত স্কুলকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসানোর জন্য ‘অনুরোধ’ করা হয়। শ্যামবাবু বলেন, ‘আমাদের মহকুমায় হাজারের আশপাশে বিদ্যালয় রয়েছে। ২০২৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত স্কুলেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি দেখতে চাই। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৬তম জন্মদিন। তাই ওই তারিখের মধ্যে ঘাটাল মহকুমার অন্তত ২০৬টি বিদ্যালয়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসানো হোক আমরা চাই।’
দাসপুর-২ ব্লকের সোনামুইতে পাথর কেটে মূর্তি তৈরির শিল্পী গণেশ ঘোড়ই বলেন, ‘প্রশাসন থেকে স্কুলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসানোর অনুরোধ করার পর থেকেই প্রচুর অর্ডার আসছে। আমাকেই রাত দিন জেগে ১০০’র আশপাশে বিদ্যাসাগরের মূর্তি তৈরি করতে হচ্ছে। আমি আর নতুন করে অর্ডার নিতে পারছি না।’ পড়শি জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের ভবানীচকের এক শিল্পী ব্যোমকেশ মণ্ডল জানালেন, তাঁর কাছেও বিদ্যাসাগরের মূর্তির অনেকগুলি অর্ডার পড়েছে। হাতের কাছের শিল্পীরা অর্ডার না নেওয়ায় অনেক স্কুল কলকাতা থেকে মূর্তি আনানোর ব্যবস্থা করছেন।
যদিও ওই মূর্তি বসানোর জন্য জেলা পরিষদ কিংবা শিক্ষাদপ্তর একটি টাকাও দেবে না। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পকেট থেকে এবং স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অত টাকা দিয়ে মূর্তি তৈরি করতে অনেক স্কুলই পিছিয়ে যাচ্ছে। কারণ, শ্বেতপাথরের ছোট একটি আবক্ষ মূর্তি তৈরি করাতে ১৭ হাজার টাকা পড়ে। সাইজ বাড়লে দামও বাড়বে। পূর্ণাবয়ব মূর্তির দাম দেড় লক্ষ টাকা থেকে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত। মূর্তি বসানোর এবং অনুষ্ঠানের খরচ মিলিয়ে আরও ৩০-৪০ হাজার টাকা। তাই অনেক স্কুলই বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসানোর বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছে। দাসপুর-১ ব্লকের রামগড় স্পেশাল প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা লীনা মাইতি বলেন, ‘সরকার থেকে অনুদান নেই। অত টাকা কী করে জোগাড় করব? তাই মূর্তি বসানোর কথা ভাবছিই না।’ একই কথা শোনালেন দাসপুর-২ ব্লকের ইসবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পার্থ কর্মকার। তিনি জানালেন, টাকার সমস্যা। তাই এবারে মূর্তি বসাতে পারছি না। আগামী দিনে কী হবে বলা যাচ্ছে না!  -নিজস্ব চিত্র
10d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশা ও ব্যবসায় উন্নতির বড় কোনও সুযোগ প্রাপ্তি। ধর্মভাব শুভ। স্বাস্থ্য গড়বড় করতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৯.৩৫ টাকা১১২.৯২ টাকা
ইউরো৯১.৯২ টাকা৯৫.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা