রাজ্য

দক্ষিণবঙ্গে ভয়াবহ বন্যা: মমতার পর কেন্দ্রও দায় চাপাল ঝাড়খণ্ডের উপর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গে বিধ্বংসী বন্যার জন্য ঝাড়খণ্ড সরকারের ভূমিকাকে দায়ী করল কেন্দ্রের মোদি সরকারও। ডিভিসির মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ার জন্যই দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে বিধ্বংসী বন্যা হয়েছে। কিন্তু কেন এত জল ছাড়া হল? তার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি জারি করেছে। উল্লেখ্য, ডিভিসি ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অধীন একটি সংস্থা। কেন্দ্রের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ড সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন তেনুঘাট বাঁধ থেকে প্রচুর পরিমাণে (সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার কিউসেক হারে) জল ছাড়ার ফলেই সমস্যা বেড়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ডিভিসির বাঁধগুলি থেকে কী পরিমাণ জল ছাড়া হবে তা ঠিক করে দামোদর ভ্যালি রিজার্ভার রেগুলেশন কমিটি। তেনুঘাটের উপর এই কমিটির কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তেনুঘাট বাঁধটিকে ঝাড়খণ্ড সরকার ওই কমিটির আওতায় আনতে এখনও রাজি হয়নি। 
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া নিয়ে তিনদিন ধরে সোচ্চার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জল ছাড়া নিয়ে তিনি মোট তিনবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। দুর্ভাগ্য যে, তাতেও পরিস্থিতির কোনও ইতিবাচক পরিবর্তন হয়নি। অন্যদিকে, ডিভিসির কাণ্ডজ্ঞানহীন ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে চিঠি লিখেছেন দুর্গাপুরের তৃণমূল এমপি কীর্তি আজাদ।  
গত মঙ্গলবার থেকে ডিভিসি যত জল ছেড়েছে তার বেশিরভাগটাই এসেছে পাঞ্চেত বাঁধ থেকে। সোমবার পর্যন্ত মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে প্রায় সমহারে জল ছাড়া হয়। তারপরই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিভিসি যে ৬০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে, তার মধ্যে ৫০ হাজার কিউসেকই পাঞ্চেতের। বরাকর নদীর উপর মাইথন থেকে ছাড়া হচ্ছে মাত্র ১০ হাজার কিউসেক হারে জল। পাঞ্চেত বাঁধ থেকে দামোদর নদের যে জল ছাড়া হয়, তা আসে তেনুঘাট বাঁধ হয়ে। 
ডিভিসির চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ কে দুবে জানান, তেনুঘাটের জলাধারে জল ধরে রাখার ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। এই কারণে বেশি পরিমাণে জল এলেই সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই জল এসে পৌঁছয় পাঞ্চেতে। ডিভিসির অফিসারদের বক্তব্য, তেনুঘাটের পর্যাপ্ত জল ধরে রাখার ক্ষমতা থাকলে পাঞ্চেতের উপর জলের চাপ কমত। এতে কমতে পারত পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ। আগেও অতিবৃষ্টিজনিত পরিস্থিতিতে মাইথনের তুলনায় পাঞ্চেত থেকে অনেক বেশি জল ছাড়তে হয়েছে তেনুঘাটের জন্য। 
১৯৫০-এর দশকে ডিভিসি পরিকল্পনা রূপায়িত হওয়ার সময় মোট সাতটি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু মাইথন, পাঞ্চেত, তিলাইয়া ও কোনারে মোট চারটি বাঁধ তৈরি করা হয়। পরবর্তীকালে ১৯৮০-র দশকে অখণ্ড বিহার সরকারের উদ্যোগে মূল পরিকল্পনার অন্তর্গত একটি বাঁধ দামোদর নদীর উপর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিহার সরকারের কাছে প্রকল্পটির জন্য বন্যানিয়ন্ত্রণের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বোকারোসহ বিভিন্ন শিল্পশহরে জল সরবরাহ এবং সেচের উন্নয়ন। তাই বেশি পরিমাণে জল ধরে রাখার ব্যবস্থা তেনুঘাটে করা হয়নি।
19d ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৮.২৫ টাকা১১১.৮০ টাকা
ইউরো৯০.৭১ টাকা৯৩.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা