বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য

আলো ফোটার আগেই সৈকতে যেন আছড়ে পড়ল পুণ্যার্থীর ঢেউ

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আলো ফুটতে তখনও ঘণ্টা খানেক বাকি। শুরু হয়েছে কুয়াশা। নেই কনকনে ঠান্ডা। বইছে হাল্কা হাওয়া। তাতেই শীতের আমেজ রয়েছে ভরপুর। খোল-করতালের শব্দ, বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় ঠাকুরের গান ভেসে আসছে চারদিক থেকে। তার মধ্যেই সাগরতটে আছড়ে পড়ছে একের পর এক ঢেউ। সেখানে হলুদ আলোর মধ্যেই দেখা যাচ্ছে কালো মাথার ভিড়। প্রদীপের শিখায় জ্বলজ্বল করছে গোটা সৈকত। শুরু হয়ে গেল মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। অথচ, তখনও মাহেন্দ্রক্ষণ শুরুই হয়নি। ঠক ঠক করে কাঁপতে কাঁপতে তীর্থযাত্রীরা কেউ ‘জয় গঙ্গা মাঈয়া কী’, কেউ আবার ‘জয় কপিল মুনি বাবা কী জয়’ বলে দেদার ডুব দিচ্ছেন সাগরে। মেঘ সরিয়ে সূর্য উঁকি দিতেই পরিষ্কার হল ছবিটা। সাগরের ১ থেকে ৫ নম্বর বিচে (২ ও ৩ বাদে) তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে উপচে পড়েছে। বিপজ্জনক এলাকা বলে চিহ্নিত জায়গায় ঢুকেও চলল পুণ্যস্নান।
মকরস্নান শুরু হয় মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিটে। আজ, বুধবার ওইসময় পর্যন্ত রয়েছে স্নানের তিথি। তাই সকালেও বহু তীর্থযাত্রী দলে দলে এসেছেন সাগরে। একটা সময় কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার লাইন একেবারে ২ নম্বর রাস্তা ছড়িয়ে যায়। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয় পুলিসকে। স্নান সেরে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে তীর্থযাত্রীদের ঢল আটকে রাখা হয় বহুক্ষণ। এদিকে লট ৮-এ অপেক্ষারত বহু মানুষ মুড়িগঙ্গা নদীতে নেমেই সেরে ফেলেন স্নান। ভোরের ঠান্ডা কেটে যেতেই ‘কুছ পরোয়া নেহি’ ভাব নিয়ে ভিড়ে-ঠাসা বিচগুলিতে যুবক-যুবতীদের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। 
সময় যত বেড়েছে জলস্তর তত উঁচু হয়েছে কোটালকে সঙ্গী করে। তীর্থযাত্রীদের মধ্যে অবশ্য তার কোনও প্রভাব ধরা পড়েনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধু সন্ন্যাসীরা ডুব দিলেন। যেমন বারাণসীর এক সন্ন্যাসী স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে এই প্রথমবার গঙ্গাসাগর এসেছেন। লগ্ন শুরু হতেই, নিয়ম মেনে সপরিবারে নেমে স্নান সারলেন তাঁরা। আবার অসুস্থ মা-বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে তাঁদের গঙ্গাসাগর নিয়ে এসেছেন ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা গৌরীশঙ্কর সাধু। একটা সময় সাগরের ১ নম্বর বিচে তিলধারণের জায়গা ছিল না। ভিড় এড়াতে অনেকে আবার বিপজ্জনক ব্যারিকেড পেরিয়ে জলে নামেন। এদিকে, এদিন সকালে কুয়াশার কারণে সাময়িকভাবে কচুবেড়িয়ায় ভেসেল চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে সমস্যায় পড়েন বহু তীর্থযাত্রী। বেলা হতেই অবশ্য পরিস্থিতির উন্নতি হয় এবং স্বাভাবিক হয় পরিবহণ ব্যবস্থা।
ভিড় প্রসঙ্গে, সাংবাদিক বৈঠকে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, এবার একেবারে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে গঙ্গাসাগর। এদিন দুপুর পর্যন্ত সাগরে ৮৫ লক্ষ মানুষ স্নান করে গিয়েছেন। সোমবার তিনি জানিয়েছিলেন, সেদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত পুণ্যার্থীর সমাগম ছিল ৫৫ লক্ষ। অর্থাৎ, এদিন দুপুর পর্যন্ত আরও ৩০ লক্ষ মানুষ সাগরে এসে স্নান সেরে ফিরে গিয়েছেন।  ভিড়বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বহু মানুষ নিজের পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এদিন প্রায় চার হাজার মানুষ হারিয়ে গিয়েছিলেন মেলায়। তাঁদের বেশিরভাগকেই অবশ্য অল্প সময়ের মধ্যে খুঁজেপেতে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে পরিবারের সঙ্গে। অপরাধের সংখ্যাও এদিন অনেক বেশি ছিল। পুলিস জানিয়েছে, গঙ্গাসাগরে এদিন দু’শোর বেশি পকেটমারির ঘটনা ঘটেছে। নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৭২ জনকে। 
5h 5m ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৮৩ টাকা৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.০৫ টাকা১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো৮৭.৩০ টাকা৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা