দক্ষিণবঙ্গ

জেলায় চিন্তা বাড়াচ্ছে গঙ্গা, ভাগীরথীর জল

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: এখনও জলমগ্ন মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার বেশ কিছু গ্রাম। রবিবার থেকে আবার বৃষ্টির পূর্বাভাসে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। মুর্শিদাবাদ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত দ্বারকা, ময়ূরাক্ষী এবং কুয়ে নদীতে জলস্তর বৃদ্ধির জেরে ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বহু গ্রাম। জেলার অধিকাংশ নদীর জলস্তর এখনও বিপদসীমার কাছাকাছি বইছে। বিশেষ করে গঙ্গা ও ভাগীরথী নদীর জল ক্রমাগত বাড়ছে। ফরাক্কা থেকে লাগাতার জল এসে পড়ছে নদীতে। চিন্তায় ঘুম উবেছে ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের। যার জেরে লালগোলায় পদ্মাপাড়ে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখান থেকে ৫০টি পরিবারকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। শাখা নদীগুলিতেও গত কয়েকদিনের বৃষ্টির জেরে ব্যাপক জলের চাপ বেড়েছে। নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে কান্দি মহকুমার বেশকিছু গ্রাম। এখন গঙ্গার জলস্ফীতি চিন্তা বাড়াচ্ছে। বহরমপুর শহর লাগোয়া ভাগীরথীতেও জল অনেক বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার নিমতিতায় গঙ্গার জলস্ফীতি বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে। সেখানে জলের বিপদসীমা ২১.৯০ মিটার নির্ধারণ করা আছে। এদিন সকালে গঙ্গার জলের উচ্চতা ছিল ২১.০৫ মিটার। নুরপুরে গঙ্গার বিপদসীমা ২১.০৩ মিটার। এদিন সকালে জলের উচ্চতা ছিল ২০.২১ মিটার। গেরিয়ার কাছে এদিন গঙ্গার জল ছিল ১৯.৮৬ মিটার। সেখানে বিপদসীমা নির্ধারণ রয়েছে ২০.৯৪ মিটার। ফরাক্কা ব্যারেজের জলে গঙ্গা ও ভাগীরথীর জলস্তরও বেড়েছে। নিমতিতার গঙ্গায় বুধবার সকালে জলস্তর ছিল ২০.৭৩ মিটার। এদিন সেটা অনেকটাই বেড়েছে। বুধবার গেরিয়ার কাছে জলস্তর ছিল ১৯.৫৪ মিটার। নুরপুরের কাছে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২০ মিটারের কাছাকাছি। 
এদিকে গত তিনদিন কুয়ে নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করলেও এদিন কিছুটা জল নেমেছে। তারাপুরের কাছে কুয়ে নদীর বিপদসীমা নির্ধারিত আছে ২২.৭১ মিটার। এদিন জল অনেকটাই নেমেছে। তবে দ্বারকা নদীর জল এখনও বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে। ময়ূরাক্ষী নদীর জল অনেকটাই কমেছে। জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের আধিকারিক কমল চক্রবর্তী বলেন, গঙ্গা এবং ভাগীরথীর জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। আমরা সেদিকে নজর রাখছি। তবে গত কয়েকদিনে যেভাবে দ্বারকা, কুয়ে ও ময়ূরাক্ষী নদীর জল বেড়েছে বৃহস্পতিবার থেকে কিছুটা করে নামছে। 
এদিকে, ভাঙন কবলিত সামশেরগঞ্জ ও সূতিতে গত কয়েকদিন ধরে তেমন আর ভাঙন হয়নি। তবে আতঙ্ক তাড়া করছে ভাঙনে ভুক্তভোগী মানুষদের। নদী থেকে জল নামার সময় সাধারণত ভাঙন দেখা দেয়। গত কয়েকদিন ধরে নদীতে অল্প অল্প করে জল নামতে শুরু করেছে। জলের স্তর একসঙ্গে অনেক কমলে নদীর পাড়ে ধস নামার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ফলে সেই আতঙ্কে রয়েছেন নদীর পাড়ের বাসিন্দারা। 
প্রসঙ্গত, প্রায় মাসখানেক ধরে সামশেরগঞ্জের নতুন শিবপুর, লোহরপুর ও ধানঘড়ায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। প্রায় সপ্তাহ দু’য়েক আগে সূতির নুরপুরে পদ্মা নদীতে ভাঙন শুরু হয়। সম্প্রতি সূতিতে ভাঙন রোধের কাজ ও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 
নিমতিতার বাসিন্দা আব্বাসউদ্দিন শেখ বলেন, প্রতিদিন কিছুটা করে গঙ্গার জলস্তর বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরে এই এলাকায় নতুন করে পাড় না ভাঙলেও ব্যাপক জলের স্রোত দেখে আমারও আতঙ্কিত। রাতের দিকে নদীর গর্জনে ঘুম আসে না। মনে হয়, এই বুঝি সমস্ত কিছু ধসিয়ে দেবে। এরপর আবার বৃষ্টি হলে কী পরিস্থিতি হবে, তা ভাবতেও পারছি না।
1h 1m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশা ও ব্যবসায় উন্নতির বড় কোনও সুযোগ প্রাপ্তি। ধর্মভাব শুভ। স্বাস্থ্য গড়বড় করতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৯.৩৫ টাকা১১২.৯২ টাকা
ইউরো৯১.৯২ টাকা৯৫.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা