দক্ষিণবঙ্গ

‘বর্তমান’-এ প্রকাশিত খবরের জের, ভোটারকার্ড তৈরিতে শবর গ্রামেই শিবির

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: বলরামপুরের হাড়জোড়া গ্রামের সেই শবর পাড়ায় বিশেষ শিবির করল প্রশাসন। এতদিন গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকের ভোটার কার্ড ছিল না। শনিবার ওই গ্রামে যান প্রশাসনের আধিকারিকরা। শিবির করে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন জমা নেওয়া হয়। বাসিন্দাদের এখনও অনেকেরই আধার কার্ড নেই। আগামী শনিবারের মধ্যে তারও ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। যদিও গ্রামের শবররা তাকিয়ে রয়েছেন সেই বিনামূল্যে রেশনের দিকেই! প্রত্যেকের শুধু একটাই প্রশ্ন, কবে মুক্তি মিলবে অনাহার থেকে? কবে মিলবে রেশন? 
পুরুলিয়ার মহকুমা শাসক উত্পল ঘোষ বলেন, প্রয়োজন পড়লে গ্রামে আমরা ফের শিবির করব। প্রত্যেকে যাতে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পায়, তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
হাড়জোড়ার শবর পাড়ায় ৩২টি পরিবার মিলিয়ে মোট ১৪২জনের বসবাস। অথচ এতদিন গ্রামের বহু বাসিন্দার ছিল না ভোটার কার্ড! ছিল না জন্মের শংসাপত্রও। জন্মের শংসাপত্র না থাকার তালিকায় যেমন দু’বছরের শিশু রয়েছে, তেমনই রয়েছেন ৬১ বছরের বৃদ্ধাও! জন্মের শংসাপত্র না থাকার কারণে হয়নি আধার কার্ডও। ফলে, বাসিন্দারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা থেকে শুরু করে সমস্ত সরকারি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আধার কার্ড না থাকায় বাচ্চারা ভর্তি হতে পারছে না স্কুলে। হচ্ছে না ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক হয়ে যাওয়ার পর থেকে মিলছে না দু’মুঠো চালও। কোনওক্রমে আধপেটা অবস্থাতেই দিন গুজরান হচ্ছিল পরিবারগুলির।
চলতি বছর ভোটের আগে দুয়ারে সরকার শিবিরের সময় বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের আধিকারিকদের। তারপরই তাঁরা বাসিন্দাদের জন্মের শংসাপত্র তৈরির তোড়জোড় শুরু করেন। যদিও সময়ের সঙ্গে কাজের গতিও কমে আসে। গত বুধবার এনিয়ে খবর প্রকাশিত হয় ‘বর্তমান’ পত্রিকায়। এরপরই ব্লক প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়, শনিবারই তাঁরা বিশেষ শিবির করবেন হাড়জোড়ায়। সেইমতো শনিবার হাড়জোড়া প্রাথমিক স্কুলে বিশেষ শিবির হয়। উপস্থিত ছিলেন বলরামপুর ব্লকের বিডিও সৌগত চৌধুরী, জয়েন্ট বিডিও সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। শিবিরে ভোটার কার্ডের আবেদন জমা নেওয়া হয়। আগামী শনিবার আধার কার্ড তৈরির আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। 
বিডিও বলেন, ভোটার কার্ডের জন্য মোট ১৩টি আবেদন জমা পড়েছে। বাসিন্দাদের মোট ৪৪জনের জন্মের শংসাপত্র ছিল না। সেই কারণেই তাদের আধার কার্ডও হচ্ছিল না। আমরা ইতিমধ্যেই জন্মের শংসাপত্র তৈরি করে দিয়েছি। আধার কার্ড তৈরির জন্য আগামী শনিবার প্রত্যেককে গাড়ি করে পুরুলিয়া সদরে নিয়ে যাওয়া হবে। আশা করছি তারপর তাদের আর কোনও সমস্যা থাকবে না।
দীর্ঘদিন ধরে এই শবরদের পাশে থেকে আসছেন গ্রামেরই বাসিন্দা সহদেব মাহাত, জিতেন মাঝিরা। তাঁরা বলেন, শবর পরিবারগুলির জন্য আমরা কোথায় না যায়নি! কাকে না জানাইনি। আমরা এত বছরেও যা পারিনি, আপনারা তা কিছুদিনেই করে দিলেন! তবে, বছরের পর বছর ধরে শবররা এভাবে দিন কাটালেও এতদিন তা কেন নজরে আসেনি পুলিস প্রশাসন থেকে কোনও জনপ্রতিনিধির? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রশাসনেরই এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ভালো করে খুঁজলে এরকম অনেক গ্রামই পুরুলিয়ায় পাওয়া যাবে! (হাড়জোড়া গ্রামে ব্লক প্রশাসনের শিবির। নিজস্ব চিত্র)
11d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশা ও ব্যবসায় উন্নতির বড় কোনও সুযোগ প্রাপ্তি। ধর্মভাব শুভ। স্বাস্থ্য গড়বড় করতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৯.৩৫ টাকা১১২.৯২ টাকা
ইউরো৯১.৯২ টাকা৯৫.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা