ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
দাদার নাম হুগো, দুই দিদির নাম যথাক্রমে এলমা ও কাতিয়া। কিন্তু, তাঁর নাম রোনাল্ডো রাখা হল কেন? হলিউডের প্রিয় অভিনেতা তথা তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের নামের সঙ্গে মিলিয়েই ছেলের নামকরণ করেন জোস আভেইরো। বাবার হাত ধরেই অ্যান্ডোরিনহা ক্লাবে যোগ দেন রোনাল্ডো। ১৯৯২ থেকে ’৯৫ পর্যন্ত খেলেন এই ক্লাবের হয়েই। বাবা কিট ম্যান বলে সতীর্থদের কাছে কম বিদ্রুপ তাঁকে শুনতে হয়নি। এরপর দু’বছর (১৯৯৫-’৯৭) খেলেন ন্যাশিওনাল ক্লাবের হয়ে। অনন্য প্রতিভার জোরে এরপর সুযোগ পান স্পোর্টিং সি পি বা স্পোর্টিং ক্লাব দ্য পর্তুগাল (স্পোর্টিং লিসবন)-এ। তিনদিনের ট্রায়ালে তাঁকে দেখেই পছন্দ হয়ে যায় ক্লাব কর্তৃপক্ষের। এই ক্লাবে যোগ দেওয়ার জন্য অল্পবয়সেই পরিবারকে ছেড়ে চলে আসতে হয় তাঁকে। এই ক্লাবের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৮ সহ সব পর্যায়েই খেলতে হয়েছে তাঁকে। তারপর সুযোগ পান সিনিয়র দলে। এই সময়ে ফের এক প্রতিকূলতার মোকাবিলা করতে হয় তাঁকে। হৃদযন্ত্রের সমস্যা ধরা পড়ে। তাই মাত্র ১৫ বছর বয়সে করতে হয় অস্ত্রোপচার। অনেকের মনে হয়েছিল, এখানেই হয়তো তাঁর ফুটবল কেরিয়ারে ইতি পড়ে যাবে। কিন্তু, তারকার লড়াই যে, কখনও থেমে যায় না। অস্ত্রোপচারের কয়েকদিন পরই রোনাল্ডো যোগ দেন অনুশীলনে। ২০০২ সালে তিনি ঢোকেন ক্লাবের সিনিয়র দলে। এই সময়েই লিভারপুল, আর্সেনাল, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মতো ইংল্যান্ডের নামী ক্লাবের নজরে আসেন তিনি। ২০০৩-এ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের পছন্দ হয় তাঁকে। আর কাল বিলম্ব না করে প্লেনে ওঠার আগেই রোনাল্ডোকে সই করিয়ে নেন ফার্গুসন। ২০০৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তিনি খেলেন ম্যাঞ্চেস্টারের হয়ে। এরপর রিয়াল মাদ্রিদ (২০০৯-’১৮) ও জুভেন্তাস (২০১৮-’২১) ঘুরে আবার তিনি ফিরে এসেছেন পুরনো ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডেই। হ্যাঁ, স্বমহিমায়। অধ্যবসায়, ঐকান্তিকতা ও পরিশ্রমের ফল যে কতটা মিঠে হয়, রোনাল্ডোই তার অন্যতম উদাহরণ।